নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি গাঁ আমার মাটি আমার (তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব)

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
গাঁ আমার মাটি আমার (তৃতীয় পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী




গাঁয়ের মাটি পবিত্র খাঁটি
এই গাঁয়ে করি বাস,
এই মাটিতে ফসল ফলে
সুখে থাকি বারো মাস।


গাঁয়ের মায়া সবুজ ছায়া
পাখি ডাকে গাছে গাছে,
বহিছে সদা অজয় নদী
আমার গাঁয়ের কাছে।


দিঘির জলে শালুক ফুটে
মরাল মরালী ভাসে,
গভীর জলে শামুক তুলে
পানকৌড়ি রোজ আসে।


কলসী কাঁখে নাইতে আসে
গাঁয়ের বধুরা সব,
স্নানের ঘাটে ছেলেরা সব
তুলে কত কলরব।


সাঁঝের বেলা আঁধার নামে
আমার গাঁয়ে যখন,
মন্দির মাঝে কাঁসর বাজে
আরতি হয় তখন।


গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার
আমি গাঁ কে ভালবাসি,
পর জনমে যেন আবার
এই গাঁয়ে ফিরে আসি।

আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
গাঁ আমার মাটি আমার (চতুর্থ পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী




গাঁয়ের পথে সকাল হতে
রোজ চলে গোরুগাড়ি,
রাঙা মাটির পথ গিয়েছে
নদী মাঠ ঘাট ছাড়ি।


সবুজ ছায়ে আমার গাঁয়ে
আছে ছোট কুঁড়েঘর,
গাঁয়ের পাশে ঐ দেখা যায়
অজয় নদীর চর।


কাজল দিঘি দুই পাড়েতে
তালগাছ সারি সারি,
রাঙা পথের গাছের সারি
খেজুর আর সুপারি।


বিকাল হলে গাঁয়ের মাঠে
ছেলেরা সবাই খেলে,
অরুণ রবি পশ্চিম পানে
লাল হয়ে পড়ে ঢলে।


আঁধার নামে সাঁঝের বেলা
আমাদের এই গাঁয়ে,
মন্দিরে বাজে কাঁসর ঘণ্টা
গাজন তলার বাঁয়ে।


গাঁয়ের মাটি সুখের ঘাঁটি
আমার সাধের গ্রাম,
গাঁয়ের মাটি মা যে আমার
মাকে জানাই প্রণাম।


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



অজয় নদীর তীরে করোনার ঝামেলা আছে?

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভান্ডারী দাদা ছড়ায় আপনার গ্রামপ্রীতি দেখে
গ্রামের ছবি ভেসে ওঠে মানসপটে।
ইচ্ছা হয় বকুল শিমুলের গ্রামে ফিরে
যেতে। ছড়ায় ভালো লাগা

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গ্রামের সহজ সরল বর্ননা।পড়তে পড়তে মনে হল গ্রামেই ফিরে গেছি।এখানে গ্রামের বাড়িগুলো দুরে দুরে।প্রতি বাড়িতে দুই তিনটা ট্রাক্টর একাধিক গাড়ী বেশ ছিমছাম নিরি বিলি।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বোবা কবি, কথা বলে না কেন?

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: অজয় নদীর মতোই সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.