![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
আমি শুকরানা আদায় করছি তার নিকট যিনি এই মহা বিশ্ব তৈরী করেছেন, যিনি তৈরি করেছেন আঠারো হাজার মাখলুক, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই মানব জাতী। আর এই এই আঠারো হাজার মাখলুক কে করে দিয়েছেন, মানবের অধীন। আমি তারই বান্ধা এবং তারই ইবাদাৎ করি।
মহান আল্লাহুর অশেষ মেহের বানী, অনেক দিন যাবৎ, ফেইজবুক এই সমাজিক ওয়েব সাইটের সাথে আষ্টেপিষ্টে লেগে আছি, অনেক লোক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা পোষ্ট করে, ছবি পোষ্ট করে, আর্টিকেল লিখে, আমরা পড়ি, মন্তব্য করি, সহমত প্রকাশ করি, মোটামুটি, আবার সহমত প্রকাশ না করে বিপরীত চিন্তা করি, কোন লেখা আমার আপনার ভাল লাগে আবার কোনটা ভাল লাগে না। তবে এমনটাই হওয়া উচিৎ। সব লেখা যে আমার আপনার ভাল লাগবে এমন তো হতে পারে না। তবে এই লেখার মধ্যে দিয়া আমার আপনার মনের বহি:প্রকশ ঘটে, ঘটে আপনার মানষিকতা ও চরিত্রের। আমি আচার্য্য হই যখন দেখি যে, আমার অনেক আগের একটি লেখা আবার ঘুড়ে আমার সামনেই প্রকাশ পায়, সুতরাং ওদের সফটওয়ার আমাকে মনে করিয়ে দিতেছে যে, আপনী এই লেখাটি একদিন প্রকাশ করেছিলেন।
এই ফেইজবুক একটি সামাজিক প্লাটফরম, এখানে আমরা সবাই সমান তালে দাড়িয়ে আছি। একে অন্যের সাথে দেখা হয়, কথা হয়, আমাদের নিজের ছবি, পরিবার-পরিজনদের ছবি, বিশেষ মূহুর্তের ছবি এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে শেয়ার করি, জানিয়ে দেই আমারা কে কেমন আছি বা কোথায় আছি, একজন বন্দু যদি মারা যায় বা দূর্ঘনা ঘটে মূহুর্তের মধ্যে সবাইকে জানাকে সময় লাগে কয়েক মিনিট মাত্র। মোট কথা এই প্লাটফরম আমাদের কল্যানে ব্যবহার হয়ে থাকে এতে আমার কোন সন্দেহ নাই। অন্য কারো সন্দেহ থাকলে তো থাকতেও পারে। মা-বাবা, ভাই-বোন, চাচা-চাচী, খালা-খালু, নানা-নানী এমন কোন মানুষ আছে কিনা যার ফেইজবুক একাউন্ট নাই। সবাই এখন ষ্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন, কেউ ব্যবহার করেন সখে আবার কেউ ব্যবহার করেন দায় পড়ে, কারো ছেরে বিদেশে থাকে ইন্টার নেটের বদৌলতে তাকে একটু দেখার জন্য এই ষ্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন, ফেইজবুজ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে দেখে দেখে কথা বলা যায়। এমন সুযোগ কে বা ছাড়তে চায় বলুতো।সন্তানকে দিনে একবার দেখা মোটের কথা, প্রত্যাক মা বেকুল থাকে তার সন্তানের জন্য। মোট কথা একটা ম্যাসেজ নিয়ে হলেও আপনী আপনার আপন-জনদের মনোযোগ আর্কশন করতে পারেন, আপনী যদি এটাকে ভাল কাজে লাগাতে চান, কোন অভাব হবে না।
আমার এক ফেইজ বুক বন্ধু আমাকে কিছু অনাকাক্ষিত ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন, আমি আশা করি নাই তিনি আমাকে এইরুপ কোন ম্যাসেজ সেন্ড করুক, আমি সাবলিল ভাবে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি, যতোটা সম্ভব, তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছি। এক সময় দেখা গেল সে আমার কথায় এই ধরনেরে ম্যাসেজ থেকে বিরত হয়েছে। এমনি করে মানুষ বিপথে ধাবিত হয়, একটু একটু করে মানুষ তার খারাপ ইন্দ্রিয় গুলোকে সতেজ করে, খারাপ ইন্দ্রিয়গুলো লোলুপ্ত হয়, এবং অন্যায়ের বোঝা বাড়তেই থাকে, এতই বেড়ে যায়ে যে, সে আর খারাপ পথ থেকে ফিরে আসার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যখন সে সামাজিক চাপে পরে যদি সে ভাল হতে পারে, আবার নাও হতে পারে, আর যদি বেশী করে চাপে পরে তখন সে হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এমনি করে মানুষ পরকিয়ায় আসক্ত হয়, সংসারের শান্তি নষ্ট হয়, ভালকে আর ভাল চোখে দেখে না, সে ঐ খারাবটাকে ভালোর চোখে দেখে দেখে অভ্যাস করে ফেলে, ইচ্ছা থাকলেও আর ফিরে আসার রাস্তা খোলা থাকে না। সমাজে ঘটে না অনাচার, অবিচার, দুর্ঘটনা, যা কাংক্ষিত নয়। শুধু এই দিকটা চিন্তা করেও হলে, একটা ভালকিছু পোষ্ট করুন, যেটা পড়ে আপনার বন্দুরা কিছু হলেও শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে। বা তাদের জ্ঞানের দরজা খুলে যেতে পারে, আপনার একটা ভাল পোষ্ট হতে পারে হাজারো মানুষের সত্যের অনুপ্রেরণা। একবার ভাবুন, আপনী কিন্তু এই একটা পোষ্টের জন্য ঐ সকল পাঠকের শিক্ষক হয়ে গেলেন। ঐ একটা পোষ্টের জন্য আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্মরন করবে, এবং তার আত্মা আপনার ভালর দিকটা দেখবেন, আর আ্ল্লাহুর ফেরেস্তারা আল্লাহুর আরশের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। আর বলবেন, হে আল্লাহু আমরা একন কি করবো, "আল্লাহু বলবেন লিখ" তখন রহমতের ফেরেস্তারা লিখতে আরম্ভ করবেন। তবে মনে রাখবেন, সিমা লঙ্গন করবেন না্। আল্লাহু সিমা লঙ্গন কারীকে আল্রাহু পছন্দ করে না।
আমার এক বন্ধুকে তাকে এই নীতি বাক্যগুলো শুনাতে তিনি আমাকে একটা জবাব দিলেন, যাহা আমার মোটেই সন্তষজনক হলো না। আমি তাহার কাছে বোকা বুনিয়া এক রকম হাম্বা হয়ে গেলাম। এই একই কথা আমার সিনিয়ার অফিসারকে বলার সাথে সাথে তিনি আমাকে একটা গান শুনালেন,
সাইজি বলেন,
সুনেছি, মরলে পাবি বেহেস্তখানা
তবু তো মন মানে না------------
বাকির লোভে নগদ কামাই
ছারে কে ভূবনে।।
যা বুঝার তাই বুঝলাম, যা শিক্ষার তাই শিক্ষলাম, আমি তার মর্ম কথার অর্থ যদিও বুঝতে আমার বিন্দু মাত্র অসুবিধা হয় নাই। সুধুই তার জন্য আফশোস হলো। হায়রে মানুষ কতই না দুর্ভাগ্য তার। সে সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বা বুঝতে চাইছেন না। মৃত্যৃ যে আমাদের কত নিকটে তা যদি একটি বারও বুঝতে পারতো, তবে তো আর কথাই থাকতো না।
মনে রাখবেন, আমাদের জীবনের সময় একটু একটু করে কমতে আছে, আপনী ইচ্ছা করেও আমাদের জীবনের সময় বাড়াতে পারবেন, এটা আমি মনে করি না। আল্লাহু আপনাকে নিদৃষ্ট সময় বেধে দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরন করেছেন, এই সময়টা এক দিন শেষ হয়ে যাবে সে দিন শত চেষ্ট করলেও আপনাকে সময় দেওয়া হবে না। মৃতুর স্বাদ আপনাকে গ্রহন করতেই হবে।
যদি আপনী মুত্যকে ভয় করে থাকেন, তবে অবশ্যই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন, আপনার মৃত্যুর পর একদিন আপনার একটা ফেইজবুক এ্যাষ্টাস কেউ দেখলো, তখন সেই লোক আপনার ভাল ও মন্দ দু'টো দিক নিয়ে ভাববেন, আর সেটা হতে পারে ভাল বা খারাপ, ভাল হলে দোয়া আর খারাপ হলে বরদোয়া। দেখুন, ভালকাজ আপনার মৃত্যুর পরও কাজে আসতে পারে। আমরা যদি একটু সর্তক হই, তবে কতই না ভাল কাজ করতে পারি,
আমরা মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই মিলে টেলিভিশন দেখি আর সেটা যদি হয় অশোভন, কতই লজ্জার বিষয়, আর সেটা যদি হয় গঠন মূলক কিছু, তবে সেটা কতই না আনন্দের হয়। ঠিক আমি এই জিনিষগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এই আর্টিকেলটি লেখার ইচ্ছা পোষন করলাম।
পরিশেষে, আমি বলতে চাই, আসুন আমরা সমাজের অনেক অজানা তথ্যগুলো এই ওয়েব সাইটে শেয়ার করি, আমরা আমাদের বন্ধুদেরকে জানতে সাহায্য করি, অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করি, তাতে যেমনি সমাজের মানুষগুলো উপকৃত হবে তেমনি আপনার নেয়ামতের দরজা খুলে যাবে। আমি রাজনৈতিক কোন আলোচনা একদম করতে রাজি না। রাজনীতিতে বেশীর ভাগ মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয় তাই এইগুলো আমার লেখায় আশ্রয় দেই না। আমি সমাজ ও সমাজের নিরীহ মানুষ গুলোকে নিয়ে বেশী ভাবতে ভালবাসি।
আমরা লিখতে পারি মানুষের অসুস্থ্যতা কে নিয়ে, লিখতে পারি, শিক্ষা নিয়ে, আমাদের প্রধান প্রধান সমাস্যা গুলোকে আশ্রয় করে লিখতে পারি। আপনী লিখুন আপনার সমস্যা নিয়ে, কেউ না কেউ আপনাকে সাহার্য্যের জন্য এগিয়ে আসবে।
আসুন, আমরা হাতে হাত মিলিযে, একবার বলি ফেইজবুকে অশ্লীলতাকে বর্জন করি। এই দুনিয়া থেকে অসুন্দরকে দুরে রাখি, বন্দুদেরকে ভালবাসি। সদা সর্বদা সত্য কথা বলি, মিথা বর্জন করি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত