নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৪



আমাদের আশেপাশে কিছু বাস্তববাদী ও উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিমরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস যতটুকুই করুক না কেন, কথায় শত ভাগ বিশ্বাসী। বিজ্ঞানের সবকিছু যে আল কোরআনে আছে এটা আয়াত সহ বু্ঝিয়ে দিতে পারবে। কোরআনের কথা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করার কতই না চেষ্টা তাদের। কোনো কোরআনের আয়াতের ভুল ধরা হলে বলবে শানে নুযূল ও তাফসীর জানতে হবে। শানে নুযূল আর আয়াত একত্র করে না বুঝাতে পারলে বলে এই আয়াত রূপক অর্থে লেখা, এর আসল ব্যাখ্যা জানেন বুজুর্গ -আলেমগণ। আর তাদের মন মত ব্যাখ্যা না দিলে ঐসব বুজুর্গ -আলেমগণ ভুল ব্যাখ্যাকারী।

এই সব মুসলিমদের মুখের কথা হচ্ছে , আল কোরআনে ও হাদিস জ্ঞান-বিজ্ঞানের চাবিকাঠি। দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য যা জানা দরকার তার সবই আছে কোরআন-হাদিসে। কিন্তু তারা দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর জন্যই আল-কোরআন ও হাদিস পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় না। এদের অধিকাংশের কর্মকান্ড দেখে বুঝার কোন উপায় নাই যে, এরা বিশ্বাসী। সাপ্তাহিক জুম্মা ও দুই ঈদের নামাজ পড়া, আর কয়েকদিন না খেয়ে রোজা থাকা ছাড়া জীবনযাত্রায় এদের সাথে অবিশ্বাসীদের খুব বেশি পার্থক্য নাই। কিন্তু ঠিকই এরা অবিশ্বাসীদের নৈতিকতা এবং আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অবিশ্বাসীরা খারাপ বলে গলা ফাটালেও, অবিশ্বাসীদের দেশে নিজেদের বা তাদের ছেলেমেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পাগলের মত চেষ্টা করে।

নামায ছাড়তে পারে কিন্তু দুনিয়াদারীর কোন ব্যাপারে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয় না। ধর্ম মনমত কিছু মানে, কিছু মানে না। অথচ ইসলাম ধর্মে এমন ইচ্ছা মত মানার কোন সুযোগের কথা কোথাও বলা নাই। সব জানার পরেও, ইসলাম ধর্মের কোন কিছু ঠিক ভাবে পালন না করলেও, এরা মুসলিম । এই বিশ্বাসী মুসলিমরা কোরআন-হাদিস না মেনে চললেও, মুখে বলতেও পারেনা যে কোরআন-হাদিস মেনে জীবন- যাপন সম্ভব না। তারা বলে “চেষ্টা করি”। এই ''চেষ্টা করি'' বলাটাও তাদের '' বিশ্বাস করি'' বলার মত আরেকটা মিথ্যা। এরা দুনিয়াদারীর কোন সামান্য জিনিসের জন্য যতটুকু চেষ্টা করে, তার কানাকড়িও করে না ধর্মের জন্য। এরা জানে এদের বিশ্বাসে ত্রুটি আছে, বিশ্বাস এদের যায় যায় অবস্থা, তাই এদের ধর্মানুভূতি খুব বেশি। সেজন্য ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করা হলে, এরা সহনশীলতার পরিচয় না দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কথায় কথায় নাস্তিক, কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, ফ্যাসিক ইত্যাদি বলে গালাগালি শুরু করে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি ও মেনে চলার চেষ্টা করি বলে এই উচ্চশিক্ষিত মুসলিমরা তাদের ধর্ম ও নিজেদের সাথে কেবলই প্রতারণা করে যায়।

ছবিসূত্র: ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

দেশে প্রকৃতই এত ধার্মিক থাকলে দেশটি সোনার বাংলা হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু পদে পদে মিথ্যা, চুরি, খাদ্যে ভেজাল, মিথ্যা ভিডিও তৈরি, মিথ্যা লাইক.....
আর ঘুষ দুর্নীতি, পরের জমি আত্নসাত, মিথ্যা মামলা। তো আছেই।

নবীর দেশেও একই অবস্থা।
চুক্তি অনুযায়ী বেতন না দিয়ে কম বেতন।
বেতন আটকে নির্জাতন। আর মহিলা কর্মীদের কি করে বাপে পুতে মিলে সেটা আর নাইবা বললাম.....

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

সুপারডুপার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই,

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থেকে ধার্মিকরা ভরে গেলে দেশ সোনার বাংলা না হয়ে অনেকটা কট্টর পন্থী ধার্মিকদের দেশের দিকে চলে যেতে পারে। পরিণামে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে ।


পরিসংখ্যানে দেখা যায় যেসব দেশে ধর্মের প্রভাব যত বেশি সেসব দেশের জিডিপি বা সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তত কম (তথসূত্র লিংক : 47-Nation Pew Global Attitudes Survey )।

পদে পদে মিথ্যা এসেছে নৈতিক শিক্ষা ও সুশাসনের অভাবে।

নবীর দেশের এই অবস্থার মূলসূত্র ধর্ম। ধর্মেই তো বলা আছে মালিকানাভুক্ত দাসীদের সাথে এই সব করা যাবে ( রেফঃ সূরা আল মু’মিনূন আয়াত ৬ ) ।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮

আগন্তুক মুসাফির বলেছেন: আমাদের মনে সত্য বিশ্বাস স্থাপন করাটা খুব জরুরী। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

আল্লাহ সকলকে নেক হেদায়েত দান করুন। আমিন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০

সুপারডুপার বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই আপনার কথার উত্তর দিয়েছেন। উনার সাথে সহমত: "বিশ্বাস স্থাপন করাটা খুব জরুরী নয় মোটেও, অতীব জরুরী হলো সে বিশ্বাস অনুযায়ী চলা এবং ধারন করা।"

আল্লাহ কেন তার নবীর দেশের লোকদের হেদায়াত দান করছেন না ?

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুপারডুপার,




ভালো এবং বাস্তবতার নিরিখে লিখেছেন তবে সবই পুরোনো আর বহুলচর্চিত বিষয়।
তবুও বলি -
ধর্মে শুধু বিশ্বাস করাটাই ধর্ম নয়, সে বিশ্বাস মেনে চলা, সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলাই ধর্মের প্রতি বিশ্বস্ততা। যেমন, রোজা রেখে শুধু খাবার বর্জনের সংযমই নয়, সকল পাপকর্ম বর্জন সাথে সাথে পঞ্চেন্দ্রিয়র সংযমও আসল। এটাই বলা আছে ধর্মে সেটা সকল ধার্মিকেরা ( ? ) কি করেন? বাস্তবে এর উল্টোটাই দেখা যায়।
এই যে আমরা দিনের ৫ ওয়াক্তের নামাজের শুধু ফরজেই ১৭ বার নিজেকে সোজা পথে চালনা করার জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথা নুইয়ে আবেদন করি এবং সোজা পথে চলার অঙ্গীকারও করি এবং তাও প্রতি রাকাতের শুরুতেই ( এর গুরূত্বটা বুঝতে হবে। ); তা কি আমরা কেউ মেনে চলি? নামাজ শেষেই তো দৌঁড় দেই যতো অপকর্ম , যতো বাঁকা পথের পেছনে পেছনে, নইলে আমাদের বোলবোলাও যে হয়না। এটা তো আপনার লেখার শেষ লাইনের মতোই প্রতারণা! কার সাথে প্রতারণা ? সর্বশক্তিময়ের সাথে প্রতারণা। এর পরিনতি কি, না বললেও চলে।

যাদের কথা এখানে বলেছেন, তারা মিছেমিছি আত্মতুষ্টিতে ভোগেন। ভাবেন যে ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী। কিন্তু আসলে এই বিশ্বাস ধর্মের বর্মে নিজেকে ঢেকে রেখে নিজের পার্থিব অর্জনের খায়েসের প্রতিই বিশ্বাস। বাস্তবতা তাই-ই বলে।
হাসান কালবৈশাখী ঠিকই বলেছেন: "দেশে প্রকৃতই এত ধার্মিক থাকলে দেশটি সোনার বাংলা হয়ে যাওয়ার কথা।"

@ আগন্তুক মুসাফির,
বিশ্বাস স্থাপন করাটা খুব জরুরী নয় মোটেও, অতীব জরুরী হলো সে বিশ্বাস অনুযায়ী চলা এবং ধারন করা।
যেমন আপনি ক্লাস ফাইভে ভর্তি হলেন এবং আপনার বিশ্বাস যে আপনি ক্লাস ফাইভের ছাত্র/ছাত্রী। একদম ঠিক আছে আপনার বিশ্বাস। কিন্তু এই বিশ্বাসের কি কোনও মূল্য আছে যদি ক্লাস ফাইভের যে লেখাপড়া তা যদি না-ই করেন, যে কারিকুলাম তা যদি মেনে না-ই চলেন, ক্লাসের কোনও পরীক্ষায় যদি না-ই বসেন তবে আপনি পরবর্তী ক্লাসে উঠবেন কি করে ? তেমনি বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বস্ত না হলে জীবনের বলিষ্ঠতর স্তরে উঠতে পারবেন না আপনি কোনওদিন!
এখন যদি বলেন, আপনার ক্লাস ফাইভের ছাত্রত্বই শুধু দরকার আর কোনও কিছু দরকার নেই , তবে বলার নেই কিছু।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই ,

হাঁ কথাগুলো পুরানো। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের ব্লগারদের কাছে হয়তো কথাগুলো নতুন। ইদানিং ধর্মকে বিজ্ঞান দ্বারা সিদ্ধ করার জন্য কিছু জন মাঠে নেমেছেন ও তার প্রেক্ষিতে কিছু ব্লগার গালাগালি ও ব্যাক্তিগত আক্রমণও শুরু করেছেন। তাদের জন্য কথা গুলো পুরান হলেও হয়তোবা উনারা ভুলে গেছেন।

আপনি অনেক সুন্দর বলেছেন,'' ধর্মে শুধু বিশ্বাস করাটাই ধর্ম নয়, সে বিশ্বাস মেনে চলা, সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলাই ধর্মের প্রতি বিশ্বস্ততা।''

কিন্তু ধর্মে অনেক কুসংস্কার আছে। জ্ঞান - বিজ্ঞানের বিপ্লবের সাথে এই কুসংস্কারগুলো আমরা আরও স্পষ্টভাবে জানছি। এই সব কুসংস্কারগুলো বিশ্বাস করে ও মেনে চললে, কেমন হতে পারে ভাবলে অনেকটা অবাক হতে হয়। আর আই এস /ইসলামিক স্টেটের মত ধর্মের অপব্যাখ্যা কে বিশ্বাস করে মেনে চললে উগ্রবাদিতার জন্ম নিবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যাক অনেক দিন পর নতুন পোষ্ট দিয়েছেন। যথার্থ সত্য বলেছেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

সুপারডুপার বলেছেন: মাহমুদ ভাই ,

আমি লেখক মানুষ না। দ্রুত কোনো কিছু লেখা আমার জন্য অনেকটা কঠিন।

কিছু মানুষ ধর্ম মেনে না চললেও ধর্মানুভূতি প্রবল। যেন তারাই ধর্মের রক্ষক। এই উচ্চশিক্ষিত মুসলিমরা সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে মনে মনে আনন্দিত হয়, সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে হুজুর ও মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে এরা হয়তো মাঠে নামে না । কিন্তু এরা মৌলবাদের মদতদাতা ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতিয়ার হিসেবে প্রত্যক্ষ -পরোক্ষ ভাবে কাজ করে। এদের জন্য এই কথাগুলো।

পোস্ট করতে আপনার বার বার অনুপ্রেরণার জন্য আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মকে থেকে দূরে থাকলে সকলেরই মঙ্গল। তার মানে এই না যে আমি কাউকে নামাজ রোজা করতে নিষেধ করছি।
আজ দুবাই কত উন্নত। তার কারন তারা ধর্মকে দূরে রেখেছে। অন্যদিকে ধর্ম আকড়ে থেকে সৌদি দুবাই এর ধারে কাছেও যেতে পারলো না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

সুপারডুপার বলেছেন: রাজীব নুর ভাই,

দেশের নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনীতিক উন্নয়নের সাথে ধর্মের প্রভাবের সম্পর্ক আপনার কথাগুলোই বলে। আপনি ভালোভাবেই সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন।

মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

নতুন বলেছেন: মানুষ ভন্ডামী বেশি করছে তাই নামে ধামিক হলেও কাজে ধম` অনুসরন করেনা।

আর বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারনে অনেকেই এখন অলৌকিক জিনিসের প্রতি বিশ্বাস কমে যাচ্ছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন:



নতুন ভাই,

মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার সাথে সহমত।


জ্ঞান - বিজ্ঞানে মানুষের উন্নতির সাথে সাথে অলৌকিক ঘটনা ঘটাও কমে যাচ্ছে। মানুষের জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে অলৌকিক ঘটনা ঘটার সম্ভবনার সম্পর্ক উপরের খসড়া চিত্র থেকে আমরা সামগ্রিক একটা ধারণা পাই ।


ক্যামেরা আবিষ্কারের আগে অলৌকিক ঘটনা প্রায়ই ঘটতো। কিন্তু এখনো ফটোশপ - ভিডিও এডিটিং করে অনেকে অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন।

ছবিসূত্র : ইন্টারনেট

অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

নতুন বলেছেন: এই কারনেই নতুন ধমেরও আবিভাব হচ্ছে না। :)

মানুষ মৃত্যুর ভয়েই ধমকে বেশি মানতো, কারন অনিশ্চয়তায় ভরা ছিলো আগের মানুষের জীবন।

এখন মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে, মানুষ এখন বিশ্বাস করে যে সে খুবই দ্রুত মারা যাচ্ছে না। তাই ভয় কমে যাচ্ছে।

আমাদের দেশের মরালিটির ভিক্তি ছিলো ধম` এখন ধমের উপরে মানুষের বিশ্বাস কম তাই মানুষ অনৈতিক কাজ বেশি করছে। সভ্য সমাজে মানবতা ভিক্তিক মরালিটি গড়ে উঠেছে তাই তারা মানুষের জন্য খারাপ কিছু করাকে খারাপ মনে করে। তাই তারা দূনিতি, ভ্যাজাল, ঘুষ কমিয়ে দিয়েছে সমাজর সবাই মিলে।

আমাদের দেশের মানুষ এখন একটা ট্রান্সিসনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, ধম` ভিক্তিক মরালিটি থেকে মানবতা ভিক্তিক মরালিটিতে না পৌছানো পযন্ত আমাদের দেশের ঘুষ, দূনিতি,ভ্যাজাল, মানুষের গায়ে হাত তোলা, অন্যায় করা কমবেনা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন: নতুন ভাই,

আপনি খুবই একটি চিন্তার কথা বলেছেন।

ধর্ম ভিত্তিক নৈতিকতা অনেকটা কাল্পনিক স্বর্গ-নরকের উপর দাঁড়ানো । তাই যারা এই নৈতিকতায় গড়ে ওঠে, পরে এই কাল্পনিক স্বর্গ-নরকে মনের ভিতরে অবিশ্বাস তৈরী হলে স্বাভাবিক ভাবে এই নৈতিকতার ভাঙ্গন ধরে। এই নৈতিকতা অবাস্তবভিত্তিক ও অনেক ক্ষেত্রে গণমানুষের উপকার বাদ রেখে শুধু মাত্র ধর্ম প্রবর্তনকারীদের/পীর /বাবা / মোল্লা / আলেম / হুজুরদের স্বার্থ সিদ্ধ করে।

অপরদিকে মানবতা ভিত্তিক নৈতিকতা মানুষের উপর দাঁড়ানো। আর মানুষ ছাড়া এ মহাবিশ্ব অর্থহীন। মানুষের কল্যাণই বিশ্বের কল্যাণ। পৃথিবীর আর বাকি যা কিছু আছে সেসবের একমাত্র স্বার্থকতা হলো মানুষের উপকারে আসায়। মানবতাবাদের সর্বপ্রধান নীতি হল মানুষের ভিতরের মনুষ্যত্বকে সবরকম ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। এই নৈতিকতা বাস্তবভিত্তিক।

সমাজতান্ত্রিক মানবতাবাদের মূলেও আছে একেশ্বরবাদী চেতনা। ঈশ্বরের কাছে প্রতিটি আত্মাই সমান- এই ধারণাই পরিবর্তিত হয়ে এখানে হয়ে গেছে ‘সব মানুষই সমান’। অপরদিকে বিবর্তনীয় মানবতাবাদের মূল কথা হল মানুষের বিবর্তনকে অবনতির দিকে যেতে না দিয়ে একে উন্নততর এক প্রজাতিতে পরিণত করা

নৈতিকতা (ধর্ম ভিত্তিক) ---- থেকে -----→ নৈতিকতা (মানবতা ভিত্তিক) রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশের অনেক সময়ের প্রয়োজন ।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪

একাল-সেকাল বলেছেন: ধর্মে মানবতা ভিত্তিক মরলিটি'র কথা বলা আছে। যারা মানেনা তাদেরকে মানবতা ভিত্তিক ময়ালিটি র কৌটায় বন্ধি করলে কৌটা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে। নিয়ম ভঙ্গ করাই তাদের কম্ম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫০

সুপারডুপার বলেছেন: কারণ, নৈতিকতা (ধর্ম ভিত্তিক) → নৈতিকতা (মানবতা ভিত্তিক) এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। অথবা তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই মানবতা ভিত্তিক নৈতিকতায় গড়ে উঠতে হবে।

মন্তব্যর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক শুভ কামনা।

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

একাল-সেকাল বলেছেন: অন্যের অধিকার, ইচ্ছা, ভাল/মন্দ লাগাকে সম্মান করাই মোটা দাগে মানবতা বলে জানি। মানবতার মাপকাঠি দেশ কাল পাত্রে ভিন্নতা বিরাজমান। এই ভিন্নতাকে একসাথে করা কি সম্ভব? ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই হচ্ছে মানবতার একমাত্র মাপকাঠি। বেসিক থেকে সরে গিয়ে যত ভাল কাজই করা হোক না সেটা নিখুঁত কখনই হবেনা। কারন আজকে যিনি মানবতার সংজ্ঞায়িত করবেন, উনি চিরঙ্গিব নন, তার মৃত্তুর পর অন্য কেউ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, মানুষ আল্লাহ, ঈশ্বর, খোদা, ভগবান নয়। মানুষ অসীম জ্ঞানের অধিকারী ও নয়। কোটি বছর পর ও মানুষ সূর্যকে তার জ্ঞান বা ক্ষমতা দ্বারা জয় করতে পারেনাই। অথচ সে নিয়ম মাফিক কাজ করছে। নিশ্চয়ই যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই করাচ্ছেন। তার ক্ষমতা ও জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করার মধ্যে শুধু বোকামি ই প্রকাশ পায়

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

সুপারডুপার বলেছেন: ধর্ম ও মানবতার মাপকাঠি কোনোটারই ভিন্নতা এক করা সম্ভব না। যেকোনো একটি ধর্ম খাতা -কলমে সুনির্দিষ্ট করা হলেও, দেশ ও অঞ্চল ভেদে একেকজন একেক রকম মানছেন। কারণ জ্ঞান -বিজ্ঞানের বিকাশের সাথে মানুষের যুক্তি, বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। মানবতা মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশ করতে শেখায়। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ আর সব প্রজাতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষের কল্যাণই পরম কল্যাণ। এই দর্শন নিয়েই মানবতা সামনের দিকে বিকশিত হয়।

জীবন নেওয়া যদি শাস্তি হয়, জীবন দেওয়া পুরস্কার হওয়া উচিত। কিন্তু ধর্ম শাস্তি হিসাবে জীবন নিতে পারলেও , পুরস্কার হিসেবে জীবন দিতে পারে না ! খুন যদি একটি খারাপ কাজ হয়, খুনের শাস্তি খুন দিয়ে, কিভাবে খুন প্রতিরোধ সম্ভব! অন্যভাবে বললে একটি খারাপ কাজকে কি আরেকটি একই খারাপ কাজ করে বন্ধ করতে হবে ! কিন্তু ধর্ম একটি খারাপ কাজকে আরেকটি খারাপ কাজ করে বন্ধ করতেই শেখায়।

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই হচ্ছে মানবতার একমাত্র মাপকাঠি যদি হয়, ধর্মশাস্ত্রে লেখা চোরের শাস্তি হাত কাটা, ধর্ম পরিত্যাগকারীর শাস্তি গলাকাটা, অবিশ্বাসীদের হত্যা করা, দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি কিভাবে মানবতার পর্যায়ে পড়ে? নাকি এইগুলো সবই রূপক অর্থ !

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা দেশে কেনই প্রতিনিয়ত মানবতার লংঘন হচ্ছে?

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

একাল-সেকাল বলেছেন: [link|https://response-to-anti-islam.com/show/শরিয়া-আইনে-চুরির-অপরাধে-হাত-কাটার-বিধান-/69|শরিয়া আইনে চুরির অপরাধে হাত কাটার বিধান
ইসলাম ত্যাগকারী মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন
দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক
আরব সমাজে সেক্স করতে সব সময় স্ত্রী কাছে থাকতো না। বৈরী পরিবেশ, যুদ্ধ পরিস্থিতি এসব কারনে পুরুষের জৈবিক চাহিদা বা সেক্স করার চাহিদা পূরন করতে দাসীর সাথে সঙ্গম বা সেক্স হালাল ছিলো ইসলামের প্রাথমিক যুগে তবে বিনা বাধায় না। একজন দাসীকে স্ত্রীর মতো ভরন পোষন করতে হতো। সেক্স করার ফলে দাসীর গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানকে পিতার পরিচয় দিতে হতো। দাসীর দায়িত্ব নিজের নিতে হতো। সেক্স করলাম আর ছেড়ে দিলাম। আরেকটা ধরলাম, সেক্স করলাম ছেড়ে দিলাম এমন না। দাসীর সাথে সম্পর্কের কিছু বিধি নিষেধ ছিলো।

তখনকার সময়ে এসব দাস-দাসী প্রথা স্বাভাবিক ছিলো। খ্রিষ্টানদের মধ্যেও এই প্রথা অনেক আগ থেকে ছিলো। আজকের বিশ্বে দাস-দাসী বা মানুষ উপহার দেয়া কল্পনাও করা যায় না কিন্তু হাজার বছর আগে এসব স্বাভাবিক ছিলো।

দাস প্রথা সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরে দাস-দাসী বলে কিছু না থাকায় দাসীর সাথে সঙ্গম বলতে কোনো কিছুর অবকাশ নেই। দাস বা দাসী এখন শুধু আল্লাহর দাস বা আল্লাহর দাসী অর্থে ব্যবহার হয়। যেমনঃ আবদুল্লাহ মানে আল্লাহর দাস।
ইহা যদি অমানবিক হয় তাহলে, বর্তমান সমাজের অবৈধ সম্পর্ক গুলিকে কি নামে আখ্যা দিবেন? ধর্ম মানুষের প্রয়োজন কে পাশ কাটিয়ে চলে না। সমাধান দেয়। আমরাই ইহার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিই, যা আমাদের পক্ষে যায়, "The glass is half empty filled in half"

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

সুপারডুপার বলেছেন:




ভালো ! আপনি নিজেই প্রমান নিয়ে আসলেন এইসব অমানবিক কাজ ধর্মগ্রন্থে হালাল করা হয়েছে। আর যেহেতু এই ধর্মগ্রন্থ কিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে , তাই কিয়ামত পর্যন্ত এই অমানবিক কাজ গুলো হালাল, কিন্তু তারপরেও এই ধর্ম মেনে চলাই হচ্ছে মানবতার একমাত্র মাপকাঠি। সেই অমানবিক কাজ গুলোর সাফাই গেয়ে আপনি আবার এসেছেন 'মানবিকতা ' প্রমান করতে

১)এই সমাজেও অনেকের স্ত্রী সবসময় কাছে থাকে না। তাদেরও কি স্ত্রীর মত ভরণপোষণ করে দাসী রেখে দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা যাবে ?

২) ৭১ -বৈরী পরিবেশ ও যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় স্ত্রী ছেড়ে আসা ইসলামের সৈনিকরা যে ক্যাম্পে নারী নিয়ে যেয়ে সঙ্গম করতো তাও তো শরিয়া আইনে বৈধ, কি বলেন?

৩) দাস প্রথা সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু কিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত ধর্মগ্রন্থে রয়েই গেছে , তাই নবীর দেশে আধুনিক দাস প্রথা রয়েই গেছে। সেই জন্য নবীর দেশে মহিলা কর্মীদের বাপে পুতে মিলে যা করে, সেটাও তো শরিয়া আইনে হালাল। দেশে থেকে নিয়মিত মহিলা কর্মী নবীর দেশের লোকদের সেবার জন্য পাঠালে কেমন নেকী সোওয়াব পাওয়া যাবে?

বাংলাদেশে বর্তমান সমাজের অবৈধ সম্পর্ক গুলোকে কি কেউ ভালো ভাবে গ্রহণ করেছে ! কিন্তু আপনার ধর্ম চোরের শাস্তি হাত কাটা, ধর্ম পরিত্যাগকারীর শাস্তি গলাকাটা, অবিশ্বাসীদের হত্যা করা, দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা ভালো ভাবে গ্রহণ করেছে; যা আপনার মন্তব্যই প্রমান করে।

আপনি নিজেই প্রমান করে দিলেন, ধর্ম কতটা অমানবিক হতে পারে

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

একাল-সেকাল বলেছেন: না, TSC তে বাঁধনকে ভরন পোষণ ছাড়াই ..
ধর্ষিতাকে কনডম সাপ্লাই দিয়ে মানবিকতা অর্জন করা যায়
রাষ্ট্রে ফাঁসী/ যাবতজীবন কারাদণ্ড মওকুফ করে মানবতা দেখানো যায়।
বন্দুকজুদ্ধে পুলিশের উচিৎ মানবতার স্বার্থে গুলি না চালিয়ে সন্ত্রাসীকে গুলি করতে দেয়া।
ইত্যাদি ইত্যাদি ------------

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০

সুপারডুপার বলেছেন:



এইগুলোকেও কেউ মানবতা বলেন নি, উপরেরগুলোকেও কেউ মানবতা বলেন নি।
আপনি এইগুলোকেও মানবতা বলছেন, উপরেরগুলোকেও মানবতা বলছেন।

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

একাল-সেকাল বলেছেন:
মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমনের পূর্বে আরব ছিল বর্বর জাতি, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত হত্যা করত, এখন করেনা, মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবদ্দশায়ও আরবে অপকর্ম হত, সকল সমাজেই কিছু কিছু কুলাঙ্গার আছে। কাউকে দেখে নয়, ধর্ম দেখে ধর্ম মানা উচিৎ।
আবার এই বিকৃত রুচি বোধ কেও মানবতা বলব ?

এই জন্য যে " একজন মেয়ে/ মহিলার ইচ্ছা / আবদার কে অসম্মান করাও একটা অমানবিক বিষয় । মানবতা শুধু পুরুষের জন্য নয়, ইহা সর্বজনীন বিষয়। আমাদের বুঝা উচিৎ, " ইউজারের চাইতে ডেভেলপার / ক্রিয়েটর সেই বিষয়ে অধিক জ্ঞানী " তাই সৃষ্টি কর্তার দেখানো পথেই তাঁর সৃষ্টিকে ব্যাবহার করা উচিৎ, এটাই অধিক নিরাপদ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

সুপারডুপার বলেছেন: এর পরে অপ্রাসঙ্গিক ছবি দিলে, আপনার মন্তব্য মুছে ফেলা হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

সুপারডুপার বলেছেন: মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমনের পরেও আপনার ভাই আরব জাতি বর্বর-ই রয়ে গেছে।

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

একাল-সেকাল বলেছেন: মানবতার প্রমান পত্র মুছে ফেলতে চাইলে দিতে পারেন,
এই যেঁ বললাম, কন্যা সন্তান হত্যা বন্ধ হয়েছে, যারা এখনো বর্বর আছে, তাদের জবাব তারা দিবে, আপনি আমি এর জন্য দায়ী থাকবনা। আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। রাগ বা অযৌক্তিক আলোচনা আসলে আমি আলোচনা বন্ধ করে দিব।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

সুপারডুপার বলেছেন: "অপ্রাসঙ্গিক ছবি" কি , এটা বোঝার মত শিক্ষা, আশাকরি আপনার আছে। উপরে আপনার মন্তব্যে, কেসস্টাডি'র ছবি কিভাবে আপনি অমানবিকতা বলে চালিয়ে দেন! বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির, হেফাজত, মাদ্রাসার ছাত্ররা ঠিক এই ধরণের কাজ করে।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যার যার বিশ্বাস তার তার থাকাই ভাল। জোড় করতে গেলেই বিপত্তি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন: বিশ্বাস জোর করে না। বিশ্বাস আসে কোন ধর্মে ´জন্ম নিয়েছে , কোন কালচারে বড় হচ্ছে , কেমন জ্ঞানার্জন করতে পারছে ইত্যাদি কিছু ফ্যাক্টরের উপর। তবে মূল ফ্যাক্টর কোথায় জন্ম গ্রহণ করেছে ও লালিত -পালিত হচ্ছে

মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

একাল-সেকাল বলেছেন: মানবতার প্রকৃত সংজ্ঞাটা জানতে চাই,
দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার সংগঠন থাকা সত্তেও রোহিঙ্গা, গাজা, আসাম, সিরিয়া, উইঘুর তৈরি হচ্ছে কেন? সংখালঘু শব্দটা ই বা কোত্থেকে আসলো আর কেনই বা যাচ্ছেনা ? অমুসলিম রা পৃথিবীর কোন কোন দেশে নির্যাতিত হচ্ছে? টুপিটাই যদি বিশ্বের মাথা বযাথার কারন হয়, তাহলে তো অন্য টুপিদের ও সমস্যা হওয়ার কথা, না হওয়ার ব্যাখ্যা কি ?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

সুপারডুপার বলেছেন: আপনার সবগুলো প্রশ্নের এক বাক্য দিয়ে উত্তর, " মুসলিমরা নিজেরারই নিজেদের সমস্যা বা নির্যাতন করছে।" এই ব্লগেও একটা পোস্টে শিয়া -সুন্নীর দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। মুসলিমরা নিজেরাই সব দ্বন্দ্বের মূল। আরব বিশ্বের খবর দেখুন অথবা ঐসব দেশে থাকা বাংলাদেশীদের কাছে থেকে শুনুন। বাংলাদেশে স্বচক্ষে দেখুন।

কারণ আগেই বলেছি , "একটি খারাপ কাজকে কি আরেকটি একই খারাপ কাজ করে বন্ধ করতে হবে ! কিন্তু ধর্ম একটি খারাপ কাজকে আরেকটি খারাপ কাজ করে বন্ধ করতেই শেখায়। অমানবিকতা দিয়েই অমানবিকতা বন্ধ করতে শেখায়। "

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৮

একাল-সেকাল বলেছেন: একমত " মুসলিমরা নিজেরারই নিজেদের সমস্যা বা নির্যাতন করছে।"
দ্বিমত "ধর্ম একটি খারাপ কাজকে আরেকটি খারাপ কাজ করে বন্ধ করতেই শেখায়।"
কোন ধর্মই খারাপ কাজ কে সমর্থন করে না। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা, মিডিয়ার একপেশে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, মুনাফেকদের আচরণগত সমস্যা, গো- ধার্মিকদের প্রভাব, এই সবই ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, অধিকাংশ ধর্মের অনুসারীরাও ধর্ম চর্চা করে না জেনে বুঝে, আবার জানাশুনা একটা অংশ আছে তারা এটাকে নিয়ে দোকানদারী করে। বাকি নগণ্য সংখ্যক হচ্ছে স্পেসলেস। ফলাফল হচ্ছে
" ভাসা ভাসা জ্ঞান
বিবাগীর ধ্যান "
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘’এ কারনেই আমি বানী ইসরাইলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারন ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেন তামাম মানুষকেই হত্যা করল; আর যে কোন মানুদের প্রান বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকেই বাঁচালো। তাদের কাছে আমার রাসুলগন সুস্পষ্ট প্রমান নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়ি করেছিল’’ মায়িদাহ ৫/৩২

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

সুপারডুপার বলেছেন: আপনার ধর্মানুভূতি খুব বেশি। তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ১০ নম্বর মন্তব্যে আপনাকে করা প্রশ্নের উত্তর দেন। নিজেই বোঝেন আপনার ধর্ম একটু আঙ্গুল বাঁকাইয়া কেমন করে খারাপ কাজকে সমর্থন করে !

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩

একাল-সেকাল বলেছেন: লিংকের হেডিং নয়, ভিতরেই ব্যাখ্যা দেয়া আছে, পড়ুন খোলা মনে একটা mind setup নিয়ে যদি বলেন গ্লাস অর্ধেক খালি, তাহলে ধরে নেব অর্ধেক ভরা আছে সেটা বলতেই চান না। ধন্যবাদ লম্বা আলোচনায় সময় দেয়ার জন্য।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪১

সুপারডুপার বলেছেন: খোলা মনেই পড়েছি। আমি সব ধরণের বই / আর্টিকেল পড়ি। এক ধরণের বই না পড়ে, বিভিন্ন ধরণের বই / আর্টিকেল পড়ুন ও চিন্তা করুন। কাল্পনিক জাহান্নামের ভয় দূর করে আত্ননির্মান করুন। আপনার নিজের কাছেই একদিন ধর্মের ফ্যালাসি পরিষ্কার হবে। ভালো থাকবেন !

১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

একাল-সেকাল বলেছেন: ঈমানের ৬টি স্তম্ভ
(১) আল্লাহ
(২) ফেরেশতাকুল
(৩) আসমানী কিতাব
(৪) নবী-রাসূল
(৫) শেষ দিবস ও
(৬) তক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান
মুসলিমরা এগুলু বিশ্বাস করে বলেই তারা মুসলিম। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড এক সময় ছিল না ( বিগ ব্যাং থিউরির আগেই কোরআন বলে দিয়েছে) আবার থাকবেও না (কোরআন বলে দিয়েছে) বিশ্বাসের কারন আমাদের পূর্ব পুরুষরা বেঁচে নেই, আমরাও থাকবনা। আপনার সৌজন্যতা ভাল লাগলো, আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ দেখান-আমিন।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

সুপারডুপার বলেছেন:
নতুন বছরে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতক -শত্রুরা, ধর্ম ব্যাবসায়ী ও সকল অমানবিক ব্যক্তি ছাড়া জাতি ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে সবার জীবন পূর্ণ হোক সুখে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ ২০২০!

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নতুন বছরে নতুন পোস্ট কই??

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৪১

সুপারডুপার বলেছেন:



উদাসী স্বপ্ন ভাই ,

আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্টগুলো আমি পড়ে আসি। আপনি অনেক বেশি জানেন ও বিস্তারিত লিখতে পারেন । সত্য কথাগুলো সবার সামনে তুলে ধরার জন্য আপনাকে জেনারেল করা হলো। তাই ভাবি বেশি পোস্ট করলে, না জানি আমাকেও কবে জেনারেল করা হবে। অবসর সময়ে হয়তো হঠাৎ করে আবার একটা পোস্ট করবো।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন ভাল। এর প্রেক্ষাপট নিয়েও একটা পোস্ট দিতে পারেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩২

সুপারডুপার বলেছেন: মাইদুল ভাই ,

পোস্ট করার জন্য আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ব্লগীয় ধনু রাশিফলে আপনি বলেছেন "ব্লগে অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি "। আমি মনে হয় ব্লগীয় ধনু রাশির জাতক !!!

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনিতো মাঝে মাঝে সাময়িক অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তাইতো দেখা পাই না।

আপনার জানার পৃথিবীটা বা পরিধি যত বড় ততটা লেখার জগৎ নয়। যদি সেটা লেখায় তুলে ধরতেন বেশ হত।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

সুপারডুপার বলেছেন:



মাইদুল ভাই ,

আমার জানার পরিধি খুবই ক্ষুদ্র। জানার পরিধি বাড়ানোর জন্য সব সময়ই পড়া উচিত ও তা ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগে কিনা তা দেখা উচিত। কর্মব্যাস্ত জীবনে যা জানি তার অল্প কিছুই গুছিয়ে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠে। এইজন্য আমার লেখার জগৎ বড় নয়। ধীরে ধীরে হয়তো কিছু বিষয় নিয়ে লিখবো।

আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখা ও সব মন্তব্য পড়লাম এবং এটুকু বুঝতে কষ্ট হয়নি যে, ধর্ম নিয়ে আপনার একটা চুলকানী আছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপনার চুলকানীর মাত্রা খুবই বেশি যেটা আপনার চরম আকার ধারণ করেছে। এর পিছনে অবশ্য একটা কারণও আছে সেটা হলো পশ্চিমাদেশে স্থায়ী ভাবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা।




এখনও সময় আছে এগুলো বাদ দিয়ে তওবা করে সঠিক ভাবে চলেন তাহলে আর কিছু নাহলেও অন্ততপক্ষে মানষিক ভাবে প্রশান্তি পাবেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

সুপারডুপার বলেছেন:




হা হা হা। মশাই, পশ্চিমাদেশে স্থায়ী ভাবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত তো বহু আগেই আমি নিজের যোগ্যতায় করেছি। পশ্চিমাদেশেই পড়ালেখা করেছি এবং সেখানেই উচ্চপদে কর্মরত। এটার জন্য আমার কোনো ধর্ম না, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার প্রয়োজন হয়েছিল।

ব্লগে আমি আমার নিজের সমন্ধে বলেছি , "সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি"

শুধু ইসলাম না, সব ধর্মের-ই সমস্যা আছে। বেশিরভাগ অবিদ্যাই ধর্মের মধ্যে লুকিয়ে আছে। আর এই অবিদ্যাই অশান্তির মূল কারণ। আপনার ধর্ম ১৪০০ বছর ধরেও কোনো শান্তি আনতে পারে নি। কারণ কি জানেন, ইসলাম ধর্মের উপর বিস্তারিত পড়ালেখা করা ব্লগার উদাসী স্বপ্ন ভাই একটি কথা বলেন, ইসলাম ধর্ম সমন্ধে বেশি জানলে হয় জঙ্গী হবেন, না হয় ইসলাম বিদ্বেষী হবেন।

ধর্মের সঠিক সমালোচনা আপনার আর সহ্য হয় নি। না জেনেবুঝে আউল ফাউল কারণ নিয়ে মন্তব্য করতে আমার ব্লগে এসেছেন। চুলকানি এলার্জি কার বেশি, নিজের দিকে একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবেন।

২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০

সোনালি কাবিন বলেছেন: ক্ষুরধার

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

সুপারডুপার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ !

২৫| ১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫

সুপারডুপার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

২৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ওই অসাধারণ পুস্তক যিনি রচনা করেছেন তিনি নিজেই তো পড়াশোনা জানতেন না। তার জ্ঞানের গুরুত্ব খুব বেশি নয়। তবে আমার মনে হয় তার একটা জাদুকরী আকর্ষণ ছিল । প্রভাবিত করার ক্ষমতা ছিল। আশেপাশের সবাইকে বশ করে ফেলেছিলেন যেভাবেই হোক।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

সুপারডুপার বলেছেন:



ওই অসাধারণ পুস্তক যিনি রচনা করেছেন তিনি নিজেই তো পড়াশোনা জানতেন না। তার জ্ঞানের গুরুত্ব খুব বেশি নয়।

- এইক্ষেত্রে দ্বিমত আছে, কিছুজন বলে তিনি পড়াশোনা জানতেন। অনেক জায়গা থেকে কপি হলেও তখনকার বোকা মানুষের জ্ঞানের স্বাপেক্ষে তা ছিল অসাধারণ কথা।

তবে আমার মনে হয় তার একটা জাদুকরী আকর্ষণ ছিল । প্রভাবিত করার ক্ষমতা ছিল। আশেপাশের সবাইকে বশ করে ফেলেছিলেন যেভাবেই হোক।

- এটা ঠিক বলেছেন। এই ধরণের মানুষের একধরণের মাইন্ড পাওয়ার থাকে। বোকা মানুষদের জন্য তারা মিরাকল -ও দেখাতে পারে। William Walker Atkinson -এর Mind-Power: The Secret Of Mental Magic বইটি পড়লে এই মাইন্ড পাওয়ার সমন্ধে অনেক কিছু ধারণা পাওয়া যায়। এই ধরণের মানুষ পৃথিবীতে কম, আবার এটাও ঠিক তাদের মতাদর্শ সবাই গ্রহণ করে না। তখন তাদের মতাদর্শের অনুসারীরা অন্য মতাদর্শের মানুষদের খারাপ হিসেবে জানে।

পাশের দেশে ইন্ডিয়ার দিকেই তাকান না কেন, সত্য সাই বাবা , ওশো আশেপাশের সবাইকে কিভাবে বশ করে ফেলেছিলেন।

২৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০১

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: আপনি যেসব মুসলমানের কথা ইঙ্গিত করেছেন আপনার লেখায় তারা কুরাঅান-হাদিসের প্রকৃত মানদন্ডে আদৌ মুসলমানের অভিধায় পড়ে না । তারা স্রেফ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মুসলিম পরিচয় এবং বিশ্বাসের অস্পষ্ট ছায়া নিয়ে চলে ।

আর, ঢোলা জোব্বাধারী, লম্বা শশ্রুবিশিষ্ট, সাদা আতরের খুশবুছড়ানো, ওয়াজের মঞ্চ কাঁপানো, দ্বীনি ইলমের সৌল ডিলার বনে যাওয়া, ইসলাম ও মুসলমানের ব্র্যান্ডিং অথরিটি সেজে বসা, এদেশের আলেম-ওলামাদের সিংহভাগই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাটিকে আধুনিক সমাজের প্রেক্ষাপটে সঠিকভাবে প্রচার করতে পারছেন না । এজন্য তাদের কুপমন্ডূকতা এবং ইসলাম নিয়ে অবৈধ কারবারী মানসিকতাটাও অনেকাংশে দায়ি ।

প্রকৃতি মুসলমান কারা, তাদের বৈশিষ্ট্য কী সে বিশদ বর্ণনা এ ছোট্ট পরিসরে দেয়া সম্ভব নয় । এখানে তা আলোচ্য বিষয়ও নয় ।

আসল কথা যা বলতে চাই, কুরআন এবং হাদিস কোন বিজ্ঞানগ্রন্থ নয় । এগুলিতে শুধুমাত্র মানুষের নৈতিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করার বিধি বিধান (রুলস এ্যান্ড রেগুলেশন) বর্ণনা করা হয়েছে । কোন নীতিতে ব্যবসায় করবেন, কোন নীতিতে মানুষের অধিকার আদায় করবেন, কোন নীতিতে প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব পালন করবেন, কোন নীতিতে মানবাধিকার আদায় করবেন, কোন নীতিতে খাদ্য গ্রহন করবেন, কোন নীতিতে সংসার ও বংশধর তৈরী করবেন, কোন নীতিতে সম্পদ বন্টন করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।

পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি অপরিহার্য্য সেসবের বর্ণনা কুরআন হাদিসে মোটেও নেই । সোজা কথায়, কুরআন-হাদিস কোন বৈষয়িক জ্ঞানের কিতাব নয় । যারা এ কথা বলে তারা অজ্ঞ কিংবা অন্ধ ।

এজন্যই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করাকে কুরআন হাদিসে শুধু যে বারবার উৎসাহ করা হয়েছে তা নয়, এটিকে বিশ্বাসীদের জন্য মেন্ডেটরী করে দেয়া হয়েছে । এ দিক দিয়ে বলা যায়, কুরআন হাদিস জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থ নয়, বরং মোটিভেশনাল গ্রন্থ ।

যারা কুরআন-হাদিসকে সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির একমাত্র উৎস বলে থাকে, বিলিভ মী, তারা ভয়ানক কূপমন্ডুক, অজ্ঞ এবং গোঁড়া । আমি তাদেরকে সেন্টিমেন্টাল ফুল বলি । একই সংগে এইসব আবেগী উজবুকদের কথায় মজা পেয়ে, কিছুমাত্র যাচাই না করে, কিছুমাত্র অধ্যয়ন না করে, নিজেদেরকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন ভাবা যেসব অবিশ্বাসী ইসলামকে নিয়ে শ্লেষ ও ব্যঙ্গে মেতে উঠাকে অবসরবিনোদন কিংবা মনন শানিত করার কৌশল বানিয়েছে তারাও বালখিল্যের পরিচয় দিচ্ছে ।

কুরআন পড়ে দেখবেন, বারবার সেখানে বিভিন্ন উদাহরন, রূপক ও উপমা দিয়ে চিন্তাশীল ও বুদ্ধিমান মুসলমানদেরকে চিন্তা ও গবেষনা করতে উৎসাহ করা হচ্ছে ।

যেমন এক যায়গায় দেয়া হয়েছে পাখির উদাহরন । পাখি আকাশে ডানা মেলে কীভাবে উড়ে তা বলার পর বিশ্বাসিদেরকে বলা হয়েছে এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে । মুসলমানদের উচিৎ ছিল এ বিষয় নিয়ে গবেষনা করে বিমান আবিষ্কার করা । কিন্তু তারা শুধুমাত্র ‘সুবহানাল্লাহ’ বলেই সাওয়াব কামিয়েছে ।


তবে ইসলামের প্রতি বিরূপ ধারনাটিকে সত্যিকার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা না করে স্রেফ বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করতে চাইলে আপনার সাথে কথা বলা কুতর্কের শামিল ।


দুঃখের সাথে শেষ কথা বলছি, অগণ্য মানুষের মধ্যে যেমন মানুষ পাওয়া ভার, অগণ্য মুসলমানের মধ্যে খাঁটি মুসলমান পাওয়া কষ্টের ।
আমি খাঁটি মুসলমান হওয়ার সাধনায় নেমেছি । বহু পথ অতিক্রম করা বাকি এখনও ।

As for you, it is unwise to judge a creed by its languid followers in stead of studying the creed itself. Thank you.

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭

সুপারডুপার বলেছেন:



বিরোধিতা কেন করবো! সাপোর্ট করলেই তো ইহকালে ও পরকালে বেশি বেনিফিট! অনুসারীদের না, সরাসরি creed / ধর্মবিশ্বাস স্টাডি করে যা পাওয়া যায় তা একজন সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। লিংক : ইসলাম: কিছু জিজ্ঞাসা - রাইট হার্ট । ঐ লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে সবগুলো তথ্য একসাথে করতে পেরেছেন। এতে অনেকেরেই অনেক পরিশ্রম বেঁচে গেছে।

সারাটা জীবন পাবেন এইসবের উত্তর খুঁজতে। প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা আপনাকে খাঁটি মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করুন।

২৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান জামানায় কেউ ধর্ম মানে কোরআন হাদীসের নিয়্ম গুলো মেনে চলছে না। চলা সম্ভবও না।
অবশ্য ধর্ম সারা জীবন আকড়ে থাকলে কোনো লাভ নাই। মরার পরের নানান লোভ দেখিয়েও ধর্ম মানুষ মানছে না।

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

সুপারডুপার বলেছেন:



বর্তমান জামানায় কোরআন হাদীসের নিয়মগুলো বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক। সমাজ, মা-বাবা, হুজুর ছোটবেলায় ধর্মের অনুভূতি শেখালেও বড় হওয়ার সাথে জ্ঞানার্জন করে সেই অনুভূতির বাস্তবতা দেখতে পাবেন না। আপনি দেখবেন ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাস দিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না এবং প্রতিনিয়ত দর্শন, বিজ্ঞান- প্রযুক্তি এসে ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলো পরিষ্কার করছে। যখন আপনি সন্দেহ কেটে উঠবেন, আপনার কথায় ও লেখায় ফুটে উঠবে সাহস। আপনি সমাজে রেনেসাঁস ঘটানোর জন্য বিদ্রোহী হয়ে উঠবেন।

আমরা যদি নীরব থেকে গভীর চিন্তা করতে পারি, নিজের ভিতর থেকেই নিজ নিজ জন্ম, জীবন ও মৃত্যু সমন্ধে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি। এটার জন্য ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাসের সাহায্য লাগে না। মারিনা আব্রামোভিচের কথায় বলি, সুফিবাদে জীবন হচ্ছে স্বপ্ন আর মৃত্যু হচ্ছে জাগরিত হওয়া। মরার পরের নানান লোভ ও শাস্তি দেখালে কেনই বা মানুষ ধর্ম মানবে, যখন সেই লোভ ও শাস্তি হচ্ছে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু না !

Gaze, Technology, and Death With Marina Abramović

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.