![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
সরকারী চাকুরী শেষে আমি কিছু দিন যাবৎ ঘরে বসে বসে কাটিয়েছি। কিন্তু আমার সময় কাটতে চায় না, এবং আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়লাম। আমার স্ত্রী ও পুত্র মিলে আমাকে হাসপাতালের বেডে সুয়ে দিল কিছুদিন কাটালাম। ডাক্তার পরিস্কার ভায়ায় বলে দিল তাকে কাজে লাগান না হয় খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় পড়ে যাবে, তখন কোন ডাক্তার বা ঔষধ তার কোন কিছুই করতে পারবেন না। তাই ইচ্ছা করেই কাজে লাগতে চাইলাম।
প্রথমতঃ একটি কোম্পানীতে যোগদান করলাম তবে সেখানে তেমন ভাললাগলো না । আমি একটি বড় কোম্পানী খুজতে ছিলাম পেয়েও গেলাম। তবে চাকুরী করতে হবে, সেই সুদুর সিলেটে, মনে মনে একটু খুশিই হলাম আবার একটু লোভ হলো স্ত্রীর ভালবাসা পাবার জন্য দীর্ঘ্য সময় সরকারী চাকুরী করে আসলাম তখন স্তীর থেকে নীজেকে দুরে রাখতে হয়েছে বিভিন্ন কারনে আর আজ অবসরে আসার পরও যদি আমাদের দুজনকে দুই পান্তে থাকতে হয় এটা আমার জন্য একটু বেদনার হয়ে উঠতে ছিল। তার পরও ছেলেদের লেখা-পড়া, নীজের শারীরিক প্রয়োজনে আমাকে চাকুরীর প্রতি আকৃষ্ট করলো।
আমার ভাগ্য আমাকে স্ত্রী থেকে দুরেই নিয়ে আসলো। সুদুর সিলেট, এখান কার নামের অনেক ইতিহাস আছে। হযরত শাহ জালাল (র এর আবাদ ভুমি এই সিলেট।এই সিলেটের নাম ছিল "জালালাবাদ" এর ইতিহাস অত্যান্ত বেদনা দায়ক তবে এই জায়গাকে শাহ জালালের পূর্নভুমি বলে সকলে বিশ্বাস করেন। তবে আমি ও কিন্তু ঐ বিশ্বাসিদের দলে।
কোম্পানীর গাড়ীতে করে লাগেজ পত্র নিয়ে ছুটে এলাম এই সুদুর সিলেট শহরের পচ্শিম পাশ্বের একটি এলাকায় কুমারগাও, কেন যে, এই জায়গার নাম কুমারগাও হয়েছে কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, তবে আমি কিন্তু তাহা বলতে পারবো না। এখানে কোন কুমারকে কিন্তু আমি দেখতে পাইনি। এর পাশেই রয়েছে সুরমা নদী এবং নদীর উপর সুন্দর ব্রীজ, বড়ই সুন্দর এই ব্রীজ, সাথেই রয়েছে সুনামগঞ্জ বাসষ্টান্ড, একটু আগালেই পাবেন শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এটা বিশাল পরিসরে তৈরি হয়েছে। যেমনই তার নাম ডাক এবং এখানের পরিবেশও বড়ই সুন্দর। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, এখানকার লোকগুলো অধিকাংশ অশিক্ষিত বলেই চলে। হয়রে দুরভাগা দেশ যেখানে এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ল সেখানের লোকগুলেকে তুমি পারলেনা শিক্ষিত বানাতে।
সোজা চলে গেছে বাদাঘাট এখানে তৈরি হচ্ছে সেন্টাল জেলখান সিলেটের জন্য বিশাল পরিসরে, নদীর ওপারেই একটি মেরিন একাডেমী, আমার বুঝতে খুবই কষ্ট হচ্ছে এটা কিকরে সম্ভব, যেখানের নদীতে ৬ মাস পানি থাকে না সেখানে কি করে এই একাডেমী তৈরি করা এবং ট্রেনিং করানো সম্ভব এটা যদি সুনামগঞ্জ বা কোন হাওর এলাকাতে করা হতো তবে না হয় চিন্তা চেতনার সাথে মিলাতে পারতাম। জানি না কি উদ্যেশে এই এককাডেমি তৈরী করা হচ্ছে। তবে পরিকল্পনাকারীরাই ভাল জানেন। বাংলাদেশে চরটি মেরিন একাডেমি করা হবে এটা তারই একটি।
এখানে যে জিনিস বেশী পাওয়া যায় সেটা হলো "পাথর"। তবে সস্তা নয় বেশ দাম দিতে হয়। এখানকার মানুষ গুলে বেঁশ পাথরের মতোই, তবে সবাই না ক্ষেত্র বিশেষে, বড়ই খারাপ লাগে তাদের ভাষা,
তারা ছোট্ট মেয়েদের কে "পুরি" বলে ডাকে আমার সুনতে একটু কেমন কেমনই লাগতেছিল। তবে এখন মোটামুটি সামলেই নিয়েছি।আমিও তাদের সাথে সাথে বলতে অবস্থ্য হয়েগেছি।
আমি এই ফার্মের একজন অফিসার বটে। সকাল হলেই কাজ আরম্ভ হয় এবং রাত ১২টা নাগাদ শেষ হয় এটা একটা আজগুবি চাকুরী। আমি আর্মিতে এতো কষ্ট স্বীকার করি নাই। আমার সহকর্মী একজন সারা রাত্র জেগে থেকে কাজ করে কি কাজ করে আমার জানা নাই তবে আমি অফিস ত্যাগ করার পর তিনি সুধুযে কম্পিউটারে বসা থাকে তাকে কোন সন্দেহ আমার নাই এইটুকু আমি হলফ করে বলতে পানি। বতমানে আইটির যুগ তাই আমি তো তাকে আমার মতো করে চলতে বলতে পারি না। তার পরও তার সাথে আমি তালমিলিয়ে চলতে চেষ্টা করি কিন্তু পেরে উঠছিনা।
তিনি ছাত্র জীবনে ছালগীগের ছাত্রনেতা ছিলেন, আজম খান সরকারী কলেজ, খুলনাতে তিনি লেখা পড়া করেছেন। তবে তাকে নামাজের প্রতি আগ্রহ সৃস্টি করার চেষ্টা করছি তবে কতোটা সফল হতে পাবো আমার জানা নাই।
আমাদের বেশ কয়েক টি প্রকল্প আছে, তার মধ্যে নতুন জেলখান, এপিবিএন, আর আর এফ, কোতয়ালী মডেল থানা, গোলাপগঞ্জ থানা, ওসমানী নগর থানা, রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন -৯ এর আবাসিক ভবন, ইত্যাদির কাজ আমরা করি. তবে আমার এই কোম্পানীর বেশ সুনাম আছে। আমরা কাজটির প্রতি সঠিক নজর দিই এবং এর কাজটি সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করি।আমাদের রয়েছে নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার, ও সমসাময়িক প্রযু্ক্তি তাই আমার এই কোম্পানীকে দেশ গড়ার কারিগর বলাই যথার্থ হবে।
আমাদের এই কাজে কোন লাভ হয়না বলেই চলে। তবে লাভ একটাই সেটা হলো অনেকগুলো লোক থাটে তাদের বেতন ভাতা এখানথেকেই আসে অনেক গুলো পরিবার এই প্রতিষ্ঠানের উচ্ছিলায় বেচে যাচ্ছে, এতে কোন সন্দেহোর অবকাস নাই। তাই এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও তার সহকারী দের প্রতি আমি যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করি তবে যে অন্যায় হবে তাতে কোন সন্দে নাই।
আমি এই ক্ষুদ্র পরিসরে যতটুকু জানতে পারলাম, অন্যান্য কোম্পানীগুলো যে ভাবে সরকারী কাজ করে তার তুলনায় এই কোম্পানী কাজকে ১০০০ গুন বেশী ভালো ভাবে কাজ করে। আমি দেখলাম সরকারী ইঞ্জিনিয়ারদের চিন্তা চেতনার চাইতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের চিন্তা ভাবনা অনেক অনেক গুনে ভাল । এই কোম্পানীর ইঞ্জিনিয়াররা ১০০ বৎসরের কথা চিন্তা মাথায় রেখে এই কাজগুলোকে সম্পন্ন করার চেষ্টা করে।
আমি যদি এই দেশ গড়ার কারিগরদেরকে ধন্যবাদ না জানাই তবে যে অন্যায় করা হবে তাতে কোন সন্দেহ আর থাকলো না।
চলবে .....................................।।।।।।।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধনবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার দেখা সিলেট ।