![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
সেই মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরানা আদায় করে আরম্ভ করছি, যিনি আঠারো হাজার মাকলুকাত তৈরি করে, মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসাবে ঘোষনা করেছেন, আমিন।
আজকের আলোচনার বিষয় বস্তু হলো, ওরশ নিয়া অনেকে হয়তো ভাবতে বসেছেন, এটা আবার কি আলোচনা আসলে এটা একটা ভিন্ন তর আলোচনা তো বটেই আবার অত্যান্ত গভীরের আলোচনাও বটে।
আমরা যে যত টুকু জানি সে ততটুকু নিয়াই চিন্তা ও আলোচনা করি। আসলেই আমাদের চিন্তা ও ইমান সীমিত্। মহান আল্লাহু তায়ালা আমাদেরকে সব কিছুই সীমিত করে দিয়েছেন। অনেকে নিজেকে অনেক জ্ঞানী ও অনেক কিছুই জানেন বলে জাহির করেন, আসলে কি তাই, না আসলে ঠিক না।
তবে শুনুন, এক জন নতুন বউ সে সাইজে ছোট একহাত। একদিন তার শাুশুরী আম্মা তাকে গ্লাসে পানি দেয়ার কথা বললেন। শাশুরীর আদেশ শুনে তিনি মেহমানের জন্য পানি আনার জন্য জগ নিয়া কলসের কাছে গেলেন। এবং পানিও ডাললেন তবে অনেক কষ্ট করেই। কষ্ট করতে গিয়া তাহার নাকের নোলত কলসির মধ্যে হারিযে ফেললেন। একেতো নতুন বউ তার উপরে নাকের নোলত বলতে একটা কথা। এটাতো তার জন্য একটা মান-ইজ্জতের ব্যাপার ও বটে। তিনি বার বার কলসিতে হাতাতে লাগলেন। পানি আনতে দেড়ি দেখে শাশুরী বউকে ডাকতেছেন, কি ও বুইটা বউ পানি নিয়া আসনা কেন? বউ সারা দিল "আম্মাজান আমার নাকের নোলত কলসির মধ্যে পড়ে গিয়াছে।" শাশুরী বললো "সমস্যা কি? তুইলা নেও।" এই বার নতুন বউ উত্তর দিল "আম্মাজান কলসির তলি নাই" বলো কি কলসির তলি নাই?
আসলে করসির তলি আছে তবে বউ একহাত লম্বা, তার হাত আর কত বড় হবে। তিনি নিজেই কলসির তলি হাতাইয়া পায় না।
তাই আমার অনুরোধ যার জ্ঞান যতটুকু সে তত টুকুই জানবে । তাই আল্লাহ তায়ালা মানুষের জ্ঞানকে সীমিত করে দিয়েছেন। এটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন একমাত্র তার প্রিয় বান্দাদের কিছু জ্ঞান সিমানা ছাড়িয়ে দান করেছেন অলৌকিক জ্ঞান। এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা যাকে ভালবাসেন তাকেই দান করেন।
আমার দীর্ঘ্য জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে, আামি যতটা যেনেছি। আল্লাহ পবিত্র কোরআন পাকে এরশাদ করেছেন "আলিমুল গাইবে ওয়া শাহাদয়।"
তাই মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত, বরকত, নেয়ামত ও মেহেরবানীর প্রশংসাই করা উচিৎ। কোন তর্ক নয়। অনেক আলেম অনেক কথা বলে থাকে, তার পরও যে কথা আছে তা তার হয়তো যানাই নাই। তাই ইসলামকে খাটো করে কেউ দেখবেন না। পৃথিবীতে যত ধর্ম এসেছেন, একমাত্র ইসলামই হচ্ছে শান্তির ধর্ম । এই ধর্ম আসার পর সমস্ত ধর্মই পবিত্র কোরআন পাকে বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে। এর পরও যদি কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে তবে সে আর মুসলমান থাকলো না।
আমার লেখা টা ছিল "ওরশ" নিয়া আসলে ওরশ শব্দের অর্থ কি? আমরা কি আদৌ এর অর্থ জানি? হয়তো বা জানি, না হয় জানি না। একজন আলেম আমাকে জানালেন যে এর আবিধানিক অর্থ ভাষর বা মিলন, যাক আমি ধরেই নিলাম এটাই এর অর্থ, দেখি আমরা কি খুজে পাই বা আদৌও কোন সঠিক মিল খুজে পাই কি না?
মানুষ তার জীবন চলার পথে, চলতে চলতে একসময় পথের দিশা হারাইয়া ফেলে তাই তাকে পথ দেখাবার জন্য আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় বান্দাদেরকে প্রেরণ করেন। এবং তারাই হলেন "নায়েবে রাসুণ বা রাসুলের অনুসারী" পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারের শেষ আয়তে আল্লাহু তায়ালা বলে দিয়াছেন "রাসুলের বংশধর কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। এরাই নায়েবে রাসুল বা আওলাদে রাসুল।" ওরাই লেচ কাটা হবেন, যারা রাসুল করিম (সঃ) কে লেচ কাটা বলতেছেণ।
যদি কেউ সুরা কাউসার পড়ে অর্থ ও এর সঠিক তাফসির ও তরজমা এবং কি উদ্যেশে এই সুরা আল্লাহু রাব্বুল আলামিন নাজিল করেছিলেন তা একবার জানার চেষ্টা করেন, তবেই যানতে পারবেন আল্লাহুর রহমতের, বরকতের, নেয়ামতের খেলা তিনি কি ভাবে তার নেয়ামত উম্মতে মোহামাদীর জন্য জমা রেখেছেন।
রাসুল করিম (সঃ) যখন পবিত্র মেরাজ গমন করে এমন এক জায়গায় পৌছলেন সেখানে একটা বিরাট দরজা দেখতে পেলেন এবং থমকে দাড়িয়ে গেলেন। আল্লাহু রাব্বুল আলামিন ডাক দিয়া বললেন, "ইয়া হাবিব - এই দরজার চাবি একমাত্র আমিই আপনাকেই দান করেছি অন্য কাউকে নয়।" "আর এই দরজার চাবি বানিয়েছি ১৯টি হরফ দিয়া আর তা হলো বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।" নবী করিম (সঃ) বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলে দরজায় হাত দেওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে গেল। তিনি দেখে বিমহিত হলেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে বললেন, "এর নাম হাউজে কাউসার, মোমিন বান্দাদের জন্য এই কাউছার রাখা হয়েছে। যিনি এক পেয়ালা পান করার সৌভাগ্য হবেন। ৪০ বৎসরে তার আর পিপাসা লাগবে না।" আল্লাহ! আল্লাহ!!
আমরা কি সবাই এই হাউজে কাউসারের নেয়ামত লাভ করতে চাই তবে আসুন কোরআন পড়ি এবং তার অর্থ, তরজমা, তাফসির জেনে নেই, এবং সেই মোতাবেক আমাদের জীবন পরিচালিত করি। কোরআনই একমাত্র মুসলিম জীবন সংবিধান, চেষ্টা করি দেখি, হয়তো বা আমাদের ভাগ্যে হাউজে কাউসার নসিব হতেও পারে, যদি আল্লাহু রাব্বুল আলামিন দয়া করেন। এবং আল্লাহুর হাবিব দয়া যদি আমাদেরকে সাফায়ত করেন।
আমি যদি লেখতে লেখতে এই ওয়েব সাই ষেশ করেও ফালাই তবে এই সুরা কাউসারের একটি আয়াতের সামান্য কিছুই শেষ হবে বলে আমার মনে হয় না। আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তার প্রিয়া বান্দাদের জন্য এত নেয়ামত রেখেছেন। "আতদুনিয়া মাজরতুল আখিরা।"
আল্লাহু রাব্বুল আলামিন এই দুণিয়াতে যে নেয়ামত তার বান্দাদের জন্য জমা রেখেছেন। তার কিছুই তাহারা জানে না, যদি জানতো তবে তাহারা এত মারামারি হানাহানি করতো না। আর আখিরাত সম্পর্কে যদি তাহারা ওয়াকিব হাল থাকতো, আফসোস " তারা আর কিছুই ভাবতো না" তারা শুধুই আল্লাহু তায়ালার ইবাদাতে মশগুল থাকতো।
হযরত মুশা (আঃ) আল্লাহু তায়ালাকে বললেন, "হে আল্লাহ আমি আপনাকে কোলে নিয়া দেখবে" আল্লাহু তায়ালা বারবার বলতে লাগলেন "না মুসা তুমি আমাকে কোলে নিবে না।" মুশা (আঃ) বার বার বলতেই থাকলেন। আল্লাহ একসময় তাকে শান্তনা দিলেন যে, "যাও আমি তোমার কোলে বসবো, যদি তুমি আমাকে কোল নেও।" মুশা (আঃ) তৈরি হয়ে একটি সুন্দর যায়গায় দক্ষিনা বাতাস সমুখ করে বসে আছেন আল্লাহু রাব্বুল আলামিন আসবেন তাকে কোলে নিবেন সেই আনন্দে মশগুল হয়ে। এমন সময় দক্ষিন দিক হতে এক আজারওয়ালা লোক হযরত মুশা (আঃ) দিকে আসতেছিল, তার সমস্ত শরীর দিয়ে পুজ পড়ছে এবং গন্ধ ছড়াচ্ছে। মুশা (আঃ) বিরক্ত হয়ে তাকে সড়ে যেতে বললেন। এমনি করে তিন তিন বার লোক টা আসলো এবং হযরত মুশা (আঃ) তাকে তাড়িয়ে দিলেন। মুশা (আঃ) যখন শেষ প্রহরে পৌছলেন তখন আবার আল্লাহু তায়ালার কাছে সেজদায় পড়ে কানতে লাগলেন। "হে আল্লাহ আপনি তো আসলেন না।" কথন আল্লাহ তায়ালায় উত্তর দিলেন,. হে মুসা আমি আল্লাহ, "তোমার কাছে গিয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে তিন বার তারিয়ে দিয়েছো, বলো তো দেখি কেন তুমি এমন করলে আমার সাথে।" মুশা (আঃ) বিমহিত হয়ে গেলেন বলতে লাগলেন । "হে আল্লাহু রাব্বুল আলামিন আমি আপনার খেলা বুঝতে পারি নাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।"
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন "আমার হাত ধরতে চাও, আমার দেখা পেতে চাও, আমার হাবিবের হাতে হাত দাও , আমার হাবিব কে দেখ তার মহব্বতে আস, আমার দিদার পাবে, আমাকে পাবে। আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের হাবিবকে পেতে চান, তবে তার নায়েবে রাসুল বা আওলাদে রাসুল এর কাছে এসে, তার মোহব্বতের সামনে এসো, তার হাতে হাত দেও, তবেই তো সেই মহান রাব্বুল আলামিনের নেয়ামত, রহমত, বরকত, এবং ক্ষমা পাওয়া যাবে। আপনার জন্য আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের রহমতের দরজা খুলে যাবে।
সেই আওলাদে রাসুল মহব্বতের মিলন মেলা তৈরি করেছেন, তার নাম দিয়োছেন "ওরশ মোবারক" আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের রহমত, বরকত, নেয়ামত এর মিলন মেলা, এক্ষেত্রে "ওরশ" নাম টা সঠিক আছে বৈকি।
আর ওরশ হোল সেই নেয়ামত যেখানে আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের রহমতি লোকদের মিলন মেলা, যেখানে শরিয়ত, হকিকত, তরিকত এবং মারফতের শিক্ষার এক মিলন মেলা, যেখানে আল্লাহু রাব্বুল আলামিনকে ভালবাসার শিক্ষা ও দিক্ষা পাওয়া যায়।
আসলে, আপনাকে যদি বলা হয় আপনি বাজারে যান সওদা করতে এবং ভাল কিছু ক্রয় করতে। আপনী যদি আপনার কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়া খারাপ কিছু ক্রয় করেন। তবে তাতে অন্যের তো কিছুই করার থাকবে না। আপনার অর্থ আপনী কিভাবে কাজে লাগাবেন এটা কিন্তু আপনার উপর নির্ভর করবে। আর আপনাকে সঠিক নির্দশন দেওয়ার জন্য যুগে যুগে আল্লাহু রাব্বুল আলামিন নবী ও রাসুলদের পর তার রহমতি বান্দাদেরকে আওলাদে রাসুল হিসাবে প্রেরন করেছেণ।
তাই আসুন, আমরা আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের নেক রহমতের ছায়া তলে আসি, এবং তা লাভ করি।
আমিন! আমিন!! সুম্মা-আমিন!!!
আল্লাহু রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রত্যেকে ইহা বুঝার তৈফিক দান করুন, আমিন!
©somewhere in net ltd.