![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সপ্তর্ষি ...
জানি তোমায় লেখার কোন অধিকার আমার নেই।
তবুও তোমায় লিখছি...
উত্তর দিয়ো না, উত্তর পাওয়ার জন্য তোমাকে
লিখছি না।
লিখছি নিজের মনকে হালকা করার
জন্য। প্রায়ই কত কী যে লিখি।
সেগুলির একটাও
তোমার কাছে পৌঁছয় না। খুব ভাবি, আমার জীবনের
যতো হাসি, যতো খুশি, সবই তোমায় দেবো। দুঃখটুকু
নাহয় আমারই থাক।
ওইটুকুও তোমায় দিয়ে দিলে
নিজের বলতে আমার আর থাকে কী, বলো? আমার
কোনো চিঠিই তোমার দরোজায় যাবে না, আমার
কোনো অক্ষরই তোমার আগুনে পুড়বে না, আমার
সব ভাষা শুধুই আমার আবেগের উত্তাপে পুড়তে
থাকবে। জীবনখাতার পাতায়-পাতায় যতো
হিসেবনিকেশ, যতো কান্নাহাসি, যতো দেয়ানেয়া,
তার সবটুকুই আমি একা সামলে নেবো। অনেকটুকু
সময়ই তো দেখতে-দেখতে পার করে দিলাম তোমায়
ভেবে।
আর বাঁচবোই বা কতদিন, বলো? তোমায়
ঘিরে আমার আবেগ আর ভালোলাগাগুলিকে যত্ন
করে-করে আর কটা দিন কাটিয়ে দেবো। কী আর
হবে, বলো? একটাই তো জীবন। এক জীবন আর
কতই বা দেবে? অনেককিছুই তো দিয়েছ তুমি। যা
পেয়েছি, তার স্তূপ, যা হারিয়েছি, তার স্তূপের
চাইতে ঢের উঁচু। আমি খুশি, কোনো অভিযোগ নেই
আমার।
লেনাদেনার হিসেবে কি আর জীবন চলে,
বলো? জীবনে যাকিছুতে বাধা এসেছে, যাকিছু আমায়
বাঁধতে চেয়েছে, যাকিছু তোমায় আড়াল করতে
চেয়েছে আমার জীবন থেকে, তার কতকিছুই তো
ছেড়ে দিয়েছি আলগোছে কত কতবার! আর কেউ না
জানুক, তুমি তো জানো। নিজেকে সামনে বাড়তে
দিয়েছি প্রতিনিয়ত। তোমার যাকিছু ভাল, তাকিছুকেই
বুকের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখি। আমার জীবনে একমাত্র
তোমার ক্ষেত্রেই যতবার বাধা এসেছে, তা যতোই
প্রবল হোক না কেন, নিজের সবটুকু দিয়ে প্রতিহত
করে পরম যত্নে হৃদয়ের মধ্যে আগলে রেখেছি
তোমার ওই ভালোটুকু। তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে
ছেড়েছি বন্ধু কত শত!
ছিলো না যার শত্রু
একজনও, আজ সেই আমারই কত নিন্দা কত্তো
মুখে-মুখে!
ছেড়ে গেছে বিশ্বাসেঘেরা সম্পর্কের
সুতো, মুহূর্তের অভিমানে খুলে গেছে বন্ধন যত।
সেসব গল্পের ঠিকানা তুমি কখনোই জানবে না।
আমি তোমাকে কীভাবে ভালোবাসি, কতটা
ভালোবাসি, তুমি তো খুব ভাল করেই জানো!
ওই
ভালোবাসার জায়গাটা সবসময় থাকবে। একেবারে
সবসময়ই। আত্মার তো কখনো বিনাশ হয় না,
আমার
এ ভালোবাসারও বিনাশ হবে না কখনোই!
আমি তোমাকে খুব বাজেভাবে আক্রমণ করে পোস্ট
দিই, এটা তুমি ঠিক বলনি। আমার জন্য তোমার
শান্তি নষ্ট হচ্ছে, এর চেয়ে ভয়ংকর অভিযোগ আর
হয় না। তুমি কষ্ট পেয়ে এসব বলছো, তাও আমি
জানি। আমি ভীষণ রকমের চাপের মধ্যে আছি।
এজন্য হয়তো ইদানিং এমনটা হচ্ছে। আমি না
বুঝেই অবচেতন মনে তোমায় ওসব বলে ফেলি।
মানুষের কষ্ট রাখার জন্যও তো একটা ঝুড়ি লাগে।
সে ঝুড়ি বড় যত্নের, বড় নির্ভরতার, বড় শান্তির,
বড় স্বস্তির, বড় মায়ার। তোমাকে সে ঝুড়িটা ভেবে
আমার সব কষ্টের কয়েক মুঠো রেখে দিয়েছিলাম।
তুমি এতোটা কষ্ট পাবে, বুঝিনি। তুমি আমার কত
কাছের, কত আপন, কত আদরের, তা তো তুমি
জানো, জানো না বলো? আমার কষ্ট তোমার সাথে
ভাগ করি, একটু হলেও সুখ অনুভব করি, আর
সেটাকে যদি তুমি না বুঝে আক্রমণ ভেবে কষ্ট পাও,
তাহলে আমি আর কার কাছে আমার ব্যথা জানাবো,
বলো? যার ব্যথা প্রকাশ করার কেউ নেই, সে বাঁচে
কীকরে, বলো?
আমায় ভুল বুঝো না। তুমিও অনেক চাপের মধ্যে
থাকো এবং ইদানিং আছো, সেটা আমি খুব বুঝতে
পারি। তোমার মেজাজও সবসময় ঠান্ডা থাকে না।
সেটা কি আমি বুঝে নিই না, বলো? মনে শুধু-শুধু কষ্ট
নিও না। কাল থেকে মনটা ভারি হয়ে আছে। অনেক
কেঁদেছি, কষ্ট পেয়েছি বলে কাঁদিনি, তোমায় কষ্ট
দিয়েছি বলে কেঁদেছি। গত রাতে তোমার লেখা
কবিতাটা পড়লাম। মনে-মনে তোমার কণ্ঠে, শব্দে,
উচ্চারণে তা শুনেও নিয়েছি। আমি এর চাইতে বেশি
পাওয়ার সাহসও করি না। একসময় কবিতা লিখে
আমায় শোনাতে। মনে পড়ে? বলতে, দেখো তো ঠিক
আছে কিনা? শব্দের গাঁথুনি, ছন্দের বিন্যাস? তুমি
বললে, বদলে দেবো। তোমায় না শোনালে আমার
ছন্দ মিলে না। আমি জানি, এখন আমাকে ছাড়াই
তোমার কবিতার ছন্দরা দিব্যি মিলে যায়। আমি আর
তোমার কবিতা নই। তোমার কবিতা আর আমি নয়।
আমি তো মেনে নিয়েছি। জীবন সবকিছুকেই মানিয়ে
নেয়। তাই বলছি, দোহাই তোমার, শুধু ভুল বুঝো না।
আমায় নাহয় না-ই বা বুঝলে, তবু ভুল বুঝো না।
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, তুমি জানো
সেটা। তুমি কোনো কারণে কষ্ট পেলে আমার হৃদয়ে
কেউ যেন শক্ত করে ধারালো ছোরা চেপে ধরে।
রাজ্যের যতো কান্না দলা পাকিয়ে গলার কাছে
এসে শক্ত হয়ে আটকে যায় আর ব্যথা ছড়াতে
থাকে। চোখের কোণে বর্ষা নামে। আমি সবসময়ই
প্রার্থনা করি, তুমি যা চাও, যেভাবে চাও, যতটুকু
চাও, সারাজীবন তা-ই যেন হয়! আমি জানি, তুমি
আমার ভালোটাই চাও। তুমি মুখে যা-ই বল না কেন,
আমি বিশ্বাস করি, তুমি আমার অকৃত্রিম
শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু, প্রাণের মানুষ। এটা তোমায়
কখনো বলে দিতে হবে না। আমি বুঝি, অনুভবে
জানি। তুমিও জানো যে আমি এটা জানি। আমার
অনেক আদর আর অফুরন্ত ভালোবাসা তোমার
জন্য। ঈশ্বর আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও যেন
তোমাকে ভাল রাখেন।
একটু মজা করি তোমার সাথে, কেমন?
দেখ...
আকাশে একথালা ধবল চাঁদ ছড়ায় নরোম
আলো......
হাসছ তুমি , এক গাধা কিনা বাসে তোমায় ভাল ।
চুপ করে কেন ... একবার বল আমি তোমার হব।
যদি না বল দেখো একদিন্,
এই হৃদয়ের সব ভালোবাসা --- ওই চাঁদটাকে দিয়ে দেবো!
আমার পর্বতসম ভালোবাসার ভার সইতে না পেরে,
চাঁদটা তখন---
টুপ্ করে দেখ পড়ে যাবে.......তোমার মাথার ওপরে!
কোরোনাকো রাগ তখন তুমি , বেচারা চাদের ওপর ।
তুমি চাইলে হব আমি দেখ... হাসিমাখা মুখ তোমার ।
#kolpobazz
repost
20-9-13
©somewhere in net ltd.