![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৌশলী।একটা মোবাইল কোম্পানিতে কামলা দিই ।নিজের সুখ দুঃখ শেয়ার করতে চাই সবার সাথে। স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের।
সকালের সূর্য আর সমুদ্র-জলের অনিন্দ্যসুন্দর লুকোচুরি, সেই অপরূপ আলোয় চিকচিকিয়ে ওঠা পার্সিয়ান গাল্ফের বিস্তীর্ণ নীল জলরাশি। প্রকৃতির নির্মল বাতাসের সাথে প্রকৃতি প্রেমীদের মনও আনন্দে দোল দিয়ে যায়। দুবাই থেকে রাত ২.৩০ যাত্রা শুরু করে আবু-ধাবি হয়ে স্যার বানিয়াস দ্বীপ ফেরিঘাটে পৌঁছাই সকাল ৭:৩০ টায়। সকাল ৯ টায় ফেরি ছাড়বে হাতে ১:৩০ ঘন্টার মতো সময়। ফেরি ঘটে একটু ঘোরাঘুরি করে আপু-আন্টিদের পরম যত্নে বানিয়ে আনা বাহারি সব পিঠা দিয়ে শীতের হিমশীতল হাওয়ায় সকালের নাস্তা। আহ! পিঠা! কতদিন পর এমন মজার মজার পিঠা খেলাম। স্মৃতি মধুমাখা, মনে হচ্ছে পিঠার গন্ধ স্বাদ এখনো লেগে আছে
ফেরি ধীরে ধীরে দূরে আরও বহুদূরে নিল ধরিয়ায দোল খাচ্ছে। চারদিকে শুধুই নিল জল-রাশি । যতদূর চোখ যায় সুনীল সমুদ্রে ঢেউয়ের পর ঢেউ, নীলাভ আকাশের পরে আকাশ, এ সেই ছোটবেলার কল্পনায় দেখা নীল-তেপান্তরের অনুভব ! নীলাভ আকাশটা যত সুন্দর, তার চেয়ে বেশি সুন্দর তার বিশালতা। সুনীল সমুদ্রটা যত সুন্দর, তার চেয়ে বেশি সুন্দর তার বয়ে নেওয়া ঢেউ । ঝিকিমিকি সূর্যের আলো আর মুক্ত সতেজ বাতাসের পালকিতে দুলে চলছি। নীল জলে নীল আকাশের মিতালী সাথে মৃদু মন্দ বাতাস আর ফেরির ছন্দময় গতি, অসাধারণ অনুভূতি। ২ ঘন্টার ফেরি জার্নি শেষে সকাল ১১ টায় আমরা দালমা দ্বীপে পৌঁছাই।
মনকাড়া নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমণ্ডিত দালমা (Dalma Island) দ্বীপ, যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রোমাঞ্চ।পাহাড়, সমুদ্র সৈকত ও সবুজে ঘেরা দালমা দ্বীপ। নির্জন নীরবতায় ভ্রমণ যাদের পছন্দ, তাদের জন্য এ জায়গাটি অনবদ্য সাথে পারসিয়ান গাল্ফ সমুদ্রে রোমাঞ্চকর ফেরি জার্নি। মনোরম পরিবেশে নিরিবিলি এই দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে স্নিগ্ধতায় ভরে যাবে আপন মন। দালমা দ্বীপে আছে শ্বাসমূলীয় বন। দ্বীপের চারপাশে সমুদ্র লাগোয়া প্রশস্থ রাস্তা,এখানে ভ্রমনের অন্যতম আকর্ষণীয় হলো "মেরিন ড্রাইভ"। এই রোডের এক পাশে সমুদ্রর নীল জল রাশি আর অন্যপাশে পাহাড়, সবুজ বনায়ন, শহর ইত্যাদি ..
এ দ্বীপে শুধুই স্থানীয়দের বসবাস যাদের আগে পেশা ছিল মাছ শিকার তবে এখন সবজায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া। সব মিলেয়ে দারুণ উপভোগ্য। দালমা দ্বীপ আমাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপের মত , মূল ভূখণ্ড থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয়। আবুধাবি থেকে অনিয়মিত ফ্লাইটেও যাওয়া যায়।
সারাদিন আনন্দময় সময় কাটিয়ে ক্লান্তিভরা চোখের মাঝে হাজারও সুখস্মৃতি নিয়ে এবার দুবাই ফেরার পালা। সূর্য পশ্চিম দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে। একই পথে ফেলে চলেছি একের পর এক পথের মায়া............
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই, জেনে খুশি হইলাম
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
অলিউর রহমান খান বলেছেন: মনের অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
চমৎকার সব দৃশ্য যা দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
খুব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর জিনিস গুলো তুলে ধরার জন্য।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ অলিউর ভাই, খুব ধর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
কালীদাস বলেছেন: আগেও বলেছি আপনার ছবি তোলার হাত ভাল
ফেরির ছবিটা খানিকটা কনফিউজড করল চোখকে। লোডিং ব্রিজের লাস্টে ব্যারিকেড ফেলার কথা চলন্ত অবস্হায়। পানির জন্য বুঝতে পারছিনা সম্ভবত
মসজিদটা খুবই সুন্দর লাগল ছবিতে।
থ্যাংকস পোস্টের জন্য। আপনি আগের চেয়ে শুকিয়ে গেছেন মনে হল
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস ভাই , সবসময় উৎসাহ দেয়ার জন্য। লোডিং ব্রিজের লাস্টে পার্ট অনেক উঁচু। এইজন্য ব্যারিকেড ক্লোজ করেনি।
একটু ওজন কমছে
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বর্ণনা এবং ছবি খুবই সুন্দর।
সাগর আমি ভয় পাই খুব, শুধু সাগর না পানি জিনিসটাই খুব ভয় পাই।
এজন্য অনেক কিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
রফিকুজজামান লিটন বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগা আমার অনুপ্রেরণা। হাহাহাহাহাহা, আপু আমারও পানিতে অনেক ভয় তবে অনেকজন একসাথে গেলে তেমন মনে হয় না ! আপু আপনিও একদিন দলবল নিয়ে সাগরে যান সব ভয় কেটে যাবে
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লেখা এবং ছবি দুটোই ভাল লেগেছে