নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পুড়ছি জল ও আগুনে-

পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ

কনফুসিয়াস

পূব বাঙলার অরাজক কালের যুবক। স্বপ্নবাজ মানুষ। কাক ভালোবাসি, কবিতাও।

কনফুসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরা ফেরি.... আবার !

২৮ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:২০

হিন্দি ছবি নিয়া আর সব বাঙালী টেন্ডস-টু-আঁতেল পাবলিকদের মতন আমিও একটু নাক উঁচা ভাব ধইরা থাকি। "অপসংস্কৃতির আগ্রাসন' - এর মত কঠিন অথবা " এই হিন্দি সিনেমাই আমাদের খাইলো"- এর মত সহজ ফ্রেইজ অবলীলায় বলে ফেলি।

সত্যিই, হিন্দি মুভি আমার খুব একটা পছন্দেরও নয়। না, সিনেমার মান বা ঐরকম কোন গভীর ব্যাপার নেই। একটাই কারণ, এত দীর্ঘ সময় ধরে একটা ছবি দেখার মত ধৈর্য রাখতে পারি না। উশখুশ করি, এবং একসময় উঠে যাই। ফলত: ছবিটাই আর দেখা হয় না।

এসবের মধ্যেও, মাঝে মাঝে সময় মিলিয়ে দুই বা তিনবারের চেষ্টায় বেশ কিছু ভালো ছবি দেখে ফেলি।

আজ যেমন দেখলাম- ফির হেরা ফেরি।

জটিল রকম মজার সিনেমা।

--------



একদম সোজা করে বললে, আমার ধরাণা, অমিতাভের পরে বলিউডের বেস্ট অ্যাক্টর নি:সন্দেহে পরেশ রাওয়াল।

অসাধারন অভিনয় করেছেন তিনি। ফাটাফাটি ধরনের। যে উচ্চারণে কথা বলেছেন, সম্ভবত মহারাষ্ট্রিয় উচ্চারণ। পুরো ছবিটা একাই মাতিয়েছেন পরেশ।

শুরুতেই যেমন দেখায়- বিশাল একটা বাংলো বাড়ি কিনেছে তারা। সুনীল আর অক্ষয় টাকা পয়সা হাতে পেয়ে নিজেদের একটু আপগ্রেডও করেছে- কিন্তু পরেশ রাওয়াল যেমন ছিলেন তেমনই আছেন। সুইমিংপুলের পানিতেই গোসল করেন, তবে পানিতে নেমে নয়, পাশে দাঁড়িয়ে বালতি দিয়ে পানি তুলে তুলে।

ছবির শুরুতেই দেখায় আবারো অক্ষয় লোভে পড়েছে, 21 দিনে টাকা দ্্বিগুন করার লোভ।(বাংলাদেশী ডেসটিনি 2000 এর কথা মনে পড়ে গেলো দেখে!) কিন্তু যথারীতি লোভের ফল পেলো টাকা মার খেয়ে। দেখা গেলো সেই টাকা সে জোগাড় করেছিলো এক গ্যাংলিডার থেকে ধার করে। কিন্তু টাকা দ্্বিগুনের কোম্পানী হায় হায় কোম্পানীতে বদলে যাবার পর টাকা পাওয়ার জন্যে গ্যাংলীডার তাকে ধাওয়া করা শুরু করে।

গ্যাংলীডার শুনতে ভয় লাগলেও- এ ছবিতে এইসব গুন্ডা পান্ডাদের দেখলেও হাসতে হাসতে পেট ফেটে যায়!

সুনীলের তেমন কোন ভূমিকা নেই এখানে। অক্ষয়কে সঙ্গ দেয়া ছাড়া। আর অক্ষয়ও দারুন অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন হিরোদের কমিক চরিত্রে ভালো করবার রহস্য কি কে জানে!

নায়িকা আছেন দু'জন, বিপাশা ও রিমি, সম্ভবত না থাকলে কেমন দেখায়-সে কারণে। উপরি হিসাবে দিয়া মির্জাও আছেন, শুরুতেই একটা আইটেম গানে। এবং, বলা বাহুল্য- এ গানটার আগে কখনো তাকে আইটেম বলে মনে হয়েছিলো কিনা মনে করতে পারছি না।

জনি লিভার আছেন, আর ঐ ছোট করে লোকটা, নাম ঠিকঠাক জানি না, কিন্তু অভিনয় সবাই চেনে, এটা নিশ্চিত।



সব মিলিয়ে মজার একটা মুভি। নিখাদ আনন্দের। ভাবনা চিন্তার কোন জটিলতা নেই। হাসবার আগে ভুরু কুঁচকে ভাবতে হয় না- হাসবো কেন? জাস্ট গলা খুলে হেসে ফেলা যায়।



আজ সময় ছিল হাতে, ইচ্ছে করলে একটানা দেখেও ফেলতে পারতাম। তবু, দেখিনি। কারন, একটানা এত লম্বা সময় ধরে গলা ছেড়ে হাসার ধকল এই বুড়ো বয়সে শরীরে পোষাবে না বলেই মনে হলো।



যাদের পোষাবে, তারা এক্ষুনি বসে যেতে পারেন। হাসলে নাকি শরীর ভালো থাকে- এমনটা শুনেছিলাম। যদি সত্যি হয়, তবে ব্যায়াম করার জন্যে এর চেয়ে ভালো মুভি পেতে আরো বেশ কিছু দিন সময় লেগে যাবে।

অতএব, ডোন্ট মিস!





মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:২৬

হিমু বলেছেন: আমি হিন্দি ছবি দেখি না অনেকদিন। আমার প্রিয় হিন্দি কমেডি হচ্ছে আন্দাজ আপনা আপনা, মুসকুরাহাত, নরম গরম, গোলমাল, জানে ভি দো ইয়ারোঁ ...

২| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৯

অতিথি বলেছেন: আমার আর লাল মিয়ার একই চয়েস ইসমট নায়ক গোবিন্দ

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২২

হযবরল বলেছেন: গোলমাল হ্যায় ভাই সব গোলমাল হে। পরিনীতা দেখলাম, ক্যামেরার কাজ যা হয়েছে, এরা হলিউড ছাড়িয়ে যাবে শালারা কয়দিন পর। আমার অবশ্য অত নাক উঁচু ভাব নেই। যে ছবিগুলি মনে হয় ভালো হবে হাতের কাছে পেলে দেখি। না পেলে দেখি না।

সিনেমার থ্রু তে মাস পিপল কে ইনভলভ করার সে টেকনিক ওরা অবলম্বন করেছে সেটা আমি এপ্রিশিয়েট করি।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:৪৫

কনফুসিয়াস বলেছেন: হিমু ভাই,
গোলমাল আর আন্দাজ আপনা আপনা দেখছি- খুব মজার।

শি.পন্ডিত,
গোবিন্দের তো এখন দেখা নাই অনেকদিন।

হযু ভাই,
পরিণীতাও খুব সুন্দর বানাইছে। আমি গল্প থেকে বানানো সিনেমা দেখার সময়ও কখনো গল্প মাথায় রাখি না। তাই আরো ভালো লাগছে।
ঠিক, এমনকি অনেক আফ্রিকানদেরও আমি দেখছি হিন্দি মুভি দেখে!

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:৫২

অতিথি বলেছেন: হিন্দি কমার্শিয়াল মুভির সাথে সাথে অনেক ভাল ভাল মুভিও করছে। সবচেয়ে ভাল বিষয় হলো প্রচুর লোক আর পচুর টাকা একসাথে কাজ করে, সাথে আছে বিশাল মার্কেট,তাই বেশ নতুন আইডিয়া নিয়ে ও এক্সপিরিমেন্ট করছে ওরা।

অনেক না...ঐ এলাকায় হিন্দি আমাদের দেশের মতোই চলে।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১২:২৭

অতিথি বলেছেন: হিন্দী ছবির সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো দৈর্ঘ্য। আমার এই দৈর্ঘ্য আমার ধৈর্য্যে কুলায় না বলে 3 ঘন্টার সিনেমায় কম করে হলেও 6 বার উঠি। তারপর ও কয়েকটা ছবি আছে যা এখনো পেলে দেখে ফেলার চেষ্টা করি। কমেডি ছবি বরাবর ই ভালো লাগে। মুন্না ভাই এম বি বি এস দেখে মনে হয়েছিল আসলেই ফানি কিছু করেছে। হীরা ফেরী দেখেও খারাপ লাগে নি। কিন্ত ফির হীরা ফেরী টা অনেক জায়গায় মনে হয়েছে কাতু কুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করেছে।

বাট পরেশ রাওয়ালের অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নেই। অমিতাভ বচ্চন, অমরীশ পুরী, অনুপম খের, পরেশ রাওয়াল, এরাই তো বলিউডের হালটা ধরে রেখেছেন প্রিয়রী অফ সায়ানের মতো। শুধু উদ্দেশ্য আর পন্থাটা ভিন্ন আরকি!

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১২:৩৩

লুনা রুশদী বলেছেন: কনফু, ফির হেরাফেরির চেয়ে প্রথম হেরাফেরিটা অনেক বেশী মজার। ওইটা দেখার পরে এইটা দেখছি, তাই অনেককিছু প্রেডিকটেবল ছিল এইখানে। আমার পুরানো অনেক সিনামা খুব ভালো লাগে, যেমন উৎপল দত্ত যেগুলা তে থাকতো ..একদম অন্যরকম। যদি পারো, দো আনজানে দেইখো। জোস..

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১২:৩৪

লুনা রুশদী বলেছেন: ও: আর নতুন একটা দেখলাম রাঙ দে বাসান্তী। আমার খুব ভালো লাগলো

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ২:৩৯

অতিথি বলেছেন: দেখিনি এটা। শেষ হিন্দী মুভি দেখেছি অনেক আগে, পারিনীতা। ভাল লেগেছিল। মিউজিক, ক্যামেরা, ফিল্মিং টেকনিক সব দারুণ, উন্নত মানের ছিল। হিন্দী সিনেমা দেখি না পাই না বলে আর হিন্দী বুঝি না বলে, ইংরেজি সাবটাইটেল সহ থাকলে দেখি

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ২:৪১

অতিথি বলেছেন: ওহ, 'ওয়াটার' দেখেছি তো সেদিনই। ওটা আসলে ঠিক টিপিক্যাল হিন্দী মুভি না, তবে বলিউডের। খুব ভাল লেগেছিল।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৩:৪১

পথিক!!!!!!! বলেছেন: আমি পরেশ রাওয়ারের ভক্ত।
ওয়াটার তো আমি 3 মাস আগেই দেখেছি। মিস করা যায় নাকি এত সুনদর প্লট।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৬:৩৮

কনফুসিয়াস বলেছেন: স্বরহীনদিদি,
ঠিক বলছেন। আমি কিছু কিছু আফ্রিকানদের দেখেছি ওদের সবগুলা নায়িকার নাম মুখস্থ।

ধূসর,
মুন্না ভাই আমার কাছে দারুন লেগেছিলো। তবে সেই একই ব্যাপার- একবারে শেষ করতে পারিনি, কয়েকবার লেগেছে।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৬:৪১

কনফুসিয়াস বলেছেন: লুনাপা,
দো আনজানে এখন তো কোথাও পাবো বইলা মনে হয় না। তবে দেশে গেলে খুঁজে দেখবো।
আমি অবশ্য দুইটা হেরাফেরির মধ্যে কম্পেয়ারে যাই নাই। সিক্যুয়েল করা এমনিতেই অনেক কঠিন- মানে- মান ধরে রাখা। সেদিক দিয়ে ফির হেরা ফেরি লেটার মার্ক সহ পাশ বলা যায়!

আস্তমেয়ে,
পরিণীতা ভালো লেগেছে আমারো- গানগুলোতো বটেই- মুভিটাও।
ওয়াটার শেষ করতে পারি নি। দেখি সুযোগ পেলে .....

পথিক,
আমিও। পরেশ রাওয়ালের গ্রেট পাংখা!

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:১৪

লুনা রুশদী বলেছেন: পরিণীতা ভালোই, অবশ্য বাংলা বইয়ে কি পড়লাম সেইটা মনে করা যাবে না দেখার সময়। শরৎচন্দ্রের কাহিনীটা আরো অনেক বেশী সুইট ছিল।

তবে সিনামার শেষ অংশ দেখে আমি হাসতে হাসতে মারা গেছি। আমি আর আদিব এইটা আবার হলে গিয়ে দেখছিলাম অকল্যান্ডে। শেষে দেখায় সাইফ আলী খান একটা শাবল দিয়ে গুতায়ে গুতায়ে দেয়াল ভাঙতেছে, হি হি হি, এখন ভাবতে গিয়া আরো হাসি আসতেছে। আরে ব্যাটা, মেয়েটা চলে যাইতেছে আর তুই সেরওয়ানী পরে দেয়াল ভাঙতেছিস! তার চেয়ে তো সহজ হলো ওর বাসায় যাওয়া, দেয়াল তো পরে মিস্তুরী রা আইসাও ভাঙতে পারে। হলে আমি আর আদীব হাসতে হাসতে পরে যাইতেছিলাম, আর মানুষজন কান্নার মাঝখানে মাঝখানে আমাদের দিকে মহা বিরক্ত হয়ে তাকাইছে।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:১৭

হযবরল বলেছেন: লুনা ভাল কইছেন আমি দুই দিন আগে দেখলাম ছবিটা এই জায়গাটা দেখে আমারও হাসি পাইছে।

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৯:৪৬

অতিথি বলেছেন: মনে হয় দেয়ালটা আম্বুজা সিমেন্ট দিয়ে বানিয়েছিল। বেচারা সাইফ কি কষ্টই না করল।

আপনারা কেউ 'পারোসান' সিনেমার কথা বলছেনা কেন? বলিউডের ইতিহাসে ওটা কমেডি সিনেমার মাইলফলক হয়ে আছে।
কিশোর কুমারের সেই গান "মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে.........................."

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:২২

লুনা রুশদী বলেছেন: পারোসান তো বাংলা সিনামার নকল। পাশের বাড়ী দেখেছেন? ওইটাই তো হুবহু। শুধু গ্যামার টা একটু বেশী। আগে অনেক হিন্দী সিনামা বাংলা সিনামার নকল ছিল। ছন্নছাড়া সিনামার নকল ছিল - চুপকে চুপকে, তারপরে সাত পাকে বাধা থেকে হলো কোরা কাগাজ...ইত্যাদি

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১২:০৮

কনফুসিয়াস বলেছেন: বলিউডের কমেডি গুলার মধ্যে আমার দেখা বেস্ট হইলো "পুষ্পক'। কমল হাসানের, ফাটাফাটি মুভি!

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১২:১৭

অতিথি বলেছেন: হিন্দী কমেডি খুব বেশী দেখি নি, তবে যা দেখেছি তাতে "আন্দাজ আপনা আপনা"র উপরে কিছু নাই,কতবার যে দেখেছি তার কোন হিসাব নেই।

ডেসটিনির কথা মনে পড়লো? আহারে...কতগুলা টাকা যেন গেছিলো?

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৩২

কনফুসিয়াস বলেছেন: তোর কাছ থেকে না হয় হাজারখানেক টাকা ধারই নিয়েছিলাম। শোধ দিলাম না বলেই এরম করে হাটে হাড়ি ভাঙবি?
এটা কিন্তু ঠিক না বস!

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৩৮

হযবরল বলেছেন: উৎপলের ছবি হইতাছে, অসাধারণ। ওর একটাও খারাপ ছবি আমি দেখি নাই কেন?

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৩৮

হযবরল বলেছেন: কেন টা বাদ , সরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.