নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সততাই আমার একমাত্র পথ

লাবু২২

সততাই আমার একমাত্র পথ

লাবু২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই হ্যাপী আর ক্রিকেটার শাহাদাত

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৯

‘একটা দুইটা কাজে ভুল হলে হ্যাঙ্গার ও লাঠি দিয়ে পেটাতো শাহাদাত ভাইয়া ও তার স্ত্রী নিতু আপু। পরশু দিন (শনিবার) বাচ্চার সুজি জাল দিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়ার পর বের করলে হলুদ হলুদ দেখায়। সেটা দেখে শাহাদাত ভাইয়া আমার পেটে লাত্থি দিয়ে বলে তুই সুজিতে হলুদ-মরিচ দিছিস? মারের ভয়ে আমি বলি দিছি। এরপর আমাকে আরও মারধর করে। নিতু আপু বলতে থাকে বেত নিয়ে আসবা। বেত দিয়ে পেটাতে হবে। এরপর আমি বাসা থেকে পালাই। গত দুদিন যাবত একজন ছুটা বুয়া রাখছে। সেই বুয়া ঘরে ঢোকার সময় দরজা খোলা পেয়ে আমি পালায়ে আসি।’
এ ভাবেই নিজের শরীরের উপর নির্যাতনের বর্ণনা ব্যক্ত করলেন ১১ বছর বয়সী হ্যাপী। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রীর উপর শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। রাজধানীর কালশী এলাকা থেকে রোববার রাতে হ্যাপি নামের শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে পল্লবী থানার পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, সে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় কাজ করে।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে কালশীর সাংবাদিক কলোনি এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসা মিরপুর থানা এলাকায়। কিন্তু মেয়েটি কোনোভাবে সাংবাদিক কলোনি এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মিরপুর থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাহাদাত হোসেন রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। সে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে। সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হ্যাপীর সারা শরীরে নির্যাতনের চিত্র ফুঁটে উঠে, চোখ,নাক-মুখ ফুলে উঠে। পায়ে ফ্রাকচার দেখা দেয়। হ্যাপীর ভাষায় - ‘ভাইয়া শাহাদাত আমার পেটে লাত্থি দিয়ে বলে সুজিতে হলুদ মরিচ কেন মিশিয়েছিস?’
এই অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে। অথচ আজ এক বছর পর তার ফলাফল কি পেলাম? বেকসুর খালাস পেলেন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। তার নাকি কোন দোষ ই নাই। পড়ে গিয়ে নাকি ওর এই অবস্থা হইছে। আমার হাসি পায় এ সমস্ত খবরগুলো পরলে। হ্যাপীর উপর কি অমানবিক নির্যাতন হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, তবুও তারা ছাড়া পায় কি ভাবে? অথচ বাংলাদেশে এ সব একেবারে ডাল ভাতের মত সস্তা হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি রাজন হত্যাকে কিভাবে হত্যা করেছে। অথচ দেখি নাই আসামিদের কি বিচার হইছে। আমরা দেখেছি ছোট্ট একটা শিশুর পায়ু পথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, অথচ সেই আসামি এখন কোথায় আছে তাও জানি না। এই ভাবে প্রতি নিয়ত অপরাধীরা অর্থ বা প্রভাব খাঁটিয়ে আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে, আর আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। আর কত রাজন মরলে, আর কত হ্যাপী অত্যাচারিত হলে আইনের রক্ষাকর্তাদের মন গলবে? সু শাষন পাবে এ দেশের মানুষ ? সেদিন কবে আসবে ? আমরা কি সেদিন দেখতে পাব?
সূত্র : বিভিন্ন সংবাদ পত্র
#দুখু_মিয়া

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গরীব পরিবার হয়তো টাকার বিনিময়ে রাজি হয়েছে। টাকার দরকারও আছে তাদের। জরিমানা আপোসরফা করেও মুক্তি দেয়া যেত, কিন্তু রায়ের মাধ্যমে খালাস দেয়াটা খুবই দৃষ্টিকটু লাগছে...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০২

লাবু২২ বলেছেন: এই টাকাটাই সব চাইতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াইছে। গরীবরা এই টাকার কাছে চিরকাল নতি স্বীকার করে আসছে আর ধনীরা এই টাকার মাধ্যমেই সকল প্রকার অপকর্ম করে বেঁচে যাচ্ছে।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাচ্ছাটার পড়ালেখা ও ভরণপোষণের টাকা নিয়ে কোর্টের বাহিরে নিস্পত্তি করলে ঠিক আছে; নিস্পত্তির টাকাটা বাচ্চার জন্য "স্ক্রো একাউন্টে" রেখে একজন শিক্ষককে বাচ্ছার পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব দেয়ার দরকার।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

লাবু২২ বলেছেন: আপনার কথা ঠিক, তবে সেটা হতে হবে যদি কোর্ট থেকে জরিমানা স্বরুপ এই আদেশ দেয়। কিন্তু আদালত থেকে যদি তাকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করে তবে তার শাস্তি হল কোথায় ? এতে তার অহংকার আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৪

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: বিচারহীনতা জাতি হিসেবে অামাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

লাবু২২ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, আজ পর্যন্ত কোন ঘটনারই আমরা সঠিক বিচার দেখি নাই। অতিরিক্ত চাপে পড়লে সর্বোচ্চ গ্রেফতার পর্যন্তই......এর পর সব আবার আগের নিয়মেই চলে ?

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই এডিয়ট কি এখনো ক্রিকেট খেলে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

লাবু২২ বলেছেন: এ বছর মে মাসে বিসিবি শাহাদাত হোসেনের ঘরোয়া ক্রিকেটের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শাহাদাত দম্পতি বেকসুর খালাস !!!!!!!!!!!!!

হায় অবোধ শিশু! তোমার জন্য ন্যায়বিচার নয়!!!!! মানবাধিকার! শিশু অধিকার কেবলই সুশীল টকশোর বিষয়!!!! X(( X(

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

লাবু২২ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এ জাতির দৌড় টকশো পর্যন্তই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.