নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হ য ব র ল ৩২৭

সাধারণ একজন মানুষ।

হ য ব র ল ৩২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শিরক ! কেন? কিভাবে?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে কথাটা শুনি। বিশেষত যারা একটু বেশী ইসলাম অনুরাগী তাদের কাছ থেকে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন হারাম! এটা শিরক , ইত্যাদি ইত্যাদি । তো যারা একটু বেশী বুঝেন, তাদের কাছে প্রশ্নটা করলাম, এটা কিভাবে শিরক হয় একটু বলেন তো? শিরক তখনই হবে, আপনি আল্লাহর সাথে যদি অন্য কাউকে ইলাহ বলে মেনে নেন বা স্বীকার করেন। শহীদ মিনারে বা স্মৃতিসৌধে যখন মানুষ ফুল দিতে যায় তখন সেটা করা হয় শহীদদের প্রতি , তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। কেউ কিন্তু তাদের পূজা করার জন্য যায়না ( আল্লাহর সাথে ইলাহ বলে স্বীকার করা তো দূরে থাক) যে এটা শিরক হবে। তাহলে শিরক হচ্ছে কোথায়? কেউ যদি মন্তব্য করতে চান তাহলে উল্টোপাল্টা গালাগালি না করে যুক্তি দিয়ে কথা বলবেন আশা করি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

নবাব চৌধুরী বলেছেন: দারুন বলেছেন,আসলে ধর্মবোদ্ধারা মাঝেমধ্যেই আজাইরা প্যাচাল করে।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

দিশেহারা আমি বলেছেন: হুম!
প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে কথাটা শুনি।
শিরক তখনই হবে, যখন আল্লাহর সাথে যদি অন্য কাউকে তুলনা করা হয়।

আর এক শ্রেণীর বলদ বলবে- ফুল দিয়ে নাকি পূজা করা হয়।
বলদ গুলা এটাও জানে না যে মন্ত্র ছাড়া কি পূজা হয় না।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

দিশেহারা আমি বলেছেন: কি টা বাদ যাবে। মিস্টেক B-))

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

আশালিনা আকীফাহ্‌ বলেছেন: হুম, এটি শির্ক নয় তবে এটি মুসলিমদের জন্য বিদাত। কারণ ইসলামে এমন কোনো নিয়ম কুরআন ও হাদীসে বলা হয়নি। আর ইসলামে "সকল বিদাতই পথভ্রষ্টতা ।" (মুসলিম,ইবনে মাজাহ)
আসলে শহীদ মিনারে কেন ফুল দেয়া হয়, শহীদ ব্যক্তির কল্যাণ চিন্তা করেই তো, তাকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্যই তো তাই না? তো এই ফুল দেয়াতে কি সত্যিই শহীদগণের কোনো কল্যাণ হচ্ছে বা তাঁরা এই শ্রদ্ধা নিবেদন গ্রহণ করছেন?

একজন মুসলিম হিসেবে আমরা জানি যে কোনটি কল্যাণময়্‍ , কোনটি জায়েয এবং কোনটি নাজায়েয তা অবশ্যই মেনে চলা আমাদের মুসলিমদের কর্তব্য ।আর তাই শহীদ মিনারে ফুল দেয়াটা জায়েয নাকি নাজায়েয তা অবশ্যই জানতে হবে।

আল্লাহর কাছে যে কোন আমল বা নেক কাজ গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য দুটি শর্তের উপস্থিতি জরুরি।
শর্ত দুটো হল : ইখলাস ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশিত পদ্ধতির অনুসরণ।[ আ’লাম আস-সুন্নাহ আল-মানশুরাহ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন : "যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা (ধর্মীয়ভাবে) নির্দেশ দেইনি তা প্রত্যাখ্যাত।"[ মুসলিম (১২/১৬)]

কুরআন ও হাদীসে মৃত ব্যক্তির
কল্যাণে কোন কিছু করার জন্য দিক-
নির্দেশনা আছে তাই এ ক্ষেত্রে কোন
ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে কোন কিছু.গ্রহণযোগ্য হবে না। কোন সমাজ বা ধর্মের প্রথা কখনো এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা যাবে না। সকল মানুষ জানে এবং স্বীকার করবে যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় তাঁর অনেক প্রিয়জন, আপনজন ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্তেকাল করেছেন প্রিয়তমা সহধর্মিণী খাদিজা রা., মেয়ে রুকাইয়া.রা., ছেলে কাসেম, তাইয়েব, ইবরাহীম। প্রিয়তম চাচা হামযা রা. তাঁর প্রিয় আরো বহু সহচর। কিন্তু তিনি কখনো তাদের কারো জন্য এ ধরনের ফুল দেয়ার কাজ করেননি বা করতে বলেননি ।
মৃত আপনজনের জন্য আমরা কি করতে পারি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন , যেমনঃ
১) মৃত ব্যক্তিদের জন্য দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনা করা
২) মৃত ব্যক্তির জন্য দান-সদকাহ করা ও জনকল্যাণ মূলক কাজ করা
৩) কুরবানী করা
৪) মৃতদের পক্ষ থেকে তাদের অনাদায়ি হজ উমরা, রোযা আদায় করা

আমরা কি তাঁর চেয়ে অনেক বেশি বুঝে গেছি যে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করে মৃত ব্যক্তির উপকার.সাধনের ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি ?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হ য ব র ল ৩২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর চেয়ে আমরা বেশী বুঝে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করে মৃত ব্যক্তির উপকার.সাধনের ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয় কেবলমাত্রই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। অন্য কোনও উদ্দেশ্য এর পেছনে নেই। এখানে পথভ্রষ্টতার কিছু নেই।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

আমিজমিদার বলেছেন: নবিজি করেন নাই, তাই আমরা করব না- এইটাই তো দাঁড়াইল?

বাট এইটা ধর্মবিরোধী ক্যাম্নে হয়? নবিজির আরব জাতির সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি তো এক না। নবিজি পান্তাভাত, ইলিশ খান নাই, আমরা খাই, তিনি গরুর গাড়ি চড়েন নাই, আমরা চড়ছি- এইরকম মোটামুটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্য আছে। এক জাতির সাথে আরেক জাতির কিছু পার্থক্য থাকে না? এইটাও তেমন। তিনি দোয়া করতেন, আমরাও দোয়া করি, সেইসাথে ফুল দেই।

এইটা কি খারাপ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.