নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৌশলী।একটা মোবাইল কোম্পানিতে কামলা দিই ।নিজের সুখ দুঃখ শেয়ার করতে চাই সবার সাথে। স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের।
দুবাই থেকে ঘণ্টা খানেক চলার পর অনেকটা ধু ধু মরুভূমি শুরু হল- মরুভূমির মধ্য দিয়ে সুন্দর প্রশস্ত রাস্তা। যতটুকু চোখ যায় শুধু ঢেউ ঢেউ সোনারাঙা বালুর পথ।দেখতে অনেকটা অসমতল উঁচু-নিচু পাহাড়ের মত। অনেক অংশ সমতল, অনেক অংশে বালির ঢিবি উঁচু-নিচু বালিয়াড়ি যেন বালির সাগর, বায়ুপ্রবাহে তাতে সৃষ্টি হয়েছে ঢেউয়ের পর ঢেউ। মাঝে মাঝে যেন কোন্ শিল্পীর হাতে আঁকা আল্পনা! বালুর সাগরে এমন ঢেউ, এমন সুন্দর আল্পনা কারো কল্পনায়ও আসতে পারে না! মাঝে মাঝে লম্বা রেখা চলে গেছে দূর দিগন্ত পর্যন্ত।
এটা ছিল আমাদের অফিসিয়াল ট্যুর। কলিগদের সাথে জিপে চেপে মরুর বুক চিরে ছুটে চলছি। মরুময় এলাকা জুড়ে পাহাড়ের মত উঁচু নিচু বালির স্তুপ। উঁচু থেকে নিচুতে আবার নিচের দিক থেকে উপরে দ্রুত বেগে ছুটতে থাকা আমাদের সামনের গাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে বালির সাথে যুদ্ধ যোঘণা করেছে। উচ্ছ্বাস আর আনন্দ মিশে যায় বাতাসে উড়ে বেড়ানো বালির সাথে। একবার উঁচুতে আবার নিচুতে এভাবেই চলতে থাকে অনেকক্ষণ। আমাদের কিছু গাড়ি বালিতে আটকে যাচ্ছে। ঢালু থেকে স্লিপ কেটে আমাদের জিপ নিচে নেমে পরছে , মনে হচ্ছে এই বুঝি উল্টে যাবে।আমরা ভয়ে আনন্দে গাড়িতে বসে চিৎকার চেচামিচি করছি।
মাঝে মাঝে আমরা যাত্রা বিরতি করছি ফটোশুট নেয়ার জন্য। চিকচিক করে লাল বালি। চারিদিকটাই ধু ধু প্রান্তর। মরুভূমি মানেই হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম,তার উপর বালু ঝড় তো আছেই। যদিও আজকে অতটা বালু ঝড় নাই। প্রচণ্ড বাতাসে উষ্ণ বালু উড়ে এসে পড়ছে আমাদের গায়ে। অনেকেই এরাবিক ড্রেসে সেজে এসেছে।
আমাদের সবগুলো গাড়ি সন্ধার আগেই ক্যাম্পে পৌছাল। শুরু হলো উটের পিঠে চেপে ঘুরাঘুরি সেই সাথে সূর্যাস্ত দেখা। মরুসূর্য কিভাবে অস্ত যায় তা দেখার জন্যেই আমরা ভিড় জমিয়েছি বালিয়ারির উপরে,কেউবা উঠের পিঠে বসে অপেক্ষা করছে সূর্যাস্তের জন্য। সূর্যাস্তের সময় আকাশ যেন অদ্ভুত এক রুপ নেয় । মরুভুমিটি যেন ভয় মেশানো অদ্ভুদ এক সৌন্দর্যের প্রান্তর।একদিকে যেমন বালু ঝড়ের ভয় আছে তেমনি অন্যদিকে আছে সূর্যাস্তের রঙিন সৌন্দর্য।
রাতের আঁধারের মনোমুগ্ধতা আর রাতের নেশা ধরানো নাচ গানের উৎসব, সেই সাথে রাতের ডিনার।আমরা দল বেধে মঞ্চে নাচছি, খাচ্ছি, ঘুরছি। শুরু হল তানুরা ড্যান্স। ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে টানা ঘুরতে থাকে নৃত্যশিল্পী, তার সাথে করে বিভিন্ন রকম কসরত। পোশাক টা হয় খুবই রঙ-বেরঙের। এই নাচের সময় মঞ্চের লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়, অন্ধকারে পোশাকে থাকা লাইট নাচিয়ের ঘূর্ণনের সাথে সাথে চমৎকার আলোর নকশার জন্ম দেয় ।
মূল আকর্ষণ বেলি ড্যান্সের ঘোসনা আসতেই সবাই চিৎকার করে অভিবাদন জানালো। বেলি ড্যান্সে'র দৃষ্টিনন্দন নৃত্যশৈলী নিমেষেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ভীষণ দৃষ্টিনন্দন নৃত্যকৌশল, চোখ ফেরানো যায় না। আলো অন্ধকারে খোলা মরুভূমি জুড়ে কি অদ্ভুত এরাবিক সুরের ঝংকার হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে। আবার পলকের মধ্যে রঙ্গীন আলো জ্বলে উঠতেই ষ্টেইজের মধ্যস্থলে এক সুন্দরী বিচিত্র ভঙ্গিতে নতজানু করে বসে আছে। গানের তালে তালে অপূর্ব ভঙ্গিমায় শরীরটাকে দুমড়ে মুছড়ে দু হাত দুদিকে প্রসারিত করে প্রজাপতির মত ছন্দে ছন্দে হিলে দুলে নাচতে লাগল।শরীরে যেন কোন হাড্ডি নাই । পাতার মত যেন দুলছে। শরীর যেন মেদহীন কাঁচা সোনার ভরন।
মরুভূমিতে আনন্দঘন সময় কাটিয়ে বেশ রাতে দুবাই ফেরার পথে যাত্রা শুরু করলাম। পেছনে ফেলে আসলাম অসংখ্য ভালোলাগার অম্লান স্মৃতি, যা কোনদিন ধূসর হবে না হৃদয়ের কোণে।
লাল বালি,বুড়া পাহাড় আর নীলাভ সমুদ্রের দেশ। (ছবি ব্লগ)
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: কলিগদের সাথে বেশ মজার একটা দিন গেছে
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সাফারি পোস্ট ভালা লাগসে :#>
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান ভাই। সাথে থাকুন ঘুরাঘুরির আরো পোস্ট আসছে।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বেলি ড্যান্স ভাল লাগিচ্ছে। পুষ্টে +
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: গরমের মধ্যে ঠাণ্ডার ও ব্যাবস্থা আছে দেখছি।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: হাহাহাহাহাহা .........
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
এইযে দুনিয়া
কিসের লাগিয়া
এত যত্ন গড়াইয়াছেন সাই..........................................
আক্ষেপের ইমো হবে
এক সময়ে মরুর কাছৈ অসহায় আরবরা আজ মরু নিয়ে কত মজা করে!!!!!!
পোষ্টে আপনার সাথৈ সাথে দুধের সাথে ঘোলে মিটাইলাম
+++
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০২
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: মাত্র কয়েক দশক আগেও আরব উপদ্বীপের জীবনব্যবস্থা ছিল অসহনীয় দুর্দশায় ঘেরা। শুকনো রুটি আর খেজুর ছাড়া অনেকের ঘরেই দু’মুঠো ভালো আহার জুটতো না। বিদ্যুত , পানি ছাড়া তারা যে কিভাবে মরুভূমিতে বসবাস করত বিধাতাই ভালো জানে .. আর এখন সবাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। বিশ্বের সর্বাধুনিক সংস্করণের ব্র্যান্ডেড গাড়িগুলোর মালিক এখন আরবরা। বিধাতা আরবদের জন্য এখন একটু বেশিই দয়ালু!!
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
পোষ্টে আপনার সাথে সাথে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইলাম...
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: হাহাহাহাহা ....... , আমি ঢাকতেই দেখছি একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে বেলি ড্যান্স পার্টি। আমাদের দেশ ও কম আগাই নি
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭
সাাজ্জাাদ বলেছেন: ভাই, সিসা দেয় নাই। আর ওয়েলকাম পানীয় হিসেবে গাওয়া?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: সব ব্যবস্থাই ছিল বস (সিসা, তরল) ..... তবে আমি এসব কিছু ছুয়েও দেখি নি অতি ভ্রদ্র পুলা
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: একগুচ্ছ ধন্যেপাতা আপনার জন্য !!
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
আবু শাকিল বলেছেন: আপ্নে দুবাই তে ভালাই মজা নিতাছেন
আমি আবুধাবী তে কামলা দিয়াই দিন পার !!!
ডেজার্ট সাফারি এবং বেলি ড্যান্স অপেক্ষা তালিকায় আছে।যামু একদিন...
টেকা টুকা কত লাগল,কেম্নে গেলেন এক্টু ডিটেলস দান করেন প্লিজ।
ধন্যবাদ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৭
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: শাকিল ভাই আমিও দুবাইতে কামলা দিতেছি। এটা আমার অফিসিয়াল ট্যুর ছিল। সো টাকা পয়সার ব্যাপারে কিছু জানি না। আর কলিগদের সাথে মজা মাস্তি বেশ ভালই জমছিল।
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিদেশে একটু ফুর্তি না করলে থাকাই দায় হয়ে যাবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: হাহাহাহাহা........ এদের কাছে এসব কিছু না । দেখে অন্যরকম মনে হলেও কলিগদের মন মানসিকতা অনেক ভালো !! আমি এদের সাথে জব করতে পেরে সত্যিই অনেক হ্যাপী !!
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
মোঃ নূর-উস-সালাম চপল বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। লিটন ভাই দেশে আসবেন কবে?
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ চপল !! ডিসেম্বারে আসতে পারি .................
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: চোখে আরাম লাগল। বালুর জগৎ সুন্দর...
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: আউটিংটা বেশ উপভোগ্য ছিল। ধন্যবাদ তুহিন ভাই ।
১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব সব ছবি
দারুন বর্ণনা ।।
পোষ্ট এ +++++++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ আপু
১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: ডেজার্ট সাফারি সত্যি অন্যরকম এক আনন্দ । যা আমি অনুভব করেছিলাম মিশরের সাদা কালো মরুভুমি সাফারিতে। আপনার দেয়া ছবিগুলো দারুন সাথে বর্ননা।
শুভ জন্মদিন রফিকুজ্জামান লিটন
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । ট্যুর টাও দারুন ছিলো।
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: মজাই মজা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪১
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দুনিয়ার সব মজা ওরা লুটে নিচ্ছে!