নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"পুঁজিবাদীরা আমাদের সেই দড়ি বিক্রি করবে- যেটা দিয়ে আমরা তাদের ঝুলিয়ে দেব।\"

লাল সন্ত্রাস

একজন দায়ী, কবি, দার্শনিক ও সমালোচক

লাল সন্ত্রাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

“আবরার ফাহাদ”

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০২



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভারত বিরোধী পোস্ট ও তৎপরবর্তী ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকান্ড! মনে পড়ে?

আবরার ফাহাদ ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার পিতার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। ৩১ মার্চ, ২০১৮ এ, তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

তার বাবা বরকতউল্লাহ ব্র্যাকে অডিটর এবং মা রোকেয়া খাতুন কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক ছিলেন।[৫] আবরার দুই ভাইয়ের বড় ছিল, তার ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এইচএসসি ছাত্র ছিল। ফায়াজ শের-ই-বাংলা হলের নিকটবর্তী ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে থাকতেন। তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে ভারত বিরোধী একটি ফেইসবুক পোস্ট দেওয়ার কারণে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

১. ১৯৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।

৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।

হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-

"পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।"

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদঃ
সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। তার মৃত্যু বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বুয়েটে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিপূরণের লক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে দাবি জানায়। পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে উল্লেখিত এবং পূর্বে র‍্যাগের শিকার সবাইকে বহিষ্কারসহ তিনদফা দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক অসহযোগ বজায় রাখার ঘোষণা দেয়। অভিযোগপত্র দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ই নভেম্বর শিক্ষকগণ তাদের তদন্তকাজ শেষ করার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন।

২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ড দেশকে নাড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনার দুই বছর পর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত এই মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। তারপর নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এরপর খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা। তবে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসার ২৮ মাস পেরিয়ে গেছে। এতদিনেও আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়নি। কবে পেপারবুক তৈরি শুরু হবে, কবে শেষ হবে তার সঠিক তথ্যও নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবরার হত্যা মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। এই মামলার নথি যাচাই-বাছাইসহ আনুষঙ্গিক কাজ এখন চলছে। নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক প্রস্তুত শেষ হলে প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।

উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কয়েকটি আলোচিত, চাঞ্চল্যকর মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির নজির রয়েছে। যেমন- পিলখানার ঘটনায় করা হত্যা মামলা, সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ এস আলী হত্যা মামলা ও ব্লগার রাজিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি হয়েছিল। সরকার চাইলে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির উদ্যোগ নিতে পারে।

(তথ্য সংগৃহীত/সংশোধিত/পরিমার্জিত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.