![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোরা মৃত্যুকে স্মরি বন্ধুর মতো, জীবনকে মনে করি তুচ্ছ, মোরা গর্জন তুলি আল্লাহর নামে, নির্ভয়ে মাথা করি উচ্চ।।
দরজা ধাক্কানোরই হবে । সাব্বির ভেবেই পাইনা আজকাল মানুষগুলো এমন কেনো ? বিজ্ঞানের সেরা আবিষ্কারের
মধ্যে কলিংবেল একটি । এটা থাকতেও কেমন মন মানসিকতা নিয়ে দরজা ধাক্কানো যায় ?
কেবলই বসলাম সায়েন্স ফিকশন নিয়ে । আজকাল সায়েন্স ফিকশন এর প্রতি নেশাটা খুব বেড়েছে । আসলে আমরা এমনই ! যেটা একবার শুরু করি সেটা
শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি নেই !
মাঝখান থেকে কেউ ডিস্টার্ব করলে একদম যুদ্ধ বেধে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায় ! অবশ্য যুদ্ধটা মনের সাথেই সীমাবদ্ধ থাকে ।
ভাবি , বিজ্ঞান মানুষকে কতটা
উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছে ! শত ক্রোশ পাড়িয়ে দিয়ে আর দেওয়া লাগে না ছোট্ট একটা চিঠি ।মাউসের দু-চারটা ক্লিকেই খুব সহজে মূহুর্ত্যেই ইমেইল হয়ে চলে যায় যেকোন চিঠি যেকোন প্রান্তরে । ভাবতে গেলে অবনতিও আছে বেশ ।
বিজ্ঞানীরা যুগে যুগে প্রতিটি বিষয়ে আকৃষ্ট হয়েছে পবিত্র আল
কোরআনের প্রতি । যখন যে সমস্যা , প্রত্যেকটার সমাধান পেয়েছে তারা আল কোরআন থেকে । বিচিত্র চিন্তাভাবনা , বিচিত্র জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রতিবার নত হয়ে যায় এই পবিত্র গ্রন্থের কাছে ।
মনে পড়ে যায় আল কোরআনের সূরা রুম এর ৩২ নং আয়াতটিঃ "আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র । অবশ্যই এর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য ।"
আহা ! কতই না মধুর কোরআনের আয়াত । বিজ্ঞানীরা তো দূরে থাক স্বয়ং আবু জেহেলও মুগ্ধ হয়ে রাতের আধারে রাসূল সাঃ এর তেলওয়াত শুনতেন ।
আমাদের দেশে কিছু মুসলিম বিরোধীতা করেছে এই গ্রন্থের ! কি অবাক ! কি অবাক ! আমি তাদের মুসলিম কেনো
বললাম ? তারা কিভাবে মুসলিম হয় ? কিভাবে ?
নামাজ পড়তে গেলেও অতিক্রম করতে হয় কিছু কড়া চোখের দৃষ্টিকে । দাড়িতেও নাকি জঙ্গি লাগে ।
ওহ ! কে বলেছিলো এই কথা ? এই মূহুর্ত্যে তাকে পেলে , চোখ উপড়ে জিহবা কে কুত্তার খাবার বানিয়ে দিতাম ।
এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে না ! ইতিহাস বলে , যতবড় ছিলো আল্লাহর দুশমন তাকে কতল করতে আল্লাহর অস্ত্র ছিলো ততটাই ছোট ।
আবার কড়া শব্দ !
ছেদ পড়লো সাব্বিরের চিন্তা ভাবনার ।মানুষের চিন্তা ভাবনা এতটাই প্রখর যে তা মূহুর্ত্যেই ভুলিয়ে দেই বাস্তবকে ।
এতো রাতে কে যেনো দরজা ধাক্কায় ! অবশ্যই দেখা উচিত ।
-আসসালামু আলাইকুম । কি ব্যাপার আপনারা ?
-উপর থেকে নির্দেশ এসেছে তল্লাশীর । এই বাসায় প্রচুর জঙ্গী বই আছে । কড়া কন্ঠে বলে উঠলেন ওসি কামরুল ভূইয়া ।
অতিমধ্যেই দুইজন দুই পাশ থেকে চেপে ধরলো সাব্বিরকে । দুইজন কনস্টেবল সাব্বিরের রুম থেকে তাফহিমুল কোরআন নিয়ে হাজির ।
-স্যার , থানায় জঙ্গী বই তালিকা অনুযায়ী এটা জঙ্গী বই । কনস্টেবলের একজন বলে উঠলেন ।
সাব্বির- কি আশ্চর্য্য কোরআনকে জঙ্গী বই হিসেবে তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে ?
আর কোন কথা বলতে দিলেন না তারা সাব্বিরকে । চোখ মুখ বাধা হলো তার । গাড়িতে উঠিয়ে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে তারা সাব্বিরকে ।
গুম । কি ভাবছেন ? হ্যাঁ এটই বাস্তবতা । শুধুমাত্র কাল্পনিক চরিত্রে বাস্তবকে তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র । হয়তো সাব্বিরকেও পাওয়া যাবে কোন ঝোপের আড়ালে মুখ চোখ বাধা অবস্থায় ...
অপরাধ একটাই , আল কোরআনকে আকড়ে ধরা ।
সাব্বিরের অব্যক্ত বাণী হয়ত বলছে .. "খুনের দরিয়া দেখে নাহি কোন ভয় , সংগ্রাম এনে দেবে আমাদের বিজয় ।"
©somewhere in net ltd.