![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
আমাদের হাতে কাছে অনেক কিছুই আছে যাহা আমরা আদৌ জানি না। মা-বাবাকে ছোট বেলায দেখেছি, আমাদেরকে সময় সময় কিছু আলাদা ধরনের খাবার দিতেন, যাহা এখন আর দেখতে পাই না বা পাওয়া খুবই দুর্লভ। তার মধ্যে থানকুনি পাতা একটি বড় ধরনের খাবার, যাহা মহৌষধ কিন্তু আমরা অনেকেই তাহা জানিনা।
সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে, বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।
১. পেটের পিড়াঃ পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকের ও সুন্দর্য্য বাড়ে।
৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।
আমার কথাগুলো মনে হবে আজগুবি কিন্তু একটু পরীক্ষা করে দেখুন । ঠিকই বুঝতে পারবেন এই আগাছাগুলি আপনাকে কতই না শুখে রাখতে পারে। যখন আমাদের দেশে এই এন্টিবায়েটিক গুলো ছিল না। তখন কিন্তু এই ভেষজ দিয়েই আমাদের চিকিৎসা হতো। আমাকে মনে রাখার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এই ভেষজের কথা টা মনে রাখুন না।
ডাক্তার ডাকার কোন প্রয়োজন নাই যদি আপনী আপনার সন্তাকে দিনে এক বেলা শাক-সব্জি মাত্র ২০০/৩০০ গ্রাম পরিমাণ খেতে দেওয়া হয়। সবাই সুস্থ্য থাকুন, ভাল থাকুন, একটাই একমাত্র কাম্য।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, আল্লাহু আপনার সহয় হউন, আমিন্
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫
পানকৌড়ী বলেছেন: উপকারী তথ্য । অন্যান্য ভেষজ উদ্ভিদের গুণাবলি নিয়ে আরও এমন পোস্ট আশা করছি । অনেক ধন্যবাদ ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলছেন, ভেষজ উদ্ভিদ, চেষ্টা করবো বেশী লিখার জন্য, আপনাদের জন্য সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার জন্য চেষ্টা করবো, নেক দোয়া করবেন।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
বিজন রয় বলেছেন: জেনে নিলাম।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল পোষ্ট ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৬
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল পোষ্ট ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৩
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
পীরবাবা বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। ধন্যবাদ ।