নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাদারহুড অব মিশর

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত : ব্রাদারহুড সন্ত্রাসী সংগঠন নয়





১৯ আগস্ট ২০১৪, মঙ্গলবার, ৭:১৪, এক জরিপে প্রকাশিত হয় যে,

ব্রিটিশ সরকারের এক তদন্তে প্রমান পাওয়া গেছে মুসলিম ব্রাদারহুড কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়। এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দেয়ায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ছিল বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে।



ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে হোয়াইটহল সূত্র জানিয়েছে, ব্রিটিশ তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত হবে না। ব্রাদারহুড সদস্যরা সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত- এমন প্রমাণ তদন্তকারীরা পায়নি।



গত এপ্রিলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনে অবস্থানরত ব্রাদারহুডের সদস্যদের যোগসাজসে মিসরে পর্যটকদের ওপর হামলা হয়েছে কি না তা তদন্ত করতে হোয়াইট হল তদন্তকারীদের নির্দেশ দেন।

ক্যামেরন এজন্য সৌদি আরবে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার জন জেনসিনসকে পর্যালোচনার দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন জানার পর তিনি মারাত্মক সমালোচনার মুখে পড়েন। তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ক্যামেরন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ তার উপসাগরীয় মিত্রদের কাছ থেকে প্রবল চাপের মুখে পড়েন বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কারন এই দেশগুলো চাচ্ছিলো ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষনা করা হোক।



তদন্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, এটা আসলে সরকারের ‘নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ’।



প্রতিবেদনের সাথে জড়িত ঘনিষ্ট একটি সূত্র পত্রিকাটিকে বলেন, ‘স্যার জন যখন বলবেন যে ব্রাদারহুড সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। সৌদি আরব আমিরাত তখন আমাদের প্রতি খুবই নাখোশ হবেন।’



এপ্রিলে মিডল ইস্ট আইয়ের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ব্রাদারহুডের মুরসি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন ক্যামেরন মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তর্জাতিক মুখপাত্রকে তার সাথে একান্তে লাঞ্চ করার দাওয়াত দেন এবং তার কাছে জানতে চান যে তাদের সমর্থনে ব্রিটেন কী করতে পারে।



গত বছরের জুলাইতে মুরসিকে উৎখাতের পর রাজপথের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ শ’ লোক নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি লোককে কারাবন্দি করা হয়। এদের অনেকে ব্রাদারহুডের সদস্য বা সমর্থক।



অভ্যুত্থানের পর মিসর সরকার ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে।



সহিংসতায় জড়িত নয় ব্রাদারহুড

মুসলিম ব্রাদারহুড অব্যাহতভাবে জানিয়ে আসছে, তারা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়িত নয়। মিসরের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ব্রাদারহুড অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম চালানোর জন্য ছয়টি সেল গঠন করেছে বলে মিসরীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করার পর সংগঠনটি তা অস্বীকার করে কোনো জানায় কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে মুসলিম ব্রাদারহুড জড়িত নয়।



ব্রাদারহুড রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পুলিশ ও সেনা মুখপাত্র এবং তাদের মিত্র মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা যেসব অভিযোগ করেছেন, আমরা সেগুলোর সাথে জড়িত নই।’



মুরসিকে সমর্থনদানকারী প্রধান ব্লক ‘ন্যাশনাল অ্যালয়েন্স ফর দ্য ডিফেন্স অব লেজিটিমেসি’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কোনো ধরনের সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিশ্বাস করে না।



মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের পর রাজধানী কায়রোয় ব্রাদারহুডের ডাকা দুটি অবস্থান কর্মসূচীতে হামলার প্রথম বার্ষিকীতে পুরো দেশে বিক্ষোভ করেছে দলটি।

ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার সময় তাদের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে।



আমরা যদি একবার একটু চিন্তা করি, আসলে মিশরে কি ঘটছে। তা হলে আমরা অনুধাবন করতে পারবো। সেখাবে কিছু পশ্চিমা বিশ্ব রাজনৈতিক হত্যা ও সামরিক জান্তার অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। এটা একান্তই অনাকাংক্ষিত ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না।



সিসি যে ঘটনা ঘটালো এটা কোন পড়াশক্তির ই্ঙ্হিত ছাড়া আর কিছুই না, এখাবে জড়িয়ে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সার্থ আর কিছুই না। সে কোন জনগনের বৈধ্য নেতা হয়। এবং লোকেরা মুসরিকেই মিসরের নেতা মনে করেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----
যদি একবার একটু চিন্তা করি, আসলে মিশরে কি ঘটছে। তা হলে আমরা অনুধাবন করতে পারবো। সেখাবে কিছু পশ্চিমা বিশ্ব রাজনৈতিক হত্যা ও সামরিক জান্তার অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। এটা একান্তই অনাকাংক্ষিত ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না।

সিসি যে ঘটনা ঘটালো এটা কোন পড়াশক্তির ই্ঙ্হিত ছাড়া আর কিছুই না, এখাবে জড়িয়ে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সার্থ আর কিছুই না। সে কোন জনগনের বৈধ্য নেতা হয়। এবং লোকেরা মুসরিকেই মিসরের নেতা মনে করেন।

+++++++++++++

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ভাই আপনার কথাটা একান্তই সঠিক, পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আরে এগুলাতো সব আই ওয়াশ কথা বার্তা, দেখেন আমাদের দেশে জামাতরে সন্ত্রাসী বলে অথচ আওয়ামীলীগ নিজেই অনেক অনেক অনেক বেশী সন্ত্রাস করে। একি কথা ছাত্রলীগ আর শিবিরের জন্যও

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.