![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
রায়ে হোয়াইট হাউজ অত্যন্ত বিব্রত, বান কি মুনের উদ্বেগ
হাজারবার ফাঁসি দেয়া হলেও সত্যপথ থেকে এক চুলও নড়ব না : বদিই
মিসরের আদালতে গত সোমবার মুসলিম ব্রাদারহুডের ৭২০ জন নেতাকর্মীর গণমৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও মুসলিম ব্রাদারহুড এ রায়কে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ রায় বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। বান কি মুন বলেছেন, এতে মিসরের দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা বিঘিœত হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বদিই রায় ঘোষণার পর দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ওরা তাকে যদি হাজারবারও ফাঁসি দেয় তাহলেও তিনি যে সত্য পথে রয়েছেন তা থেকে এ চুলও নড়বেন না। রয়টার্স, নিউজ নাও,এপি ও আলজাজিরা।
অনমনীয় বদিই : রায় ঘোষণার পর ব্রাদারহুডের মুর্শিদে আম বলেন, তিনি তার উদ্দেশ্য ও আদর্শের ওপর অটল থাকবেন। বদিইর বরাত দিয়ে মুরসির এক ছেলে এ কথা জানান। তার উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী ওসামা মুরসি বলেন, বদিই বলেছেন, তাকে যদি ওরা হাজার বারও মৃত্যুদণ্ড দেয় তাহলেও তিনি তার সঠিক পথ থেকে এক চুলও সরে যাবেন না। ওসামা মুরসি তার বিচার চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওসামা মুরসির ফেসবুকে বদিইর এ মন্তব্য প্রকাশিত হয়। সোমবার মিসরের একটি আদালত হোসনি মোবারকের উৎখাতে নেতৃত্বদানকারী গণতন্ত্রপন্থী সংগঠন এপ্রিল-সিক্সকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া : মিসরের আদালতে মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাসহ সাত শতাধিক নেতাকর্মীর গণমৃত্যুদণ্ডের রায়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘অত্যন্ত বিব্রত’ বোধ করছে। গত সোমবার হোয়াইট হাউজ মিসরের এ গণবিচারের নিন্দা জানিয়েছে। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলে, ‘আজকের রায়টি গত মাসের গণমৃত্যুদণ্ডের রায়ের মতোই, যাতে আন্তর্জাতিক বিচারের সবচেয়ে মৌলিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারসহ মিসরের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণের বিষয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব মিসর সরকারের। যে বিচারের ক্ষেত্রে স্পষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন ও আইনজীবীদের অংশগ্রহণের সুযোগ অবারিত রাখতে হবে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা মিসর সরকারের প্রতি গণবিচার ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এই রায় ও এর আগের বিচারের রায় পরিবর্তন করার এবং প্রত্যেক নাগরিক যাতে সঠিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এ রায়ের নিন্দা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এ বিচার অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও আদৌ ন্যায়বিচার করা হয়নি। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন রায়ের খবরে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বলেছেন, স্পষ্ট আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়নি, যা মিসরের দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা বিঘিœত করবে।
রায় ঘোষণার খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই কায়রোয় সীমিত সংঘর্ষ ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকালে কয়েকজন আহত ও গ্রেফতার হয়েছে। তবে নগরীর অন্যান্য এলাকা অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল।
ব্রাদারহুডের বিবৃতি : মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের গণমৃত্যুদণ্ডের রায়ের নিন্দা করে বলেছে, ‘এ ধরনের রায় বিপ্লবী জনগণের অন্তরে কোনো ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াতে পারবে না। সোমবার দলটির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এ বিচার প্রক্রিয়ায় মিসরের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতির বিস্তার ঘটা এবং দেশের অশুভ ভবিষ্যতের বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে।’
ব্রাদারহুড বলেছে, ‘শান্তিপূর্ণ বিপ্লবী জনগণের ওপর গণহত্যার এ নতুন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যারা তাদের স্বাধীনতা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত মোটেই ক্ষান্ত হবে না।’
মিসরের মধ্যাঞ্চলের মিনাইয়া প্রদেশের একটি আদালত সহিংসতার অভিযোগে সোমবার মুরসির ৩৭ জন সমর্থকের মৃত্যুদণ্ড এবং ৪৯১ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড প্রদান করে। এ আদালত ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মুরশিদে আম মোহাম্মদ বদিইসহ অপর ৭৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বিবেচনার জন্য মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠানো হয়েছে। মিনাইয়ায় থানায় হামলাসহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য এক হাজার ২১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করার পর ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যা, জুলুম ও গ্রেফতারি চালিয়ে যাচ্ছে। দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরা হয়েছে।
মিসরীয়দের প্রতিক্রিয়া : পাঁচ মাস আগে দুই সন্তানের পিতা ও ফার্মাসিস্ট আবু বকর ইসমাইলকে (৩০) তার কারখানায় কাজ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তার পরিবার অত্যন্ত বিস্মিত হয়। তারা জানায়, ইসমাইল একজন নিষ্ঠাবান মুসলমান। ছোট ভাই আমর ইসমাইল (২৯) বলেন, ‘আমার ভাই একজন নিরাপরাধ মানুষ। তার মুখে দাড়ি আছে এবং তিনি কুরআনের হাফেজ। কেবল সে কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ সোমবার যে ৭২০ জনের ফাঁসি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ইসমাইলও রয়েছেন। মোহাম্মদ বদিইসহ যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা সবাই মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এ রায় কার্যকর করার আগে গ্র্যান্ড মুফতি শাউকি আলামের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ রায় অনুমোদন বা বাতিল করতে পারবেন। তবে অনেকে মনে করছেন, এটি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছুই নয়।
অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইজ্জত মোহাম্মদের (৪৪) স্ত্রী নাহেদ মোহাম্মদ বলেন, তার স্বামীকে মিনাইয়া মসজিদে নামাজ পড়ার সময় পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা তারা জানেন না। তিনি ও তার চার সন্তান রায় শোনার পর থেকে তার মুক্তির জন্য দোয়া করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কী করতে পারি? বিচারকের সিদ্ধান্তই তো চূড়ান্ত কথা।’
ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি রায় ঘোষণার পরপরই এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পুরো বিষয়টি বিশ্বে বিচারব্যবস্থার নিয়মনীতির বরখেলাপ।
"তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের একটি পত্রিকা, যার নাম নয়াদিগন্ত"
তারিখ: ০১ মে ২০১৪ইং
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার এই মন্তব টুকু সবাইকে বুঝার তৈফিক দান করুন, আমিন!
২| ০৩ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ, কথাটা একান্তই সত্য, আল্লাহ যতক্ষন তাদের মনে ঈমান না দিবে কে পারে তাদেরকে উপদেশ দেয়, কারন তারা তো মোড়ল সাহেব।
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: একটি এই কথাটার পরি-সমাপ্তি ঘটবে। সে দিন হয় তো আমি আপনী বেচে থাকবো বা থাকবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:০৩
হাসান বিন নজরুল বলেছেন: মার্কিনীদের নাটক দেখে অবাক হই আগুন লাগায় আবার সেই আগুন দেখে মেকি কান্না করে