![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
ট্রেন চলতেছে কুলাউড়ার উদ্যেশে, এক জন ভদ্র মহিলা, মলিন মুখে একদিকে চেয়ে আছে, চিন্তাযুক্ত মনে। আমার মনের গভীরে একটু মোচর দিয়ে উঠলো, একজন মা, বিসন্ন মনে গভীর চিন্তায় মগ্ন তিনি।
কিছুটা সমেয়র পরে, আমি তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম। এবং সফল হলাম।
আসসালামুআলাইকুম, তিনি জবাব দিলেন, ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আপনী কিছু ভাবছেন।
না.............. কিছু না।
তার মধ্যে খেকে দীর্ঘ্য নি:শ্বাস বেড়িয়ে আসলেন।
আমি তার নি: শ্বাসের করন জনতে চাইলাম।
তিনি বলতে আরম্ভ করলেন,
"আমার নাম আয়শা, আমার দাদা বাড়ী নরসিংদী, আমার বাবার বাড়ী কমলগঞ্জ, আর মার স্বামীর বাড়ী বরগুনা, চামড়া নেয়ামতি।" তাহার কথা শুনে আমার মনের মধ্যে একটা মোচর দিয়া উঠলেন।কারন আমার গ্রামের বাড়ীটা তো আমতলী বরগুনা।
তিনি এর পর কি বলবেন তা নিয়া চিন্তায় পরে গেলাম।
তিনি বলতে আরম্ভ করলেন-
"তাইনরা আমার বড় পোলাড়া ডাকইকা নিয়া জবাই করে দিল, হায় আল্লাহ আমি বিচার পাইলাম না।, তার বাবা যদি বেচে থাকতো, তবে ঠিকই বিচার পাইতাম।
এক নি:শ্বাসে বলতে আরম্ভ করল-
"আমার পোলাডা দুই বছর পর বিদেশ থেইকা আসছে, আমি তাকে বিয়া করাইতে চাইলাম, হায় আল্লাহ তারা আমার পোলাডা মাইরা হালাইল।"
তার স্বাশী মারা যারার পর দুইটা ছেলে ও একটি মেয়েকে নিয়া অনেক কষ্টে দিন কাটাইয়া ছিল। তার বড় ছেলে সামান্ন্য লেখা পড়া শেখার পর তার খালুর সহয়তায় তিনি সৌদি আরব যাইয়া কিছু টাকা পয়সা নিয়া আসিয়াছেন, এবং তার মায়ের অভাবের সংসারে কিছুটা হলেও আশার আলো হিসাবে সচ্ছলতার মুখ দেখাইয়া ছিল। কিন্তু তাহাদের ইলেকশন নিয়া কে তাহাকে ভোট দিল আর কে দিলনা তাহা নিয়া দ্বেন্ধ জড়াই পরিল। এবং এই ভদ্র মহিলার হাতে কোরান শরীফ দিল, সত্য কথা বলাবার কথা বলাইেত চেষ্টা করিল, তাহারা একজন বিধবা মহিলার সাথে এ কেমন আচরন করলো বুঝা বড়ই কঠিন তাহা ভেবে দেখার বিষয়।
চলবে ..............................পরবর্তী লেখা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ, দু:খজনকই বটে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০১
দধীচি বলেছেন: দুঃখজনক