নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2)- এর মূল উৎস এখনো রহস্যময়

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩৬



করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান বিশ্বে এখন একধরণের আতংক বিরাজ করছে। নিমেষেই তা মানুষ থেকে অন্য মানুষে ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাস পরিবারে করোনাভাইরাস আছে, তবে এ ধরণের ছয়টি ভাইরাস আগে পরিচিত থাকলেও এখন মানুষ যেটিতে সংক্রমিত হচ্ছে, সেটি নতুন। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুরো বিশ্ব উদগ্রীব। যদি ভাইরাসের উৎস সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তাহলে রোগটি মোকাবেলা করা অনেক সহজ হবে। তাই সবার মনে প্রশ্ন জাগছে, এর উৎস কী হতে পারে! এ নিয়ে নানা মতভেদ দেখা দিয়েছে। সঠিক উৎস অনুসন্ধানে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা -নিরীক্ষা চলছে। চলুন, এর সম্ভাব্য উৎস অনুসন্ধানে আমরা নিজেরাও একটু ভাবনার জগতে ডুব দেই ।

সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2 ) বা গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (Severe Acute Respiratory Syndrome CoronaVirus 2) হচ্ছে এক প্রকার করোনাভাইরাস যা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে ২০২০ সালে চলমান একটি বৈশ্বিক মহামারীর ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাই ভাইরাসটির আক্রমণে সংক্রামক ব্যাধিকে করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ বা কোভিড-১৯ (COVID 19) নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অনেকগুলো করোনা ভাইরাস জুনেটিক অর্থাৎ তারা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। প্রাথমিক ভাবে চীন সরকার সার্স-কোভ-২ বাদুড় থেকে চীনের উহান শহরের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে বলে প্রচারণা চালায়। এই প্রচারণায় তারা বলে এটি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে সামুদ্রিক মাছ পাইকারিভাবে বিক্রি হয় এমন একটি বাজারে থেকে ছড়িয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমদিকে সনাক্ত রোগীদের কেউই ঐ বাজারে যায় নাই এবং ঐ সময়ে সেখানে কোনো বাদুড়ও বিক্রয় হয় নাই।

সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের আণুবীক্ষণিক ত্রিমাত্রিক বহির্গঠন। সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন দ্বারা প্রকাশিত।



উপরের চিত্রে করোনাভাইরাসের আণুবীক্ষণিক ছবির রূপক ডায়াগ্রাম থেকে আমরা দেখতে পাই এটি মূলত এনভেলপ প্রোটিন (E), নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিন (N), মেমব্রেন-গ্লাইকো প্রোটিন (M) , স্পাইক প্রোটিন (S ) ও আরএনএ (RNA) দ্বারা গঠিত। স্পাইকের উপরের অর্ধাংশ কে S1 ও নিচের অর্ধাংশ কে S2 বলা হয়। ভাইরাসের গায়ে ব্যাঙের ছাতার মত দেখতে স্পাইক প্রোটিন (S ) গুলোর কারণে ভাইরাসটি অনেকটা মুকুটের মতন দেখায়। 'করোনা' শব্দটির অর্থ হচ্ছে মুকুট। এই S - প্রোটিনের একটি বিশেষ পৃষ্ঠতল ব্যবহার করে ভাইরাসটি জীবন্ত কোষের অ্যানজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম-২ (Angiotensin-Converting Enzyme 2) বা এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টরের যুক্ত হয়ে মধ্যে মানব কোষে প্রবেশ করতে পারে (নিচের চিত্র )।



বোঝার জন্য আমরা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে অনেকটা মেইল কানেক্টর (male connector ) ও আমাদের কোষে এসিই-২ রিসিপ্টর কে ফিমেইল কানেক্টরের (female connector) সাথে তুলনা করতে পারি (নিচের চিত্র)।


সহজভাবে সার্স-কোভ-২ বোঝার জন্য, আমরা নিচের ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিও দেখতে পারি :



করোনাভাইরাসের অণুগুলো যখন আমাদের চোখ, নাক বা মুখের ভিতরে প্রবেশ করে, তখন ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনগুলো (S) আমাদের কোষ-পৃষ্ঠের এসিই-২ (ACE-2) রিসেপ্টারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। এসিই-২ (ACE-2) রিসেপ্টররা আমাদের শরীরজুড়ে বিভিন্ন কোষে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফুসফুসের এলভিওলার কোষে এসিই-২ (ACE-2) প্রচুর পরিমানে রয়েছে । ফলে ভাইরাসটি ফুসফুসের এলভিওলার কোষে প্রবেশ করে মানব দেহের শ্বাসযন্ত্রে রোগলক্ষণ তৈরী করতে পারে। একবার ভাইরাস প্রবেশের পরে, এটি দেহকোষকে একটি ভাইরাস কারখানায় পরিণত করে, নিজের কয়েক মিলিয়ন-মিলিয়ন ভাইরাল-কপি তৈরি করে- যা পরে শ্বাসক্রিয়া বা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত করে। কাজেই, S - প্রোটিনের গঠন নিখুঁত ভাবে জানতে পারলে চিকিৎসদের ভাইরাস সংক্রমণের ফলে রোগটি নির্ণয় করতে সুবিধা হবে এবং তা টিকা ও জীবাণুনাশক ঔষুধ তৈরি করতেও সাহায্য করবে ।

বাদুড়ে পাওয়া ZC45 ও ZXC21 করোনাভাইরাসের সাথে সার্স-কোভ-২-এর প্রোটিন সিকিউন্স তুলনা করলে দেখা যায় সার্স-কোভ-২ বাদুড়ে করোনাভাইরাসের সাথে সামগ্রিক ভাবে প্রায় ৯৫% সাদৃশ্য। যেখানে E - প্রোটিন ১০০%, N -প্রোটিন ৯৪%, M - প্রোটিন ৯৮.৬%, S - প্রোটিনের S2 অংশ ৯৫% ও S1 অংশ ৬৯% সাদৃশ্যপূর্ণ। আর এই S1 অংশের মাত্র ৬৯% সাদৃশ্যই প্রমান করে ভাইরাসটি বাদুড় থেকে আসে নি। এছাড়া কোনো প্রাকৃতিক ভাবে মিউটেশন হয়ে বিবর্তন হলে সম্পূর্ণ জিনোমেই পরিবর্তন হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে নির্দিষ্ট ভাবে S1 অংশে বড় পরিবর্তন লক্ষণীয়।

যে করোনা ভাইরাস থেকে ২০০৩ -এ সার্স মহামারী হয় তার সাথে সার্স-কোভ-২ -এর ৮৬% সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এখান থেকে বলা যায় যে সার্স করোনাভাইরাস ও সার্স করোনাভাইরাস-২ -এর উৎস ভিন্ন। এছাড়া গবেষণায় দেখা যায়, সার্স ভাইরাসের তুলনায় সার্স-কোভ-২ -এর S - প্রোটিনের মানবকোষের আবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা ১০-২০ গুন্ বেশি।

সার্স-কোভ-২-এর S - প্রোটিনের সাথে প্যাঙ্গলিনে সংক্রমিত করোনা ভাইরাসের S - প্রোটিনের ৯৯% গঠনগত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে প্যাঙ্গোলিনের দেহে বিদ্যমান করোনা ভাইরাসের সাথে সার্স-কোভ-২ এর সাদৃশ্য প্রায় ৯০% মাত্র। প্যাঙ্গলিনে পাওয়া করোনা ভাইরাসে ফিউরিন ক্লিভেজ সাইটও নাই। এই থেকে ধারণা করা হয় বাদুড়ে ও প্যাঙ্গলিনে পাওয়া ২ প্রকার করোনা ভাইরাসের রিকম্বিনেশনে বা শংকরণে সার্স-কোভ-২ তৈরী হতে পারে। কিন্তু এই শংকরণের জন্য এই ২ প্রকার করোনা ভাইরাস অবশ্যই একটি জীবে একই সময়ে সংক্রমণ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কোন প্রজাতির জীবে এই শংকরণ ঘটে বা ঘটানো হয়? এবং কেমন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।

উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির চাইনিজ ব্যাট ওম্যান ডঃ শি ঝেংলি

৩রা ফ্রেব্রুয়ারি ২০২০ এ Nature আর্টিকেলে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর ও চাইনিজ ব্যাট ওম্যান নামে খ্যাত ডঃ শি ঝেংলি গ্রূপের ভাইরোলজিস্টরা দাবী করেন, বাদুড়ে পাওয়া করোনাভাইরাস RaTG13 সার্স-কোভ-২-এর সাথে ৯৬.২% সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু পরে দেখা যায় RaTG13 - এর রিয়াল কোনই স্যাম্পল নাই।এটা শুধু মাত্র খাতা কলমেই পাওয়া যায় এবং ডাটা গুলো কপি করা হয়েছিল BtCoV/4991 করোনাভাইরাস থেকে, যেখানেও সামান্য কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল । ২০১৫ সালে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির অন্যতম প্রধান গবেষক ডঃ শি ঝেংলি Nature Medicine - এর একটি জার্নালে বলেন, করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে প্রতিস্থাপন করলে ভাইরাসটি মানুষের কোষের এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টরের এর সাথে আবদ্ধ হয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারবে। উহানে ঘটা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একই ধরণের হওয়ায়, অনেকেই ধারণা করে যে ডঃ শি ঝেংলি সার্স-কোভ-২ তৈরী হওয়ার গোপন তথ্য জানেন অথবা তার ল্যাবে সার্স-কোভ-২ তৈরী হয়ে থাকতে পারে। ভাইরোলজিস্টরা সম্ভবতঃ রিকম্বিনেশন পদ্ধতিতে স্পাইক প্রোটিনকে এমনভাবে পরিবর্তন করছে যেন খুব সহজেই মানুষের কোষের এসিই-২ (ACE-2) রিসেপ্টরের সাথে আবদ্ধ হয়ে ফিউশন ঘটাতে পারে । এছাড়াও ভাইরাসকে অতিমাত্রায় প্যাথজেনিক করার জন্য স্পাইকের S1 ও S2 অংশের এর মাঝে ফিউরিন ক্লিভেজ সাইট সন্নিবিষ্ট করেছে। ফলে তৈরী হয়েছে সার্স-কোভ-২-এর মত মারাত্মক ভাইরাস যা দুর্ঘটনাবশতঃ বৈশ্বিক মহামারী সৃষ্টি করেছে। অথবা চীনা সরকার করোনাভাইরাস-ভিত্তিক জীবাণু বোমা তৈরী করার জন্য এইসব জীবাণু সংগ্রহ করছে। কোনটি সত্য? আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখতে পারেন!

ইউটিউব ভিডিও :

Sky News : করোনাভাইরাস সম্ভবত উহান ল্যাবে 'জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং' পরীক্ষায় তৈরী হয়েছে (Jun 1, 2020)




Cassiopeia Project: সিনথেটিক পোলিও ভাইরাস অনেক আগেই ল্যাবে তৈরী সম্ভব হয়েছে। এই টেকনোলজিতে নতুন ভাইরাস তৈরী সম্ভব। (Jul 25, 2008)



কৃতজ্ঞতাঃ
১. ছবি: আন্তর্জাল
২. Alexandre Hassanin-"Coronavirus origins: genome analysis suggests two viruses may have combined"
৩. Lawrence Sellin, "Explained: Scientific indications that show COVID-19 is man-made"
৪. Nerd Has Power Blog , "Scientific evidence and logic behind the claim that the Wuhan coronavirus is man-made"

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




করোনাভাইরাসে মরছে মানুষ চলছে লাশের বানিজ্য:

১। ব্রিটিশ-মার্কিন একটি সিগারেট সংস্থার দাবি, তামাক পাতার প্রোটিন থেকে তারা নোভেল করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করেছে। বিশ্ব জুড়ে ১১০টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। গোটা দশেক মানুষের দেহে পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছেছে। - কিন্তু হু-র সেই তালিকায় সিগারেট সংস্থার সম্ভাব্য প্রতিষেধকটির উল্লেখ নেই।

২। দেশের বস্ত্র খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করেছে। এই কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না। যদি কোনোভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র ১২০ সেকেন্ডে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে। - এই প্রতিষ্ঠান সমগ্র জীবন ব্যবসা করে এখন প্রতারণার পথ বেছে নিয়েছে।

৩। করোনা ঠেকাতে কার্যকর হিসেবে পরিচিত কেএন-৯৫ মাস্ক। জানা যায়, মাস্কটিতে ‘এন’ অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে ‘নট রেজিস্ট্যান্ট টু ওয়েল’ বোঝাতে। কারণ এই মাস্ক শুধু বস্তুকণা ঠেকাবে, কোনো তরল নয়। সঙ্গে ‘নাইনটি ফাইভ’ জুড়ে দেয়ার কারণ হলো, এই মাস্ক বাতাসে ভাসমান ৯৫% কণাকেই ছাঁকতে সক্ষম। - তাহলে বাকি ৫% ভাসমান কণাকে কে ছাঁকবে

আমাদের দেশে সাংবাদিকগণ গাঞ্জা খেয়ে লিখতো সেই ১৯৪৭ থেকে এখন বাংলাদেশে যতো ধরণের ড্রাগস আছে সব সাংবাদিকগণ সেবন করেন। পত্রিকার বিজ্ঞাপণ ব্যতিত সংবাদ পড়া ছেড়ে দিয়েছি প্রায় ৩০ বছর। কারণ একটাই সাংবাদিক সব ড্রাগস খাদক।

ধন্যবাদ সুপারডুপার ভাই। ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:০৫

সুপারডুপার বলেছেন:



মাহমুদ ভাই,

প্রথম মন্তব্যের জন্য নেন একটা ফ্রেশ করোনা ফুল ! এই মাত্রই গার্ডেন থেকে তুলে আনলাম।



আপনার সব গুলো পয়েন্টের পরিষ্কার ভাবে একটাই উত্তর 'করোনা বানিজ্য'

ফ্রান্সের একটি গবেষণায় দাবি করা হয় নিকোটিন মানব কোষের এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টর কে ব্লক করে করোনা ভাইরাসের S - প্রোটিন কে সংযোগ হওয়া রোধ করতে পারে। কিন্তু আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় নিকোটিন বরং এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টরকে উদ্দীপিত করে ভাইরাস কে আরো সহজে মানব কোষে প্রবেশ নিশ্চিত করতে পারে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রাথমিক ভাবে ফুসফুসে আক্রমণ করে , আর ধূমপায়ীর ফুসফুস খুবই দুর্বল হয়। ফলে ধূমপায়ী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু আশংকা অনেক বেশি। (বিস্তারিত : ডয়েচে ভেলে : Does nicotine help against the new coronavirus? )তাই সিগারেট কোম্পানির ঐ ধরণের দাবি ভিত্তিহীন। এটা শুধুমাত্র ভুল ধারণা প্রচার করে তাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির চেষ্টা।

অন্য গুলো যে প্রতারণা তা যেকোন সুস্থ -স্বাভাবিক মানুষই বুঝতে পারবে। আর ড্রাগস নিলে সুস্থ - স্বাভাবিক থাকে কিভাবে!

দেশে করোনা বানিজ্যর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো অতি সংক্ষেপে মন্তব্যে ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

২| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


করোনা ভাইরাস নিয়ে চীন সরকার ও আমেরিকান আলদাভাবে ইনভেষ্টিগেশন করছে; এটা নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিতে পারে।

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:

যদি আমেরিকা রিকম্বিন্যান্ট সার্স-কোভ-২ তাদের নিজেস্ব ল্যাবে তৈরিতে সফল হয়, তখন সত্যিই অনেক জটিলতা দেখা দিবে।

শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেব , মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

৩| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশে সাংবাদিকগণ গাঞ্জা খেয়ে লিখতো সেই ১৯৪৭ থেকে এখন বাংলাদেশে যতো ধরণের ড্রাগস আছে সব সাংবাদিকগণ সেবন করেন। পত্রিকার বিজ্ঞাপণ ব্যতিত সংবাদ পড়া ছেড়ে দিয়েছি প্রায় ৩০ বছর। কারণ একটাই সাংবাদিক সব ড্রাগস খাদক।


ঠিকই বলেছেন।

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:২৪

সুপারডুপার বলেছেন: মাহমুদ ভাই সাংবাদিকদের খুব কাছে থেকে দেখে এসেছেন। উনার কথা এই জন্য সঠিক হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। আপনিও পত্রিকা অফিসে দীর্ঘদিন ছিলেন। বুঝতেই পারছেন ....

রাজীব নুর ভাই মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

৪| ১৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৯

কলাবাগান১ বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ,
"তামাক পাতার প্রোটিন থেকে তারা নোভেল করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করেছে।"

এখানে তামাক পাতা কে একটা ফ্যাক্টরি হিসাবে ইউজ করা হয়েছে শুধু প্রতিষেধক উৎপাদন করার জন্য

২৩ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

সুপারডুপার বলেছেন:



ঠাকুরমাহমুদ ভাই মনে হয় আর এই পোস্টে আসেন নি।

আজকে Preprints জার্নালে (লিংক) চোখে পড়লো কানাডার বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন, গাঞ্জার ক্যানাবিডিওল (সিবিডি) কোষের এসিই -২ রিসেপ্টর কে মডুলেট্ করে সার্স-কোভ-২ এর প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস করে। এটা কি সঠিক নাকি কানাডার গাঞ্জাখোরদের অনুপ্রেরণার জন্য, তা একটু ভাবনারই বিষয়। কিছুদিন পর হয়তোবা দেখা যাবে গাঞ্জা থেকেও সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে।

পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন কলাবাগান ভাই।

৫| ১৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:১৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: করোনা নিয়ে সারা বিশ্বে বানিজ্য যুদ্ধ চলবে যা আমি প্রথম থেকে বলে আসছি
বিষয়টি এখন আরও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে ।

.....................................................................................................
এই যুদ্ধ ধনীকে গরীব আর গরীবকে ধনী বানাতে পারে ।
করোনা ভাইরাস যুদ্ধে ইসরাইলের গোপন ভূমিকা আছে বলে কেউ কেঊ সন্দেহ
করছে, হয়তোবা ঠিক সময়ে তার বিস্ফোরন ঘটবে ।

১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

সুপারডুপার বলেছেন:


স্বপ্নের শঙ্খচিল ভাই আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

সত্য জানতে হলে আমাদেরকে সবসময় মূল উৎসতেই ফিরে যেতে হয়। ভাইরাসটি উৎপন্ন হয়েছে চীনের উহানে যেখানে একটি বিখ্যাত ভাইরাসবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানও (Wuhan Institute of Virology)আছে। এটি চীনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে শুধুমাত্র ভাইরাসবিজ্ঞান নিয়ে মৌলিক গবেষণা চালানো হয়। ২০০৫ সাল থেকেই তারা করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে। বাণিজ্যিক স্বার্থে অনেক গবেষক ষড়যন্ত্র বলেই চালিয়ে দিলেও, সেখানে একটি নতুন ভাইরাস ইঞ্জিনিয়ারিং হওয়ার সম্ভবনা পরিষ্কার। মূল উৎস যেহেতু চীনেই সেহেতু চীনের ভূমিকায় এখানে মুখ্য , ইসরায়েল বা অন্যান্য দেশের ভূমিকা গৌণ।

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

৬| ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তরের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

সুপারডুপার বলেছেন: পোস্টে আপনার আবার ফিরে আসার জন্য আমিও অনেক আনন্দিত।

৭| ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিবর্তন হটাৎ করে ঘটার কথা নয় - করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্পাইকে এতো অল্পসময়ে পরিবর্তন ঘটে এই মারাত্মক কোভ-২ এর সৃষ্টি ঘটেছে বলে মনে হয় না। বরং কেউ ঈশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ল্যাবে এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে থাকতে পারেন। আর ল্যাব থেকে এই রূপান্তরিত ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া হয়তো দুর্ঘটনাবসত হতে পারে।

১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:২৫

সুপারডুপার বলেছেন:



স্বামী বিশুদ্ধানন্দ দাদা, আপনার বিশুদ্ধ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনি ঠিকই বলেছেন , "বিবর্তন হটাৎ করে ঘটার কথা নয় - করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্পাইকে এতো অল্পসময়ে পরিবর্তন ঘটে এই মারাত্মক কোভ-২ এর সৃষ্টি ঘটেছে বলে মনে হয় না। "

অতীতে আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের স্পাইক গুলোর S - প্রোটিন মানব কোষের এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার প্রবণতা খুব কম। ফলে ঐ ভাইরাসগুলো সার্স-কোভ-২ -এর মত বৈশ্বিক মহামারী ঘটাতে পারে নি। কিন্তু সার্স-কোভ-২ -এর স্পাইক গুলোর পৃষ্ঠতল পরিবর্তিত হওয়াতে S - প্রোটিন মানবকোষের এসিই-২ (ACE-2) রিসিপ্টরের সাথে আবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা (affinity) অন্যান্য কোরোনাভাইরাসের তুলনায় ১০-২০ গুন্ বেশি। ফলে "S - প্রোটিন + এসিই-২ রিসিপ্টর" ফিউশনের গতি ত্বরান্বিত হয়ে ভাইরাস গুলো দ্রুত মানবকোষে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে । এতে মানুষও যেমন দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে , তেমনি মানব কোষ দ্রুত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুও অল্প সময়েই হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত গবেষণায় জানা যায় যে, কোভিড-১৯ কেসে করোনাভাইরাসের স্পাইকের প্রোটিন ও জিনোম এমন ভাবে পরিবর্তন হয়েছে যেন ভাইরাসটি মানব কোষে সহজেই সংযুক্ত হতে পারে। প্রাকৃতিক বিবর্তনে অল্প সময়ে এই পরিবর্তন ঘটার কথা না। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে বিবর্তন হলে সবগুলো প্রোটিন ও জিনোমেই পরিবর্তন হওয়ার কথা। কিন্তু সার্স-কোভ-২-এ নির্দিষ্ট ভাবে স্পাইকের উপরের অর্ধাংশে বা S1 অংশে খুব বড় পরিবর্তন লক্ষণীয়। ল্যাবে তৃতীয় কোনো হোস্ট ব্যবহার করে রিকম্বিনেশন প্রসেসে স্পাইকগুলোর এমন পরিবর্তন দ্রুত সম্ভব হতে পারে। কিন্তু কোন প্রজাতির জীবে অথবা টেস্টটিউবে (হোস্ট ) এই রিকম্বিনেশন ঘটে বা ঘটানো হয়? এবং কেমন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।

কোন ঈশ্বর এই কাজটি করতে পারে তা নিয়ে ঈশ্বরে ঈশ্বরে কাঁদা ছুড়াছুড়ি অনেকদিন ধরেই চলছে। অথবা হতে পারে এটা কোনো দূর্ঘটনা। কিন্তু ঈশ্বর কোনো দূর্ঘটনা ঘটালে আদো কি আমরা সত্যটি সহজে জানতে পারবো?

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

৮| ১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভাইরাসবিজ্ঞান নিয়ে মৌলিক গবেষণা চালানো হু র অনুমোদন ছিল আর
এর পিছনে আমেরিকার অর্থায়ন ছিল, যে কারনে ট্রাম্প যখন হুমকি দিলো
হু কে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে তখন তারা তা রাজী হয় নাই ।

........................................................................................................
বিশ্বের সকল উন্নত দেশে এরকম ভাইরাসবিজ্ঞান নিয়ে মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান
আছে যা, হু কর্তৃক মনিটর করা হয় । সুতরাং প্রকৃত সত্য কি জানতে আমাদের হয়ত আরও
সময় লাগবে ।

১৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

সুপারডুপার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, 'সুতরাং প্রকৃত সত্য কি জানতে আমাদের হয়ত আরও সময় লাগবে'।

মানুষের জীবন নাশের বিজ্ঞানের সাথে যখন রাজনীতি ও অর্থনীতি জড়িয়ে যায় তখন ব্যাপারটা আসলে খুবই ভয়ংকর। এইরকম পরিস্থিতিতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে প্রকৃত সত্য গোপন রাখতে।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৭

সুপারডুপার বলেছেন:



মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন কোন জীবাণুর আচরণ নিয়ে গবেষণার কাজে - যেখানে বিজ্ঞানীরা দেখতে চান ভবিষ্যতে কোন জীবাণুর জেনেটিক গঠন কীভাবে বদলাতে পারে, যাতে করে তা প্রতিরোধের উপায় বের করা যায়। ভাইরাস নিয়ে মৌলিক গবেষণার উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে নিরাপত্তার জন্য বিএসএল-৪ {biosafety level 4 (BSL–4)} ব্যবহার করা হয়। আর সর্বোচ্চ ধাপ অর্থাৎ বিএসএল-৪ ব্যবহার করা হয় সেইসব গবেষণাগারে যেখানে এমন বিপদজনক জীবাণু নিয়ে কাজ করা হয় যার ক্ষেত্রে চরম সতর্কতার প্রয়োজন। এই চরম বিপদজনক জীবাণুর মোকাবেলায় টিকা বা চিকিৎসা প্রায় নেই।

ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্র কূটনৈতিক তারবার্তা থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে ২০১৮ সালে আমেরিকার বিজ্ঞান বিষয়ক কূটনীতিকদের চীনে উহানের ওই ভাইরাসবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কয়েকবার সফরে পাঠানো হয়।ওই কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে দু'টি সতর্কবার্তা পাঠান যাতে ওই ল্যাবরেটরিতে নিরাপত্তার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় আরও বলা হয়, ওই কর্মকর্তারা উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি নামে ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দুর্বলতার ব্যাপারে চিন্তিত, এবং এ ব্যাপারে তারা আরও সাহায্য চেয়ে তারবার্তা পাঠান। এতে আরও বলা হয় ওই ল্যাবরেটরিতে বাদুড়ের করোনাভাইরাস নিয়ে যে গবেষণা চলছে তার থেকে সার্সের মত মহামারির ঝুঁকি নিয়ে ওই কূটনীতিকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। (তথ্যসুত্র: বিবিসি বাংলাঃ করোনাভাইরাস: জীবাণু কি সত্যিই গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল - পল রিনকন )

বৈজ্ঞানিক (পোস্টে বিস্তারিত) ও কূটনৈতিক উভয় ভাবেই পরিষ্কারভাবে ধারণা করা যায় সার্স-কোভ-২ উহানের ওই ল্যাবে তৈরী হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি, যা দূর্ঘটনা বশতঃ ল্যাব থেকে বেরিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। হুও হয়তো এই বিষয়ে জানে।

৯| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

সোহানাজোহা বলেছেন: করোনা ও সার্স নিয়ে সম্ভবত আর নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। যা বলবো দেখা যাবে আমার আগে এই একই কথা অসংখ্যজন বলেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা সমাধানের।

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০০

সুপারডুপার বলেছেন:



সোহানাজোহা আপা , আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

যা কিছু সামনে আসার সম্ভবনা তাহাই নতুন, এই কথা চিন্তা করেই পোস্টটি দেওয়া। আমার এই পোস্টের মত কোনো পোস্ট বাংলা ব্লগে এমনকি বাংলা সংবাদপত্রেও এতো বিস্তারিত আমার চোখে এখনো পড়ে নি। আপনি যদি পড়ে থাকেন, কাইন্ডলি আমাকে লিংকটি জানাবেন। আর সমাধানের জন্য সঠিক উৎস জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আপনি আপনার ভিন্ন বিষয়ের উপর রিসার্চেও প্রফেসরের কাছে থেকে এই কথা শুনে থাকতে পারেন।

করোনা ভাইরাস যেহেতু বৈশ্বিক মহামারী ঘটিয়েই চলেছে, সেহেতু আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আসতেই থাকবে। সেই অনুসারে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদক্ষেপ নিয়ে আগাম সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও ভাইরাসটি মানুষের জীবন নাশের সাথে জড়িত বলে, পুরান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনরায় উপস্থাপনের মাধ্যমে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া ভালোই বলবো। কারণ , 'Repetition is the mother of all learning' ।

=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

১০| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ২:১৯

সোহানাজোহা বলেছেন:




ভাই সুপারডুপার, আপনার লেখা সম্পূর্ণ ইউনিক।

ভাই আমি কি মন্তব্য করবো যা বলবো মনে হয়েছে তাই কপি মন্তব্য হবে, তাই বলেছি “করোনা ও সার্স নিয়ে সম্ভবত আর নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। যা বলবো দেখা যাবে আমার আগে এই একই কথা অসংখ্যজন বলেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা সমাধানের।” আমার মন্তব্যে।

আপনার লেখা খুবই ভালো হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।



১৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন:



বুঝতে পেরেছি আপা, আপনি কমেন্ট ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরী করতে চাচ্ছেন না :-) :-) :-) ঠিক আছে তাহলে নতুন কিছু বলেন। সার্স-কোভ-২ কি প্রাকৃতিক ভাবে নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে তৈরী হওয়ার সম্ভবনা? এই বিষয়ে আপনার মতামত কি ?

ভালো থাকুন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা ...

১১| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: সার্স করোনা ভাইরাস-২ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মাঝে যে দ্বন্ধ তা অনেকটাই রাজনৈতিক।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তরাস্ট্রের কাছে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আহবান জানিয়েছিলো যে এটি যে চীনের ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে যা ট্রাম্প দাবি করে আসছেন।কিন্তু যুক্তরাস্ট্র তা উপস্থাপন করেনি।ভাইরাল জেনোম অ্যানালাইসিস করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছা প্রায় অসম্ভব।

কিন্তু আমার অন্য একটি বিষয় মনে হয় যেটা ষড়যন্ত্র ত্বত্ত্বের আলোচনার কারণে চাপা পড়ে গেছে।এরকম একটি ফ্লু মহামারী ২০১৯ সাল নাগাদ ছড়াতে পারে সে বিষয়ে একটা আগাম সতর্কবার্তা ছিলো সময়মত মূল্যায়ন করা হয়নি।

সোলার সাইকেল একটা সাধারণ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।কিন্তু সোলার মিনিমাম এর সময় সময় দীর্ঘায়িত হলে সেটাকে ‘গ্র্যান্ড সোলার মিনিমাম’ বলে।গত বছর সূর‌্য সোলার মিনিমাম থেকে বের হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সেটা এবছরও বের হয়নি।ফলে বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য ‘গ্র্যান্ড সোলার মিনিমাম’ এর বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।সোলার মিনিমামের সময় সূর‌্য থেকে আলট্রাভায়োলেট রে কম বের হয়।আলট্রাভায়োলেট রে পৃথিবীর জন্য জীবাণুনাশক। এখন চলমান সোলার মিনিমাম জীবাণুর বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।গত বছরে ডেঙ্গুর এপিডেমিক এবং এ বছরে করোনা মহামারী বিষয়টিকে নিয়ে ভাবার অবকাশ তৈরি করেছে।তাছাড়া গ্র্যান্ড সোলার মিনিমাম ও ম্যাক্সিমামের সময় প্রাকৃতিক দূযোগ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে (যদিও ক্যাজুয়াল রিলেসন করা সম্ভব হয়নি)।চলমান সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’কে বলা হচ্ছে ১০০ বছরের ইতিহাসে তীব্র মাত্রার ‘প্রি-মনসুন’ সাইক্লোন।এদিকে পঙ্গপালের উপদ্রবও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর অনেকবছর পর পূর্ণকালীন শীতকাল বিরাজ করেছে ঢাকাসহ সারাদেশে।এতগুলো বিষয় একসাথে ঘটছে।এর পিছনে কোন কমন কারণ আছে কিনা তা নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে।যদিও অধিকাংশ বিজ্ঞানী সোলার মিনিমামের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন ও পৃথিবীতে এর ক্ষতিকর প্রভাবের সম্পর্কটি উড়িয়ে দিচ্ছেন।আপনি যেহেতু বৈজ্ঞানিক আর্টিকেল লিখছেন।এ বিষয়ে একটা আর্টিকেল উপস্থাপন করতে পারেন। ‘সোলার মিনিমাম’ কে ‘সোলার লকডাউন’ নাম দিয়ে মিডিয়াতেও নানা খবর বের হচ্ছে।

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

সুপারডুপার বলেছেন:



মবীন ভাই ,

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফিডব্যাকের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনি বলছেন, ভাইরাল জেনোম অ্যানালাইসিস করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছা প্রায় অসম্ভব।

- ক্রমবিন্যাস তুলনা করার ক্ষেত্রে , জিন অথবা প্রোটিন ক্রমবিন্যাসগুলোর সাথে তুলনা করা যায়। কিন্তু ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি প্রায় কোনো পার্থক্য আনে না। কারণ, কার্যত ভাইরাসের ক্ষেত্রে পুরা জেনোম স্থানান্তরিত হয়ে সিঙ্গেল পলিপ্রোটিন উৎপন্ন হয়। এরপরে দীর্ঘ এই পলিপ্রোটিন ভেঙে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রোটিন সেট হয়। এই পোস্টে মূলত প্রোটিনকে তুলনা করা হয়েছে। এখান থেকে বোঝা যায় প্রোটিন অ্যানালাইসিস করে অনেকটা সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। জেনোম অ্যানালাইসিসের কথা চিন্তা করলেও, স্টাডি থেকে দেখা যায় সার্স-কোভ-২ -এর জিন ক্রমবিন্যাস বাদুড়ে ও প্যাঙ্গোলিনে পাওয়া করোনা ভাইরাসের সাথে মিল নাই। এটা থেকেও বোঝা যায় তৃতীয় কোনো হোস্ট জড়িত। এছাড়াও যদি কোন দেশ ল্যাবে তৃতীয় কোনো হোস্ট ব্যবহার করে রিকম্বিনেশন প্রসেসে সার্স-কোভ-২ -এর মতন ভাইরাস তৈরী সম্ভব করতে পারে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। আমি অবশ্য এই ফিল্ডের রিসার্চার না। মূলত এটা আমার কিছু স্টাডি থেকে ধারণা করলাম। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা ও ভাইরোলজিস্টরা এই বিষয়ে বেশি ভালো বলতে পারবেন।

এই কোভিড - ১৯ ঘটনায় সোলার সাইকেলের প্রভাব থাকতে পারে , এই রকম একটি নতুন আইডিয়ার জন্য আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ। এটা নিয়ে আমি ওই ভাবে স্টাডি করি নি। জবের পর অবসর সময়ে স্টাডি করে দেখবো। যদি চলমান কোনো ঘটনায় এটার প্রভাব আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়, পোস্ট লেখা যেতে পারে। তবে, সবসময় বৈজ্ঞানিক আর্টিকেল লেখা আমার টার্গেট না। আপনার যেহেতু এই বিষয়ে স্টাডি আছে , আপনি সময় করে একটি পোস্ট দিতে পারেন। আমি না হয় এন্টিকমেন্ট বা পরে একটি এন্টিপোস্ট দিলাম :-) :-) :-)

নিরন্তর শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন সব সময়।

১২| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার মনে হয় না এভাবে স্পাইক প্রোটিন চেন্জ করা সম্ভব। যদি এভাবেই সম্ভব হতো তাহলে অনেক ভাইরাসের এন্টিডোট বানানো সহজ হতো কারন আপনি তখন জানবেন কিভাবে শুধু সেই প্রোটিন এডিট করা যায়। ক্রিসপার টেকনোলজি যদিও সেরকম আশা দেখায় কিন্তু সেটাও এতটা এডভান্স হয়নি। প্রথম প্রথম যে ক্যান্সারের নিরাময় বলে দাবী করা হয়েছিলো সে পদ্ধতি অন্যদের জন্য কাজ করে নাই।

যদিও আমি এই লাইনের লোক না তারপরও যেটা বুঝি ভাইরাসের এমন পাল্টানোর সক্ষমতা আছে। কারন বিবর্তন সত্য এবং আমাদের দেশে সামান্য ই কলি থেকে শুরু যক্ষ্মা বা টিটেনাসের জীবানু দিন দিন এতটাই এন্টিবায়োটিক নিরোধী হচ্ছে যে এগুলোর নিরাময়ে আসলে প্রচলিত ওষুধ কাজ করবে না। এসবের কারনে অনেক শিশুও মারা যায় যদিও এসব বিষয়ে খুব ভালো কোনো সমীক্ষা নেই।

আর চীন যদি তাই করতো তাহলে চীনের যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হলো সেটা তো তাদের বিপরীতে। আর ছোট ছোট দেশ যদি তার ঋন দিতে অস্বীকার করে তাহলে সে কার কাছে যাবে? আমেরিকার টাকা মারাকান কঠিন কিন্তু চীন তো তেমন কেউ না।

তারপরও এগুলো আমার অনুমান

২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন:



উদাসী স্বপ্ন ভাই মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

অন্যান্য করোনাভাইরাসের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, মানুষের কোষের এসিই-২ রিসিপ্টরের সাথে স্পাইক গুলো খুব সহজে কানেক্ট হওয়ার জন্য সার্স-কোভ-২-এর S1- প্রোটিন বিশেষ ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক বিবর্তেনেই এই পরিবর্তন হয়, তবে এত দ্রুত S1- প্রোটিন পরিবর্তন হওয়ার কথা না।

আমেরিকার ও চীনের মাঝে সার্স-কোভ-২ এর বিস্তার ঘটানো নিয়ে যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে এটাও আমার মতে যুক্তিযুক্ত। কারণ, সার্স-কোভ-২ এমন জায়গা থেকে ছড়িয়েছে সেখানে ভাইরাস নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য চীনের বিখ্যাত উহান ভাইরাসবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান [Wuhan Institute of Virology (WIV)] ও উহান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র [Wuhan Center for Disease Control and Prevention (WHCDC)]- এর ল্যাব আছে । সীফুড মার্কেট থেকে WIV মাত্র ১২ কিঃমিঃ ও WHCDC মাত্র ২৮০ মিঃ দূরে। নিরাপত্তার জন্য WIV -এ বিএসএল-৪ {biosafety level 4 (BSL–4)} ও WHCDC -এ বিএসএল-২ {biosafety level ২ (BSL–২)} ব্যবহার করা হয়। WIV -এ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাইরাস ব্যাংক আছে যেখানে ১,৫০০ এর বেশি ভাইরাস স্ট্রেইন সংরক্ষিত আছে ও ২০০২-০৩ এর মহামারীর জন্য দায়ী সার্স-কোভ এখানে সংরক্ষন করা হয়। WHCDC-এ প্রথম সার্স-কোভ-২ চিহ্নিত করা হয় এবং WHCDC এর খুব কাছে Union Hospital এর ডাক্তাররা প্রথমদিকে সার্স-কোভ-২ দ্বারা আক্রান্ত হয়। যদি সার্স-কোভ-২ প্রাকৃতিক ভাবেই হয়, কেন এমন একটি জায়গা থেকে উৎপন্ন হলো যেখানে ২টি ভাইরাসবিজ্ঞান গবেষণার ল্যাব আছে ! যে সীফুড মার্কেট থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে গুজব রটানো হচ্ছে সেই মার্কেটটিও ওই দুটি গবেষণাগারের নিকটবর্তী। কূটনৈতিক বিচারেও পরিষ্কার ধারণা করা যায় WHCDC অথবা WIV -এর ল্যাবের যেকোন একটি থেকে নিরাপত্তাজনক ত্রুটির কারণে সার্স-কোভ-২ ছড়িয়ে পড়তে পারে । কারণ ২০১৮ সালে WIV সফর করে আমেরিকার বিজ্ঞান বিষয়ক কূটনীতিক কর্মকর্তারা ল্যাবটির নিরাপত্তার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও WHCDC তুলনামূলক কম নিরাপত্তার বিএসএল-২ ব্যবহার করে। আর সম্ভবত সার্স-কোভ-২ এর লিকিং চীনের অনিচ্ছাকৃত।

ভালো থাকবেন উদা ভাই।

১৩| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা জানিনা এবং এটাও জানিনা কবে এর থেকে মুক্তি পাবো?

২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:০৮

সুপারডুপার বলেছেন: মুক্তি তখনই মিলবে যখন আমাদের কোষের করোনার প্রতি প্রেমাকর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। ভালো থাকবেন শায়মা আপা। অনেক অনেক শুভকামনা ...

১৪| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শায়মা আপা, মুক্তি না পেলেও ওষুধ পেয়ে যাবেন। সমস্যা হলো এই জীবানুর ওষুধ থাকলেও এর ফলে সৃস্ট বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি একটা ভয়াবহ চ্যালেন্জ এবং তার জন্য দরকার একটা ভ্যাক্সিন যেটা আসতে কমসে কম বছর খানেক।

তাই ততদিন স্বাস্হ্য সংস্খার বেসিক নীতিমালা অনুসরন জরুরী।

এখন তো বাংলাদেশে আবার ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হবে। মরার ওপর খরার ঘা

১৫| ২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখন দোয়া করতে হবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যেন এই ভাইরাস বিলুপ্ত করেন।

২২ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৭

সুপারডুপার বলেছেন: বিজ্ঞানের মধ্যে ধর্ম আইনা দিলেন তো পোস্টটার বারোটা বাজাইয়া। করোনা ভাইরাস আল্লাহ সুবহানাতায়ালার সৈনিক। আর নিজের সৈনিককে নিজে বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে একপ্রকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। নিরন্তর শুভকামনা .. ভালো থাকবেন সাজ্জাদ ভাই।

১৬| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আমার পরেের তিনটা কমেন্ট এবং আনসারই মজাদার! লাভ ইউ অল সুপাডুপাভাইয়ু, উদাসীভাইয়ু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ু!!!!!

২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪২

সুপারডুপার বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপা। সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনায় :-


১৭| ২৪ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও জার্নালে প্রকাশিত বিবরণী হতে কিছুটা জানতে পেরেছিলাম যেএটা বাদুর ও প্যঙ্গলিন হতে এসেছে । তবে বেশ বিস্তারিত ও সচিত্রভাবে এ পোষ্টের লেখা হতে এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে পারলাম । বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত ও তাদের মুল্যবান রেফারেন্স সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম, এটাকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে পুণরায় পাঠ করতে হবে । সম্প্রতি করুনাক্রান্ত হয়ে ও তার হাত হতে নিস্কৃতি লাভের পর শারিরিক ও মানসিকভাবে বেশ দুর্বলতা অনুভব করায় লেখাটির বিষয়ে বলার মত অনেক কথা মনে উদিত হলেও এ মহুর্তে লিখতে পারছিনা ।

তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও তার হাত হতে নিস্কৃতি লাভের পর একটি বিষয় মনে হচ্ছে এটা পাকৃতিকভাবে কিংবা মনুষ্য সৃষ্ট যেভাবেইহোক না কেন শরিরে এর উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই যদি আক্রান্ত ব্যক্তি এর প্রতিরোধমুলক বহুল প্রচারিত পন্থাগুলি যথাযথভাবে অবলম্বন ও প্রয়োগ করতে পারে তবে করুনার আঘাতকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে বহুল পরিমানে ।

আপনি ও পরিবাবের সকলের প্রতি রইল মঙ্গল কামনা ।

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রিয় আলী ভাই,

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

আপনি বলেছেন , "তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও তার হাত হতে নিস্কৃতি লাভের পর একটি বিষয় মনে হচ্ছে এটা পাকৃতিকভাবে কিংবা মনুষ্য সৃষ্ট যেভাবেইহোক না কেন শরিরে এর উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই যদি আক্রান্ত ব্যক্তি এর প্রতিরোধমুলক বহুল প্রচারিত পন্থাগুলি যথাযথভাবে অবলম্বন ও প্রয়োগ করতে পারে তবে করুনার আঘাতকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে বহুল পরিমানে।" আপনার এই অভিজ্ঞতালব্ধ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই ছোট্ট কথা থেকেই অনেক কিছু শেখার আছে।

আপনার ও কিছু ব্লগারদের এই পোস্টটিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব সহকারে নেওয়াতে বুঝতে পারি, আমি যে কারণে পোস্টটি লিখেছিলাম , তা অনেকটাই সফল। পোস্টটি পড়ার জন্য আবারো কৃতজ্ঞতার সহিত আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আশা করি আপনার প্রচন্ড আত্নবিশ্বাসে ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে খুবই দ্রুত শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। পরিপূর্ন সুস্থ হওয়ার পর এই লেখাটির বিষয়ে আপনার মনে উদিত কথাগুলো বলে গেলে, আমি অনেক আনন্দিত হবো। সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন -এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে আপনি ও আপনার আপনার পরিবার সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই নিরন্তর শুভকামনা করি। ভালো থাকবেন সবসময় :-

১৮| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




@কলাবাগান১ ভাই ও সুপারডুপার ভাই,
যদিও আমার বিস্বাস অবিস্বাসে বিজ্ঞানের কিছুই আসে যায় না তারপরও মানুষের হাতে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত তামাক পাতা হোক আর শাল সেগুন পাতা আমি বিস্বাস করি না। এ ধরণের নিউজ আমি মনে করি ফেসবুকিয় নিউজ। মানুষের হাতে যেদিন ভ্যাকসিন পৌছাবে সেদিন মন থেকে বিজ্ঞানের জন্য দোয়া করবো। নতুবা ততোদিন মনে করবো বিজ্ঞান গত ত্রিশ বছর যাবত টিভি মেবাইল ফোন আর মেমোরি কার্ড নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো - এই ধরনের বিজ্ঞানের পৃথিবীতে প্রয়োজন নেই।

আরেকটি তথ্য জানাতে চাচ্ছি, ফুসফুস সংক্রামণ, যক্ষা, ক্যান্সার, হাপানি, ব্রংকাইটিস সহ সকল ধরণের রোগের বন্ধু নিকোটিন যা তামাক পাতার মূল উপাদান।





২৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৩

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রিয় মাহমুদ ভাই ,

পোস্টে ফিরে এসে পুনরায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.