নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ঘটনার সম্ভাব্যতা ও আগাম প্রস্তুতি

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫৮



চলতি বছরের একদম গোড়ার দিকে চীনের উহানে নভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায় যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিনের গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত খবরে ইতালি, স্পেন যুক্তরাষ্টসহ সারাবিশ্বে এই ভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে দ্রুত গতিতে বাড়ছে তাতে বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্রে ভয়ংকর আকারে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে বললে অত্যুক্তি হবেনা।

চিত্র: ১

আমরা যদি বাংলাদেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক জন থেকে দিন হিসেব শুরু করি, তাহলে চিত্র-১ থেকে সংক্ষেপে দেখতে পাই,

দিন (০) ৬ এপ্রিল, মোট ১২৩ জন,
দিন (১) ৭ এপ্রিল, মোট ১৬৪ জন,
দিন (২) ৮ এপ্রিল, মোট ২১৮ জন ,
দিন (৩) ৯ এপ্রিল, মোট ৩৩০ জন,
দিন (৪) ১০ এপ্রিল, মোট ৪২৪ জন,
দিন (৫) ১১ এপ্রিল,মোট ৪৮২ জন,
দিন (৬) ১২ এপ্রিল, মোট ৬২১ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

অর্থাৎ ছয় এপ্রিলের আগে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা একশো এর নিচে ছিল। পরবর্তিতে তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ছয় শতাধিকের চেয়ে বেশিজন আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৪৮ জন এবং ৩৪ জনের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন।

চিত্র: ২

চিত্র: ৩

মডেল আকারে প্রদর্শিত হলে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কেস A অথবা কেস B অনুসরণ করতে পারে (চিত্র: ২ ও ৩) । যদি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখা হয় এবং কোনোরূপ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে আক্রান্তের ঘটনা কেস A এর মতো হতে পারে। তারমানে একজন আক্রান্ত রোগী থেকে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং উল্লেখযোগ্যহারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আর যদি যথাযথ সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গৃহীত হয় যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পারস্পরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে সম্ভাব্য রোগের সঞ্চালন ঝুঁকি কমানোর নিমিত্তে সামাজিক দূরত্ব (প্রায় ২ মিটার) বজায় রাখা ইত্যাদি মেনে চলা হয় তাহলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রবণতা কেস B এর ন্যায় হবে। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক কম মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

চিত্র -৩ এ সংক্রমণের প্রবণতা কার্ভ আকারে দেখানো হয়েছে। উক্ত কার্ভ থেকে এটা সহজেই অনুমেয় যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংক্রমণের হার অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে যাবে। অপরদিকে, সামাজিক দূরত্ব এবং যথোপযুক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর হবে এবং বৈশ্বিক মহামারীটির হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

চিত্র: ৪

এক নম্বর তথ্যচিত্র থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেকটা ইতালি, স্পেন ও ইরানের সাথে তুলনা করা যায়। আমার ধারণামতে, বাংলাদেশে সম্ভাব্য কার্ভটি চিত্রে প্রদর্শিত ডট লাইন এর মতো হতে পারে। সেই হিসেবে, দিন (১৭) অর্থাৎ ২৩ এপ্রিলে বাংলাদেশে আনুমানিক মোট ৫০০০, দিন (২২) / ২৮ এপ্রিল আনুমানিক মোট ১০,০০০ ও দিন (৪৮) বা ২৪ মে এর কাছাকাছি সময়ে - আনুমানিক মোট ৫০,০০০ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। (চিত্র: ৪ )

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উচিত মে মাসের শুরু থেকেই ন্যূনতম ৫০,০০০ করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা কার্যক্রমের জন্য যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতির বন্দোবস্ত রাখা যেমন পর্যাপ্ত রোগ সনাক্তকরণ কীট, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য পিপিই, সফল ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। নচেৎ বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশে রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকানো কঠিনতর হয়ে পড়বে। যদিও প্রস্তুতি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তা কখনোই নির্ধারিত নয়। তবুও এখনই এর বিরুদ্ধে যথার্থ ও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।

ডাটা সূত্র :
[১]Institute of Epidemiology, Disease Control and Research (IEDCR), Bangladesh
[২] DOMO CORONAVIRUS TRACKER
[৩] উইকিপিডিয়া - ২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
[৪] The New York Times -"You Can Help Break the Chain of Transmission"
[৫] Live Science - "Coronavirus: What is 'flattening the curve,' and will it work?"

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: সহমত। যদিও আমার ধারনা যে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পর্যাপ্ত পরিমানে টেষ্ট করা হচ্ছে না বিধায় ধরা পড়ছে না। আর সরকারের পরিসংখ্যনে লুকোচুরি তো আছেই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত গেল ১৪ দিনে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত্যুর আগে এদের কারো করোনা টেস্ট করা হয়নি (তথ্যসুত্র : ডয়েচে ভেলে) ৷ দেশে আশংকাজনক হারে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু টেস্ট কম হচ্ছে। নো টেস্ট, নো করোনা৷ এখন মিনিমাম টেস্ট, মিনিমাম করোনা। এই ভাবে মহামারীকে আরো সংকটময় করা হচ্ছে।

টেস্ট কিটের মজুদ ও ট্রেনিং দিয়ে টেস্ট করার জন্য টেস্ট এক্সপার্টের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো উচিত। ঢাকা সেন্ট্রালাইজড না করে, টেস্ট এক্সপার্টদেরকে সব জেলায় নিয়োগ দেয়া উচিত। তাহলেই দেশে সঠিক করোনা আক্রান্ত রোগীদের জেনে তাদেরকে আইসোলেশন রেখে করোনার সংক্রমণ কমানো সম্ভব হবে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মডেল অনুসারে প্রেডিকশান সঠিক মনে হচ্ছে।

মডেলিং'এর প্লটিং আপনি নিজে করেছেন, নাকি সংগ্রহ করেছেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

সুপারডুপার বলেছেন: Growth by Country জানার জন্য DOMO CORONAVIRUS TRACKER ব্যবহার করেছি। মডেলের মূল ছবি গুলো (চিত্র ২ ও ৩) সংগ্রহ করছি। তুলনামূলক স্টাডি করে মডেলিং ও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ঘটনা বৃদ্ধির বেস্ট ফিটেড কার্ভ নিজে করেছি।

সামনের দিন গুলোতে বাংলাদেশে সম্ভাব্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রেডিকশান করে, সেই অনুসারে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সবাইকে সচেতন করা পোস্টটির লক্ষ্য।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রামে ঠিকভাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৩

সুপারডুপার বলেছেন: পরীক্ষার সেবা প্রতিটি জেলায় সম্প্রসারিত করা উচিত। পরীক্ষা বেশি হলে রোগী দ্রুত শনাক্ত হবে। এতে রোগীর মাধ্যমে আরো বেশি সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এ মাসে করোনা পরিস্থিতি আমাদের দেশে এবং বিশ্বে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

সুপারডুপার বলেছেন: কিভাবে বুঝলেন এ মাসে দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

সুপারডুপার বলেছেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী বলে শনাক্ত করে আজ মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৩। দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি (উপরের চিত্র) থেকে সহজেই বলা যায় এই মাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে ।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

মা.হাসান বলেছেন: আমাদের দেশে টেস্ট হয়েছে এগারো হাজারের মতো, জনসংখ্যার ০.০০৭% এর মতো। এত ছোট স্যাম্পল সাইজে মডেলিং করা আসলে খুব কষ্টকর। লক্ষনীয় যে গত কয়েকদিন ধরে মোট টেস্টের ১০% এর কাছাকাছি রোগি পাওয় যাচ্ছে। পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে দিনে দশ হাজার টেস্ট করা কঠিন হতো না। কয়েক লক্ষ টেস্ট করা গেলে রোগের বিস্তার সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরেকটু স্বচ্ছ হতো।

তিন নম্বরের ছবিটায় সমস্যা আছে। প্লটটা ভার্টিকেল এক্সিসের সাপেক্ষে সিমেট্রিক হবার কোনো যুক্তি আমি খুঁজে পাই না। সোসাল ডিস্ট্যান্সিং মেইনটেন করা গেলে পিকের চোদ্দ দিন পরে শার্প ডিক্লাইন করবে। যে রকম আছে এরকম চলতে দিলে কি হবে বলা মুশকিল, কারণ এই ধরণের তথ্যের অভাব। আমি মনে করি পিকের জায়গাটা বেশ কিছু দিন ফ্ল্যাট থাকবে, তারপর খুব ধীরে ধীরে কমবে, বাইনোমিয়াল ডিস্ট্রিবিউশন হবে না। তবে সেটা ৩য় মূল ছবির সমস্যা না। আপনার মডেলে স্কেল না দিলেও ৩য় ছবিতে দেখা যায় মডেল বি এর পিক হাইট মডেল এ এর অর্ধেকের মতো হলেও বেস প্রায় ডাবল, অর্থাৎ দুটো কার্ভের নিচের এরিয়া সমান!!, অর্থাৎ দুটো মডেলেই সমান সংখ্যক লোক আক্রান্ত হবে!! এটা যোক্তিক না।
কার্ভের চেহারা কি রকম হতে পারে? নিচে দুটো ছবি যোগ করে দিচ্ছি, ভেবে দেখতে পারেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০

সুপারডুপার বলেছেন: সমালোচনামূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আমিতো দুটো মডেলেই সমান সংখ্যক লোক আক্রান্ত হবে না , এটাই দেখতেছি।

- মডেল বি এর পিক হাইট মডেল এ এর অর্ধেকের মত অর্থাৎ মডেল বি তে আক্রান্তের সংখ্যা কম।
- মডেল বি এর বেস প্রায় ডাবল অর্থাৎ প্রথম আক্রান্ত থেকে সময়ের পরিধি বেশি।
- এরিয়া আন্ডার কার্ভ = ∫ y d t (আক্রান্তের সংখ্যা y, সময় t) চিন্তা করলে সমান ও হতে পারে আবার নাও হতে পারে।

তিন নম্বরের ছবিটা Epidemic curve / epi curve অনুসারে করা হয়েছে। মডেল ভুল হলে epi curve -ই ভুল প্রমাণিত হবে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৮

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, "পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে দিনে দশ হাজার টেস্ট করা কঠিন হতো না। কয়েক লক্ষ টেস্ট করা গেলে রোগের বিস্তার সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরেকটু স্বচ্ছ হতো"।


করোনাভাইরাস টেস্টে বাংলাদেশ এমনকি পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান থেকেও পিছিয়ে (উপরের চিত্র)। বর্তমান পরিস্থিতিতে টেস্ট বৃদ্ধি করে অন্যান্য দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের দ্রুত রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাহলে হয়তোবা বাংলাদেশে রোগের বিস্তারের সম্ভবনা তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের দিকে মোড় ঘুরানোও সম্ভব (নিচের চিত্র )।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮

মা.হাসান বলেছেন:


লাল কার্ভের পিক কোথায় থাকবে নির্ভর করবে কখন সোসাল ডিস্ট্যান্সিঙ মেইনটেন করা শুরু করা হবে এর ওপর। যদি কোনো কারনে কার্ভ দুটো ভার্টিক্যাল এক্সিসের সাথে সিমেট্রিক ও হয়, এর পরেও সোসাল ডিস্ট্যান্সিং কার্ভের বেস অপর কার্ভের চেয়ে বড় হতে পারবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৩

সুপারডুপার বলেছেন: লাল কার্ভের পিক কোথায় থাকবে নির্ভর করবে কখন সোসাল ডিস্ট্যান্সিঙ মেইনটেন করা শুরু করা হবে এর ওপর: সহমত (বিস্তারিত: ইন্টারেকটিভ টুলস NYTimes.com-How Much Worse the Coronavirus Could Get, in Charts )

সোসাল ডিস্ট্যান্সিং কার্ভের বেস অপর কার্ভের চেয়ে বড় হতে পারবে না, এটা বলতে পারা যায় না। কারণ সোসাল ডিস্ট্যান্সিং হলে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও, মহামারীর সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে।

সর্বোপরি সোসাল ডিস্ট্যান্সিং ছাড়াও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

চিন্তামূলক মন্তব্যের জন্য আবারও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০৩

শের শায়রী বলেছেন: কার্ভ অনুযায়ী ২৪শে মে ৫০ হাজার আক্রান্ত তার চিকিৎসা সেবা ব্যাবস্থা করার সাজেষ্ট করছেন সুপারডুপার ভাই, বর্তমানে ১০০০ এর মত অফিশিয়াল এ্যাফেক্ট আছে, তাদের চিকিৎসা যারা দিচ্ছে দেখলাম তাদের সম্ভবতঃ কুয়ের মৈত্রীর নার্সদের রোগীদের খাবার নাই। সময় ৩৮ দিন এর মাঝে ৫০ হাজার এর চিকিৎসা ব্যাবস্থা করা........ নো কমেন্ট........ আমার দূর ভাবনায় ও ভাবতে পারছি না, সম্ভবত এই দেশের কেউই এমন উইশফুল থিনিকিং স্বপ্নেও ভাবেনা....... তাও টেষ্টের পারসেন্টেজ দেখেন..... এগুলো ভাবার মত কিছু না, কিছুই বলব না, সবই জানেন আপনি বুজেন ও তাও সাজেশান দিয়েছেন, ভাবছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪৭

সুপারডুপার বলেছেন: শের শায়রী ভাই,

সুচিন্ত মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ঘটনার বৃদ্ধির সম্ভব্য রেখাটি ১২ এপ্রিল প্লট করেছি। আপনি যদি রেখাটি আবার দেখেন, দিন (৮) বা ১৪ এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে আনুমানিক মোট 1k বা ১,০০০ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার সম্ভাবনা দেখা যায়। বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০১২ জন। এটা থেকে বোঝা যায়, এখন পর্যন্ত প্রামাণিক ডাটা সম্ভাবনার সাথে মিলে যাচ্ছে।

১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশে মে মাসের শুরু থেকেই ন্যূনতম ৫০ হাজার এর চিকিৎসা ব্যবস্থার আগাম প্রস্তুতি না রাখলে, আমার ধারণা মতে মৃত্যুর হার অনেক বাড়বে। পরিণামে আমরা আমাদের স্বজনদেরও হারাতে পারি। জার্মানিতে কেন মৃত্যুর হার কম এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বাংলাদেশের উচিত এখনই যথাযথ আগাম প্রস্তুতি নেওয়া।

Epi curve দিয়ে উন্নত দেশের সাথে উন্নয়নশীল দেশের (যেমনঃ বাংলাদেশ) তুলনা করলে, আমরা আরো ভয়ংকর চিত্র (নিচের চিত্র) দেখতে পাই।

আমি এটা উইশ করছি না। আমার ধারণা মতে বাংলাদেশে সম্ভাব্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করে, সেই অনুসারে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সবাইকে সচেতন করতে চাচ্ছি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

সুপারডুপার বলেছেন: মহামারী মোকাবেলায় এখন ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজড করতে হবে। প্রতিটি জেলা যদি ১ হাজার করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবার আগাম প্রস্তুতি রাখে, ৬৪ জেলা মিলে ৬৪ হাজার এর অতি দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার আগাম প্রস্তুতি সম্ভব।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।

কিন্তু হুজুরেরা আপনার এটা বিশ্বাস করবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

সুপারডুপার বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন দা। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

হুজুরেরা যে ভ্রান্ত বিশ্বাসের খাঁচায় বন্দী।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনার পোষ্ট টা আবারো পড়লাম আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম, সব কিছু জেনেশুনেও কিছুই করার নেই, নিউজ পেপার গুলো দেখলেই বুজবেন কতটা সমন্বয়হীনতায় আছি আমরা, নতুন কিছু রেডি করা তো দূরে থাক, পুরানো মেডিকেল ইউনিট গুলোই নানাবিধ কারনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩

সুপারডুপার বলেছেন: কিছুই কি করার নাই ! IEDCR এর ডক্টররাতো epidemiology নিয়ে পড়ালেখা করা। উনারা তো রোগের বিস্তার সমন্ধে অনেক আগেই Forecast করতে পারার কথা। উনারা কেন অনেক আগেই সতর্ক করতে পারলেন না ??? দেশের বেশির ভাগ মানুষ বলে দ্যাশ আল্লায় চালায়। ইউসুফ (আ.) এর সময় বাদশাহ স্বপ্নে সাত বছর ভাল ফলন ও সাত বছর দুর্ভিক্ষর ইঙ্গিত পেয়েছিল। আল্লায় চালানো দ্যাশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহওয়ালা মানুষ হওয়ার পরেও কেন স্বপ্নের মাধ্যমে মহামারীর ইঙ্গিত পেলেন না??? ক্ষতি হওয়ার পরেও হয়তো ক্ষতিগুলো ভুলে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দ্যাশের মানুষ বলবে যা ক্ষতি ভাবা হয়েছিল তা হয় নি, আল্লা বাঁচাইছে । এইভাবে অব্যবস্থাপনায় দেশ দুর্ভিক্ষ, মহামারী , দূর্ঘটনা, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে ঘুরপাক খাবে। তারপরে একটু আনন্দিত হয়ে মানুষগুলো বলে উঠবে দ্যাশ আল্লায় চালায়।

দেশের বিজিনেস ম্যানরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে ইচ্ছুক হলে, রাতারাতি অনেক কিছুই করে ফেলতে পারার কথা। শেখ হাসিনা তাদেরকে চাপ দিলেই সম্ভব। দেশতো শেখ হাসিনা নির্ভরশীল। শেখ হাসিনার মাথায় এখন কি খেলছে জানি না !

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: সর‍্যি ওয়ান মোর টাইম নিউজটা দেখছেন? কি বলবেন প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট রেখে মাঠে নামানো হচ্ছে সিএইচসিপিদের ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৭

সুপারডুপার বলেছেন:

শের শায়রী ভাই, না নিউজটি দেখি নি। আপনার শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সরকারের কি মাথা খারাপ হয়েছে? নাকি সরকার ইচ্ছা করে মানুষ মারতে চায়? সাগর থেকে দু'চার বালতি পানি তুললে যেমন সাগরের পানির কোন তারতম্য হবে না, তেমনি এরা কি মনে করে ১৬০ মিলিয়ন মানুষের দেশে দু'চার মিলিয়ন মানুষ মরলে কিছু হবে না!

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোট রেকর্ডভুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুর সংখ্যা যোগ করে মোট মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। এর পর মৃত্যু হার ব্যবহার করে উল্টা হিসাব করে এখন পর্যন্ত কত আক্রান্ত সে ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেকর্ডভুক্ত মৃত্যু সংখ্যা ১৪৫ জন। এছাড়া গত ৪৮ দিনে (৮ মার্চ প্রথম রোগী পাওয়া যায়) প্রতি দিন ১০ জন করে হলে আরও ৪৮০ জন মারা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। এভাবে মোট মৃত্যু পাওয়া যায় ৬২৫ জনের। মৃত্যু হার ৫% ধরলে ৫ এপ্রিল ( ২৫ এপ্রিল থেকে ২০ দিন বাদ দিলাম। কারণ গত বিশ দিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মৃত্যু শুরু হবে ২৬ তারিখ থেকে। ধরে নিলাম আক্রান্ত হওয়ার ২০ দিনের আগে কেউ মরে না) পর্যন্ত আক্রান্ত পাওয়া যায় ১২,৫০০ জনের। এছাড়া গত বিশ দিনে রেকর্ড ভুক্ত আক্রান্ত রোগী ৪৯৫১ জন। দেখা যাচ্ছে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেকর্ড ভুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫ জন কিন্তু আনুমানিক আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫০০। অর্থাৎ রেকর্ড ভুক্ত আক্রান্ত সংখ্যাকে ২৬.৮৮ দিয়ে গুণ করলে মোট আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। গত বিশ দিনে এটা হবে ( ২৬.৮৮ x ৪৯৫১) ১৩৩,০৮২ জন। এর সাথে আগের ১২৫০০ জন যোগ দিলে হচ্ছে ১৪৫,৫৮২ জন এখন পর্যন্ত (২৫ এপ্রিল) করনায় আক্রান্ত। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু কম ধরা হলে সংখ্যা কিছুটা কমবে। দেখা যাচ্ছে বর্তমান উপাত্ত অনুযায়ী রেকর্ড ভুক্ত আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে আনুমানিক (প্রকৃত) আক্রান্ত রোগী প্রায় ( ১৪৫,৫৮২/ ৫৪১৬) ২৬.৮৮ গুণ। গত ২০ দিনে রেকর্ডভুক্ত রোগীর সংখ্যাই বেড়েছে ১০ গুণ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনি মৃত্যু সংখ্যা (রেকর্ডভুক্ত মৃত্যু সংখ্যা + আনুমানিক প্রতি দিন ১০ জন করে মৃত্যু ) থেকে আক্রান্তের সংখ্যার সম্ভবতা হিসাব করছেন। এই ক্ষেত্রে লিমিটেশন হচ্ছে:

১) আপনি যদি অন্য যেকোনো দেশের সাথে তুলনা করেন কোনো দেশেই প্রথম দিকে প্রতি দিন ১০ জন করে মারা যান নি। এটা অনেকটা ধীর গতিতে বেড়েছে। আপনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কোভিড-১৯ ট্র্যাকার (লিংক) ব্যবহার করেও এটা দেখতে পারেন।

২) মৃত্যু হার ৫% এটাও জেনারেলাইজড করা যায় না। প্রিক্যাউশনস ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর এটা নির্ভর করে। আপনি একটি দেশ থেকে অন্য দেশের তুলনা করে দেখতে পারেন।

৩) আপনি যে ফ্যাক্টর পাচ্ছেন এটা পরিবর্তনশীল হবে।

৪) মহামারী সাধারণত বাস্তবতায় Epidemic curve বা epi curve (উকি লিংক ) অনুসরণ করে, কিন্তু আপনার হিসাব অনুসারে তখন এটা লিনিয়ার হবে। তখন বাস্তবতা থেকে আপনার প্রাপ্ত ফলাফলের অনেক বড় পার্থক্য হবে।

তাই এই ভাবে হিসেবে করলে অনেকটা ভুল আসার সম্ভবনা। সবচেয়ে ভালো ফলাফল হবে যখন বেশি টেস্ট করা হবে।

যেহেতু অন্য দেশে কোভিড-১৯ ঘটে গেছে। আমি ১২ -ই এপ্রিল সিম্পল কম্প্যারাটিভ মডেল থেকে বেস্ট ফিটেড কার্ভ দিয়ে দিয়ে আনুমানিক ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরেও এখানে লিমিটেশন :

(i) "সব করোনা উপসর্গের রোগীর টেস্ট করা হয়েছে কি না"।

(ii) সময়ের সাথে এই বেস্ট ফিটেড কার্ভ পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে আজকে যদি আমি সিম্পল কম্প্যারাটিভ মডেল থেকে বেস্ট ফিটেড কার্ভ প্লট করি আগের তুলনায় এটা একটু বিচ্যুতি হবে।

আরো জানতে চাইলে বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটু জটিল SIR-X model অনুসারে প্রেডিকশন এখানে দেখতে Forecasts by Country (লিংক) পারেন। মাউস মুভ করেই দেখতে পাবেন। ডিটেইল জানতে চাইলে জার্নাল গুলোতে চোখ মেলাতে পারেন।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ঘটনার সম্ভাব্যতা একটু অন্যভাবে চিন্তা করার জন্য আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৫

নতুন বলেছেন: দেশে বিদেশ থেকে যারা এসেছে সেটা সংখ্যায় প্রায় ৫-৬ লক্ষ

তাদের মধ্যে নুন্যতম ০.১% থেকে ৫% আক্রন্ত হলে এবং তারা গত দিনগুলিতে পরিবার, আত্নীয় এবং বন্ধবান্ধবকে আক্রান্ত করলে

৫০০ থেকে ২৫০০০ হাজার মানুষ গুন ৪জন করে হলেও ২০০০ থেকে ১ লক্ষে মতন মানুষ ইতিমধ্যে আক্রন্ত হবার সম্ভবনা রয়েছে।

দেশে হাসপাতালের যেই অবস্হা তাতে রোগীরা সেবা পাচ্ছেনা না। আর মানুষও লকডাউন মানছেন না।

তাই আমাদের দেশের অবস্থা মোটামুটি সেমি herd immunity এর মতনই হতে যাচ্ছে।

দেশে গরম আবহাওয়া তাই হয়তো কিছুটা বেচে যাবে। গরম আবহাওয়া ভ্যাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রামন ছড়ানোর জন্য সুবিধা জনক না।

বাস্তবেও আমাদের দেশে গরমের কালে নিউমোনিয়া, শদি` কাশি ঠান্ডার প্রকোব কমে যায়। এই জিনিসটা আমাদের জন্য আশিবাদ হতে পারে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০১

সুপারডুপার বলেছেন:


নতুন ভাই,

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যের উত্তর একটু দেরিতে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।

বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ইতালির সাথে তুলনা করলে :

ইতালির জনসংখ্যা ৬০,৩১৭,১১৬
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৯, ৪১৪ বা মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে আক্রান্তের রেট = (১৯৯, ৪১৪/ ৬০,৩১৭,১১৬)*১০০ = ০,৩৩%

যখন বাংলাদেশিরা এসেছিলো তখন আক্রান্তের সংখ্যা আরো কম ছিল। তাই আমার ধারণা মতে তখন সর্বোচ্চ ৫% আক্রান্ত হওয়ার কথা না। ০.১ -০,৩% আক্রান্তের রেট ধরলে ৬ লক্ষ প্রবাসীর মধ্যে ৬০০ - ১৮০০ জন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা। আর একজন ৪ জনকে আক্রান্ত করলে ২৪০০ - ৭২০০ আক্রান্ত রোগী হওয়ার সম্ভবনা । এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫,৯১৩ জন যা এই রেঞ্জের ভিতরেই পড়ে। শুধু প্রবাসী দ্বারা সরাসরি ১ লক্ষর মতন মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কথা বললে যে কেউই দেশে প্রবাসী দেখলেই আতংকিত হবেন।

এই আক্রান্ত স্বদেশীরা এরপরে হয়তো ভাইরাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বোঝা যায় আক্রান্তর সংখ্যা ১০০ এর পরে থেকে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পায়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ভালো না নিলে ওরস্ট দেশগুলোর মতন -ই বাংলাদেশে জ্যামিতিক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে ও আগামী মাসের শেষের ´দিকে ৫০- ৬০ হাজার আক্রান্ত হতে পারেন। আজকের পত্রিকাতে এটা নিয়ে একটা রিপোর্ট দেখলাম, দেশে ৩১ মে পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন - প্রথম আলো। বিশেষজ্ঞদের করা প্রজেকশনও আমার ১২-ই এপ্রিলে করা ফোরকাস্টিংয়ের সাথে অনেকটাই মিলে যায়।



অস্ট্রিয়া ও সুইডেনের (বিঃদ্রঃ সুইডেন এখন পর্যন্ত কোনো লকডাউন করে নি ) সাথে তুলনা করলে, বর্তমান পরিস্থিতেতে মোটামুটি ভালো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে হয়তো বাংলাদেশ মোট ২০ হাজারে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তর পর, কম করোনা রোগী শনাক্ত হবে এটা ফরকাস্ট করা যায় (উপরের চিত্র)।

দেশে করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ৩ টা ফ্যাক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

(১) টেস্টের রেট বাড়ানো
(২) ভালো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া
(৩) আক্রান্ত রোগীদের ভালো চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা

না করতে পারলে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ঘটনার সম্ভাব্যতা দেশের মানুষের ইমিউনিটি ও প্রাকৃতিক বৈচিত্রতার উপরেই ছেড়ে দিতে হবে। তখন আশীর্বাদের চেয়ে পরিস্থিতি অনেক জটিল হওয়ারই সম্ভবনা।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন নতুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.