![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
আাজকে আমি আপনাদের একটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবো। আজ আমরা লেবু সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। দেখি লেবু খেলে আমাদের কি কি উপকার হতে পারে, আর আমরা কেন লেবু খাবো?
লেবুর রস যে শুধু খাবারে স্বাদ এনে রুচি বাড়ায়, ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করে তাই নয়৷ স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় লেবুর রস শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে ওজন কমায়৷
লেবু চিকিৎসা
ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই শরীরের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে হবে, যাতে বাড়তি ওজন সহজে কমতে পারে৷ তবে লেবু চিকিৎসা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন৷ তারপর দুই থেকে তিন সপ্তাহ প্রতিদিন কয়েক গ্লাস পানির সাথে তাজা লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন৷ নিয়ম করে প্রতিদিন কিন্তু!
প্রথম গ্লাস
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি অরগ্যানিক লেবু রস করে মিশিয়ে পান করুন৷ সারাদিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করবেন আর প্রথম গ্লাস ছাড়া অন্যান্যবার এক গ্লাস পানিতে আধখানা তাজা লেবুর রস দেবেন৷ অবশ্যই আগে থেকে করে রাখা রস নয়! অন্তত দুই সপ্তাহ এভাবে লেবুপানি পান করুন৷ প্রথম গ্লাসে মধু দিতে পারেন, মধুতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে তা সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে বরং কমায়৷
খাবারের পরিমাণ
আর হ্যাঁ, নিয়মিত যে পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকেন, লেবু চিকিৎসা চলাকালীন সময়টুকু সেই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে অর্ধেক করুন৷ এই সময় মাছ, মাংস, মিষ্টি বা চর্বিজাতীয় খাবার কম খাবেন৷ সবজির স্যুপ করে খেতে পারেন, স্যুপের মধ্যেও লেবুর রস দিতে পারেন৷ ১০০ গ্রাম লেবুতে থাকে ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, যা আমাদের নার্ভ, হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্ত করতে সাহায্য করে৷ অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন হাঁটাহাঁটি একটু বেশি করবেন৷
বাড়তি ফ্যাট কাটে
তিন সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর দেখবেন ওজন কমেছে, শরীরটা অনেক হালকা লাগছে৷ আস্তে আস্তে আবার খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন৷ তবে তিন সপ্তাহ লেবু চিকিৎসার কথা একেবারে ভুলে যাবেন না, সবকিছুই সচেতনভাবে খাবেন৷ ফ্যাট জাতীয় খাবারের পর কুসুম গরম পানিতে ছোট একটি লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন৷ এতে বাড়তি ফ্যাটটুকু কেটে নেবে লেবুর রস৷ তাছাড়া মাত্র ১০০ গ্রাম লেবুর রস সারাদিনের অর্ধেক ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করতে পারে৷
লেবুর গুণ
লেবুর রস জীবাণুনাশক, সংক্রমণ দমনকারী, হজমে সাহায্য করে, চর্বিকে দূরে রাখে৷ লেবু যে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে, সে কথা বহু আগে থেকে প্রমাণিত৷ লেবুতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি৷ মূত্রের উৎপাদনের মাধ্যমে সহজে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে থাকে৷ লেবুর নিরাময় ক্ষমতা নিশ্চিত, যা অনেক গবেষণাও দেখা গেছে৷ লেবু অন্ত্র বা পেট পরিষ্কার করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে৷
ক্যান্সারের কোষ গঠন দমন করে
লেবু ক্যানসার কোষ গঠন দমন করতে সহায়তা করে৷ আর এই তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন জার্মানির বোখুম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ তাছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায়ও দেখা গেছে লেবুর রস কিডনিতে পাথর না জমতে সাহায্য করে৷ আর তাই ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ, পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার জন্য, এতে পাথর তৈরি হতে বাধাগ্রস্ত হয়৷
সৌন্দর্যচর্চায় লেবু
লেবুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে – সে কথা কম বেশি আমরা জানি৷ লেবু চিকিৎসার পর অবশ্যই তা সবারই চোখে পড়বে৷ সুবিধা হলো, লেবু সব জায়গায় এবং সারা বছরই পাওয়া যায়৷
লেবুতে অ্যালার্জি
লেবুর রস বা লেবুতে কারো কারো অ্যালার্জি হয়ে থাকে, তাই আগে থেকে জেনে নিয়ে লেবু চিকিৎসা শুরু করা উচিত৷ তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে৷
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৬
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ইনস্ আল্লাহু, চেষ্টা করুন, তবে শেষের অংশটা কিন্তু জরুরী, ভাই।
২| ০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬
বঙ্গতনয় বলেছেন: ভাল লাগল। অনুশীলনে নামব
০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: একবার চেষ্টা করে দেখতে পারে, আপনাকে ধন্য বাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৬
ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মাশাআল্লাহ। ভাই আমি কিন্তু শুরু করতে চাই।