নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক জরাময় পৃথিবী

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার

আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি -- না ঘরে, না বাইরে ; না বাইরে, না ভিতরে ; না ভিতরে, না ইতরে ! আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি -- না নরের, না নারীর ; না আত্মীয়ের, না আততায়ীর; না আস্তিকের, না নাস্তিকের; না কবির, না নবির । আমার গলা নারীর বন্দনাগীতগায়নি , জিভ থেকে পুরুষের স্তবক বেরোয়নি , আমার হাত কারো পা ছোঁয়নি, চোখ কারো ভণ্ডামো এড়ায়নি, ঠোঁট ঢুকে পড়েনি অপঠোঁটে, এক নায়িকার খামখেয়ালে আমার শরীর করেনি ওঠবস , আমার মগজ কাউকে দেয়নি পূর্ণ বা খণ্ডকালীন দাসখত ! আমার আত্মঘাতে ঘা খেয়ে উঠেছে পেশিবহুল পুরুষও , আমার বিষবাক্যে চিত্কার করে উঠেছে পূজাপ্রত্যাশী নারীও ! ধুতি-টুপিতে টান পড়ায় চিত্কার করে উঠেছে ধর্মজীবী ধার্মিকও , অজ্ঞাতনামা রোগে রাগান্বিত হয়ে উঠেছে নার্সিসাস নাস্তিকও ! অবশেষে, আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি ! তোষামুদে-জন প্রিয় হয় সবার, এই হলো পরিহাস ; তোষামোদ করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস ! facebook.com/lazyfahim

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পেসশাটলের তেলবাহী অংশ ফেলে দেওয়া হয় কেন ?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

স্পেসশাটলের তেলবাহী অংশ ফেলে দেওয়া হয় কেন ?
স্পেস সাঁটল হচ্ছে এমন একটা মহাকাশযান যা মহাকাশচারীদের মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিতে বার বার ব্যাবহার করা হয়। স্পেস শাটল আর রকেটের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। যেমন রকেট একবার ব্যাবহার করা গেলেও স্পেস শাটল নবায়নযোগ্য । এই নবায়ন যোগ্য শাটল বা রকেট যাই কিছু মহাকাশের দিকে রওনা দিক না কেন দেখবেন বায়ুমন্ডল ত্যাগ করার সাথে সাথে এর জ্বালানিও শেষ হয়ে যায় এবং প্রধান জ্বালানি ট্যাংক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেওয়া হয়।

সাধারণত স্পেস শাটলের নিচে একটি সলিড বুস্টার ও জ্বালানি ট্যাঙ্ক থাকে । সলিড বুস্টার সাধারণত পৃথিবী ছাড়ার আগে ৪৫ কিমি থেকে ৬৭ কিমি পর্যন্ত শাটলকে টেনে তুলে। এর পরে সাধারণত জ্বালানি ট্যাংক এবং বুস্টার দুটিকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেওয়া হয়।
কারণ রকেট উপরের দিকে উঠার জন্য প্রধান বাধা হলো অভিকর্ষজ বল । তাই জ্বালানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে যদি জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও বুস্টার ফেলে দেওয়া না হয় তবে জ্বালানি ট্যাংকের ভরে শাটল আর উপরের দিকে উঠতে পারবে না। তাছাড়া যেখানে ভরই মুখ্য বিষয় সেখানে অতিরিক্ত জ্বালানিবিহীন ট্যাংক বহন করার কোন যৌক্তিকতা নেই।
এবার যে জ্বালানি ট্যাঙ্ক ফেলে দেওয়া হয় তার ভাগ্যেই বা কি ঘটে। কারই বা মাথায় গিয়ে পড়ে সেটি?

যখন জ্বালানি ট্যাঙ্কের সাথে রকেট বুস্টার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে স্পেস শাটলের শরীর থেকে তখন বুস্টারের শরীরেড় প্যারাসুট ফুলে ফেঁপে উঠে এবং ধীরে ধীরে উড্ডয়ন স্থান থেকে ২০০ কিমি দুরে সাগরে পড়ে। বুস্টারটি নৌবাহিনীর জাহাজ দিয়ে উদ্ধার করে আনা হয় এবং বার্নিশ করে পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী করা হয়। কিন্তু কি ঘটে বেচারা অয়েল ট্যাংকারের ক্ষেত্রে ? না এক্ষেত্রে আপনাকে হতাশ করতে হলো । অয়েল ট্যাংকারটি পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী নয়। তাই এর সাথে কোন প্যারাসুট দেয়া হয় না। যার কারণে বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষে আগুণ ধরে যায় এবং টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়ে।
এই লেখাটি আগে আমার ছোট্ট বিজ্ঞান ব্লগে প্রকাশিত।
https://www.sciencethirst.com
সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আনাকেও অগ্রিম ঈদ মোবারক ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: অল্প কথায় সুন্দরভাবে প্রকাশ হয়েছে স্পেস সাঁটল বা মহাশুন্যে যাওয়ার খেয়া সমন্ধে,
বুস্টার রকেট বা সলিড বুস্টার সাধারণত পৃথিবী ছাড়ার আগে ৪৫ কিমি থেকে ৬৭ কিমি পর্যন্ত শাটলকে টেনে তুলে। এই সলিড বুস্টার-এ কি সলিড জ্বালানি বা বারুদ থাকে তা এ প্রবন্ধে উল্লেখ থাকলে পাঠক-পাঠীকাদের বুঝতে সুবিধা হত। এবং বেচারা অয়েল ট্যাংকারে কি তরল জ্বালানি থাকে তা-ও বলা যেত।
সুন্দর পোষ্ট।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: সলিড বুস্টার রকেট আসলে একটি রকেট ইঞ্জিন যার মুল জ্বালানি আসে অয়েল ট্যাংকার থেকে

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১০

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও অগ্রীম ঈদ মোবারক

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।সুন্দর পোস্ট।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান অনেক তথ্য জানা গেল
শুভেচ্ছা রইল । ।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.