নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এই অবিদ্যা থেকে আমি সবসময় দূরে থাকি।

সুপারডুপার

শ্রেষ্ঠ সত্য নিহিত থাকতে পারে ক্ষুদ্র বস্তুতে; শ্রেষ্ট মঙ্গল থাকতে পারে, যাকে আমরা অবজ্ঞা করি; শ্রেষ্ঠ আলো থাকতে পারে অন্ধকার আকাশ থেকে; শ্রেষ্ঠ রজ্জু হতে পারে দুর্বল সুতা থেকে।

সুপারডুপার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইপোকা

২১ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৭



আমাদের পায়ের নিচে মাটির ভিতরে লুকিয়ে থাকতে পারে মহা-মূল্যবান খনিজ সম্পদ, যা উত্তোলন করে আমরাও রাতারাতি আরবদের মতন ধনী হয়ে যেতে পারি! দ্রুততম সময়ে ধনী হওয়ার জন্য আপনি কি জানতে চান, ভূগর্ভের কোথায় মূল্যবান খনিজ ও আকরিক পাওয়া যেতে পারে? আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই প্রশ্নের উত্তর উইপোকাদের কাছে থেকে পাবেন।

খনিজ শিল্পে উন্নতির জন্য ভূগর্ভের কোথায় কী ধরণের খনিজ জমা আছে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদরা মূল্যবান আকরিক ও খনিজ খুঁজে পেতে বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করেন। উদাহরণস্বরূপঃ স্থানীয় চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন দেখে লোহার আকরিকগুলো সনাক্ত করা যায়। অন্যদিকে, বিকিরণ গ্রাহক যন্ত্র ব্যবহার করে ইউরেনিয়াম আকরিক আবিষ্কার করা সম্ভব হতে পারে। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে, মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তার রাসায়নিক বিশ্লেষণ করা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সমস্যা হলো, কয়েক মিটার নিচের ভূগর্ভস্থ মাটি থেকে ভূপৃষ্ঠের উপরের মাটি ধরণ আলাদা হয়। ফলে, ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে ভূ -অভ্যন্তরের মাটির প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। যদি খনিজ সম্পদের নমুনা ভূমির উপরিভাগে সহজেই লক্ষ্য করা যায়, তাহলে আমরা দ্রুত খনন করে সেখান থেকে আকরিক ও খনিজগুলো উত্তোলন করতে পারি।

যে খনিজ সম্পদ মাটির অভ্যন্তরে থাকে, তা খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। প্রথমে ড্রিলিং অথবা খনন করে ভূগর্ভের বিভিন্ন স্তরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপরে, তা পরীক্ষাগারে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে খনিজগুলো সনাক্ত করা হয়। কার্যত এই পদ্ধতি অনেক ব্যয়বহুল। ঠিক এইখানেই উইপোকাগুলো বিনা পারিশ্রমিকে ভূ -অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর থেকে মাটি খনন করে নমুনা এনে দিয়ে খনিজ সম্পদ সনাক্তকরণের খরচ অনেক কমিয়ে দিতে পারে।

আমার আগের পোস্ট বৈচিত্র্যময় উইয়ের ঢিবি - ছবি ব্লগে সাইয়িদ রফিকুল হক ভাই ও শের শায়রী ভাইকে বলেছিলাম মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইদের অবদান নিয়ে লিখবো। আসুন, তাহলে দেখি উইরা মাইনিং করে কিভাবে এই ফিল্ডে অবদান রাখে।

উইদের মাইনিং:

উইয়ের ঢিবি গুলো সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চল, যেমনঃ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকাতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বৈরী আবহাওয়াতে ঢিবির অভ্যন্তরে, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা স্থির থাকে। এছাড়া তাদের টাওয়ারে ছত্রাক চাষের জন্য স্থির আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাটি খনন করে পানির সন্ধান করে (নিচের চিত্র)। কখনও কখনও তারা ৭৫ মিটার (২২৫ ফুট) বা শত মিটার গভীর পর্যন্ত পানির সন্ধান করে; একই সাথে, তারা ভূপৃষ্ঠের গভীরে বিভিন্ন স্তর থেকে শক্ত খনিজ পদার্থ, আকরিক ও মাটি সংগ্রহ করে তাদের টাওয়ারটি মেরামত করে ও বড় করতে থাকে।



ফলে উইদের টাওয়ারের মাটিতেই মিশ্রিত থাকতে পারে মূল্যবান খনিজ পদার্থের ছোট ছোট কণাগুলো। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো-ই হচ্ছে মূল্যবান খনিজ ও আকরিক খুঁজে পাওয়ার পথচিহ্ন। এই চিহ্ন ধরেই উই-টাওয়ারের মাটি বিশ্লেষণ করে আশেপাশে ভূপৃষ্ঠের গভীরে কী খনিজ পদার্থ ও আকরিক থাকতে পারে তা জানা যায়।

সময়ের সাথে সাথে উই-টাওয়ারে খনিজ পদার্থের কণাগুলো জমে পার্শ্ববর্তী মাটির চেয়ে বেশি ঘন হয়। যা অনেক সময় স্পষ্ট ভাবে চোখে পড়ে। যেমনঃ নিচের ছবির উইয়ের ঢিবিতে ধাতব নীল-ধূসর আস্তরণ সুস্পষ্টভাবে খনিজ পদার্থের ইঙ্গিত দেয়, যা হতে পারে মূল্যবান খনির সন্ধান পাওয়ার পথচিহ্ন।



সিএসআইআরও‘র (CSIRO- Australian Commonwealth Scientific and Industrial Research Organization) বিজ্ঞানীরা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পিলবাড়া অঞ্চলে ছোট আকারের উইয়ের ঢিবি পরীক্ষা করে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪-৫ মিটার নিচে স্বর্ণের সন্ধান পেয়েছেন। এ অঞ্চলের ঢিবিতে উপরের ছবির মত ধাতব নীল-ধূসর ম্যাঙ্গানিজের স্তর দেখা যায়। গবেষকরা তা বিশ্লেষণ করে দস্তা বা জিঙ্ক (Zn) আইসোটোপের সন্ধান পেয়েছেন। অর্থাৎ ঢিবি পরীক্ষা করে সোনার খনির সন্ধানে নেমে বিজ্ঞানীরা মাটির নমুনা পরীক্ষা করে জিংকের আইসোটোপও খুঁজে পেয়েছেন। জিঙ্ক প্রায়শই অন্যান্য ধাতবগুলির সাথে মিলিতভাবে কোবাল্ট এবং নিকেলের আকরিকের সাথে পাওয়া যায়। এছাড়া এটি অন্যান্য উপাদান খুঁজে পাওয়ার পথ দেখায়। জিংকের বিভিন্নতা বা আইসোটোপগুলি সঠিক ভাবে পরিমাপ করা গেলে ভূগর্ভের অতি গভীরে থাকা মূল্যবান ধাতুর অস্তিত্ব নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। তারা এই কৌশল অবলম্বন করে ভূগর্ভে অন্যান্য ধাতুর আকরিকও খুঁজে পেয়েছেন। ভারতের বিজ্ঞানীরাও বিভিন্ন উইয়ের ঢিবি পরীক্ষা করে স্বর্ণ (Au) , ক্রোমিয়াম (Cr), তামা/ কপার (Cu) ও সীসা/লেডের (Pb) খনির সন্ধান পেয়েছেন।

মূল্যবান ধাতব পদার্থ যেমনঃ নিকেল (Ni) এবং কোবাল্টের (Co) মতো ধাতুগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহন ও ব্যাটারি তৈরিতে দরকার পড়ে। ফলে, বিশ্বব্যাপী এই ধাতুগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উক্ত ধাতব পদার্থগুলোর নতুন নতুন খনি খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর গবেষকরা ধারণা করেছেন যে, উইয়ের ঢিবির মাটি বিশ্লেষণ করে মূল্যবান ধাতুগুলোর নতুন খনি খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে আফ্রিকাতে বড় আকারের উইয়ের ঢিবি থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণ করে সেখানে বিভিন্ন ধরণের খনিজ সম্পদের সন্ধান পেয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় ইথিওপিয়াতে গিবা নদীর অববাহিকায় উইয়ের ঢিবি পরীক্ষা করে স্বর্ণ (Au), রৌপ্য (Ag), তামা (Cu), দস্তা (Zn), কোবাল্ট (Co), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), আয়রন/লৌহ (Fe) এবং নিকেল (Ni) পাওয়া যায়। পরীক্ষায় আরো দেখতে পাওয়া যায়, উইয়ের ঢিবির মাটিতে ধাতুর অনুপাত মূল আকরিকে ধাতুর অনুপাতের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে কী পরিমান আকরিক খনিতে থাকতে পারে তাও অনুমান করা সম্ভবপর।



বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উইয়ের ঢিবির ভিতরের মাটিতে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণ , রৌপ্য , তামার আকরিকের চিহ্ন থাকতে পারে। এছাড়া বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, মানুষের কিডনিতে পাথর জমার মত উইদের পরিপাকতন্ত্রেও এইসব উপাদানের চিহ্ন থেকে যায় (উপরের চিত্র)। এই অনুসন্ধানটিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঢিবিতে থাকা উইয়ের বিষ্ঠাযুক্ত মাটিতে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে ধাতুগুলোর খনির ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকতে পারে।

মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ:



উইরা ভুপৃষ্ঠের গভীর থেকে মাটি খনন করে এনে তাদের ঢিবি বানায়। ঢিবির মাটিতে পাওয়া উপাদান আশেপাশের মাটি থেকে পাওয়া উপাদানের চেয়ে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। তাই উইদের ঢিবি বিশ্লেষণ করে আমরা ভূগর্ভস্থ আকরিক সনাক্ত করতে পারি, যা ইতিমধ্যে আলোকপাত করা হয়েছে। এসব মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ অনেক সহজ করে দিয়েছে ফিল্ড পোর্টেবল এক্সআরএফ এনালাইজার (Field Portable XRF analyser)। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীরা উইয়ের সরাসরি ঢিবির মাটিতে X-ray fluorescence (XRF) বা এক্সআরএফ প্রয়োগ করে মাটির বিশ্লেষণ করছেন।



এক্ষেত্রে, মাত্র ১- ২ মিনিটে জানা সম্ভব উইয়ের ঢিবির মাটিতে কী কী উপাদান আছে। ফিল্ড পোর্টেবল এক্সআরএফ এনালাইজার ব্যবহার করা খুব সহজ। এক্সআরএফ কি ও কিভাবে ফিল্ড পোর্টেবল এক্সআরএফ এনালাইজার ব্যবহার করতে হয়, তা সংক্ষেপে নিম্নের ২টি ভিডিওটি তে দেখতে পাবেন।





এছাড়াও উইয়ের ঢিবি থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে তা গুড়া করে নমুনা প্রস্তুত করে, পরীক্ষাগারে তার এক্সআরএফ বিশ্লেষণ করেও মাটিতে মূল্যবান উপাদান গুলোর পরিমাণ জানা সম্ভব। নিচের ভিডিওতে তা কিভাবে করা যেতে পারে তার একটি ধারণা পেতে পারেন।



উইপোকাদের মাটির ঢিবি বিশ্লেষণ করে স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থ ও ধাতুর খোঁজার কৌশলটি পশ্চিম আফ্রিকাতে অনেক পুরোনো। ১৯৬০ সাল থেকে আধুনিক মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। প্রাচীন এবং সস্তা পদ্ধতি কৌশল প্রয়োগ করেই ১৯৭৩ সালে মোজাম্বিকের ভিলা মানিকা তামার খনিটি, এরপরে বোতসোয়ানাতে বিশ্বের বৃহত্তম কিম্বারলাইট হীরার খনি আবিষ্কার করা হয়েছিল।

সর্বোপরি, উইরা যখন আপনার জন্য ভূগর্ভ থেকে খনিজ উপাদানের নমুনা এনে দিতে পারে, তখন কেন কষ্ট করে আপনি ড্রিলিং অথবা খনন করে নমুনা সংগ্রহ করবেন! বিশ্বব্যাপী ৭৫% স্বর্ণ উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিষাক্ত সায়ানাইড ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ । উইপোকাকে ব্যবহার করে স্বর্ণ উত্তোলনের এই বিকল্প পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে কম ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অধিক স্বর্ণ উৎপাদন করে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। তাই বলা যেতে পারে, উইপোকাদের ব্যবহার করে সহজে ও সস্তায় খনিজ সম্পদ আবিষ্কারের পদ্ধতিটি ভূতত্ত্ব ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে।

তথ্যসুত্র ও কৃতজ্ঞতাঃ

[১] পোস্টে প্রথম ছবিসূত্রঃ Mineral / Mining Analysis with Skyray XRF Spectrometers

[২] Termite mounds as bio-indicators of groundwater: Prospects and constraints

[৩] Termites: So Rich Their Nests Are Made Of Gold

[৪] Scientists say ants and termites are mining gold

[৫] Termite mound as an Effective Geochemical Tool in Mineral Exploration: A Study from Chromite Mining Area, Karnataka, India

[৬] Termites and humans searching more gold in Mali

[৭] Find Gold Using Termites! - An ancient cheap African method

[৮] Use of termite mounds in geochemical exploration in North Ethiopia

[৯] Pesky termites are proving useful in finding nickel and cobalt

[১০] A nest of little gold-diggers

[১১] Termites are a miner's best friend

[১২] Using hand-held XRF as an indicator for mineralisation in termite hills

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের যদি প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ থাকতো তাহলে আমাদের অর্থনীতি আরেকটু চাঙ্গা হতে পারত ।
বিশেষ করে খনিজ তেল লোহা ও অন্যান্য কিছু ধাতুর খনি থাকা দরকার ছিল।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন:



তেল ও গ্যাস ব্যতীত বাংলাদেশে অন্যান্য খনিজ সম্পদ ভালোই আছে:
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
- কয়লা : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া, ফুলবাড়িয়া, সিলেটের লালঘাট ও টেকেরহাট, ফরিদপুরের চান্দাবিল ও রাখিয়া বিল, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ, নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, খুলনার কোলাবিল

- চীনামাটি : নেক্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা, চট্টগ্রামের পটিয়া

- চুনাপাথর: সিলেটের টেকেরহাট, ভাঙ্গারহাট, জাফলং, লালঘাট, বাগলিবাজার, জয়পুরহাট, কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন

- সিলিকা বালি: হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের বালিঝুরি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম

- কঠিন শিলা: রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর

- সাধারণ পাথর/বালু মিশ্রিত পাথর : সিলেট, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও বান্দরবান

- সালফার/ গন্ধক: কুতুবদিয়া

- তেজষ্ক্রিয় বালু ও ইলমেনাইট: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে

- ইউরেনিয়াম: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পাহাড়ে

- সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লাখনিতে

- রূপা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলায়

- দস্তা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- দিনাজপুরের মধ্যপাড়া
-------------------------------------------------------------------------------------------------------

সমস্যা হচ্ছে উত্তোলন করা ও নতুন নতুন খনি আবিষ্কার করা। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেস্ব কৌশল আবিষ্কারের চেয়ে বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। এর সাথে আরো যুক্ত হয় দূর্নীতি। দেশের অর্থনীতি আরেকটু চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ কোথায় !

ভালো থাকবেন সাজ্জাদ ভাই।

২| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আনেক খনিজ পদার্থ আছে যা উদ্ধার করা অলাভজনক,আবার কিছু আছে প্রযুক্তির অভাবে উদ্ধার করা সম্ভব না।তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০

সুপারডুপার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। দুর্নীতির সাথে লড়াই করে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও কচ্ছপ গতিতেই এগোতে হবে।

৩| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১

সুপারডুপার বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন :-

৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত স্থল ভাগ, সমস্ত দেশ মহাদেশ মানুষের জানা হয়ে গেছে। কখনও কেউ বলবে না- আরে এজায়গাটা তো ম্যাপে নাই। এখানে একটা পতাকা লাগিয়ে দেওয়া যাক। কিন্তু মাটির নিচের দুনিয়া বেশির ভাগই অজানা।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

সুপারডুপার বলেছেন: উইরা মাটির নিচের অজানা দুনিয়ার তথ্য মাটির উপরে নিয়ে আসতে পারে। আর তা থেকে মানুষ অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারে।

৫| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সুপারডুপার ভাই,
আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট ১০০ তে ১০০ ভাগ সঠিক ও তথ্য নির্ভর মান সম্পন্ন একটি লেখা - নিসন্দেহে। আমি গর্ববোধ করছি এমন একজন ব্লগারকে আমি লেখার জন্য বারবার অনুরোধ করেছি আসলেই যার লেখার মান অতুলনীয়। সত্যি সত্যি আপনি নিজেকে একদিন প্রমাণ করবেন আপনি একজন সুপারডুপার ব্লগার।

উঁইপোকা নিয়ে আপনাকে মজাদার কিছু তথ্য দিচ্ছি:

১। বাংলাদেশে যতোবার বড় ধরনের বন্যা হয়েছে স্থান ভেদে বন্যার অন্তত ১৫-২৫ দিন আগে যে খবর পেয়েছে সে হচ্ছে - উঁইপোকা। মাটির নিচ হতে সকল উঁইপোকা পানির কারণে বেড়িয়ে গেছে। গ্রাম অঞ্চলের আগেকার মানুষ উঁইপোকা সহ মাটির নিচের নানা ধরনের পোকার অত্যাচারে বুঝে যেতো বন্যা আসছে - - - !

২। উঁইপোকা দিয়ে সত্যি সত্যি খনি আবিস্কার করা সম্ভব এবং তা প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশে বৃহত্তর খনিজ সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস - আমার জানামতে আমাদের এলাকাতেই অন্তত চারটি (০৪) কূপ উঁইপোকার কারণে সন্ধান পাওয়া গেছে।

৩। উঁই পোকার কারণে জানা যায় মাটির নিচে ফাকা আছে কিনা, অর্থাৎ ভবন নির্মান ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় এই মাটির নিচে কোথাও না কোথাও ফাঁকা আছে। এবং অবস্যই অবস্যই সয়েল টেষ্ট করে যথেষ্ট পরিমান পাইলিং করতে হবে।

সুপারডুপার ভাই প্রানীজগতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বৃহত্তম প্রানী সকলেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে শুধু আমরা মানুষ প্রকৃতির ক্ষতি করছি দিনের পর দিন শতাব্দির পর শতাব্দি - - - -

আমার জানা সামান্য কিছু তথ্য আপনার পোস্টে যোগ করে সত্যি সত্যি আমি আনন্দিত।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।




২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

সুপারডুপার বলেছেন:



মাহমুদ ভাই ,

সময় নিয়ে পোস্টটি পাঠে ও অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকে সীমাহীন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। উইপোকা নিয়ে আপনার মজাদার কিছু তথ্য পোস্টের মন্তব্যে প্রকাশ পাওয়াতে পোস্টটি আরো বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে আপনার এলাকাতেই উইপোকার কারণে চারটি গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে, এই অজানা নতুন তথ্যটি জানাতে বোঝা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও মাইনিং ও পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং -এ উইপোকারা কত গুরুত্বপূর্ণ। এই চারটি গ্যাস কূপগুলো কোথায়?

মাহমুদ ভাই ঠিকই বলেছেন , " প্রানীজগতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বৃহত্তম প্রানী সকলেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে শুধু আমরা মানুষ প্রকৃতির ক্ষতি করছি দিনের পর দিন শতাব্দির পর শতাব্দি - - - -"।

সব প্রাণিকুল নিজ নিজ বলয় থেকে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে চলেছে। প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে আমাদের উচিত পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়া। ভালো থাকবেন মাহমুদ ভাই :-

৬| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাসকূপ: ১৭, ১৮ ও ২৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর তিতাস গ্যাসকূপ: শ্রীকাইল পূর্ব - ০১ এগুলো তিতাস গ্যাস ফিল্ড এর তথ্য। - এছাড়া বাপেক্স এর সাথে কথা বলতে পারলে আরো নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করি।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৪

সুপারডুপার বলেছেন:



মাহমুদ ভাই, অজানা এই তথ্যটি জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের দেশের এই রকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুর উপরেই জার্নাল লেখা হয় না বলে অজানায় থেকে যায়। এই পোস্টে আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জানতে পারলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে চারটি (০৪) কূপ উঁইপোকার কারণে সন্ধান পাওয়া গেছে। আর গত পোস্টে ব্লগার আখেনাটেন ভাইয়ের মন্তব্যে জানতে পেরেছি নওগাঁর আলতাদীঘি শালবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুন্দর সুন্দর উইয়ের ঢিবি। এই ভাবেই একটি পোস্ট তথ্যসমৃদ্ধ হয়।

কবিগুরু হয়তো এই জন্যেই বলেছেন,

"বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখেতি গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শিষের উপর
একটি শিশির বিন্দু। "

৭| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি আমাকে নতুন কিছু চিন্তার খোরাক দিয়েছে।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৬

সুপারডুপার বলেছেন: জেনে আমি অনেক আনন্দিত হলাম।

৮| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০০

জেন রসি বলেছেন: বাহ! নতুন কিছু জানলাম।

মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইপোকা-আমাদের দেশে কি এমনটা হয়েছে?

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। উপরের মন্তব্যে, ঠাকুরমাহমুদ ভাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে চারটি গ্যাসফিল্ড উঁইপোকার কারণে খুঁজে পাওয়া গেছে। দেশে উইয়ের ঢিবি পরীক্ষা করে অন্যান্য খনিজ পদার্থের সন্ধানের কথা এখনো অজানা। উইদের কাজে লাগিয়ে গবেষণা করলে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা মূল্যবান খনির সন্ধান পেতে পারি।

৯| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: উইপোকাকে নিয়ে আপনার কল্যাণে অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যাপার জানতে পারছি।উইপোকা বিষয়ক আরো লেখা কি পাবো?ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যেও নতুন তথ্য জানলাম।আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১০

সুপারডুপার বলেছেন:



হঠাৎ করে উইপোকা নিয়ে পড়ালেখা করার সময় ব্যাপারগুলো আমার কাছেও অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল। খেয়াল করে দেখলাম প্রকৌশলে উইপোকার অবদান বিষয়ক কোনো লেখা বাংলাতে নাই বললেই চলে। তাই বিষয়টি বাংলায় সবার সাথে শেয়ারের জন্য এই পোস্ট সহ মোট তিনটি পোস্ট লিখেছি। আমি হয়তো আর এই বিষয়ক কোনো পোস্ট লিখবো না।

উইপোকা নিয়ে আমার পোস্টগুলো পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকবেন কল্পদ্রুম ভাই :-

১০| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




***খুব আশা করেছিলাম আপনার পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় যাবে। আপনাকে শুভেচ্ছা সুপারডুপার ভাই আপনার উক্ত পোস্ট নির্বাচিত পাতায় স্থান পেয়েছে।

ধন্যবাদ কল্পদ্রুম ভাই। কল্পদ্রুম ভাই আপনার প্রতি রইলো শুভ কামনা।

"বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা দেখেতি গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
"


২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৮

সুপারডুপার বলেছেন:



মাহমুদ ভাই,

উইপোকা নিয়ে আমার তিনটি পোস্ট- ই নির্বাচিত পাতায় স্থান পেয়েছে। এতে প্রিয় ব্লগ মডারেটর গুরুত্বের সাথে এই অজানা বিষয়টিকে সবার সাথে শেয়ার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। উনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।

উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন মাহমুদ ভাই :-

১১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: উই পোকাদের জীবন বৃত্তান্তে আপনি আমাদের যেভাবে পরিচিত করলেন তাতে হ্যাটস অফ। ছাত্র জীবনে মাইনিং এর ওপর সামান্য কিছু থিওরিটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করছিলাম, কিন্তু প্রফেশনাল লাইফে অয়েল এ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশানের সাথে জড়িত হবার জন্য এব্যাপারে আমার এখন জ্ঞান প্রায় শুন্য। আপনার সৌজন্যে সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে মাইনিং এর সাথে উইপোকাদের সম্পর্ক আমাকে একই সাথে বিমোহিত এবং বিস্মিত করেছে। পোষ্টে ++++ এবং ভালো লাগা।

অবশ্যই প্রথম পোষ্টে এই পোষ্টের লিংক যুক্ত করে দেবেন কিন্তু ভাই।

আমার চাকুরী জীবনের দেখা অন্যতম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা ছবি ব্লগ দিয়েছিলাম ঘুরে আসার আমন্ত্রন রেখে গেলাম সুপারডুপার ভাই গল্পের থেকেও রোমাঞ্চকর একটি সত্য ঘটনা (একটি ছবি ব্লগ)

কোন দিন হয়ত অয়েল রিগারদের জীবনের গল্প শোনাব :)

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:



শের শায়রী ভাই,

এখন আপনি নিজেকে উই পোকার বিশেষজ্ঞ দাবী করতে পারেন :-)
আগ্রহ নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। জানার তৃষ্ণা থেকে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারি। আর প্রকৃতি থেকে কোনো কিছু শিখে যদি তা আমরা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারি, তখন আমাদের সত্যিই বিস্মিত হতে হয়।

আপনার অনুরোধে প্রথম পোষ্টে এই পোষ্টের লিংক অবশ্যই যুক্ত করে দিব ।

ছবি ব্লগটি পড়লাম। ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। আর জীবন বাঁচানোর কঠিন চেষ্টাতে জেলেরা শেষ পর্যন্ত সফল। জেলেরা কী ভাগ্য ভালোর জন্য চেষ্টা করতে পেরেছে, নাকি চেষ্টা করাতে তাদের ভাগ্য ভালো হয়েছে। এই জটিল প্রশ্নের উত্তরে আমি এখনো দ্বিধান্বিত।

ভালো থাকবেন শের শায়রী ভাই :-

১২| ২২ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫৩

জোবাইর বলেছেন: উইপোকা আর ঘুনেপোকা - এ দুটি সম্পর্কে এতোদিন শুধু নেতিবাচক ধারণাই ছিল। আপনার পোস্টে স্থাপত্য ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইপোকার অবদান জেনে বিস্মিত হয়েছি। আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এরকম ব্যতিক্রমধর্মী চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

উইপোকারা বাসায় কাঠের আসবাবপত্র ও বই খাতা নষ্ট করে। তাদের থেকে সুরক্ষার জন্য বাসায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আছে। কিন্তু বন -জঙ্গলে অযথা উইপোকা মারলে ইকোসিস্টেমে ক্ষতি হতে পারে। নওগাঁর আলতাদীঘি এলাকার কিছু লোকজন উইয়ের ঢিবির মাটিভেঙে তার সাথে পানি মিশিয়ে সিমেন্টের মতন কাদা বানিয়ে তা দিয়ে মাটির ঘর বানায়; বিভিন্ন এলাকায় অনেকে আবার বন -জঙ্গলে উইয়ের ঢিবিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় । এতে যেমন পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে , তেমনি দেশ থেকে শোভাবর্ধনকারী উইয়ের ঢিবিগুলো বিলীন হচ্ছে।

নতুন খনির সন্ধানে বিজ্ঞানীরা অনেক সময় সম্ভব্য স্থানগুলোতে উইদের চাষ করে উইয়ের ঢিবির মাটি পরীক্ষা করে দেখেন। এতে অনেক কম খরচে ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে নতুন খনি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়।

স্থাপত্যবিদ্য, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় উইপোকাদের বিস্ময়কর অবদানগুলো জেনে আমাদের উচিত তাদের নিরাপদ সংরক্ষন নিশ্চিত করা।

পোস্টগুলো পাঠে ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৩| ২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সর্বনাস! উই নিয়ে যা শুরু করেছেন দেখছি! এখন আবার ব্লগ নাম পরিবর্তন করার আবদার না করলেই বাঁচি!!

হাহা। জোকস এ পার্ট। এই বিষয়ে জানাই ছিলো না। আপনাদের কল্যানে কত কিছু জানছি। এত কষ্ট করে পোষ্ট লিখেন, কতখানি কষ্টের মুল্যায়ন হয় জানি না। তবে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অটঃ [email protected] এই ঠিকানায় আমাকে সম্ভব হলে একটা মেইল করবেন, প্লীজ।

২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

সুপারডুপার বলেছেন:



প্রিয় কাভা ভাই ,

আপনার কাছে থেকে অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য পেয়ে অনেক আনন্দিত হলাম। চেষ্টা থাকবে অবসর সময়ে সামুতে নতুন কিছু লেখার।

আপনাকে আমি ইমেইল করেছি। ভালো থাকবেন কাভা ভাই :-

১৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

সুপারডুপার বলেছেন:



@Mysterious Mystery,
আপনার অশ্লীল গালাগালি টাইপ দেখে বোঝা যায়, আপনার মানসিক সমস্যা আছে। আর মানসিক রোগীদের প্রতি আমার করুণা হয়। তাদেরকে সমাজেও রাখা উচিত না, আবার মেরে ফেলাও উচিত না । মানে তাদের কে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বন্দি করে রাখা উচিত। কারণ, মানসিক রোগীতো নিজের কাপড় -চোপড় নষ্ট করেই, আর বন্দি করে না রাখলে সমাজে হাগু করে সমাজটাই নষ্ট করবে। একইভাবে, ব্লগের স্বার্থেই ব্লগ থেকে আপনাকে বিতাড়িত করা উচিত।

সাদা কালোর লেখায়তো। দা চাপাতি বোমা নাতো। তাই, আপনার মতন মানসিক রোগীর প্রতি আমার দয়া থেকে বলি, আমার পোস্টে মন খুলে যা ইচ্ছা বলতে পারেন। তবুও যদি অসুস্থ মস্তিষ্কে একটু শান্তি পান।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


এই গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটি দেখার জন্য পরে আসব।
এখন আমার সর্বশেষ পোষ্টে আপনাকে এড্রেস করা ঠাকুরমাহমুদের
মন্তব্যটি দেখার জন্য অনুরোধ থাকল।

শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

সুপারডুপার বলেছেন:



ডঃ এম এ আলী ভাই, সর্বশেষ পোষ্টে ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যটি দেখেছি ও উত্তর করেছি। আলী ভাই আপনি খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করবেন, সব সময় শরীরের যত্ন নিবেন ও যে ধ্যানচর্চা করতে আপনি ভালোবাসেন তা করবেন।

সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি:-

১৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

তবে পেট্রোলিয়াম আর লোহার খনি থাকলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতে পারতো।

২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৪১

সুপারডুপার বলেছেন:



বাংলাদেশে আবিষ্কৃত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রে পরিমাপকৃত গ্যাসমজুতের পরিমাণ প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। আর সিলেটের হরিপুরে দেশের একমাত্র খনিজ তেলক্ষেত্রে তেলের মোট মজুতের পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ব্যারেল। চিন্তা কী। নিজেস্ব টেকনোলোজিতে তুলতে পারলে, ১৬ আনা গ্যাস ও তেল-ই দেশের।

আর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতের কালো বালিতে লুকিয়ে আছে লোহার অন্যতম প্রধান আকরিক ম্যাগনেটাইট (Fe3O4)। যা আপনি নিজেও শক্তিশালী চুম্বক দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন (দ্রঃ নিম্নের ভিডিও)। কাজেই সবাই ষ্ট্রং ম্যাগনেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেই কেল্লাফতে। দেশ রাতারাতিই এগিয়ে যাবে।

Black Sand at Ocean Beach

১৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হরিপুরের তেল তো ১৯৮৬ সালে উত্তোলন করা হয়েছিল। পরে সেটা লাভ জনক না হওয়াতে বন্ধ হয়ে যায়।
আর বালিতে যে লোহার কথা বললেন তা কিন্তু বানিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে?

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫৪

সুপারডুপার বলেছেন:



কক্সবাজার সদরের নাজিরটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতের বালিতে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি দামের অন্তত ১৭ লাখ ৪০ হাজার টন খনিজ পদার্থ মজুত রয়েছে। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের (বিএইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সৈকত বালিতে মোট খনিজের প্রাক্কলিত মজুতের পরিমাণ ৪৪ লাখ (৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন) টন। প্রকৃত সমৃদ্ধ খনিজের পরিমাণ প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টন (এক দশমিক ৭৫ মিলিয়ন)। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে উচ্চ চাহিদাধর্মী মজুত আকরিক রফতানি করতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মূল্যবান খনিজ বালি জিরকন, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও রুটাইল উত্তোলন করা যেতে পারে। (তথ্যসূত্রঃ http://www.coxsbazar.gov.bd/ )

প্রায় ১৫ বছর আগে, আমি বাংলাদেশ এটোমিক এনার্জি সেন্টার চট্টগ্রাম ভিজিট করে ওখানকার গবেষকদের সাথে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন, কক্সবাজারের বালিতে মূলত ইলমেনাইট,ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল, মোনাজাইট, সিলিকা আছে, এমনকি ইউরোনিয়ামের আকরিক ও বালিতে পাওয়ার সম্ভবনা আছে । ম্যাগনেটাইটের পাশাপাশি অন্যান্য খনিজ গুলো উত্তোলন করা গেলে বানিজ্যিকভাবে অবশ্যই লাভজনক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ গুলোকে পৃথকীকরণ ও সমৃদ্ধকরনে দেশের প্রযুক্তির স্বল্পতা রয়েছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি তেজস্ক্রিয় খনিজ পাওয়ার সম্ভবনা থাকলেও তারা ডিপ্লোম্যাটিক কথা বলে তা উত্তোলনে বরাবরই নিরুৎসাহিত করে। সায়েন্টিফিক অফিসাররা মূলত দেশীয় প্রযুক্তির অভাবে বানিজ্যিকভাবে লাভজনক হচ্ছে না, এই রকমই বলেন।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৪

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: দারুণ! অনেক কিছু জানা গেল। সোজা প্রিয়তে।
ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৯

সুপারডুপার বলেছেন:



পোস্টটি পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা :-

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০

মিরোরডডল বলেছেন:



সুডু, ধুলোকে দেয়া লিংক থেকে মুভিটা দেখলাম Bab'Aziz: The prince who contemplated his soul'

ভীষণ ভালো লেগেছে । ব্যতিক্রমধর্মী একটা মুভি, আগে এরকম দেখিনি ।
আরও ভালো লেগেছে এই গানটা । একদম সুপারডুপার :)

People of this world are like the three butterflies
In front of a candles flame
The first one went closer and said, I know about love

The second one touched the flame lightly with his wings and said
I know how love’s fire can burn

The third one threw himself into the heart of the flame
And was consumed
He alone knows what true love is

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সুপারডুপার, আপনাকে অনেক দিন যাবত পাচ্ছিনা। প্লিজ ব্লগে আমাদের জানিয়ে ‍চিন্তামুক্ত করবেন। আপনার শুভ কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.