![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে আপনাদের শহুরে কাক আর গ্রাম্য কাকের গল্প বলব।
গ্রাম থেকে কাক শহুরে কাকের কাছে বেড়াতে এসে সুখ দু:খের কথা আলাপ-অালোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে গ্রাম্য কাক শহুরে কাকের কাছে আবদার করল, গ্রমের আবস্তা তেমন একটা ভালোনা। তো তুমি যদি বল আমি পরিবার নিয়ে শহরে চলে আসি। শহুরে কাক গ্রাম্য কাককে উপদেশ দিল, গ্রামে আছ ভালোই আছ শহরের সিস্টেম তুমি বোঝ না, এখানে এসে আযথা বিপদে পড়বা। এতে গ্রাম্য কাক মনে মনে আসনটুষ্ট হল। তো এটা আবার শহুরে কাক বুঝতে পারল, সে বলল যাক আনেক কষ্ট করে গ্রাম থেকে এসেছ, দুপুর হয়ে গেছে চল খাবার খেয়ে আসি। মেহমান কে তো অার ডাষ্টবিনের খাবার দেওয়া যায় না। উড়তে উড়তে গিয়ে বুড়িগঙ্গার তীরে বসল। এক মাঝি নৌকার মধ্যে দুপুরের খাবার নিয়ে নৌকা পাড়ে রেখে বসে আছে, শহুরে কাক গ্রাম্য কাককে বলল যাও তুমি যদি এই মাঝির খাবার খেতে পার তাহলে তুমি পরিবার নিয়ে শহরে এসে টিকতে পারবে। গ্রাম্য কাক বেশ কয়েক বার চেষ্টা করে বৌঠার বাড়ি খেয়ে ফিরে এল। শহুরে কাক দূরে দাড়িয়ে পরিস্তিতি পযর্বেহ্মন করল।
পাররে না তো? এবার আমি দেখ কি করে ঐ মাঝির ভাত খায় গ্রাম্য কাককে বলল শহুরে কাক। উড়াল দিয়ে নদীপাড় হতে মানুষের বিষ্টা ঠোটে করে উপর থেকে ফেলল মাঝির ভাতের মধ্যে,, ব্যস মাঝি সাথে সাথে ভাত ফেলে দিল নদী পাড়ে। এবার শহুরে কাক গ্রাম্য কাককে নিয়ে আরামে পেট ভরে খাবার খেল। এবং গ্রাম্য কাক উপলধ্দি করল শহর তার জন্য না।
উপরের গল্পটা নিছকই গল্প। ভালো জীবন গড়ার প্রত্যাশায় এক বুক স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার তরূন শহরে আসে, এসে পড়ে যাই ধাঁধার মধ্যে তাদের গ্রাম্য সরলতাকে ভেঙ্চি কাটে শহুরে সভ্যতা। তারা বুঝে উঠতে উঠতেই শেষ হয়ে যাই সকল স্বপ্ন। দু:খ ভারাকান্ত মনে শহুরে কঠিনত্বকে গালি দিতে দিতে ফিরে যাই তার স্থানে, যেখানে সে সাবলিল, যেখানে সে শত দু:খের মাঝেও মমতা খুজে পাই।
বি দ্র: আমার এক পাড়াত বন্ধু ছিল, সে বহু বার স্বপ্নে বিভর হয়ে শহরে আসত, কিন্তু শহুরে কঠিন্যে বার বার ফিরে গেছে গ্রামে । আবশেষে বুঝতে পারছে শহর তার জন্য না। এখানে সে বড্ড বেমানান। এখন সে চাষি। বউ সংসার নিয়ে দিব্বি সুখে আছে সে যেখানে সাবলিল, গ্রামে।
©somewhere in net ltd.