নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

খন্ডিত ভাবনাঃ আল্লাহর সবরকারী শোকরগুজারী বান্দা

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

আমরা সবাই আল্লাহর বান্দা বা দাস বা গোলাম। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁর এবাদত বন্দেগী এবং তাঁর নির্ধারিত সরল পথে চলার জন্যই আমাদেরকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাঁর বেধে দেওয়া নিয়ম বহির্ভুত কোন কাজই তিনি পছন্দ করেন না। আল্লাহতে ঈমান আনার বিষয়ে ৭ টি জিনিষের উপর বিশ্বাস স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে ভাগ্যের ভালো মন্দের উপরেও বিশ্বাস স্থাপনের কথা হয়েছে। অর্থাৎ যে যে অবস্থায় আছেন, সেটাই মেনে নিয়ে সবর ও শোকর এর মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন। তার অর্থ এই নয় যে চেষ্টা না করে বসে থাকা। সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা একজন বান্দাকে করতে হবে, আর এর পরে ফলাফল যেটা হবে সেটাই আল্লাহর হুকুম এবং এই হুকুমে বিশ্বাস রাখা। মনে করতে হবে আল্লাহ আমার জন্য এটাই নির্ধারণ করে রেখেছেন।

আমাদের অনেকের বাসাতেই কাজে সহযোগিতা করার জন্য মানুষ আছে। সরাসরি আমরা যাদেরকে বলি কাজের মেয়ে বা কাজের ছেলে। যখন ওদেরকে আমরা কোন কাজ করতে বলি,তখন যদি ওরা সেই কাজটা ঠিক ভাবে না করে, বা দ্রুত না করে আলসেমি করে, বা কাজ করতে গিয়ে ভুল করে, তখন আমারা তাদের উপরে মেজাজ করি। এবং মেজাজের মাত্রা বেড়ে গেলে আমারা তাদের উপরে হাত উঠাই। এমনকি আরো জঘন্য আচরনও করে থাকি, যা বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশিত হয়। এমন কঠিন আচরণ আমরা প্রকাশ করি, কারন সে আমার অধীনস্থ। ঠিক এভাবেই যদি আমরা চিন্তা করি যে আমরাও তো আল্লাহর অধিনস্থ বান্দা বা গোলাম, যদি সঠিক ভাবে তার আদেশ নিষেধ সঠিকরুপে পালন না করি, বা গাফিলতি করি, তবে তিনি আমাদের উপরে কিরুপ নারাজ হতে পারেন?

আবার ঠিক এভাবেই যদি আমাদের বাসার কাজের সহযোগী তার উপরে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তাহলে অবশ্যই আমরা তার উপরে খুশি থাকি। ঠিক এভাবেই আল্লাহর বেধে দেয়া কাজ সমুহ আমরা সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে পালন করলে আল্লাহ তায়ালাও আমাদের উপরে খুশি থাকনে।

আমরা যদি বাসার কাজে সহযোগীর জন্য পছন্দ করে কিছু নিয়ে যাই, সেটা যদি সে অপছন্দ করে, তখন কিন্তু আমরা বিষয়টিকে ভারো ভাবে মেনে নিতে পারি না। ভাবি যে ওর জন্য আমি পছন্দ করে আনলাম, আর ও কিনা সেটা পছন্দ করলো না? আবার সে যদি বলে এটা ভালো হয় নাই, এমন হলে আরো ভালো হতো ইত্যাদি ইত্যাদি .... তাহলেও আমাদের মন মেজাজ দুই খারাপ হয়ে যায়। ভাবি এতো দেমাগ ওর..... ইত্যাদি ইত্যাদি।



ঠিক এভাবেও যদি আমরা আমাদের তক্বদিরের কথা চিন্তা করি, তবে কখনোই ভাগ্যের উপর দোষ তথা আল্লাহর উপরে গোস্বা করতে পারব না। কারণ আমার রব বা মালিক বা আল্লাহ যেভাবে আমাকে রাখতে চান, বা রেখেছেন বা যা দিয়েছেন, সেভাবেই আমাকে রাজী খুশি থাকতে হবে, নইলে ঐ কাজের মানুষ উপর আমরা যেমন নারাজ হই, আল্লাহ তায়ালাও তেমন আমাদের উপর নারাজ হবেন। সুতরাং তার বানানো তক্বদিরের উপরেই সবর ও শোকর করতে হবে, তাহলেই তিনি আমাদের উপরে খুশি থাকবেন।



একবার এক আল্লাহর খাস বান্দা একজনের আম বাগানে কাজ করতো। তার মনিব একদিন এসে বাগানে বসলেন। তার সামনে আম পেশ করা হলো। তার মনিব নিজে হাতে ঐ গোলামকে আম খেতে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এর স্বাদ কেমন? গোলাম বল্লেন ভালো। আবার অন্য একটি আম খেতে দিয়ে বল্লেন এটার স্বাদ কেমন? গোলাম বল্লেন ভালো। মনিব তখন বল্লেন একটি আমের স্বাদ টক, আরেকটির স্বাদ মিষ্টি, তুমি দুইটাকেই ভালো বল্লে কেন? গোলাম তখন বল্লো মনিবের হাতের কোন জিনিষই আমি খারাপ বলতে পারি না, তিনি আমাকে খেতে আদেশ করেছেন আমি খেয়েছি, এই শুকরিয়া, ভালো খারাপ বিচারের দায়িত্ব কি কোন গোলাম পেতে পারে? এই উত্তর শুনে মনিব বুঝলেন এই লোক কোন সাধারণ লোক নয়, তৎক্ষনাৎ তিনি তাকে আজাদ করে দিলেন।



সর্বদা সর্বাবস্থায় আল্লাগর শুকরিয়া আদায় ও সবর করে চলার জন্য নফসের সাথে জিহাদ করা উচিৎ। আমরা সব সময়ই চাহিদার মধ্যে থাকি। গাড়ি নাই , বাড়ি নাই, এই নাই ঐ নাই, নিত্যদিনই এই হায় আফসোস আমাদেরকে তাড়া করে ফেরে। অমুকের এইটা হলো, তমুকের সেইটা হলো, আমার কিছুই হলো না। এই হায় আফসোস আমাদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। আমার কি আছে আছে বা আল্লাহ আমাকে কি কি দিয়ে ভালো রেখেছেন, সেটা আমরা কখনোই বিবেচনায় আনি না, আনলেও খুব কম সময়ই সেটা অনুধাবন করি।

আমরা অনেক সময় আফসোস করি মাথার উপরে চুল নাই, টাক পড়ে গেছে, কিন্তু এই কথা ভাবি না যে কত জনের মাথার উপরে চুল থাকলেও ভেতরে ঘিলু নাই অর্থাৎ মানসিক রোগী। সে জানে না কোনটা ভালো কোনটা মন্দ। তার থেকে তো আমাকে আল্লাহ ভালো রেখেছেন। কত মানুষের হাত নাই, পা নাই, চোখ নাই, তার থেকে তো আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। সর্বপরি তার কাছেই তো ফিরে যেতে হবে।

যে কোন ব্যপারেই হায় আফসোস তো অবশ্যই থাকবে। নফসের চাহিদা মৃত্যু পর্যন্ত আমাকে আপনাকে ধাবিত করবে, কিন্তু তার সাথে জিহাদ করতে হবে প্রতিনিয়ত, তাহলেই ন্যায়ের পথে থাকা যাবে। আল্লাহর খাস বান্দা বা গোলাম হওয়া যাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

দিশার বলেছেন: লক্ষ্য লক্ষ্য শিশু প্রতি বছর না খেয়ে মারা যায়, এদের উপর খোদা নাখোশ কেন?

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: Sorbabosthay Allahr shukria.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.