নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তরালে ...

অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...

আইরিন সুলতানা

***বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই; রাজাকারদের না বলুন*** ----------------------------- ::: সুস্থ ব্লগিং নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন চাই ::: -----------------------------

আইরিন সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল রং ছিল ভীষণ প্রিয়

৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:০৭

মেয়েটাকে নিয়ে লিখব ভাবি প্রায়ই; শুধু লেখা হয়না । ও হয়ত স্বাছন্দ বোধ করবেনা; অপ্রকাশিতই রাখতে চাইবে আপন স্বত্তাকে। আচ্ছা, ছদ্মনামে তো লেখা যায় । কি নামে মানাবে ওকে ? হ্যাঁ, নীলাঞ্জনা নাম দেয়া যায় ওকে কিছক্ষনের জন্য।



না, ওর চোখ নীল নয় । স্বাভাবিক কালচে-বাদামী। তবে, ক্ষুদ্র চোখে বিশাল নীল সাগরকে দেখার তীব্র আকাংখা আছে। ওর চোখে নীল বেদনাগুলো আর সব দৃষ্টির আড়ালে টলটল করে। তাই ও নীলাঞ্জনা ...।



যেখানেই যায়না কেন, সবার মাঝে অন্যতম না হলেও উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারে খুব সহজেই । আর ওখানেই নীলাঞ্জনা অনন্য । ওর কাছে আশে-পাশের সবাই আসে সমস্যা নিয়ে। না, সব সমস্যার সমাধান ও দিতে পারেনা ; তবে ও শুনতে পারে, খুব মনোযোগ দিয়ে। সবাই ভাবে ও খুব সমস্যাহীন, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা । নীলাঞ্জনা সে ধারণা পাল্টায় না। অনেকের মাঝে একাকীত্বের অনুভবটুকু সংগোপনে সামলে রাখে।



ইদানীং নীলাঞ্জনা অনেক ব্যস্ত । কি নিয়ে ? নিজেকে অন্তরালে রাখার তীব্র চেষ্টায় ও ছুটছে, জাগতিক ব্যস্ততায় ডুবিয়ে রাখছে নিজেকে । মগ ভর্তি কফি হাতে, খোলা চুলে, আরাম কেদারায় গা এলিয়ে দিয়ে,চোখ বন্ধ করে আর সবার মত ভবিষ্যত বুনেনা নীলাঞ্জনা । শুধু হঠাত ঘুম ভেঙ্গে গেলে সিক্ত চোখ দুটো সন্তর্পনে মুছে ফেলে।



বাস্তববাদী হওয়ার এক হাস্যকর চেষ্টায় মগ্ন নীলাঞ্জনা আজ। তাতে ওর ভেতরের ক্ষতগুলো আরো দগদগে হয় । যন্ত্রনায় আরো নীলচে হয়ে ওঠে ধমনী। হাঁটতে হাঁটতে কখনও পরিশ্রান্ত হয়ে বলে ওঠে, "কান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু" । প্রার্থনায় এটুকুই চাওয়া আজ ওর ।



নীলাঞ্জনা জানে তার মাঝে দ্বৈততা তীব্রতর হচ্ছে। তরল থেকে কঠিনে রুপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনুভুতিগুলো বায়বীয়তায় অদৃশ্যমান একে একে। তাতেও যদি একটুখানি বাস্তববাদি হওয়া যায় !



না, নীলাঞ্জনা স্বপ্নগুলোকে দাফন করেনি এখনও। কিন্তু ওগুলোকে রেখে দিয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মত এক কালকুঠুরিতে। কখনো কখনো অন্ধকার সেই গহ্বর থেকে প্রচন্ড রোদের মুখোমুখি দাঁড় করায় স্বপ্নগুলোকে। প্রখরতাপে চোখ মেলে তাকাতে না পারা স্বপ্নগুলোকে নিয়ে এক অদ্ভুত খেলা যেন নীলাঞ্জনার । তখন খানিকটা উদভ্রান্ত দেখায় ওকে !



মাঝে মাঝে স্বপ্নের ঝাঁপি নিয়ে খেলতে গিয়ে বেভুলে বেসামাল হয়ে ওঠে নীলাঞ্জনা । আর তখন খরস্রোতা নদী ধাবিত হয় যেন। ভয়ার্ত চোখে নীলাঞ্জনা ওর স্বপ্নগুলোকে বয়ে যেতে দেখে। কত উচ্ছ্বাস সেই স্রোতে, ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। এ বহতা নদী কোথাও মোড় নেয়ার আগেই নীলাঞ্জনা ঝাঁপি বন্ধ করে ফেলে তা আবার ছুঁড়ে ফেলে সেই গহ্বরে ।



দু'মুখো মানুষ দেখতে দেখতে বিভ্রান্ত নীলাঞ্জনা আজ আর কাউকে খুব প্রিয়তম স্থানে বসাতে সাহস করেনা । মানুষকে বিশ্লেষনে এখনও নিজের অক্ষমতাকে স্বীকার করে নেয় ও। স্বল্প জীবনের অভিজ্ঞতায় ও একটা সত্য আবিস্কার করেছে । তাতে নাকি ওর কষ্ট লাঘব হয় অনেকাংশে । আর সেই বোধদয়টুকু হলো নিজের মধ্যে কোন আকাংখার জন্ম না দেয়া, কোন কিছু আশা না করা । তা সে বন্ধুদের থেকেই হোক কিনবা রক্তের সম্পর্কের কাছ থেকেই হোক না কেন । ভালবাসা ততটা পীড়াদায়ক নয় যদিনা তাতে আশা নামক অনুভূতি মেশানো থাকে। নীলাঞ্জনা বোধহয় এখন আক্ষরিক অর্থেই বাস্তববাদি হয়ে উঠছে!



তবুও ছিটেফোটা আকাংখা কোথায় জানি তাড়িত করে নীলাঞ্জনাকে। কখনও প্রার্থনারত ভারী হাতদুটো আশাই করে বসে অদেখা শক্তির কাছে; "যদি কখনও কাংখিত বন্ধুর সাথে একটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া না হয়, কখনো নীল সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে প্রচন্ড গর্জনে নিজেদের কথাগুলো হারানোর সুযোগ না আসে, যদি দেখা না হয় নীল জোসনা হাত ধরে, যে হাতের স্পর্শ আসলে শুধু শরীরের দুটো অংশের নয় বরঞ্চ দুটো উষ্ণ হৃদয়ের; যদি তা না হয় তবে অন্তত্য একবার সুযোগ দিও, আমি সেই পথ পাড়ি দিয়ে পরিশ্রান্ত হতে চাই, নীল জোছনা রাতে গর্জনরত সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে ক'ফোটা অশ্রুর ঢেউয়ের সাথে মিশিয়ে একটু হালকা হতে চাই। "

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:১২

মৈথুনানন্দ বলেছেন: আমারও রূপমের এই ট্র্যাকটা বেশ ভাল্লাগে।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:১৩

সুদীপ্ত সরকার বলেছেন: আহারে... মাইয়াটার জন্য মায়া লাগতাছে। বয়স কত?

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:১৫

নীলাঞ্জনা বলেছেন: আইরিন সুলতানা: "নীলাঞ্জনা"র জন্য শুভকামনা রইলো। সৃষ্টিকর্তা তাঁর করুণাময় স্পর্শে "নীলাঞ্জনা"র জীবন পরিপূর্ণ করুন।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:১৮

কালপুরুষ বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো আপনার এই লেখাটা। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। ৫

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:২১

ত্রিভুজ বলেছেন: ভাল লাগলো.. আপনি চমৎকার লিখেন। পত্রিকায় লিখছেন না কেন?


৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:২৫

সুদীপ্ত সরকার বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার আশায় বইসা থাকলে চলবো? নিজের জীবনের সমাধান খোঁজার জন্য নিজেরেই আরও তত্‌পর হওন লাগবো।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৩৯

রাগ ইমন বলেছেন: প্রথমে ৫।
তারপর নীলাঞ্জনাকে বলতে চাই, একদম ১০০% নিশ্চয়তা নিয়ে , তুমি একা নও মেয়ে । শুধু নিজের মনটাকে মেলে দাও । অনেক অনেক প্রসারিত , মুক্ত, স্বাধীন মন চাই । নিজের ভিতরের মণি মাণিক্য গুলোকে আরেকটু পলিশ করে নিজেই আনন্দিত হওয়া চাই । আর তারপর রোজ সকালে নিজেকে একবার করে মনে করিয়ে দেওয়া চাই ," পৃথিবীটা আসলে ৬০০ কোটি মানুষের।" এর ভিতর কাকে তোমার জন্য পাঠিয়েছে প্রভূ , কি করে জানবে যদি উলটে পালটে না দেখ সব কটা অচেনা পাথর? যদি না মনের সাথে সাথে চোখটাকেও খুলে দাও!

"পাশে এসে যদি বসে , চিনতে কি পারো তাকে ?" ঃ)

অনেক শুভকামনা নীলাঞ্জনার জন্য । জীবনটা সুন্দর, তবে মুশকিল হলো , রেডি মেড না আর কি । নিজেই কষ্ট মষ্ট করে বানিয়ে নিতে হতে পারে, এমন কি মানুষ গুলোকেও ।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৪২

সুদীপ্ত সরকার বলেছেন: সহমত রাগাপু।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৪৯

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: ভালো লেখা। ৫

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৫৬

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: পড়ার পর কোথায় জানি হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে .......... নাকি ডুব দিতে .... মনের গহিনে ..

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৩৭

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: নীল রঙ ছিলো ভীষণ প্রিয়
তাই সব কিছু নীলিয়ে দিয়ো
মনে পড়ে কি সেদিন বলেছিলাম তোমায়..

আজ নীল রঙে মিশে গেছে লাল
আজ রঙ চিনে নেবার আকাল
নীল বাতাসেও বেনীল বেজায় ভেসে বেড়ায়...

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩১

লারেলাপ্পা বলেছেন: তারে কই বড় বাজিকর যে তার রুমাল নাড়ে
পড়ানের গহিন ভিতর।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:০৬

চতুরভূজ বলেছেন: চমত্কার।৫।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:১১

আইরিন সুলতানা বলেছেন: @ মৈথুনানন্দ, @ মৃন্ময় আহমেদ - গানটা আসলেই দারুন ।

@নীলাঞ্জনা - আপনার নামের সাথে মিলে গেল দেখি ...!

@ সুদীপ্ত সরকার - মেয়েদের বয়স নাকি জীগেস করতে হয়না !

@ লারেলাপ্পা - এটা কি মারফতি কথা বললেন ?

@কালপুরুষ, @ সারওয়ারচৌধুরী , @ ক্যামেরাম্যান , @ চতুরভূজ - ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ ।

@ ত্রিভুজ - ছোট বেলাতে কিছু শিশুতোষ পত্রিকায় চিঠি-পত্র ছাপা হয়েছিল; স্কুল-কলেজ ম্যাগাজিনে দু'য়েক বার ছড়া/কবিতা/গল্প ছাপা হল, অন্যান্য কিছু পত্রিকাতেও চিঠি-পত্র ছাপা হয়েছিল । এর বেশী আর হয়ে ওঠেনি । মাঝে এই অভ্যাসটা যে আমার আছে সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম অনেকদিন ... এক বন্ধুর কাছ থেকে এই ব্লগের সাথে পরিচয় আর তারপর তো ....। পত্রিকায় লেখালেখির জন্য সাহস কুলিয়ে উঠতে পারিনি এখনো তাই আপনাদের উপর দিয়েই গবেষণা চালায় যাচ্ছি । :-)

@ রাগ ইমন - হুমম ! মন্দ বলেননি অবশ্য ...। বাহ্ ! বলটা দারুন মারলেন; আমারই লেখাকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরলেন নীলাঞ্জনার সামনে .... ধন্যবাদ ... :-)

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৩১

মৈথুনানন্দ বলেছেন: আইরিন সুলতানাই নীলাঞ্জনা? বেশ তো - তাতে ক্ষতি কি বলো!

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৪৭

নীলাঞ্জনা বলেছেন: মজার ব্যাপার তো!!!!!

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৬

শাপলা বলেছেন: আমাকে কি আপনাদের সাথে রাখবেন? ভালবাসার দাবীতে.........

১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:০৮

ত্রিভুজ বলেছেন: @আইরিন সুলতানা
গবেষনার ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। আবার শুরু করে দিন।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আকাশে আজ ছোট্ট নীল টিপ। দারুন লাগছে তোমায় মিঠেলাগা রোদ্দুরে। যাচ্ছো বুঝি কোথাও বৃস্টি তাড়াতে। একটি কাজ করবে আমার? এই ছোট্ট কবিতাটা জানিয়ে বলো," আমি ভালো আছি!"

তোমার সহস্র জোৎস্না লুটিয়ে পড়ুক পৃথিবীর বুকে, আমাবস্যাগুলো হারিয়ে ফেলুক তার কালো রং। লাগুক ঘনঘোর ঘোর লাগা সন্ধ্যা-উপহার দেবো তোমায় তোমারি সুখদিনে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.