নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈচিত্র্যময় উইয়ের ঢিবি - ছবি ব্লগ

১৩ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫৩


আমার গত পোস্ট 'স্থাপত্যকলায় উইপোকা'-তে প্রিয় ব্লগার জুন আপার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উইদের ঘরবাড়ির কাঠামো নিয়ে নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলাম। অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম উইরা অন্ধ হয়েও বিভিন্ন নকশার সুন্দর সুন্দর ঢিবি বানাতে পারে। মানুষের মতোই অঞ্চলভেদে বাসা বানানোর কৌশলগুলোর মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। উইপোকা ও ঢিবি সংক্রান্ত বিদ্যায় তাদের বাড়িঘরের কাঠামোগুলোকে মোটামুটি ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে: (১) মোচাকৃতি (কনিকেল) (২) গম্বুজ আকৃতির (৩) গির্জা আকৃতির (৪) ভৌগোলিক দিকনিদর্শক (মেরিডিয়ান) বা ম্যাগনেটিক ও (৫) ব্যাঙের ছাতা আকৃতির।

অনেকগুলো ঢিবি বিভিন্ন আকৃতির মিশ্রণ। অঞ্চলভেদে মাটিতে বিভিন্ন প্রকারের খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকে। ফলে মাটির রঙের ভিন্নতা হয়। উইরা তাদের বাসস্থানের আশেপাশের ও ভূমির গভীর থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাড়ি বানায় বলে তাদের ঢিবি গুলো বিচিত্র রঙের হয়ে থাকে। আড়াই হাজারেরও বেশি প্রজাতির উইরা অ্যান্টার্কটিকা ব্যতীত পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বিভিন্ন নকশায় বাসা বাঁধে। আসুন আমরা কিছু বিস্ময়কর কাঠামোর উইয়ের ঢিবির ছবি দেখি। ছবিতে বৈচিত্রময় ঢিবি গুলো মূলত অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের।

মোচাকৃতির উইয়ের ঢিবি: এই ঢিবিগুলো মজবুত শঙ্কু আকৃতির এবং নিচের দিকে এসে তা প্রসাররিত হয়। সাধারণভাবে ঢিবির উচ্চতা প্রস্থের চেয়ে ৩ গুন্ বেশি হয়।












































গম্বুজ আকৃতির উইয়ের ঢিবি: এই ঢিবিগুলো কিছুটা মোচাকৃতির হলেও শীর্ষ অনেকটা গোলাকার হয়, আকারে তুলনামূলক ছোট এবং উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত কম হয়। গম্বুজ ও মোচাকৃতির ঢিবিগুলো মধ্যে অনেক সময় পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু ঢিবি উভয়ের মতনই দেখায়। বিজ্ঞানীরা তখন তাদের অর্ধ-মোচাকৃতির বলে থাকেন।


















গির্জা আকৃতির উইয়ের ঢিবি: এই ঢিবিগুলো অনেক জটিল কাঠামোর হয় যেখানে একাধিক শিখর দেখতে পাওয়া যায়।






















ম্যাগনেটিক বা ভৌগোলিক দিকনিদর্শক ঢিবি: এই ঢিবিগুলো উত্তর - দক্ষিণ দিকের সাথে সমান্তরাল হয়ে কিছুটা সমতল ও আয়তাকার কাঠামো গঠন করে। উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় এদের বেশি দেখতে পাওয়া যায়।


















ব্যাঙের ছাতা আকৃতির উইয়ের ঢিবি: এই ঢিবিগুলো ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুমের মতন টুপি পরে থাকে।



















এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উইয়ের ঢিবি চোখে পড়ে যাদেরকে উপরের ৫টি শ্রেণীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। এগুলো সুগঠিত নয় এবং কিছুটা ভিন্ন আকৃতির হয়। তেমনি কিছু ঢিবির ছবি :






















প্রিয় ব্লগার আখেনাটেন ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নওগাঁর আলতাদীঘি শালবনেও খুঁজে পেলাম লাল মাটি দিয়ে তৈরি সুন্দর সুন্দর উইয়ের ঢিবি। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত সবুজ-সৌন্দর্যে ভরপুর এ শালবন। নওগাঁ এসে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে ৪০ কিমি. ভেতরে ধামইরহাটে যাওয়া যায়। এখানে আলতাদিঘী নামের একটি দিঘীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সুবিশাল বনভূমি। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে এটিকে 'আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান' হিসাবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও জাতীয় উদ্যানের ১৭.৩৪ হেক্টর বনভুমিকে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করে। বনের ভেতর হাঁটলেই গাছের ঝরাপাতার মাঝে-মধ্যে চোখে পড়ে উইপোকার তৈরি বড় বড় লাল মাটির ঢিবি। বনে ঢিবিগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, কোথাও কোথাও প্রায় ১০ ফুট (৩ মিটার) উঁচুর বিশাল আকৃতির উইয়ের ঢিবিগুলো শালগাছের গায়ে জড়িয়ে আছে। নিম্নে গুগলে খুঁজে বিভিন্ন সাইট থেকে পাওয়া তারই কিছু ছবিঃ.


















ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে মানুষজন যেমন বিভিন্ন নকশার বাড়িঘর নির্মাণ করে, তেমনি উইপোকাদের বাসস্থানের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে বিভিন্নতা দেখা যায়।


ছবিসূত্র : গুগল থেকে সংগৃহীত
তথ্যসুত্র : American Society of Civil Engineers (ASCE) - Journal of Structural Engineering - Termite Mounds: Bioinspired Examination of the Role of Material and Environment in Multifunctional Structural Forms

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:০১

বিজন রয় বলেছেন: কি বিচিত্র এই পৃথিবী!!
ওগুলো যে উইয়ের ঢিবি তা বিশ্বাস করা কঠিন!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই মুল্যবান পোস্ট দেওয়ার জন্য।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫২

সুপারডুপার বলেছেন:



বিজন দা,

পোস্টটি পাঠে ও প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। উইদের বাড়িঘরের সৌন্দর্য দেখে আশ্চর্যই হতে হয়ে। আরো জেনে অবাক হবেন যে উইরা অন্ধ এবং তারা কখনো ঘুমায় না। অন্ধকারে তারা ২৪ ঘন্টায় পরিশ্রম করে খাদ্য সন্ধান, বাচ্চাদের লালন পালন ও তাদের বৈচিত্রময় টাওয়ার নির্মাণ করে।

ভাল থাকুন সবসময় এই শুভ কামনায় :-

২| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৩

ইসিয়াক বলেছেন:




অনবদ্য।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫২

সুপারডুপার বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: এই ভাবে উইপোকার ঢিবি কখনো দেখা হয়নি।গির্জাকৃতির ঢিবিগুলো সুন্দর।মনে হচ্ছে যেন কোন ভাস্করের হাতের কাজ।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

সুপারডুপার বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন কল্পদ্রুম ভাই :-

৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বিচিত্র উইয়ের ঢিবি দেখে মুগ্ধ হলাম।
কিন্তু উই যে মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর!

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০০

সুপারডুপার বলেছেন:



সাইয়িদ রফিকুল হক ভাই,

বিচিত্র উইয়ের ঢিবিগুলো দেখে সত্যিই আমরা অনেক মুগ্ধ হই। কিছু উইপোকার উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ হলেও, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষায় উইরা অবদান রেখে প্রকৃত পক্ষে মানবজাতির উপকার করে যাচ্ছে। নিম্নে ৫৭ সেকেন্ডের এনিমেটেড ভিডিওতে আসুন দেখি কিভাবে উইরা ইকোসিস্টেমকে সমৃদ্ধ করে।



এছাড়া মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইদের অবদান অনেক। ভাবছি এই বিষয়ে লিখবো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছন খেতে(এক প্রকার লম্বা ঘাস)অনেক উইপোকার ঢিবি দেখেছি।সেগুলো অত উঁচু না বড় জোর তিন হাত।অনেক কিছু জানা গেল উইপোকা সম্পর্কে।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৬

সুপারডুপার বলেছেন: নুরুলইসলাম ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে ঢিবিগুলো ছোট হয়। আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ঢিবিগুলো অনেক বড় আকৃতির হয়ে থাকে। সেখানে তারা শত বছর ধরে বাসা বাঁধে। উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে অনেক ঢিবিগুলো আমাদের আকৃতির সাথে তুলনা করলে কেমন হতে পারে তা আমরা নিচের ছবিতে দেখতে পাই।

(ফটো ক্রেডিটঃ wikipedia.org)

৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ছবিগুলো দেখে বোঝা গেল যে, আল্লাহ শুধু মানুষকে নন সৌন্দর্য অন্যান্য প্রানীদের মাঝেও দিয়েছেন তাই তারাও নিজেদের থাকার জন্য ঘর তৈরি করতে পারে, পারে অসাধারণ অভাবনীয় শিল্পের প্রয়োগ ঘটাতে।
মহান আল্লাহর সৃষ্টির কি নিপুণ কারিগরি!মন ছুঁয়ে গেল আমার।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪

সুপারডুপার বলেছেন: হাঁ, বৈচিত্রময় উইয়ের ঢিবিগুলো মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০২

মিরোরডডল বলেছেন: ওয়াও ! সিরিয়াসলি ?
উইয়ের ঢিবি এতো সুন্দর । ছবিগুলো সেইরকম । গির্জাটা বেস্ট । মাশরুমটাও ভালো লেগেছে ।
ঢিবির ম্যাক্সিমাম উচ্চতা কতটুকু । ছবি দেখেতো মনে হচ্ছে অনেক বড় হয় ।
অন্ধ উইপোকার এতো সুন্দর সৃষ্টি দেখে আমি মুগ্ধ !

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

সুপারডুপার বলেছেন:



মিরোরডডল,

আমাদের উচ্চতার সাথে ঢিবির উচ্চতা তুলনা করে ঢিবিগুলো কেমন বড় হতে পারে তা বোঝার জন্য নিচের ২টা ছবি দেখেন।

ছবিসূত্রঃ withoutahitch.com.au

ছবিসূত্রঃ mangoafricansafaris.com

ঢিবির ম্যাক্সিমাম উচ্চতা ৩০ ফিট (৯.১ মিটার ) হতে পারে (সূত্রঃ BBC earth)। উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে গির্জা আকৃতির ও ভৌগোলিক দিকনিদর্শক (মেরিডিয়ান ) বা ম্যাগনেটিক উইয়ের ঢিবি গুলো ৪- ৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত হতে পারে। আপনিতো মনে হয় অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন। নিচে লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে একটি ইউটিউব ভিডিও দেখেন। অনেক সুন্দর পার্কটি। সময় করে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো থাকবেন।


৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম এত কিছুতো জানতাম না ! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সুপারডুপার বলেছেন: ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। হুমম, আমরা প্রতিদিনই প্রকৃতি থেকে নতুন কিছু জানছি।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

৯| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: নান্দনিক !

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

সুপারডুপার বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম। দৃষ্টিনন্দন উইদের ঢিবিগুলো।
ভালো থাকবেন।

১০| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়েছিলাম। এবং মন্তব্য করেছিলাম। এখন দেখছি আমার মন্তব্যটি নাই!!!

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮

সুপারডুপার বলেছেন: কোনো মন্তব্য ডিলিট করা হয় নি। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।

১১| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উইপোকা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সুপারডুপার বলেছেন: নেওয়াজ আলি ভাই , উইপোকার ঢিবি থেকে আমাদের আরো অনেক কিছু জানার আছে।

১২| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

জুন বলেছেন: সত্যি অবাক হয়েছি আমি সুপার ডুপার বিশেষ করে গীর্জা আকৃতি আর ব্যাংগের ছাতার আকৃতির উই ঢিপি দেখে। আসলে সবগুলোই একটার চেয়ে একটা নান্দনিক সৌন্দর্য মন্ডিত। আমার নামটি উল্লেখ করায় কৃতজ্ঞতা জানাই।পোস্টে অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৪

সুপারডুপার বলেছেন:



জুন আপা, আমি পরে খেয়াল করলাম যে গতকাল আপনার জন্মদিন ছিল। আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিবস !

আমার স্থাপত্যকলায় উইপোকা-র পোস্টে আপনার মন্তব্য নিয়ে একটু চিন্তা করলাম, আসলেই কী মানুষ ছাড়া অন্য সব প্রানীর শুধু একই উপকরণ দিয়ে, একই নকশায় যুগ যুগ ধরে বাসা বানিয়ে চলছে! উইপোকা নিয়ে আরো পড়ালেখা করে দেখলাম তারা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নকশায় বাসা বানায়। তাদের বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে কম হলেও তাদের অনেক গুন্ আছে যা আমাদের পক্ষে অর্জন করা অসম্ভব। যেমনঃ অন্ধ হয়ে তারা এই নান্দনিক সৌন্দর্যের বাসা নির্মাণ করে চলছে।

ভালো থাকবেন জুন আপা।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুপারডুপার,





বলতেই হবে অপূর্ব সব স্থাপত্যকলার নিদর্শন তাও আবার ক্ষুদে আর অন্ধ এক প্রানীর।
আসলে পৃথিবীটাই বৈচিত্রে ভরপুর। এমন একটি বৈচিত্রের সচিত্র পোস্টে অনেক কিছু জানা হলো।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:



আহমেদ জী এস ভাই ,

এই খুদে অন্ধ এক প্রানী কিভাবে পৃথিবীর উত্তর - দক্ষিণ দিক চিহ্নিত করে অপূর্ব স্থাপত্যকলার ঢিবি নির্মাণ করে সেটাও রহস্যময়। ধারণা করা হয় উইপোকার টিস্যুতে ম্যাগনেটাইট আছে অথবা তারা প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই বৈশিষ্ট্য পায়। এরপরে জিনগতভাবে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে এই বৈশিষ্ট্য দিয়ে যায়। (নিম্নে ABC Science ভিডিওটির ২:১২ থেকে)

উইপোকা সমন্ধে যত জানা যায় , তত অবাক হতে হয়। ভালো থাকবেন আহমেদ জী এস ভাই।

১৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: এরা দেখছি সাংঘাতিক আর্কিটেক্ট!! :||

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫১

সুপারডুপার বলেছেন: এরা যে অন্ধ হয়ে অন্ধকারে কাজ করে ! সাংঘাতিক তো বটেই !!

১৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি বিস্ময়কর!
অদ্ভুত উই শৈলির এক প্রাকৃতিক ভান্ডার তুলে ধরায় ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫২

সুপারডুপার বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। অদ্ভুত উই শৈলি ও তা বানানোর কৌশল দেখে আমরা যেন বিস্ময় থেকে আরও বিস্ময়ে। ভালো থাকবেন বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এক ব্যতিক্রম ছবি ব্লগ। উই পোকার বাড়ি।
ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে মানুষজন যেমন বিভিন্ন নকশার বাড়িঘর নির্মাণ করে, তেমনি উইপোকাদের বাসস্থানের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে বিভিন্নতা দেখা যায়। - ১০০ তে ১০০ ভাগ সঠিক। পাখিদের বাসাতে আমি ভিন্নতা দেখেছি।

উই এবং পিঁপড়ার বাড়ি এছাড়া “বলা, কুমার, বেঙ্গল” সবই দেখতে মৌমাছির মতো অনেকটা তবে বেঙ্গল অনেক অনেক বিঁষাক্ত ও ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। এদের বাড়িঘর দেখেও আশ্চর্য্য হতে হয় এমন এমন বাড়ি তারা কিভাবে করে। কসোভো‘তে এক মৌমাছির চাক দেখেছিলাম - আমার জীবনে না এতো বড় মৌমাছির চাক কখনো দেখেছি, না শুনেছি কারো কাছে এতো বড় মৌমাছির চাক হয়।

সুপারডুপার ভাই আপনার ছবি কালেকশান দেখে খুব ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

সুপারডুপার বলেছেন:



মাহমুদ ভাই,

পিঁপড়া, বোলতা, বেঙ্গল ইত্যাদি কীটপতঙ্গ বিষাক্ত হলেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এদের অবদান অনেক। এদের কলাকৌশল দেখে মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারছে। বিশেষ করে বৈরী পরিবেশে এদের বাড়িঘর নির্মাণ কৌশল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ স্থাপত্যকলা ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ এগিয়ে গিয়ে মানুষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও সুন্দর বাড়িঘর নির্মাণ সম্ভব করতে পারে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এও এদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে রোবট বানানো হচ্ছে। নিচের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওতে দেখুন-না, উইপোকা কিভাবে রোবোট বানাতেও অনুপ্রাণিত করেছে।

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন মাহমুদ ভাই।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যি দারুণ সৃজনশীল এক প্রাণী উইপোকা! +++

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৭

সুপারডুপার বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন। উইরা সত্যিই অনেক সৃজনশীল। আরো জেনে অবাক হবেন উইপোকারা কাদামাটি দিয়ে বাড়িঘর বানালেও তারা অত্যন্ত পরিষ্কার পরিছন্ন ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে এবং ৩০-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা :-

১৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! কী অপূর্ব সব ঢিবি !
ব্যাঙের ছাতা এবং গির্জা সব চাইতে ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০২

সুপারডুপার বলেছেন:



মনিরা সুলতানা আপা ,

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। গির্জা আকৃতির উইয়ের ঢিবিগুলোর কাঠামো অনেক জটিল। আর ব্যাঙের ছাতার আকৃতির ঢিবিগুলো অনেক সুন্দর। নেন আপনার জন্য একটা ব্যাঙের ছাতা।



ভালো থাকবেন আপা।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫০

রাকু হাসান বলেছেন:


বিচিত্র প্রকৃতির কারগির !আগে লিখে মুগ্ধ করলেন এখন ছবি দিয়ে । ধন্যবাদ আপনাকে । :)

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৪

সুপারডুপার বলেছেন: রাকু ভাই, ছবি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে অনেক আনন্দিত হলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২০| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ, কি বৈচিত্র্যময় সুন্দর ঢিবিগুলো। মনে হচ্ছে কোন দক্ষ শিল্পীর মোহনীয় কারুকাজ। এতো সুন্দর ছবিগুলো কোথায় পেলেন! প্রতিটি ছবিই আকর্ষণীয় আর স্বকীয়তায় ভরপুর।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৭

সুপারডুপার বলেছেন: কাওসার ভাই, আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। সুন্দর ছবিগুলো সুন্দর কোনো একটি গ্রহ থেকে পাওয়া ! দক্ষ শিল্পীর কারুকাজ না হলে কী এতো সুন্দর ও বৈচিত্র্যময় হয় ! সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন কাওসার ভাই।

২১| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আপনার আগের পোষ্ট আর এই পোষ্ট মিলিয়ে নিজেকে উই পোকার বিশেষজ্ঞ দাবী করতেই পারি :) । ছোট্ট একটা অনুরোধ, আগের পোষ্টের শেষে এই পোষ্টের লিঙ্কটা দিয়ে দিলে সবার জন্য ভালো হবে, কারন সেক্ষেত্রে সব এক প্যাকেজে পাওয়া যাবে।

মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম সুপারডুপার ভাই।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

সুপারডুপার বলেছেন:



শের শায়রী ভাই ,

আগের পোষ্টের শেষে এই পোষ্টের লিঙ্কটা যুক্ত করেছি। আইডিয়াটি দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার ফিল্ডেও উইদের অবদান আছে। সেই পোস্টতো এখনো পড়াই হয়নি। কাজেই, উই পোকা বিশেষজ্ঞ এখনো হন নি :-) :-) :-)। অনেক কিছু শেখার আছে উই পোকা থেকে, যা কিনা বাস্তবেও প্রয়োগ হচ্ছে। ভাবছি মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইদের অবদান নিয়ে লিখবো।

ভালো থাকবেন শের শায়রী ভাই।

২২| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

মিরোরডডল বলেছেন: ম্যানি থ্যাংকস, আসলেই বিশাল । ইউ আর রাইট । মূল পোষ্টের ছবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া আর এনটি ডারউইনের । ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছি কিন্তু এনটি যাওয়া হয়নি, গেলে নিশ্চয়ই দেখবো ।
থ্যাংকস আ লট সুডু এতো সুন্দর একটা ভিডিও লিংক শেয়ার করার জন্য । ইটস বিউটিফুল !

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

সুপারডুপার বলেছেন:



মিরোরডডল, হাঁ মূল পোষ্টের ছবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া আর এনটি ডারউইনের। কিছু ছবি ওয়েস্টার্ন আফ্রিকার। পুরো ওয়েস্টার্ন আফ্রিকা জুড়েই আছেই সুন্দর সুন্দর উয়ের ঢিবি গুলো।

এনটি ঘুরে আসলে আশা করি আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

২৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ দেখলাম উইয়ের ঢিবি। আমাদের দেশজ কিছু নাই?

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৭

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের দেশে ঢিবি গুলো ছোট হয়। গুগলে সার্চ দিয়ে তেমন কিছু পেলাম না। আমাদের অবহেলায় হয়তো কোথাও লুকিয়ে আছে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় বন্যা হয় না, সেইসব জায়গায় থাকার বেশি সম্ভবনা। আপনিতো দেশে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন। আপনার চোখে পড়লে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করবেন প্লিজ।

ভালো থাকবেন পগলা জগাই। অনেক অনেক শুভ কামনা :-

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন:



আখেনাটেন ভাইয়ের কাছে থেকে জানতে পারলাম নওগাঁর আলতাদীঘি শালবনে আছে ছোট বড় অনেক উইয়ের ঢিবি। পোস্টে কিছু ঢিবির ছবি দিয়েছি। ঘুরে আসতে পারেন আলতাদীঘি।


২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

সুপারডুপার বলেছেন:



আজকে খুঁজে পেলাম, দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ৪০ কিঃমিঃ উত্তরে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে অবস্থিত সিংড়া ফরেস্টেও দেখা মিলবে শত শত বিচিত্র উইয়ের ঢিবির।

চ্যানেল আই:


প্রথম আলো: উত্তরের সুন্দরবন সিংড়া ফরেস্ট

২৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছোট বেলায় এলাকাতে বেশ দেখতাম। খেলার এক উপকর ছিলো এই উই ঢিবির মাটি।

১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন:



ছোটবেলায় আমিও ছোট ছোট উইয়ের ঢিবি দেখেছি। অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে উইপোকা নিয়ে এসে বাংলাদেশে চাষ করলে হয়তো বাংলাদেশেও সুন্দর বড় ঢিবি গড়া সম্ভব। কিন্তু কে উদ্যোগী হবে, যখন প্রাথমিক ভূমিকা শোভা বর্ধন ও মরুময়তা ঠেকানো !

নেন অস্ট্রেলিয়াতে ম্যাগনেটিক ঢিবি গুলোর একটা দেড় মিনিটের ভিডিও :




ভালো থাকবেন পগলা জগাই।

২৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

শের শায়রী বলেছেন: আমি কিন্তু মাইনিং এর সাথে না পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে জড়িত সুপারডুপার ভাই :)

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন: জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। দুঃখিত শের শায়রী ভাই , আপনার সমন্ধে ভুল ভাবার জন্য। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইদের অবদান ঐ ভাবে খুঁজে পেলাম না। তবে কিছু উইরা ভূগর্ভ থেকে কয়লা উপরে তুলে আনতে পারে। কিন্তু কয়লা উত্তোলনকে সরাসরি পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বলা যায় না। তাহলে আগে থেকে জানা না থাকলে, উইদের নিয়ে এরপরে আমি লিখলে আপনার জন্য লেখাটা একটু নতুন-ই হবে। ভালো থাকবেন শের শায়রী ভাই।

২৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

জুন বলেছেন: উই এর মাটি দিয়ে অনেক কিছু বানাতো আমার নানীমা। তখন আমি ছোট ছিলাম। এখন তাকে আমার একজন উঁচুদরের মৃতশিল্পী মনে হয়। বিশেষ করে একটি গ্রামীন পটভূমিকে ফুটিয়ে তুলতো যাতে ছিল কুড়েঘর, উঠোনে হাস মুরগী, গাছ পালা ইত্যাদি। যদিও সেই উই তার সংগ্রহে থাকা অজস্র গল্পের বইকে খেয়ে কুটি কুটি করে ছেড়েছিলো।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

সুপারডুপার বলেছেন: প্রিয় জুন আপা, আপনার নানীমার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার নানীমা'র জন্য অনেক শ্রদ্ধা ও অনেক ভালোবাসা রইলো :-

২৭| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব পোকারাও দেখি ভয়াবহ ধরনের বড় রকম প্রকৌশলী, স্থপতি।

অসাধারণ লাগলো।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

সুপারডুপার বলেছেন: অসাধারণ তো লাগতেই হবে। দেখতে হবে না কারা কিভাবে বানিয়েছে !

২৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন:

চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। আমি স্বচোক্ষে যখন এই ধরনের ঢিবি দেখেছিলাম তখন অদ্ভুতভাবে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বোঝার চেষ্টা করেছি। কীভাবে এটা সম্ভব করল এই ক্ষুদ্র জীবগুলো।

আমার নিজের তোলা ছবি দিলাম। বাংলাদেশের কোন জায়গায় ছবি এটি বলতে হবে আপনাকে। :D

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

দেশে এখন পর্যন্ত এই রকম উঁচু ঢিবি আমার চোখে পড়ে নি। এমনকি গুগলেও খোঁজ করে পাওয়া যায় না। আপনার কালেকশনটা দুর্লভ। পগলা জগাই ভাই এটাই খুঁজতেছিলেন। আমার ধারণা মতে দেশে পাহাড়ি অথবা উঁচু কোনো এলাকা যেখানে কোনো বন্যা হয় না, সেখানকার উইয়ের ঢিবির ছবি এটা হতে পারে।

দুষ্প্রাপ্য ছবিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । এবার ছবিটি কোথায় তুলেছেন, তার সন্ধান দিয়ে আমাদের ধন্য করুন।

২৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: হুম; বাংলাদেশে এত বড় ও উঁচু উইপোকার ঢিবি আর কোথাও মনে হয় নেই। :D

আমার ধারণা মতে দেশে পাহাড়ি অথবা উঁচু কোনো এলাকা যেখানে কোনো বন্যা হয় না, সেখানকার উইয়ের ঢিবির ছবি এটা হতে পারে। -- ঠিকই ধরেছেন।

এই লেখায় ছবি সম্পর্কে বলা আছে।

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

সুপারডুপার বলেছেন:



উঁইপোকার ঢিবি, আলতাদিঘী, নওগাঁ। ঢিবিগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে।

- ঢিবিগুলো ক্ষয়ে গেলেও উইরা বেশ দ্রুতই তাদের ঢিবিগুলো মেরামত করে ফেলে। নিম্নের ভিডিওতে সংক্ষেপে দেখি তারা কিভাবে মেরামত করে ফেলে ! তবে মানুষ বার বার ভেঙে দিলে তারা আর তাদের টাওয়ার বড় করতে পারে না। জায়গাটিকে সংরক্ষন করা উচিত। আপনার কি আরো উইয়ের ঢিবি চোখে পড়েছে? উইপোকাগুলোর যদি বোটানিক্যাল গার্ডেন, সাফারী পার্কে চাষ সম্ভব হয়, উইরা ঢিবি নির্মাণ করে বাগানের সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারে।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৩

সুপারডুপার বলেছেন: একটু ঘাটাঘাটি করে আলতাদীঘি শালবন সমন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এ বনের সন্ধান দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পোস্টে কিছু আলতাদীঘি শালবনের উইয়ের ঢিবির ছবি সংযুক্ত করেছি।

৩০| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার কি আরো উইয়ের ঢিবি চোখে পড়েছে? -- অনেক। জায়গাটিও একটি সংরক্ষিত এলাকা। যদিও মানুষের আনাগোনায় এখন অনেক ঢিবি নষ্ট হয়েছে।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন:



দেশে গেলে দেখি জায়গাটা ঘুরে আসব। বাংলাদেশে আর কোথায় কোথায় সুন্দর উইয়ের ঢিবিগুলো চোখে পড়ে?

আপনি সুন্দর সুন্দর ঢিবি গুলো খুব কাছে থেকে দেখেছেন। আপনি কি জোনাকি পোকার আলোতেও উইয়ের ঢিবি গুলো দেখেছেন? না দেখে থাকলে ব্রাজিলে জোনাকি পোকার আলোতে উইয়ের ঢিবির একটি ছবি ও একটি ভিডিও দেই। রাতেও যেন উইটাওয়ারে সৌন্দর্যের কমতি হয় না।





প্রকৃতির সৌন্দর্য যত দেখা হয় ততই যেন বিস্ময় হতে হয়। ভালো থাকবেন আখেনাটেন ভাই :-

৩১| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিচিত্র উইয়ের ঢিবি নিয়ে আপনার বৈচিত্রময় পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

সুপারডুপার বলেছেন: আমার এই পোস্টটি আপনাকে মুগ্ধ করতে পেরেছে জেনে আমি অনেক আনন্দিত। পোস্টটি পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক দিন আপনার ব্লগে আমার আসা হয়নি। এসে দেখি দারুন পোস্ট। ছবি ও তথ্য জেনে ভাল লাগলো।+++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.