![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অর্থঃ করো শক্তি নেই(দুঃখ কষ্ট দূর করার ও বিপদ আপদে বাঁচাবার) এবং কারো ক্ষমতা নেই(সুখ ও সম্পদ প্রদানের)একমাত্র আল্লাহ ছাড়া।
জুম চাষ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি।পাহাড়ের কোনো এক খন্ড টিলার জঙ্গল কেটে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর আগাছা পরিষ্কার করে তাতে বিভিন্ন রকম ধান, মরিছ, হলুদ, বিভিন্ন রকম ফল, শাক-সবজি চাষাবাদ করা হয় তাকে জুম চাষ বলে।
এই পোষ্ট লেখার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম জুম পরিবেশের ক্ষতি করে।কোনো উপকারই করে না।বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ‘পাহাড়কে বাঁচতে দিন’, ‘ঐতিহ্য সংস্কৃতির আর জীবন বোধের নিবিড়তায় যুক্ত যে চাষাবাদ প্রণালী তার ফলে পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে’, ‘পাহাড়ে পাহাড়ে জুম, বিরান কান্তার, ইত্যাদি শিরোনামের লেখা পড়ে যে কারো তাই ধারনা হওয়াই স্বাভাবিক। একদমই যে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই তা কিন্তু নয়।যেমন কাটা জঙ্গল এ আগুন দিলে সেই আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে সবুজ বন উজাড় করে। জুমের ফসল পুরাই বৃষ্টির পানি নির্ভর, দেখা গেল জংগল পুড়িয়ে জুমিয়ারা(যারা জুম চাষ করে) ফসল বুনে এল আর বৃষ্টি হল না।ফলাফল ফসলও হল না সাথে পাহাড়ও ন্যাড়া। আপরিকল্পিত পাহাড় কাটলে পাহাড়ের মাটিও ক্ষয় হয়।
জুমীয়দের কথা বিবেচনা করে পাহাড়ের জন্য বিকল্প চাষ পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। তার নাম ম্যাথ (Modern Agricultural Technology in the Hill) পদ্ধতি।
ম্যাথ পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে ফসলের চাষ করতে হয়। প্রথম বৃষ্টির পরপরই দ্রুত বর্ধনশীল ফসল-পেঁপে, কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, সফেদা, জাম্বুরা, কমলার পাশাপাশি কিছু বনজ চারা লাগিয়ে দিতে হয়। সময় উপযোগী-আড়াআড়িভাবে আনারস এবং অড়হর লাগাতে হয়। তা ছাড়া, মৌসুমভিত্তিক ধান, কাউন, ভুট্টা, তিল, কচু, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, টমেটো, বেগুন ও মরিচের চাষাবাদ করা যেতে পারে। ম্যাথ পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকরা সবজির দাম তুলনামূলক বেশি পাবে। কেননা, এ সবজি অমৌসুমে পাওয়া যায়। এতে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে, ভূমির ক্ষয়রোধ হবে। স্থায়ীভাবে বনায়ন সৃষ্টির ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও রোধ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্ট মহল যদি পাহাড়ে চাষাবাদে বরাদ্দ অর্থ নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থার পরির্বতনের কাজে ব্যবহার না করে জুমিয়াদের অবস্থার পরিবর্তনে ব্যবহার করতেন আমার দেশের পাহাড় হত অপার সম্ভাবনার ভান্ডার।
আসুন এখন দেখি পাহাড় কাটায়ও কত শিল্প থাকতে পারে আর সেই শিল্পের সাথে ফসলের রং মিলে মিশে কতটা নৈসর্গিক হতে পারে।
খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা।
কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি।
বান্দরবনের এক জুম ঘর।
জাপানের একটি পাহাড়।এখানে ধানই বেশি উৎপন্ন হয়।
ডংচুয়ান,ইউন্নান, চীন।
সৃষ্টিকর্তার কি অপার মহীমা! এখানকার মাটিই লাল।
তেগালালাং,ইন্দোনেশিয়া।
দুলাখা,নেপাল
লংসেং,চীন।
ইয়নিয়ং,চীন।
লংসেং,চীন।
ইয়নইয়ং,চীন।
ভিয়েতনাম।
আচ্ছা... আমার দেশ জুম চাষে পিছিয়ে কেন?
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬
লা-তাহ্যান বলেছেন: ভাই, প্রকৃতির দান আমাদের কম আছে নাকি? যা আছে তাই নিয়ে ইনশাল্লাহ আমারা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।
দরকার দক্ষতা, প্রযুক্তি আর ইচ্ছা।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা ওরমক করে ভাবতে শিখিনি এখনো!!!!!! তাই
দারুন সব ছবি আর তথ্য শেয়ারে ধন্যবাদ্
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২
লা-তাহ্যান বলেছেন: আমারা কবে ভাববো আর? সব শেষ হয়ে গেলে!
নিন এটা আপনার জন্য
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা। অনেক।
আয়োজনটি সংগ্রহে রাখছি।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
লা-তাহ্যান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
লা-তাহ্যান বলেছেন:
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২০
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। সুন্দর !
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
লা-তাহ্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
লা-তাহ্যান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
পাহাড় উন্নয়নে সরকার যা বরাদ্দ করছে তার বেশিরভাগই উন্নয়ন প্রার্থীদের নিকট পৌছাচ্ছে না।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পাহাড় উন্নয়নে সরকার যা বরাদ্দ করছে তার বেশিরভাগই উন্নয়ন প্রার্থীদের নিকট পৌছাচ্ছে না। সহমত।
এটা শুধু পাহাড় উন্নয়নের বেলায় নয় দেশের সকল উন্নয়নের বরাদ্দই ঠিকমতো পৌছাচ্ছে না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
লা-তাহ্যান বলেছেন: ছবি গুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ওই দেশগগুলোতে কি পরিমাণ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে জুম চাষে।
বিপরীতে আমাদের জুম সেই মান্ধাতার আমলের। এই যুগে এসেও বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা মেনে নেওয়া যায় না।যেখানে অন্যান্য দেশ পাহাড়ে মাছও চাষ করছে। (দুই পাহাড়ে খাদে বাধ দিয়ে)
সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হোক।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দরসব ছবি। আমাদের দেশের তো পাহাড়ের ঢালে জুম চাষ করা হয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
লা-তাহ্যান বলেছেন: আমাদের দেশেও হয় কিন্তু প্রাচীন পদ্ধতিতে।
দেখুন।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ইউন্নানে যে লাল মাটি বলেছেন আসলে গোটা প্রকল্পটি ফুল চাষের। ইউন্নানে একটি ফুলের অকশন হাউজ আছে ।শেষ রাতে অকশন শেষ হলেই প্যাক করা ফুল পৃথিবীর অনেক দেশে উড়াল দেবে। এক সময় চীন ইউরোপ থেকে ফুল আমদানি করত। কৃষির দিক দিয়ে ইউন্নান সবচে অগ্রগামী কারন ওখানে শিল্প স্থাপনের সুবিধা নেই। তাই পাহাড় কেটে জুম্ম শুরু হয় এবং কোটি হেক্টর জায়গার সংস্থান হয়। আমার দেখা দরিদ্র ইউন্নান এখন শুধু মিলিওন ডলারের ফুল রপ্তানি করে প্রতিদিন। আমরাও পারতাম কিন্তু -----------!!
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
লা-তাহ্যান বলেছেন: হ্যা ওখানে ফুল চাষ হয়। মাটিও লাল। ধন্যবাদ তথ্য দেয়ার জন্য।
আমরাও পারতাম কিন্তু--------
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: লা-তাহ্যান ,
আমরা হয়তো জুম চাষে পিছিয়ে নেই কিন্তু নান্দনিকতায় পিছিয়ে আছি । যারা যারা জুম চাষের সাথে ব্যক্তিগত বা সরকারী পর্য্যায়ে যুক্ত আছেন তাদের সৌন্দর্য্যবোধ তো দূর ; চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো চাষাবাদের জ্ঞানটুকুই নেই ।
আমরা কিছুই পারবোনা । কারনটা আপনিই লিখেছেন ----- সংশ্লিষ্ট মহল যদি পাহাড়ে চাষাবাদে বরাদ্দ অর্থ নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থার পরির্বতনের কাজে ব্যবহার না করে জুমিয়াদের অবস্থার পরিবর্তনে ব্যবহার করতেন আমার দেশের পাহাড় হত অপার সম্ভাবনার ভান্ডার।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯
লা-তাহ্যান বলেছেন: আমরা সব পারব একদিন ইনশাল্লাহ। কথায় আছে না? ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। পারার জন্য দরকার সব মহলের ইচ্ছা শক্তি।
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০১
পুলহ বলেছেন: আমি পাহাড়ে চাষাবাদের অন্যতম আধুনিক যে পদ্ধতির নাম শুনেছিলাম- সেটা সম্ভবত সল্ট। আপনার লেখা থেকে ম্যাথ সম্পর্কে জানলাম।
সুন্দর পোস্ট। ছবিগুলো অদ্ভূত সুন্দর এবং কিছু কিছু ছবি 'হ্যাভেনলি'।
শুভকামনা!
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯
লা-তাহ্যান বলেছেন: খেয়াল করে দেখবেন সব ছবি গুলোই উপর থেকে তোলা। সম্ভবত হেলিকপ্টার থেকে। আমার দেশের তো এভাবে তেমন কেউ তোলে নাহহ। তুললে হয়ত নান্দনিকতায় না হোক বাকি সব দিক দিয়ে এর থেকেও সুন্দর হত।
তবে কিছু কিছু ছবি দেখে সত্যিই আমার হিংসা হয়েছে
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯
লা-তাহ্যান বলেছেন:
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯
লালপরী বলেছেন: চীন জাপান অসাম ++++
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩২
লা-তাহ্যান বলেছেন: চীন জাপান অসাম। আমরাও কোন একদিন অসাম হব।
ধন্যবাদ।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদের দেশের সমস্যা হলো সরকার যে প্রজেক্ট নেয় পাহাড়ি মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য তা ঐ এলাকার মানুষদের সাথে আলোচনা করে নেওয়া হয় না। ফলে সরকারি প্রজেক্ট গুলো হয়ে উঠে "সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল" টাইপের। অর্থ লুটের একটা নতুন মাধ্যম মাত্র। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষও ঐ সকল প্রজেক্ট বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে না কারণ তারা জানে না ঐ সকল প্রজেক্ট তাদের কি উপকারে আসবে।
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে তুলনামূলক লেখা দেওয়ার জন্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২২
লা-তাহ্যান বলেছেন: সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হোক।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার দ্বায়িত্ব তাদের উপর দেয়া হয়েছে ।
আপনাকেও ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
ব্লগে উপজাতি কোন ভাই/বোন থেকে থাকলে তারা নিশ্চয় বিষয়টা নিয়ে আরো ভাল বলতে পারবেন।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২০
কালনী নদী বলেছেন: কারণ আমাদের দেশ দূর্নীতিতে সবসময়ই এগিয়ে!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
লা-তাহ্যান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
১৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:০১
বঙ্গতনয় বলেছেন: মা-শা আল্লাহ। অনেক সুন্দর লেগেছে দৃশ্যগুলো। আমাদের দেশেও এমন সু্নদরভাবে জুমচাষ হওয়া উচিত
০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৯
লা-তাহ্যান বলেছেন: সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হোক।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৩
Safin বলেছেন: স্পিচলেস!!!
ওরা এগিয়ে, কারণ ওদের আছে উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং প্রকৃতির দান!