নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে শাসন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ারের নাম \' ভয় \'

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৩



মানুষের মনের মধ্যে কত ধরনের ভয় যে ঘোরাঘুরি করে, তার যেন কোনো শেষ নাই। দুর্ঘটনার ভয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়, পোকা মাকড়ের ভয়, নিরাপত্তার ভয়, রোগ ভয়, দারিদ্রের ভয়, দুঃখ পাওয়ার ভয়, জাদু-টোনার ভয়, জ্বীন-ভূতের ভয়, অভিশাপের ভয়, মৃত্যুভয়।

আদিম কাল থেকেই এই ভয় গুলোর সাথে মানুষ পরিচিত। আর তাই, ভয় গুলো থেকে মুক্তিদানকারী কল্পিত প্রভু, গড, দেব - দেবীদের কাছে আত্মসমর্পন করা, ভক্তি করার, পূজা দেওয়ার রীতিনীতি আদিম কাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চলে আসছে। এই রীতিনীতি গুলো পরিবার থেকে শুরু হয়ে, বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচলিত হয়। ভৌগোলিক ভাবে এই ভয় গুলোর ধরন ভিন্ন; তাই বিশ্বাসে, রীতিনীতিতে, দেব-দেবীতে ভিন্নতা পেয়েছে।

সময়ের সাথে বিভিন্ন গোষ্ঠীতে কিছু বুদ্ধিমান লোক এই কারসাজি বুঝতে পারে। এই লোকেরা কল্পিত দেব - দেবীদের কাছে প্রার্থনা করে ভয় সমস্যা সমাধানের নির্ভয় দিত। মানুষরা অন্ধ বিশ্বাসে এই লোকগুলোকে দিয়ে প্রার্থনা করে নিয়ে, তার কাছে থেকে তাবিজ-কবজ বা নানাবিধ পথ্যাদি নিয়ে উপকার পেত। কোনো সময় উপকার না পেলে, এই লোক গুলোর কাছে আসলে, এই বুদ্ধিমান লোকেরা আরো একটি ভয় দেখিয়ে কৌশলে উত্তর দিতো। স্বাভাবিক ভাবে এই লোকগুলোকে, মানুষ গোষ্ঠীর নেতা / বাবা / গুরু বানিয়ে দেয়। তখন গোষ্ঠীর লোকদের জন্য নীতি নির্ধারণ ও এই গুরুজীরা করতো।

একটি গোষ্ঠীতে সফল লোকের সংখ্যা বেশি হলে, স্বাভাবিক ভাবে ঐ গোষ্ঠী ত্যাগ করে মানুষ নতুন কোনো গোষ্ঠীর বিশ্বাস গ্রহণ করতে চাইবে না। তাই অন্য গোষ্ঠীর বিশ্বাসে থাকলে কি কি ক্ষতি হবে, এই ভয় দেখানো, নতুন কোনো গোষ্ঠীর জন্য কঠিন হয়ে পরে । তাই, এই ঈশ্বরের প্রতিনিধি গুরুদের বুদ্ধি খাটিয়ে মৃত্যু পরবর্তী কাল্পনিক নরকের ভয়ের কথার অবতারণা করতে হয় এবং এই কাল্পনিক ভয় থেকে মুক্তি পেতে হলে একমাত্র এই গোষ্ঠীর বিশ্বাসের সাথে একত্ব হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই বলে, প্রচারণা চালাতে থাকে।

এই ভাবে ভয়কে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে, ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে, এখনো আমাদের সমাজে ধর্মীয় নেতারা, বাবারা, গুরুজীরা, মোল্লা- মৌলভীরা, জাকির নায়েকেরা শাসন করে চলছে।

আর, ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে তৈরী ভয় বা 'নট একচুয়াল ফিয়ার' কিভাবে আমাদের ব্রেইনকে প্রভাবিত করতে পারে আসুন তা আমরা নিচের ইউটিউব ভিডিওতে দেখি।



সবার জন্য শুভকামনা রইলো, যেন আমরা ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে তৈরী ভয়কে দূরে রেখে ব্রেইনকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে এইসব ধর্মীয় নেতাদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসে জীবনে সফল হতে পারি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৪

প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: এটা অবশ্যই একটা মেজর কারন হতে পারে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন: এখনও জন্মের পরে বুঝতে শেখার সময় থেকে ছেলে মেয়ের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে ধর্মীয় ভীতি তৈরীর প্রচেষ্টায় বলে দেয়, এটা একটা মেজর কারণ। পোস্টটির মর্মকথা বুঝতে পারার ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৭

প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: হ্যা।আপনাকে স্বাগতম সুপারডুপার ভাই

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুব ভয় পাই। সব কিছুতেই আমার ভয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

সুপারডুপার বলেছেন: আপনার কি কি ভয় ? লিখে ফেলুন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি প্রো -একটিভ হয়ে ভালো জব পাওয়ার ব্লুপ্রিন্ট করেন ও খুঁজতে থাকেন, সব ভয় কেটে যাবে এবং ভালো জব ও পেয়ে যাবেন।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

শায়মা বলেছেন: ভয় ছাড়া দুনিয়া চলিবেক না ভাইয়া।

ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হবে।

চুরি করলে জেইল হবে।

খুন করলে ফাঁসি হবে

এইসব ভয় যার নাই সে কি না করতে পারে বলো।

তখনই নৈরাজ্য শুরু হবে যখন মানুষের মাঝ ভয় ভীতি বা লজ্জা চলে যাবে।

সমাজে সুশৃংঙ্খলতা বজায় রাখতে ভয়ের দরকার আছে।

ধর্মীয় অনুশাসনও সেই ভয় দেখানো পন্থাই অবলম্বন করে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

সুপারডুপার বলেছেন: আপু, আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

§ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে কাল্পনিক ও অবাস্তব ভয়গুলো দিয়েই ভরপুর। আর ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো জন্মের আগের কোনো কিছুই বলতে পারে না, কিন্তু মৃত্যুর পরে কাল্পনিক ভয় দেখিয়ে মানুষকে শাসন করে চলছে।

খুন করলে ফাঁসি হবে।
- § খুন যদি একটি খারাপ কাজ হয়, খুনের শাস্তি খুন দিয়ে , কিভাবে খুন প্রতিরোধ সম্ভব! অন্যভাবে বললে একটি খারাপ কাজকে কি আরেকটি একই খারাপ কাজ করে বন্ধ করতে হবে !

- § জীবন নেওয়া যদি শাস্তি হয় , জীবন দেওয়া পুরস্কার হওয়া উচিত। কিন্তু মানুষ জীবন নিতে পারলেও , জীবন দিতে পারে না ! যেমন : ভুল আসামির ফাঁসি হয়ে গেলে , পরবর্তীতে প্রমাণিত হলে ; তাকে আর জীবন দেওয়ার সুযোগ থাকে না।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১১

শায়মা বলেছেন: খারাপ কাজের শাস্তি আরেকটি খারাপ কাজ ফাঁসি । কিন্তু এর চাইতে ভালো কিছু মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি তাও পৃথিবীর অনেক দেশেই এই ব্যাবস্থা বিরাজমান। তুমি যদি বলো একজন খুনি শুধু সংশোধনী প্রক্রিয়ায় সংশোধিত হবে কিন্তু তার খুনের কোনো বিচার হবে না তাহলে কি হবে আমি জানিনা । মানে এত মাথা খাটাতে পারবো না। তবে এসব নিয়ে কারো না কারো অবশ্যই ভাবা উচিৎ। জগৎ পরিবর্তনশীল। জগতের নিয়ম কানুন ব্যবস্থা পরিবর্তিত হতেই পারে। নইলে মান্ধাতার আমলে পড়ে থাকলে তো চলবে না .....

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন: আপু আপনার এই কথার সাথে একমত : "জগৎ পরিবর্তনশীল। জগতের নিয়ম কানুন ব্যবস্থা পরিবর্তিত হতেই পারে। নইলে মান্ধাতার আমলে পড়ে থাকলে তো চলবে না ...."

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দেশে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হয়েছে। রেফ :ABOLITIONIST AND RETENTIONIST COUNTRIES AS OF JULY 2018

রাশিয়া ও বেলারুশ ব্যাতীত ইউরোপে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড নাই। ইউরোপে তো বাংলাদেশের মত অহরহ খুন খারাপিও নাই।

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে, এখনো ধর্মে ধর্মে মারামারি খুনাখুনি চলতেই থাকবে। এক ধর্ম অন্য ধর্মকে মেরে শহীদ হিসাবে দাবি করতেই থাকবে।

সমাজে সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখতে সবার জন্য সঠিক নৈতিক শিক্ষার দরকার আছে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুন্ডা রাজনীতি আর ধর্মনীতি চলে ভয়ে - ভয় নেই তো এরাও নেই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২০

সুপারডুপার বলেছেন: সমাজের বাস্তব চিত্রও - তাই বলে। অতি সংক্ষেপে আপনি একটি সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ, মাহমুদ ভাই ।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





১। আপনি একটি কুকুর পোষছেন, সে যথাযথ ট্রেনিং না পেলে তাকে পিটিয়ে মারবেন নাকি আবার ট্রেনিং দেবেন? - নরক
২। চোখের বদলে যদি চোখ হয় তাহলে বিশ্ববাসী অন্ধ হয়ে যাবে। - বিচার ব্যাবস্থা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

সুপারডুপার বলেছেন: সুন্দর একটা দার্শনিক মন্তব্য করেছেন।
এই কারণে উন্নত বিশ্বে নরকের জ্বালা নাই। যত নরকের জ্বালা সব যেন পিটিয়ে মারার দেশগুলোতে।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: একদম বাংলা সিনেমা - শুরুটা হবে কষ্ট মরা কান্না অভিশাপ লাঞ্চনা দিয়ে আর শেষ হবে মাইরের উপর মাইর দিয়ে। এটা চলতেই থাকবে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:১০

সুপারডুপার বলেছেন: বর্তমানে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোও তাই বলে 'এটা চলতেই থাকবে'।

উল্টা ভাবে চিন্তা করলে , ট্রেইনার যদি কুকুরকে ভালোমত ট্রেনিং না দিতে পারেন /ভুল ট্রেনিং দেন , কুকুর যথাযথ ট্রেনিং নাও পেতে পারে। কুকুর তখন ট্রেইনারকেয় কামড়াব, ট্রেইনারের জলাতংক রোগ হবে।। তখনও - নরক।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের সাথে একমত।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

সাসুম বলেছেন: ধর্ম হল আফিম আর ভয় হলো আফিমের ইফেক্ট।

এই উপমহাদেশ এ ধর্মের চেয়ে বড় মাদক আর নেই। সেটা মায়ানমার থেকে শুরু করে উগান্ডা এর পর ভারত হয়ে নাপাক-স্তান পর্যন্ত বিস্তৃত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.