![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন এবং জীবীকার প্রশ্নে সবারই একসময় কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হয়। অামরা যারা কিছুটা স্বাধিনচেতা এবং সাহসি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এই কর্মজীবনে চাকুরির মাধ্যমে প্রবেশ করি, তারা আন্যের আধিনে চাকুরি করার চাইতে নিজে কিছু একটা করার তাড়নায় থাকি। যখন সাহস করে পথে নামব বলে মনস্থির করি তখন প্রথম বাধাঁটা আসে পরিবার থেকে!
ঐ যে মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট! চাকরি হচ্ছে তাদের কাছে নিরাপদ। ব্যবস্যাতে আনেক ঝুকিঁ, আমুকে পারেনি আর তুমি? কিছু আসফল ব্যক্তির উদাহরন ইত্যাদি-ইত্যাদি।
যাক প্রথম বাধাঁ পেরিয়ে যখন উদ্যমের জোরে মাঠে নামলাম তখন দেখলাম, আর্থিক প্রতিষ্টানগুলোর ভেঙ্চিং, সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলেও তারা আমার পুজি লগ্নি করতে পারে না। কারন আমার পযর্প্ত জামানত দেখানোর মত সম্পদ নেই। আনেক কষ্টে-ছিষ্টে এদিক ওদিক থেকে পুজির ব্যবস্থা করে আস্তে আস্তে দাড়ঁ করাই, চিন্তা করি আর একটু বড় কিছু করি, উৎপাদন করি! আর্থাৎ ছোট খাটো কারখানা করি। যেখানে আন্ত:ত ২-৪ জন মানুৃষ কাজ করবে আমারও উন্নতি হবে।
প্রথম ধাক্কাটা খেলাম স্থানিয় সিটি কর্পারেশন কার্যালয় থেকে যেটার নাম ট্রেড লাইসেন্স ভোগান্তি।। ভুক্তভুগিরা নিশ্চই এতহ্মন বুঝে গেছেন!
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পল্লিবিদুৎ কার্যালয়ে যাই কদুর তেল মাথাই দিয়ে, আর একটা রিলাজ্রি ট্যবলেট খেয়ে। পিয়ন স্যার ছাড়া কোন কাজ হয়না এখানে। আজ তিন মাস শুধু যাই আর আসি। জানিনা কোনদিনই বিদুৎ লাইন পাব কি না। কারন আমার কোন লবিং নেই। ওখানে বড় বড় শিল্পপতিদের কাজ হয়ে যায় চোখের নিমিষে।
পরিবেশ আধিদপ্তরের পরিবেশ যে দেখেছেন সে জানেন এখানকার ছাড়পত্র পাওয়াটা কতটা ভাগ্যের ব্যপার। অাপনাকে এটার জন্য মিনিমাম ঘুরতে হবে ৪-৬ মাস। সরকারি ট্রেজারি জমা ৩০০০। কিন্তু আফিস খরচা আর বকসিস বাবদ লাগবে ২৫০০০-৩০০০০ হাজার। হিসাব টা আর এগবার ভালোকরে লহ্ম্য করূন প্লিজ।
এবার আসুন ফায়ার ছাড়পত্র! ৯২০ টাকা ট্রেজারি(প্রতিষ্টানের ধরন আনুযায়ি) জমা এবং ৮০০০-১০০০০ টাকার বিনিময়ে আপেহ্মাকৃত কম ঝামেলায় এটা পাওয়া যায়।
ভ্যাট রেজিস্টেশন। আমার কেমন বিশ্রি লাগে এ আফিসটাতে গেলে। খামের মধ্যে নিয়মিত মাসহারা না পেলে আপনার ভোগান্তির কুল কিনারা থাকবে না। শিহ্মিত ডাকাত বসায়ে রাখছে সরকার যেন, যাদের ট্রেজারি থেকে বেশি খামে দিতে হয়। না হলে ভোগান্তির কারনে আপনার ব্যবসা ছেড়ে কাদঁতে ইচ্ছে হবে।
পাঠক এখন বলুন আরও কতটা উদ্যম থাকলে এগুতে ইচ্ছা করবে? বাংলাদেশ যারা ছোট বা মাঝারি উদ্যোক্তা তারা যে কত ভাবে হেনস্তা হচ্ছে এ যেন দেখার কেউ নেই। দেখার দায়িত্ব যাদের তারাই তো সুযোগ নেয়। অথচ শত বাধাঁ পেরিয়ে আমাদের মত উদ্যোক্তারাই দেশের আর্থনৈতিক মেরূদন্ড সচল রাখছে। দারিদ্র দূরিকরনে ভুমিকা রাখছে অল্প হলেও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের হাত দিয়েই।
উদ্যমের আবশিষ্ট যতটুকু থাকে ততটুকু দিয়ে এগিয়ে যাবার শক্তি আর থাকেনা। হতাশা গ্রাস করে সমস্ত শক্তি। তবু এগিয়ে যেতে হবে।কারন এখান থেকে পিছিয়ে গেলে যে আর্থনৈতিক হ্মতি সেটা নেবার ও হ্মমতা নেই। খুব আসহায় লাগে।
©somewhere in net ltd.