নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইন্টানেটে সরাসরি বাংলা লিখতে পারতেছি!

লাতি

ভালবাসি সামহোয়ার ব্লগ

লাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্ভবত বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাটে তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হতে যাচ্ছে বি,এন,পি।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

এরশাদের জাতীয় পাটি আর জিয়াউর রহমানের বি,এন,পি মূলত একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দুটি দলের গঠন প্রদ্ধতি, ক্ষমতায় যাবার ধরণ, সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হরণ একই ষ্টাইলে। শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের বি,এন,পি এগিয়ে যেতে পারলেও পিছিয়ে পড়েছে এরশাদের জাতীয় পাটি।



এখন দেখাযাক বি,এন,পি এগিয়ে যাওয়া আর জাতীয়পাটি পিছিয়ে পড়ার কারণ গুলো কি।



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সংবিধান লঙ্ঘন ও আইন ভঙ্ঘ করে ও সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হরণ করেন তার নাম জিয়াউর রহমান। বি,এন,পির সুভাগ্য জিয়াউর রহমানের কু কর্মের বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার হবার আগেই জিয়াউর রহমান নিহত হন। ফলে জিয়ার কু কর্ম সব ঢাকা পড়ে যায়। জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর একই ষ্টাইলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমানের মত আরেক কুলঙ্গর সেনা অফিসার এরশাদ, জিয়াউর রহমানের মত একই ষ্টাইলে গঠন করে জাতীয় পাটি। সুভাগ্য ক্রমে জিয়াউর রহমান নিহত হবার সুবাধে বেঁচে গেলেও জনগনের হাত হতে রেহায় পায়নি এরশাদ ও এরশাদের জাতীয় পাটি এরশাদের কুকর্মের দলীয় ও এরশাদের অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ সর্ম্পকে সাবই জেনে যায়। ফলে মারাত্বক ভাবে জনগণের তোপের মুখে পড়েন এরশাদ ও তার জাতীয় পাটি।



মুলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুই ছিল বি,এন,পির জন্য সৌভাগ্য ও বি,এন,পি এগিয়ে যাবার মুল কারণ, এরশাদের জাতীয় পাটি আজ বাংলাদেশে অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে পারতো যাদি এরশাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্তাণ হাবার আগে এরশাদের মৃত্যু হত।



যাক পিরে দেখা যাক ১৯৯১ সালের নির্বাচন। সেই ১৯৯১ নির্বাচনে এরশাদ ছিল জেলখানায়, জাতীয় পাটি তখন ভেঙ্গেচুড়ে চুরমার হয়ে যায়। জাতীয় পাটির প্রায় সব নেতা পালিয়ে যায় আর গা ঢাকা দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে য়ায়। এই রমক চরম ও বিপদ জনক অবস্থায়ও এরশাদের জাতীয় পাটি ৩৫ টি সিটে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়।



এবর দেখা যাক ২০০৮ সালের নির্বাচন। ।সেই ২০০৮ নির্বাচনে বি,এন,পি নেত্রী এরশাদের মত জেলাখানায় ছিলনা, ছিল মুক্ত, বি,এন,পি জামাত শিবির চারদলীয় জোট বন্ধ হয়ে নির্বাচন করে মাত্র ৩০ টি আসনে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়।



এবার খুব সহজে আর স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় বি,এন,পি ধীরে ধীরে কোন দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে খালেদা জিয়ার বয়ষ প্রায় ৭০, ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার বয়ষের চাপে আওলা ঝাওলা কথাবার্ত বলতে শুরু করেছেন, তার বহু প্রমাণ আছে, বি,এন,পির অন্যতম মিত্র জামাত শিবির রাজাকারী কলঙ্ক নিয়ে ইতিমধ্যে নিঃচিহ্ন হবার পথে। জিয়া পরিবারে সব সদস্য জড়ীয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় বড় বড় র্দুনীতিতে।



আগামী নির্বাচনে যদি বি,এন,পি অংশগ্রণ না করে, সেই ক্ষেত্রে এরশাদের জয়ী হবার সম্ভবনা আছে। জয়ী না হলেও অন্তত বিরুধী দলের মর্যদা পাবে এরশাদের জাতীয়পাটি। সেই ক্ষেত্রে জাতীয়পাটি আবার নতুন করে গুড়ে দাড়াতে পারে, যদি এরশাদের জাতীয়পাটি গুড়ে দাড়ায় আর জাতীয়পাটি বড় বড় নেতারা যদি কিছুটা আর্থিক সুবিধা ও দলীয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে এরশাদের জাতীয়পটি আবার বি,এন,পিকে টপকিয়ে যেতে পারবে খুব সহজে। যদি এরশাদের উত্তাণ হয় সেই ক্ষেত্রে বি,এন,পির অবস্থান কোথায় যেতে পারে তা ১০০% পরিষ্কার।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

htusar বলেছেন: মাথা কি ঠিক আছে? লাল -নীল কিছু খাইসেন নাকি ? এরশাদের জাপা বিএনপিকে ছাপাই যাবে !!!

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

পাউডার বলেছেন:
জি আপনার কথাই ঠিক। পাচ মেয়র ইলেকশনে বিএনপির ভরাডুবি আপনার বক্তব্য সমর্থন করে। আর সেই ভয়ে বিএনপি ইলেকশনে যেতে চায় না। :P

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৪

মনে নাই বলেছেন: খুব ভালো স্যাটায়ার লিখেছেন।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই আাপনি আসন নিয়ে কমপেয়ার করলে হবেনা।২০০১সালে আওয়ামীলীগ পেয়েছিল ৬২টি আসন আর বিএনপি পেয়েছিল ১৯৩টি কিনতু ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র১.৩৮%। বিএনপি পেয়েছিল ৪১.৪০% আর আওয়ামীলীগ পেয়েছিল৪০.০২%। একইভাবে ২০০৮সালে আওয়ামীলীগ পেয়েছিল ২৩০টা আসন মানে ৪৯%ভোট আর বিনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টা আসন মানে৩৩.২০%। আসনের পার্থক্য ২০০ হলেও ভোটের পার্থক্য ছিল১৫.৮০%। আর জাপা পেয়েছিল ২৭টা আসন কিনতু ভোট পেয়েছিল ৭.৫% মানে জাপা বিএনপির চেয়ে ৩টা আসন কম পেলেও ভোট কম পেয়েছে ২৬.৩০%। তাই কে কত আসন পেল সেটা দিয়ে বিচার করা ঠিক হবেনা।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

দিশার বলেছেন: ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার বষসের চাপে আওলা ঝাওলা কথাবার্ত বলেন তার বহু প্রমাণ আছে, বি,এন,পির অন্যতম মিত্র জামাত শিবির রাজাকারী কলঙ্ক নিয়ে ইতিমধ্যে নিঃচিহ্ন হবার পথে। জিয়া পরিবারে সব সদস্য জড়ীয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় র্দুনীতিতে।

বড় দুই দলে কোন গনতন্র নাই। সিন্দাবাদের ভুত এর মত, রাজার ছেলে রাজা হবে। খালেদা গেলে তারেক আসবে, তারেক গেলে অর মেয়ে জায়মা আসবে , নাইলে অর বউ আসবে .

অন্যদিকে একই অবস্থা হাসিনার পর জয় আসবে, জয় নাহিলে রেহানা আসে, অর ছেলে ববি আসে।। এরা আসতেই থাকবে , আর আমরা আম জনতার জন্য খালি বাশ .

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গনতন্ত্রের মুক্তি আসলে এরশাদ সাহেব এর মাধ্যমে এসেছিল , তিনি
থানা ভেঙে উপজেলা এবং মহকুনা ভেঙ্গে জেলা করেছিল ।।
এবং ৯ বছরের শাসন আমলে সেনা বাহিনীকে আন্তর্জাতিক কমিশনে
তিনি দেশ গঠনে বেশ ভুমিকা রেখেছিল ।।
বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া সাহেবের অসম্পূর্ণ কাজ তিনিই সম্পন্ন করেছিল ।।
আজকের সংসদ তিনির মাধ্যমে হল এবং জিয়ার নামে বর্তমান
শাহজালাল রা এর নামে বিমান বন্দর এর রুপকার , সিলেট এম এ জি
আতাউল গনি ওসমানি বিমান বন্দর তার সময়ে হয়েছিল ।।
ময়মন সিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয় এবং ত্রিশাল কবি কাজী নজরুল
বিশ্ব বিদ্যালয় তিনিই সময়ে হয়েছিল ।।
আজ দেশের মানুষ আউলা বাউলা কথা কয় , বুঝিনা জগতে তাইলে
আর ভাল কে ?

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: লেখকের নামটা নিয়ে কনফিউজড আমি! নামটা লাতি না লাথি কোনটা!!
তবে নাম যাই হোক কি আসে যায়, যা লিখেছেন তাতে কারো কারো লাথি খাইলেও খাইতে পারেন মি.লাতি............আজব পাবলিক..

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১১

ভোরের সূর্য বলেছেন: মাটে,পাটি,প্রদ্ধিতি,ভঙ্ঘ,সুভাগ্য,কুলঙ্গর,হাবার,মুলত,পিরে,রমক,বন্ধ, বয়ষ,কথাবার্ত,জড়ীয়ে,গণঅভ্যুত্তাণ,বিরুধী,মর্যদা,গুড়ে,দাড়াতে,উত্তাণ,র্দুনীতিতে,এখাযাক,সাবই,মুল।

ভাই,মানুষের ভুল হতেই পারে।আমারও হয়। বানান ভুলের জন্য অনেক ভাল লেখার আবেদন থাকেনা। আপনার আগের আরো দুটি লেখা পড়ে দেখলাম সেখানেও অনেক অনেক বানান ভুল। কিছু মনে না করলে দয়া করে উপরের বানানগুলো ঠিক করতেন এবং বানান বিষয়ে সচেতন হতেন।

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: বদহজম শুরু হৈছে ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.