![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
পশ্চিমা স্বার্থের কাছে ইসলামের কোরবানী এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। আমেরিকা বা তার মিত্র দেশগুলো যে কোন সময় যেকোন ভাবেই তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাস বা কর্মকান্ড মুসলমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে কোন না কোন অযুহাত সৃষ্টি করেছেন। এবং এটা তারা তাদের মত করে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ঘৃনিত কাজ গুলো করে তাদের আক্রমনের পথ খোলশা করে, মুসলমাদের ঘুমে রেখে জাতী সংঘে বিল পাশ করাইয়া সমগ্র পৃথিবীকে নাকে রশি লাগাইয়া ঘুরানো টাই তাদের কাজ। এটা তারা এত সুকৌশলে করে যে মুসলিম দেশ গুলো বুঝতেও পারে না। বা এই মুসলিম কোন বেইমান বা মুনাফিক মুসলমানকে হাত করে বা তাকে ক্ষমতার লোভ দেখাইয়া তাদের দলে নিয়া কাজটাকে সহজ করে নেয়্।
আবার কোন মুসলিম দেশের সাথে তার প্রতিবেশী দেশের বিবাদ সৃষ্টি করাইয়া তাদের সাহায্যের হাত বাড়াইয়া দিয়া সেখানে সামরিক শক্তি নিয়োগ করাটাই তাদের কাজ।পশ্চিমাদের আসল উদ্যেশ থাকে অন্যটা এবং তা থাকে সুদুর প্রসারি। পশ্চিমাদের পররাষ্ট নীতি কোন অবস্থাতেই পরিবর্তন করে না। তাদের নেতার পরিবর্তন আসে কিন্তু তাদের পররাষ্ট নীতির কোন পরিবর্তন আসে না। এবার আমরা আফগান নিয়া এবার ভেবে দেখি আসলে কি ঘটেছিল সেখানে.............
আমেরিকাতে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে কী ঘটেছিল তা প্রায় সব মার্কিন নাগরিকই জানেন। কিন্তু সেদিন খুব কম সংখ্যক আফগানই এই ঘটনার খবর রাখত। আর যে আফগানরা এ ঘটনার খবর পেয়েছিল তারা কখনও এটা ভাবতেই পারেননি যে এই ঘটনার অজুহাতে তাদের দেশ খুব শিগগিরই ধ্বংসাত্মক হামলার শিকার হবে।
ওয়াশিংটনের দাবি- "২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার চারটি যাত্রীবাহী বিমান অপহৃত হয়। এর মধ্যে দু'টি বিমান নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে তথা বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের দপ্তরে ও একটি বিমান পেন্টাগন ভবনে আঘাত হানে। আর চতুর্থ বিমানটি অভিযান চালানোর সময় ভূপাতিত হয়। এ ঘটনায় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং মার্কিন মদদে গঠিত আলকায়দাই ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে।" ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিও বুশ আলকায়দার সন্ত্রাসীদেরকে আফগানিস্তান থেকে বের করে দিতে তালেবানদের নির্দেশ দেন ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু তালেবানরা ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে।
এ অবস্থায় তালেবানরা আলকায়দার সন্ত্রাসীদেরকে আশ্রয় দেয়ায় বুশ প্রশাসন তাদেরকেও ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জানায়। অবশ্য আফগানিস্তানে হামলার আগে এর মনোস্তাত্ত্বিক পরিবেশ সৃষ্টি করা মার্কিন সরকারের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে সন্ত্রাস বিরোধী এমন একটি প্রস্তাব পাস করা হয় যাকে প্রায় অভিনব বলা যায়। প্রস্তাবে ওই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলা হয় এইসব সন্ত্রাসী হামলা বিশ্ব-শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় দিক হলো- এতে সশস্ত্র হামলাকে সন্ত্রাসী তৎপরতা বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ফলে এরই আলোকে জাতিসংঘ ঘোষণার ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র হামলার শিকার যে কোনো দেশ আত্মরক্ষার জন্য সেনা শক্তি ব্যবহার করতে পারে। এভাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩৭৩ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী সন্ত্রাসী পদক্ষেপের হোতা ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগকে 'বৈধ প্রতিরক্ষা' বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাব কেবল শক্তিশালী দেশগুলোর স্বার্থই রক্ষা করছে।
অবশেষে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার ২৬ দিন পর মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতির আলোকে আফগানিস্তানে ব্যাপক হামলা শুরু করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তালেবানের পতন ঘটে। এরপর দেশটিতে মোতায়েন করা হয় এক লাখ বিদেশী সেনা। কিন্তু সন্ত্রাস দমনের নামে আমেরিকার নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনীর ওই অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও মুসলিম এই দেশটিতে যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। ফলে হতাহত হয়েছে হাজার হাজার আফগান নাগরিক এবং শরণার্থী হয়েছে অন্তত ২০ লাখ। হতাহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক আফগান। কেবল ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ বেসামরিক আফগান যুদ্ধে নিহত ও ৫০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ হাজার ব্যক্তি তালেবানসহ সরকার বিরোধীদের হাতে নিহত হয়েছে বলে কাবুল সরকারের বিরোধীরাই স্বীকার করেছে। ৯/১১'র ঘটনার এক যুগ পরেও এখনও মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি, বরং বিশেষজ্ঞদের মতে দেশটির নিরাপত্তা আগের চেয়েও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানের অবকাঠামো পুনঃনির্মাণের মার্কিন ও পশ্চিমা ওয়াদাও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়াও দেশটিতে দুর্নীতি ও দারিদ্রসহ নানা সমস্যা আরো বেড়েছে।
কিছুকাল আগে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দোহায় অনুষ্ঠিত 'আমেরিকা ও মুসলিম বিশ্ব' শীর্ষক এক সম্মেলনে বলেছেন: ২০০১ সালের পর পাশ্চাত্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছিল তা আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে কোনো সুখ বয়ে আনেনি এবং এই যুদ্ধের কুপ্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকাসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে। তিনি আরো বলেছেন: আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাসহ পশ্চিমা নেতাদের বার বার বলেছি, আমরা কি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছি? আমাদের কাছে কি সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা আছে? সন্ত্রাসবাদ কী? সন্ত্রাসবাদকে কী আফগানিস্তানের গ্রাম-গঞ্জ ও ঘরগুলোতে খুঁজতে হবে? আমরা কি সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানাগুলোকে লক্ষ্য করেছি? তিনি মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা সরকারগুলোর তৎপরতার সমালোচনা করে বলেছেন: আজ পাকিস্তান থেকে নাইজেরিয়া পর্যন্ত মুসলিম বিশ্ব সংকটের শিকার।
সিরিয়া ও ইরাকের চলমান পরিস্থিতিও হামিদ কারজাইয়ের বক্তব্যের সত্যতা তথা সন্ত্রাস মোকাবেলার ব্যাপারে আমেরিকা এবং পাশ্চাত্যের দ্বিমুখী নীতি তুলে ধরছে। মার্কিন সরকার নিজেই আলকায়দার পর জেবহাতুন নুসরা ও আইএসআইএল-এর মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে সব ধরণের সাহায্য দিয়ে আসছে। ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী তৎপরতা। এমনকি লশকরে তৈয়বার মত দলও মার্কিন মিত্র সৌদি আরবসহ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নানা আরব দেশের আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বলে ওয়াশিংটনের সরকারি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন ও পশ্চিমা সরকারগুলোর ব্যর্থতার আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো- সেখানে সন্ত্রাসী হত্যার নামে নারী ও শিশুদের এবং এমনকি বিয়ের আসরেও বোমা বর্ষণ করে গণহত্যা চালানো। ফলে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে আফগানদের ঘৃণা বাড়ছে। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা জনগণের মধ্যে সহজেই তৎপরতা চালাতে পারছে ও যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। পশ্চিমা সেনারা আফগানিস্তানের ঘর-বাড়ীতে তল্লাশি চালানোর নামে স্থানীয় প্রথা ও রীতি লঙ্ঘন করছে এবং ক্ষুণ্ন করছে মসজিদগুলোর পবিত্রতা।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসও এটা উল্লেখ করেছে যে মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানের ওপর ব্যয়বহুল যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েও দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি এবং এই দেশটির চোরবালি থেকে মুক্ত হওয়া আমেরিকার জন্য সম্ভব নয়। মার্কিন সরকার আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়ে এইসব মার্কিন যুবকদের জীবন বিপন্ন করছে বলেও দৈনিকটি মন্তব্য করেছে।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মিস্টার কুলস 'কাবুলের চিঠি' নামক বইয়ে ও সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস 'দায়িত্ব' নামের বইয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন সরকার ও ন্যাটোর নানা ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মতে, কেবল মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররাই আফগানিস্তানে কৌশলগত ভুল করেনি। একইসঙ্গে তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে জাতিসংঘও দেশটির ব্যাপারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্য আফগানিস্তানে জাতিসংঘের অনুমতি নিয়েই হামলা চালিয়েছে। ফলে বিশ্ববাসীর কাছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অযোগ্যতা ও অকার্যকারিতাও ফুটে উঠেছে। এ বিশ্বসংস্থা যে মার্কিন সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে তাও সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আফগানিস্তানকে বলা হতো সাম্রাজ্যবাদীদের গোরোস্তান। এখন এটা স্পষ্ট যে দেশটি পাশ্চাত্যের কৌশলগত নীতিগুলোরও গোরোস্তানে পরিণত হয়েছে
আজও ঘুমিয়ে আছে সেই সব মুসলমান তারা কেউ পশ্চিমা দেশের কুট কৌশলগুলো চিন্তা করে করেন না। ভেবে দেখার সময় কিন্তু আপনাদের সুবই নিকটে। ইসরাইল যে ভাবে তাদের হীন বুদ্ধি ও কৌশল কাজে লাগাইয়া সামনে আগাচ্ছে তাবে হয়তো তাদের হাতে আর বেশী সময় নাই বললেই চলে। তারা আমেরিকার কাধে বন্দুক রেখে পাখি শিকার করতে চায়। এই সমস্ত ঘটনা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, আমাদের মেধা আমাদের জনশক্তি আমাদের সহযোগীতা নিয়াই তারা আমাদের ক্ষতি করে আসছে। জাগো মুসলমান জাগো, আজও সময় আছে তোমাদের ইমান ও আকলকে জাগাইয়া তোল তোমাদের মাঝে তাবেই সারা বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে। যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে মুক্তি পাবে এই পৃথিবী।
http://bangla.irib.ir/component/k2/item/71140-আফগানিস্তানে-আমেরিকা-ও-তার-মিত্রদের-হামলা
©somewhere in net ltd.