নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ নিরাময়ে কী মৌমাছির বিষ কার্যকরী হতে পারে!

২৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:২৬



সার্স-কোভ-২ হচ্ছে এক প্রকার করোনাভাইরাস যা চলমান সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ ঘটিয়েছে। সম্প্রতি চীনের গবেষকরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিসেবে মৌমাছির বিষের উপর গবেষণার প্রস্তাব করেছেন। ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ই মার্চ পর্যন্ত চীনের কোভিড-১৯ -এর কেন্দ্রস্থল উহান শহরের ৭২৩ জন সহ মোট ৫,১১৫ জন মৌমাছি পালনকারীদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, মৌমাছি পালকদের কেউ-ই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়নি।

এরপরে গবেষকরা পাঁচজন এপিথেরাপিস্টের সাক্ষাত নেন, যারা ১২১ জন রোগীকে মৌমাছিদের বিষ দিয়ে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। ফলাফল, ১২১ জন রোগীর মধ্যে কেউ-ই সার্স-কোভ-২ দ্বারা সংক্রামিত হয়নি। যদিও তাদের মধ্যে তিনজন ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিলো। পাঁচজন এপিথেরাপিস্টের মধ্যে ৩ জন কোনো রকম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে কোভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাদেরও কেউ আক্রান্ত হয়নি।

গবেষকদের মতে, মৌমাছি পালনকারীরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা কম ছিল কারণ তারা কম ঘনবসতিযুক্ত গ্রামাঞ্চলে বাস করত। কিন্তু, পাঁচজন এপিথেরাপিস্ট এবং তাদের রোগীরা উহানের জনবহুল অঞ্চলে বসবাস করতেন। তবে তাদের মধ্যে একটি জিনিস মিল রয়েছে বলে মনে হয়; সেটা হচ্ছে তারা সবাই মৌমাছির বিষ সহ্য করতে পারতেন।

চলুন দেখি, কিভাবে মৌমাছির বিষ ভাইরাস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। মৌমাছির বিষকে বলা হয় এপিটক্সিন ও মৌমাছির বিষ প্রয়োগ করে চিকিৎসার পদ্ধতিটির নাম এপিথেরাপি ৷ চীনে এপিথেরাপি তিন হাজার বছরের পুরনো এবং ২০০৭ সালে এ চিকিৎসা বৈধতা পেয়েছে।



হোমিওপ্যাথির মতো এপিথেরাপির কার্যকরিতা সম্পর্কে প্রথাগত বিজ্ঞানের সন্দেহ থেকে গেছে৷ এপিথেরাপিতে মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয়, যা অনেকটা আকুপাংচারের মতো। তফাৎ শুধু এই যে ডাক্তাররা শরীরে সুঁচ না ফুটিয়ে মৌমাছির হুল ফোটান। এই চিকিৎসায়, চিমটে দিয়ে ধরে একটি একটি করে মৌমাছি বসানো হয়। মৌমাছিটি হুল ফুটিয়ে বিষ ঢেলে দিয়েই প্রাণত্যাগ করে। রোগীর শরীরে কয়েক ঘণ্টা ধরে হুল এবং বিষ থেকে যায়। তবে, যাদের মৌমাছির বিষে এ্যালার্জি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

মৌমাছির বিষের অন্যতম উপাদানটি হচ্ছে মেলিটিন; যাহাতে ৫২% পেপটাইড আছে। নিচের চিত্রে প্রাণীর বিষের পেপটাইড কিভাবে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয় তা আমরা দেখতে পাই।



উপরের চিত্রটি সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করলে, প্রথমে বিষের পেপটাইড (1b ও 1c), ভাইরাসের গ্লাইকোপ্রোটিনকে মানবকোষের রিসেপ্টরের (CD4) ও কো-রিসেপ্টরের (CCR5 ও CXCR4) সাথে সংযুক্তিতে বাধা দেয়। এতে ভাইরাসটির এনভেলপ ভেঙে যেতে পারে (1a) । ফলে, ভাইরাসের এনভেলাপ কোষের মেমব্রেনে প্রবেশে বাধা প্রাপ্ত হয়। এরপরে ভাইরাসটির প্রতিলিপি তৈরিতে পেপটাইড হস্তক্ষেপ করে ও পোস্ট- ট্রান্সলেশন প্রসেসে ভাইরাল ক্যাপসিডের সমাবেশ করতে দেয় না। যার ফলে, মানবদেহের কোষে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রোধ হয়। (বিস্তারিত তথ্যসূত্রঃ [২])

ইতিমধ্যে পেপটাইডকে কাজে লাগিয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। এর জন্য কাজ করছে বার্লিনের JPT পেপটাইড টেকনোলজিস (http://www.jpt.com) কোম্পানি । (বিস্তারিতঃ নিচের ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের ইউটিউব ভিডিও, Apr 6, 2020)



চারপাশে উদীয়মান নতুন ভাইরাস সর্বদায় চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে। ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী এবং অনুমোদিত হতে অনেক বেশি সময় নেয়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন এখনও সফল ভাবে তৈরী হতে পারে নি। এইরকম পরিস্থিতিতে হয়তো মৌমাছির বিষ বা অন্য কোনো প্রাণীবিষে প্রাপ্ত পেপটাইডের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে মানবজাতির সুরক্ষা সম্ভব হতে পারে।

মৌমাছির বিষ মারাত্মক ও ভয়ঙ্কর হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই বিষকে নানা রকম চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করে এসেছেন। অতিমাত্রায় মৌমাছির বিষ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে স্বল্প মাত্রায় এর প্রয়োগে মানুষের টি-সেলগুলোতে পরিবর্তন আসে, যা সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের অভাবে হয়তো এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিটি করোনা জয়ের আশা জাগাতে পারে।

ইউটিউব ভিডিওঃ

সংক্ষেপে চীনে এপিথেরাপি:


এপিথেরাপি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক:


তথ্যসূত্রঃ
[১] ছবিঃ ইন্টারনেট
[২] Springer: Antiviral activity of animal venom peptides and related compounds
[৩] Bee venom appears to protect against SARS-CoV-2 infection
[৪] Inhibitory effects of bee venom and its components against viruses in vitro and in vivo
[৫] Bee Venom: Overview of Main Compounds and Bioactivities for Therapeutic Interests
[৬] Articles on Api-Virology

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



চিত্রটির পুরো প্রসেসের বর্ণনা নেই।

২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:০৫

সুপারডুপার বলেছেন:



মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এটি কেবলমাত্র ওভারভিউ। চিত্রটির পুরো প্রসেসের বর্ণনা বিস্তারিত জানতে তথ্যসূত্রঃ [২] -এ চোখ বোলাতে পারেন। ভালো থাকুন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা।

২| ২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:০৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোস্ট । ++

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

সুপারডুপার বলেছেন: করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অভাবে মৌমাছি অথবা অন্য কোনো প্রাণী বিষ দিয়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রমণ নিরাময়ে কার্যকরী হতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা হলে হয়তো আমরা করোনা জয়ের আশার আলো দেখতে পাবো। আপনাকে অনেকদিন দেখি না যে! কেমন আছেন?

৩| ২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এক কথায় বলে দেই- কালিজিরা বা মধুর মধ্যে কোনো করোনার প্রতিশেধক নেই।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

সুপারডুপার বলেছেন:



এই পোস্টে কালোজিরা ও মধু করোনার প্রতিষেধক হতে পারে, এমন কিছু বলা হয় নি।

তবে মধুর অন্যান্য গুণ আছে :

- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কাশি এবং গলা ব্যথার চিকিৎসায় মধু ব্যবহারে পরামর্শ দিয়েছে। (লিংক: WHO: Cough and cold remedies for the treatment of acute respiratory infections in young children )

- অসংখ্য গবেষণায় দেখা যায় মধু এন্টিবায়োটিক হিসেবে গ্রাম-পজিটিভ এবং গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে কার্যকরী। (লিংক : Antibiotics (Basel): Dissecting the Antimicrobial Composition of Honey)

- ছোটখাটো ক্ষত এবং পোড়া চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকটি মেডিকেল-গ্রেড মধু প্রোডাক্ট FDA (Food and Drug Administration) দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। (লিংক : American Journal of Clinical Dermatology : Honey and Wound Healing: An Update)

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সুপারডুপার বলেছেন:



- কালোজিরার ও অনেক গুনাগুন একটি জার্নালে পড়লাম। (লিংক: PMC / "Nigella sativa L. (Black Cumin): A Promising Natural Remedy for Wide Range of Illnesses" )

- বিশেষ করে কালোজিরা উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারে ।
(লিংক -১ : Wiley / "Blood Pressure Lowering Effect of Nigella sativa L. Seed Oil" )
(লিংক -২ : Journal of Hypertension / " .... investigating the effects of supplementation with Nigella sativa (black seed) on blood pressure" )

৪| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৪

আবদুল মমিন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আমি এক কথায় বলে দেই- কালিজিরা বা মধুর মধ্যে কোনো করোনার প্রতিশেধক নেই।

কালো জিরা ও মধুর গুনাগুন বুজতে আর ও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৭

সুপারডুপার বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: আছি মোটামুটি ভালোই । আপ্নি ভালো আছেন নিশ্চয়ই।
ব্লগে আর কমেন্ট করতে ইচ্ছা করে না। সোনা ব্লগ বন্ধ হয়ে যাবার পর এখানে ধর্মান্ধরা ভীড় করছে। ঢাবি ইংরেজিতে পড়েও একজন যেরকম জংগি মানসিকতার পোস্ট দেয় আর অনেকে অন্ধভাবে যেভাবে সাপোর্ট দেয়, তাতে হতাশ লাগে।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১:০৫

সুপারডুপার বলেছেন:



পোস্টে আবার ফিরে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আমার পরিবার মিলে বেশ ভালো আছি।

উহাকে আগেই একটি পোস্টে চিহ্নিত করেছিলাম। উহা দেশের জঙ্গি সমাজকে রিপ্রেজেন্ট করে। ভালো সেজেগুজে থেকেও কিভাবে জঙ্গিবাদকে প্রমোট করা যায়, উহা তাহাই দেখিয়ে দিচ্ছে। উহা এতো নিকৃষ্ট হতে পারে যে একজনের চিরবিদায়ী স্নেহময়ী মা টেনে এনে অকথ্য কথা বলে। জঙ্গিটার কী বুঝে আসে না, একজন মা তার সন্তানের সবকিছু জেনে সন্তানকে সবসময়-ই ভালোবেসে যায়। আর সেখানে তার সন্তানতো যুক্তিগত কথায় বলছে। আর ধর্মকানারা তো ধর্মকানাকে সাপোর্ট দিবেই। যে ধর্মকানারা মানুষে মানুষে ভালোবাসার চেয়ে অবাস্তব ধর্মকে বেশি প্রাধান্য দেয়, সেই ধর্মকানাদের-ই সমাজে জঙ্গিরূপে উত্থান হয়। ধ্বংস হোক সেই অন্ধ ধর্ম, জয় হোক মানুষে মানুষে ভালোবাসার। ব্লগে ধর্মকানারা ভিড় করাতে, ভার্চুয়াল ম্যাপ দেখে রিয়্যাল ম্যাপের কিছুটা ধারণা করতে পারা যায়। কেন দেশে হঠাৎ করেই জঙ্গিদের উত্থান হয়! কারা এদের প্রমোট করে! এইসব কী একদিনেই তৈরী হয়! অনেক কিছুই ধারণা করা যায়, এই ভার্চুয়াল ব্লগ থেকে। কর্মব্যস্ততায় আমারো হয়তো ব্লগে কম আসা হবে। হতাশা যদি আসে, তাহলে আপনার জন্য নিচের ফটো :



সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

৬| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মৌমাছি দিয়ে চিকিৎসা হলে হতেও পারে - সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীরা জ্বর ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় মৌমাছির হুল দিয়ে করে থাকেন। আমি নিজে তার চাক্ষুস প্রমাণ।

৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৩০

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রিয় মাহমুদ ভাই ,

আপনার চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার থিওরিটিক্যাল স্টাডি থেকে মনে হয়, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অভাবে মৌমাছি অথবা অন্য কোনো প্রাণী বিষ দিয়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ নিরাময় সম্ভব হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা অভিজ্ঞ এপিথেরাপিস্টের পরামর্শে মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেখতে পারে। বাংলাদেশেও এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা হওয়া দরকার।

ভালো থাকবেন মাহমুদ ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা :-

৭| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সুপারডুপার ভাই, আপনার লেখাটি আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বাদবাকি আল্লাহ ভরসা দেখি তারা কি জানান। সুপারডুপার ভাই খুব চিন্তায় জীবন যাপন করছি। গ্রামের বাড়িতে ফসলি ও পতিত জমিতে চাষের ব্যবস্থা করেছি - নিজ এলাকায় প্রায় ৬০% ভিন্ন এলাকায় ৩০% কাজ হয়েছে বাকি কাজ চলছে। এই পৃথিবীতে মানুষের যা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন তা হচ্ছে খাদ্য। মানুষের মৌলিক অধিকারের ১ নম্বর চাহিদা। আমি বিস্তারিত লিখবো এ বিষয়ে।

ভাই আপনিও ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।

৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রিয় মাহমুদ ভাই,

আমার লেখাটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার পাঠানোর কথা জেনে অনেক আনন্দিত হলাম। যদি এই বিষয়ে দেশে গবেষণা হয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপকৃত হয়, আমি আরো বেশি আনন্দিত হবো।

ক্ষুধা পেটে জাতি বেশিদূর এগোতে পারে না। হাঁ আপনি ১০০% সঠিক বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের ১ নম্বর হচ্ছে খাদ্য। এই বিষয়ে আপনার মূল্যবান লেখা প্রত্যাশা করছি।

মাহমুদ ভাই কোনো চিন্তা করবেন না, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো যেন আপনার চাষাবাদের কাজগুলো সফল হয়।

৮| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: এপিথেরাপি আর কোভিডের এক গালগল্প রুপকথা।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:



শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে;
শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি;
শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে;
শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি দেখলাম আপনি থিররিটিক্যালি কোভিডের মেডিকেশনের অংশ হিসেবে এপিথেরাপি স্টাবলিশ করে ফেলতে চাইছেন। এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন নামের একটা কথা আছে। মজার একটা কথা বলি, পেনিসিলিন গ্রুপের কোন ওষুধ যেমন আপনাকে সারিয়ে তুলতে পারে আরেকজনের জন্য তা মৃত্যুর কারন হতে আরে যদি তার পেনিসিলিনে হাইপারসেনসিটিভিটি থাকে। বিজ্ঞানে কোন বিনয় আর কবিতা খাটে না। আপনার এই শ্রেষ্ঠ কবিতাটা নেগেটিভ সেন্সে পড়ে দেখুন না কেন?

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:



আগের বার হয়তো পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করেছিলেন। ভালো, এইবার আপনি পোস্টের কিছু পড়ে মন্তব্য করেছেন। তবে এখনো জার্নাল -পেপার গুলো পড়েন নি।

আমি এখানে সম্ভবনার কথা বলে, বিস্তারিত গবেষণার কথা বলতে চেয়েছি। নিউটন আরো দশটা সাধারণ মানুষের মত আপেল পড়া কে ইগনোর করে গেলে মহাকর্ষ বলের সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করতে পারতেন না।

মন্তব্যে পুনরায় ফিরে আসার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১০| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: কতোকিছুরই সম্ভাবনা আছে, ইথানল ইনহেলেশন থিয়রী দিলেন ময়মনসিংহ এগ্রির এক প্রফেসর। এরপর পুলিশ হাসপাতালে নাকি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও নিয়েছেন আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা। ইসকনের মন্দিরে আক্রান্ত পুরোহিতরা একুশ দিন নিজেদের আবদ্ধ করে রেখে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে নাকি সুস্থ। ট্রেডিশনাল চায়নিজ মেডিসিনও নাকি কোভিড সুস্থতায় ভালো ভূমিকা রাখছে। কথার তো শেষ নাইরে ভাই। এমন হাজারটা সম্ভাবনা আছে। এইটাও একটা সম্ভাবনা। তবে, আমার হাইপারসেন্সিটিভিটি নিয়ে বলা কথাটুকু খেয়াল করেন ভালো করে।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন:



বৈজ্ঞানিক জার্নাল ও আর্টিকেলের ভিত্তিতে আমি একটা সম্ভবনার কথা বলেছি। আর এটা কেন কাজ করতে পারে তা পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলেছি। হাইপারসেন্সিটিভিটির কথাও আমার পোস্টে আছে। ভালো করে আবার পড়েন। আপনি যেসবের কথা বললেন সেই সব প্রস্তাবের উপর যদি জার্নাল -পেপার থাকে /বৈজ্ঞানিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হয় তবে, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। যদি বিদেশে ভালো ভার্সিটি, ইনস্টিটিউটে সেলফ-ডিপেনডেনডেন্ট গবেষণা অথবা মাস্টার্স - পিএইচডি থিসিস করে থাকেন, তখন বুঝবেন গবেষণার শুরুতে অনেক গুলোর প্রস্তাবের মধ্যে থেকে কিভাবে বেস্ট প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে হয়।

উন্নত বিশ্ব গবেষণা করে বলেই তাদের কাছে থেকে বাংলাদেশের মত দেশ গুলোর ঔষুধ -ভ্যাকসিনের ফর্মুলার জন্য ভিক্ষা করতে হয় অথচ যেখানে অনেক ঔষুধ -ভ্যাকসিনের কাঁচামাল তারা এই সব দেশ থেকে নিয়ে যায় কিন্তু মূল ফর্মুলা প্যাটেন্ট রেখে আবার এইসব দেশকেই ঔষুধ-ভ্যাকসিন ভিক্ষা দেয় ।

আপনার যদি মনে হয় এটা কাজ করবে না। কেন কাজ করবে না সেটা যদি বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে একটি পোস্ট লিখতেন, আমি অনেক খুশি হতাম ও সবাই অনেক উপকৃত হত।

ভালো থাকবেন।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: কোন প্রস্তাবের কথা বলি নাই, আমি সিম্পলি মানুষজন কি কান্ড করতেসে তার উদাহরন দিলাম জাস্ট। যদি সময় পাই কেন কাজ করবে না বা কি কি কারনে কাজ না করতে পারে আপনার জন্যই লিখবো। আর আমারে ড্রাগ, ট্রায়াল এইগুলা বুঝায়ে লাভ নাই। এইগুলা নিয়েই পাঁচ বছর দিন কাটসে।

০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:১৬

সুপারডুপার বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।

১২| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি হসপিটালে ডিউটি করে ব্যাখ্যা সহ কাউন্টার পোস্ট লেখার সময় পাচ্ছি না। সংক্ষেপে বলি, ১) এপামিন একটা নিউরোটক্সিন, আপনি ব্যাপক হারে নিউরোটক্সিন ঢুকাতে পারেন না মানুষের শরীরে প্রিভেনটিভ হিসেবে।
২)একটা ভ্যাকসিন বা ড্রাগ এফডিএ থেকে এপ্রুভ হয়ে বাজারে আসতে বা মানবদেহের জন্য নিরাপদ এই হিসেবে এভেইলএভেল হতে চারটা ধাপ পার হতে হয়। যেহেতু কোভিড এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন সবার জন্য উন্মুক্ত হবে তাই এইটা এইখানে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কতোটুক নিরাপদ সেটা নিরূপণেরও ব্যাপার আছে। নিউরোটক্সিন হিসেবে শিশু ও গর্ভবতী মহিলা এমনকি যেকোন ইম্যুনুকম্প্রোমাইজড মানুষের জন্য বি ভেনম যে পটেনশিয়াল ব্যাড চয়েজ অব ড্রাগ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক ভ্যাকসিন বা ড্রাগ শুরুতে ২০ বা ১০০ ভলেন্টিয়ারের ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য দেখাইসে, এরপর যখন হাজার হাজার মানুষের উপর ট্রায়াল ড্রাগ বা ভ্যাকসিন হিসেবে ওইটাতে নেওয়া হইসে তখন মুখ থুবড়ে পড়সে।
৩) এনাফাইলেক্টিক শক নামের একটা টাইপ হাইপারসেনসিটিভিটি আছে মেডিকেল সায়েন্সে। সেখানে এআরডিএস থেকে শুরু করে একেআই এতো দ্রুত হয় যে অল্পসময়ের মধ্যে হস্পিটালাইজড না করলে মৌমাছি বা অন্য ইনসেক্টের কামড়ে আক্রান্ত লোক মারা যেতে পারে। আপনার বাস্তব জীবনে হস্পিটালে এই ধরনের ক্রিটিক্যাল রোগী ম্যানেজ করার এক্সপেরিয়েন্স নেই দেখে আপনি মৌমাছির হুল ফুটিয়ে দিতে বলেছেন কোভিডের চিকিৎসা করতে ( আপনার টোনটা অনেকটা এমনই)।
৪) ধরি আপনি বি ভেনম দিয়ে লাইভ ভ্যাকসিন বানাবেন ( অনেক টাইপের ভ্যাকসিন আছে ) । এখন এর এন্টিজেনেসিটি ও প্যাথোজেনেসিটি ঠিক রেখেই এই ধরনের ভ্যাকসিন বানানো হয়। আবারও যা ব্যাড ইম্ম্যুনিটির মানুষের জন্য নিরাপদ নয়।



মেডিকেল সায়েন্সের প্রবাদপুরুষ উইলিয়াম অসলারের একটা কথা আছে- He who studies medicine without books sails an uncharted sea, but he who studies medicine without patients does not go to sea at all.


দূর থেকে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু মেডিসিন রোগী নির্ভর বলে এইটার কোন অনলাইন কোর্সের কোন ভ্যালু নাই। গুগল থেকে পাওয়া বিদ্যার এক ফোঁটা দাম নাই।


আরও অনেক কথা বলার ছিলো, সময়ের অভাবে আর স্ট্রেসে আছি দেখে বলতে পারলাম না।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

সুপারডুপার বলেছেন:



বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কথাও পোস্টের প্রথমে বলা আছে। আমার পোস্টটা মূলত মৌমাছির বিষে পাওয়া পেপটাইড নিয়ে; স্বল্প মাত্রায় মৌমাছির বিষ নেওয়া ভ্যাকসিন হিসেবে না , ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে (যাও পোস্টে বলেছি )। পেপটাইড নিয়ে কথা না বলে আপনি একটু মোড় ঘুরেছেন। আপনার জন্য উত্তর: তথ্যসূত্র ২ -এ দেওয়া জার্নাল টি। আশা করি সময় নিয়ে পোস্ট ও তথ্যসুত্র গুলো পড়বেন।

স্ট্রেস কাটিয়ে উঠতে পারেন , এই শুভকামনা রইলো :-

১৩| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৩০

জাফরুল মবীন বলেছেন: ফার্মাকোলজিতে একটা কথা বলা হয় "Small dose of a poison is a medicine but large dose of a medicine is a poison." বি ভেনমের মেলিটিন একটা কার্যকরী প্রদাহনাশক।এটি রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসে কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।করোনার ক্ষেত্রে এটার কার্যকারিতা ও নিরাপদ প্রয়োগের উপর যারা গবেষণা করছেন তাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

১৪ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:১০

সুপারডুপার বলেছেন:



মবীন ভাই, সময় নিয়ে আমার এই পোস্টটি পাঠ করে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ফার্মাকোলজির এই কথাটির আমি সম্পূর্ণ সহমত: " Small dose of a poison is a medicine but large dose of a medicine is a poison." ।

স্বল্পমাত্রায় মৌমাছির বিষ প্রয়োগ করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসায় কার্যকরী হতে পারে কি না, তা বাংলাদেশেও বিস্তারিত গবেষণা হওয়া উচিত। রোগীর জন্য বেশি ঔষুধ বিষ হতে পারে, হয়তো সেই কারণেই ইউরোপের ডাক্তাররা একসাথে বেশি ঔষুধ প্রেসক্রাইবড করেন না। কিন্তু কেন যে বাংলাদেশের ডাক্তাররা একগাদা ঔষুধ লেখে দিয়ে রোগীকে বিষ খাওয়াতে চান !?

ভালো থাকবেন মবীন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.