![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বাংলা বাক্যে "কি" এবং "কী" এর ব্যবহার; অনেকেরই যা অজানা
বাংলা ভাষায় "কি" এবং "কী" দুটি আলাদা অর্থ ও ব্যবহারে প্রশ্নবোধক বাক্যে ব্যবহৃত হয়। এদের পার্থক্য বোঝার জন্য আমরা ব্যাকরণ, উচ্চারণ, এবং ব্যবহারের দিক থেকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১. "কি" এর ব্যবহার
অর্থ ও ব্যবহার: "কি" সাধারণত একটি প্রশ্নবাচক কণা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা দিয়ে হ্যাঁ/না উত্তরযোগ্য প্রশ্ন করা হয়। এটি বাক্যের শেষে বা মাঝে ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়া, এটি কখনো কখনো সংযোজক হিসেবেও কাজ করে (যেমন—কি না, কি আর)।
উচ্চারণ: "কি"-এর উচ্চারণে স্বরাঘাত কম থাকে, এটি ছোট এবং হালকা শব্দ।
উদাহরণ: তুমি কি আজ স্কুলে গিয়েছিলে? (এখানে "কি" দিয়ে হ্যাঁ/না উত্তরযোগ্য প্রশ্ন করা হয়েছে। উত্তর হতে পারে—হ্যাঁ, গিয়েছিলাম।)
সে কি খুব ভালো ছাত্র না? (এখানে "কি" প্রশ্নবাচক কণা হিসেবে ব্যবহৃত।)
২. "কী" এর ব্যবহার
অর্থ ও ব্যবহার: "কী" একটি প্রশ্নবাচক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা দিয়ে কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এটি সাধারণত "কি"-এর চেয়ে জোরালো অর্থ বহন করে এবং কোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বাক্যের শুরুতে বা মাঝে আসতে পারে।
উচ্চারণ: "কী"-তে স্বরাঘাত বেশি থাকে, এটি লম্বা এবং জোর দেওয়া শব্দ।
উদাহরণ: তুমি কী করছ? (এখানে "কী" দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তর হতে পারে—আমি বই পড়ছি।)
এটা কী? (এখানে "কী" দিয়ে কোনো জিনিস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তর হতে পারে—এটা একটা কলম।)
৩. মূল পার্থক্য
প্রশ্নের ধরন: "কি" হ্যাঁ/না উত্তরযোগ্য প্রশ্নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: তুমি কি খাবে? (উত্তর: হ্যাঁ/না)
"কী" বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: তুমি কী খাবে? (উত্তর: রুটি আর তরকারি।)
ব্যাকরণগত ভূমিকা: "কি" হলো প্রশ্নবাচক কণা। পক্ষান্তরে "কী" হলো প্রশ্নবাচক সর্বনাম।
উচ্চারণের পার্থক্য: "কি" হালকা ও ছোট উচ্চারণ। অন্যদিকে "কী" জোরালো ও লম্বা উচ্চারণ।
৪. একই বাক্যে তুলনামূলক উদাহরণ
তুমি কি এটা কিনতে চাও? (হ্যাঁ/না উত্তরের প্রশ্ন।)
তুমি কী কিনতে চাও? (বিস্তারিত জানতে চাওয়া। উত্তর হতে পারে—আমি একটা বই কিনতে চাই।)
৫. অতিরিক্ত নোট
কিছু ক্ষেত্রে "কি" এবং "কী" বিনিময়যোগ্য মনে হতে পারে, তবে আদর্শ বাংলা ব্যাকরণে এদের ব্যবহার স্পষ্টভাবে আলাদা। আঞ্চলিক উচ্চারণে পার্থক্য কম লক্ষ্য করা গেলেও লেখার ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। +
২| ১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলা ভাষার অনেক বিষয় আমাদের আজানা।
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, তবে জানার চেষ্টাটা আমাদের অবশ্যই কন্টিনিউ করা উচিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগার মহাজাগতিকের মতো অপ্রয়োজনী পোষ্ট দিয়েছেন।
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
বুঝাই যাচ্ছে, কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটা বুঝার মত জ্ঞানও আপনার নেই। ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জ্ঞানহীন এটা সত্য।
কিন্তু কোনটা প্রয়োজন আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটা ভালোই বুঝি।
২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
বলিনি যে, আপনি জ্ঞানহীন। আপনার জ্ঞান আছে ঠিকই তবে কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটা বুঝতে পারছেন না। যদি পারতেন তাহলে এই পোস্টকে অপ্রয়োজনীয় বলার কথা নয়।
দৈনন্দিন সাধারণ কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেখাজোখায় আমি দেখেছি, আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই "কি" এবং "কী" এর ব্যবহারে ভুল করে থাকি। এটা এখন প্রায় কমন ভুল হওয়ার মত বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
"গুরুত্বপূর্ণ" বিষয়গুলোকে "অপ্রয়োজনীয়" বলে উড়িয়ে দেওয়ার স্বভাবটা আপনি আপনার গুরুর কাছ থেকে রপ্ত করার চেষ্টা করছেন কি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছোট পোস্ট কিন্তু গভীরতা অনেক।
আসলে জানার আছে অনেক কিছু।