![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা বেশি একটা বলিনা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। সব সময় কল্পনা করি। কল্পনায় আমি সবসময় নিজের সাথে কথা বলি। আর সব সময় অন্যমনস্ক থাকি। আমার আশেপাশে কে কি করছে না করছে তার দিকে আমার তেমন খেয়াল থাকে না। অনেক সময় কাউকে খুজতে যেয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আর একটা কথা হলো আমার পথ মনে থাকে না তাই আমি একা হাটতে গেলে প্রায়শই পথ ভুল করি। পথে হাটাহাটি করার সময় কত জনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি এ পর্যন্ত, তার হিসাব নেই। আমার সমস্ত জীবনটাকে কল্পনা মনে হয় কারণ সব কিছুই যাই ঘটে আমার সাথে তাই আমার কাছে কল্পনা মনে হয়। যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে ভাবি কল্পনা ভেঙ্গে গেলাই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই অসম্ভব রকম কল্পনাসক্ত দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
জীবনের কাছে চাইনা কিছু,
পেতে পেতে ধ্যাৎ ছাই।
পরনির্ভরশীল জীবনে যে ভাই -
চাওয়া-পাওয়া বলে কিছু নাই।
আমাকে ভুলে যাওয়া মানুষগুলো-
এখন বড্ড ভালো আছে।
কেবলই আমিই নেই ভালো,
স্মৃতিরা সব যে আঁকড়ে ধরে আছে!
ফিনকি দিয়ে ছ্যাৎ করে রক্ত ঘরের ছাদে যেয়ে লাগলো। কেউ যেন রক্ত ছিটাচ্ছিলো ঘরের দেয়ালগুলোতে । তখনো গোঙানির শব্দ হচ্ছিলো। রক্ত মেঝেতে গড়িয়ে গড়িয়ে ড্রেসিং টেবিল পর্যন্ত চলে আসলো। রূপা...
-তুমি এতো খারাপ কেন?
-কি করছি?
-আগে বলো এতো খারাপ কেন?
-আমিতো খারাপ আগে থেকেই
-তুই একবারে পঁচে গেছিস, চরিত্রহীন, লম্পট।
-এতোদিনে বুঝলে?
-আরও আগে বোঝা উচিত ছিলো।
-হুম বোঝ নাই কেন?
-আগে তো এরকম কষ্ট দিতি না...
সুন্দরী মেয়েদের এড়িয়ে চলা, শর্টস-বিকিনি পরা মেয়ে সামনে পড়লেও দৃষ্টি সংযত রাখাই আসল পুরুষের কাজ। নিজেকে আসল পুরুষ প্রমাণ করতে প্যানথার লাগে না, বুঝলে বাপু!!
-বুঝলে আমি জীবনে আর মনে হয় কিছু করতে পারবোনা।
-পারবে কেমন করে? সিরিয়াসনেস তো নাই তোমার কোন কিছুতেই। সব সময়ই খাপছাড়া থাকো তুমি।
-কেমন করে সিরিয়াস হবো? সে জন্য তো কিছু...
-তোমার সাথে যদি আমার রিলেশন হতো তাহলে এখনকার থেকে আরও অর্ধেক কথা কমিয়ে দিতাম, মনে করো সপ্তাহে ৩ দিন কথা বলতাম। আমরা যেমন স্কুলে প্রাইভেট পড়তাম না সপ্তাহে ৩ দিন...
-তুমি ইন এ রিলেশনশিপ দিছো কেন?
-সবাই যে জন্য দেয়
-মানে
-মানে না বুঝার কি আছে? আই এম ইন এ রিলেশনশিপ
-বিশ্বাস হয়নি আমার
-কেন?
-অসম্ভব
-তো বলবে তো কেন
-তুমি ইন এ রিলেশনশিপ হলে আমি জানি...
-একদম নিয়মিত প্রতিদিন কথা বললেনা একটা অভ্যস্ততাা চলে আসে। এই অভ্যাস হঠাৎ করেই বাঁধার সম্মুখীন হতে পারে, তাই এরকম একদম নিয়মিত প্রতিদিন বলার দরকার নেই।
-তাহলে কি করা যায়? ইদানিং...
-আমি চললাম তাহলে!
-কোথায় চললে?
-গন্তব্যে
-আমার থেকে বিদায় নিচ্ছো কেন?
-বিদায় না ঠিক। আমি আমার জীবনের পথেই হাঁটতে চাচ্ছি, সবার আবেগগুলো নিজের মধ্যে রাখতে যেয়ে নিজের আপন আবেগ, স্বকীয়তাই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
-তাহলে কোথায়...
-আমি তোমার জন্যই এখনো আছি।
-কেন?
-জানি না। মনে হয় থাকা উচিত, যতদিন না তোমার একটা স্থায়িত্ব আসে জীবনে ততদিন।
-স্থায়িত্ব মানে কি?
-জীবনের একটা স্থিতিশীলতা। এমন একটা কিছু হওয়া যেন তোমার এই অশান্ত...
-আমি আসলে অনেক ভাবলাম ।
-কি ?
-যেটা মনে মাঝেমধ্যে ঊকি দিতো আমার ।
-কি সেটা ?
-তাইতো ভাবলাম, যে সেটা কখনো কাউকে বলা যাবেনা ।
-কেন ?
-এই কেনর উত্তর দিতে হলেও সেটা বলতে...
আমার হিয়া জুড়ে আছো তুমি,
আছো প্রাণও জুড়ে।
ভালোবাসারই প্রাসাদ গড়ে,
অসীম দূরের শহরে।
©somewhere in net ltd.