![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৌশলী।একটা মোবাইল কোম্পানিতে কামলা দিই ।নিজের সুখ দুঃখ শেয়ার করতে চাই সবার সাথে। স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের।
প্রিয় সন্তান
আমি যখন বার্ধক্যে যাব, আশা করব,
তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সঙ্গে আচরণে ধৈর্যশীল হবে।
ধরো, আমি যদি হঠাৎ খাওয়ার প্লেট
ভেঙে ফেলি অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি, বুঝবে আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
আশা করি, তখন তুমি চিৎকার করবে না। আর যদি উঁচু স্বরে কথা বোলো, বুঝবে তখন আমি নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যাই, অসহায় আর অপরাধী মনে করি নিজেকে।
যখন আমার শ্রবণশক্তি শেষ হয়ে আসছে এবং শুনতে পাচ্ছি না আমাকে তুমি ঠিক
কী বলছ, তখন আমাকে ‘বধির’ বলা উচিত নয়।দয়া করে তুমি আবার বলো অথবা লিখে দেখাও।
আমি দুঃখিত বাবা। বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি, আমার পা দুর্বল হয়ে আসছে। আমি মনে মনে চাই, তোমার ধৈর্য থাকবে আমাকে দাঁড়াতে সাহায্য করতে। যেভাবে আমি তোমার পাশে ছিলাম, যখন তুমি ছোটবেলায় হাঁটতে শিখছিলে।
আমার কিছু কথা শোনো, যখন আমি অসহায়ের মতো তোমাকে কিছু বলব...তোমার কাছে ভাঙা রেকর্ডের মতো লাগলেও আমার কথা শুনে বিরক্ত হোয়ো না। তোমার মনে আছে? তুমি ছোট থাকতে আমার কাছে একটা বেলুন চেয়েছিলে।
সেটা না পাওয়া পর্যন্ত বারবার আমাকে সেটাই বলতে। সারাক্ষণ জিজ্ঞেস করতে, ‘কখন দেবে, কখন দেবে...।’
দয়া করে আমাকে গোসল করার জন্য জোর কোরো না। আমার শরীর দুর্বল। ঠান্ডায় বয়স্ক মানুষ খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে যায়। তুমি যখন ছোট ছিলে...আমাকে তোমার পেছনে দৌড়াতে হতো। কারণ,
তুমি গোসল করতে চাইতে না।
তোমার অলস সময়ে, আশা করব তুমি আমার সঙ্গে একটু সময়ের জন্য হলেও কথা বলবে। আমি সব সময় একাকিত্বে ভুগি এবং কথা বলার মানুষ পাই না।
জানি তুমি ব্যস্ত থাকো কাজে অথবা আমার কথায় ও গল্পে আনন্দ পাও না তেমন, তবু আমার জন্য কিছু সময়
রেখো। তোমার কি মনে পড়ে? যখন ছোট ছিলে, তখন তোমার টেডি বিয়ারের গল্প আমি শুনতাম।
যখন আমার মৃত্যু আসবে, তুমি কি আমার হাত ধরে থাকবে? যা আমাকে সাহস জোগাবে।
তুমি চিন্তা কোরো না, যখন আমার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে দেখা হবে, আমি তাঁর কানে কানে অবশ্যই বলব,
তোমাকে অনুগ্রহ করতে...।
কারণ, তুমি তোমার মা-বাবাকে ভালোবেসেছিলে। ভালো থাকবে সব সময়।"
[সংগৃহীত]
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৪
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্নবাদ মিজান ভাই। দোয়া করি সিফাত যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে উঠে। সব সময় শুভ কামনা।
দেশের বাইরে থাকার কারনে বাবা মার সাথে দেখা হয় না। দেশে থাকতে আম্মার সাথে অনেক খুনসুটি(মজা) করতাম।। এখন অনেক অনেক মিস করি।
দোয়া করবেন আমার জন্য।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৬
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: লেখাটা [সংগৃহীত] । ভাল লাগছে.।.।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯
রাকিবুল হাসান ২০১০ বলেছেন: চিঠিটা আবার পড়ে ভাল লাগলো ।
চিঠিটি অনেক পুরানো । প্রথম ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোতে । মূল লেখকের নামটি এ মুহূর্তে মনে পড়ছেনা ।
চিঠিটি পুরানো হলেও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে সব সময় ভালই লাগবে সবার কাছে ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: লেখাটা [সংগৃহীত] । আমি যতবার পড়ি, মনটা অন্যরকম হয়ে যায়।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৫
মূর্খ রুমেল বলেছেন: Very nice
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২২
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: Thank you !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
মিজানুর রহমান জুয়েল বলেছেন: আমার একমাত্র সন্তান শাইখান রেহমান সিফাত.....তুমি খুব চমৎকার.....তোমার মত সন্তান দান করায় আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ.....তুমি অনেক বড় হও....মানুষের মত মানুষ হও.....এই কামনা, প্রত্যাশা এবং করি। তার পরেও তোমার কাকার লেখা এই চিঠিটা তোমার কাছে আমার লেখা চিঠি হিসেবেই ধরে নিও। তোমার আম্মু যখন আমার এ মন্তব্য পড়বে তুমি তখন নিশ্চয়ই তার কাছে থাকবে....আগামি বৃহস্পতিবার যখন বাসায় আসবো তখন তোমার মন্তব্য আশা করছি।
পাশাপাশি লিটন ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ও মনের একান্ত কথাগুলো এভাবে প্রকাশ করার জন্য। ভাল থাকবেন ভাই।