![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবরের কাগজে কত ছবি ওঠে। আজ শুভবিবাহ। পাত্র অমুক, পাত্রী তমুক। কী সুন্দর ছবিগুলো। তা দেখে ওদের দুজনের মানে শিশু দুটির নিজেদের ছবি তোলার ইচ্ছে হয়। বেশ কিছু দিন ধরে ছবি তোলার পোকাটা ওদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। ওদের একজন মানে মেয়েটি চুপি চুপি ভোরবেলার খবরের কাগজে পাত্র-পাত্রীর ছবি দেখে। তারপর সবার চোখের আড়ালে ছবিগুলো খবরের কাগজ থেকে কেটে নিজের নোটবইয়ে সেঁটে রাখে সে এবং গোপনে নোটবইটা লুকিয়ে রাখে নিজের স্কুলের ব্যাগের মধ্যে।
সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটি ছেলেটিকে চুপি চুপি নোটবইটা দেখিয়ে জানতে চায়, কোন ছবিটা সবচেয়ে ভাল?
‘এই ছবিটা’—একটা ছবি দেখিয়ে ছেলেটি বলে।
ছেলেটির দেখানো ছবিতে ক্যাপশান হিসেবে লেখা আছে পাত্র সতীশকুমার নাম্বিয়ার, পিতা করুণাকরণ নাম্বিয়ার। পয়কারিল হাউস, কোদিনজো মুলাম, নীলেম্বরম। পাত্রী কে আর স্বপ্না, পিতা কে আর গোবিন্দম নাম্বিয়ার। খেরাভাত হাউস, কোয়ামপুরম, নীলম্বরম।
ছেলেটির পছন্দে সায় জানালেও মেয়েটি বলে, ‘তবে বরটার গোঁফ না থাকলে ভাল হত। তুমিও কি বড় হলে গোঁফ রাখবে?’
‘বলা যায় না, রাখতেও পারি। গোঁফ রাখলে কাউকে কাউকে বেশ স্মার্ট দেখায়।’ ছেলেটি অভিমত দেয়।
দুজনে কথা বলতে বলতে স্কুলের সামনে চলে এসেছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের দেখা মাত্র মেয়েটি ঝটপট নোটবইটা তার স্কুলব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে। কিন্তু ছেলেটি ওর কাছ থেকে নোটবইটা চেয়ে নেয়।
মেয়েটি দ্রুত নোটবইটা ব্যাগ থেকে বের করে ছেলেটার হাতে দিয়ে বলে, ‘সেকেন্ড পিরিয়ডে ফেরত দিয়ে দেবে কিন্তু।’
ছেলেটি হেসে নিশ্চিত করে।
স্কুল ছুটির পর ফেরার পথে ছেলেটি বলে, ‘আমরাও এমন ছবি তুলব।’
‘কিন্তু আমরা তো ছোট, আর আমাদের তো বিয়েও হয়নি,’ বলল মেয়েটি।
‘আমরা তো বিয়ে করবই’ ছেলেটির এ কথায় মেয়েটি লজ্জা পায়।
ছেলেটি এবার জানতে চায়, ‘তোমার কী লজ্জা লাগছে?’
‘হ্যাঁ।’
‘লজ্জা পাচ্ছ কেন?’
‘ও তুমি বুঝবে না।’
‘তা হলে ছবি তুলব না আমরা?’
‘তুলব। কাল।’
মেয়েটি জানে ছবি তোলার টাকা নেই ছেলেটির। তাই বাড়িতে ফিরে এসে একটা ছোট লম্বা ঝাঁটার কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা বের করে আনে। যখন সে এ সব করল তখন মেয়েটির মা বাইরের ঘরের টিভি দেখছে। আর বাবা তখনও অফিস থেকে ফেরেনি।
পরের দিন সকালবেলা ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির আবার দেখা হল। মেয়েটি হাসছে, কিন্তু ছেলেটি হাসছে না। ওরা সড়ুলের পথে হাঁটছে। পিচ ঢালা রাস্তা, ঝলমলে আকাশ, পাখির কলকাকলি। মনোরম সকাল যেন হাসছে।
ছেলেটি বলে, ‘ছবি তুলতে তো টাকা লাগবে।’
মেয়েটি হেসে বলল, ‘জানি তুমি আনতে পারবে না। তাই আমিই জোগাড় করে নিয়ে এসেছি।’
‘কে দিল টাকাটা। বাবা না মা?’
‘ওই সব তোমার জানার কি দরকার? ছবি তুলতে হবে তাই টাকা দরকার এবং টাকা যেহেতু পেয়েছি চল এখনই ছবি তুলব।’
‘এখন না, স্কুল ছুটির পর স্টুডিওতে যাব।’
‘কোন স্টুডিওতে?’
‘সে কী! জান না? একটা স্টুডিও আছে বিজয়া টকিজের কাছে? মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় সেখানে ছবি তুলেছি আমি।’
স্কুুল ছুটির পর দুজনে মিলে সেই স্টুডিওটায় এলে রোগা বেঁটেমতো একটা লোক দাঁত কেলিয়ে জানতে চাইল, ‘তোমরা কী চাও?’
লোকটার গলার স্বরটা কেমন যেন, ছেলেটা ভাবল তবে তার গোঁফটা সুন্দর।
‘আমরা ছবি তুলতে এসেছি।’
‘কী ধরনের ছবি পছন্দ তোমাদের’, লোকটা তা জানতে চাইলে মেয়েটি ব্যাগ থেকে সেই নোটবইটা বের করল যাতে সতীশ আর স্বপ্নার ছবিটা রয়েছে।
এরপর লোকটা ওদের দুজনকে একটা বড় বেঞ্চের ওপর বসাল, ওদের পেছনে একটা পর্দায় রাতের আকাশের ছবি, সে ছবিতে পূর্ণিমার চাঁদ আঁকা।
ফটোগ্রাফার একবার ওদের দুজনের থুতনি ধরে মাথা উঁচু করে দেয়, আরেকবার মাথা ধরে প্রথমে ডান দিকে, পরে আবার বাঁদিকে কাত করে দেয়। তার পর পেছনে ফিরে ক্যামেরায় নিজের চোখ রাখে। আবার ক্যামেরা ছেড়ে বেড়িয়ে এসে ওদের দুজনের থুতনি ধরে মুখটা নিচু করে দেয়। এরপর সে ক্যামেরায় চোখ রেখে এগিয়ে এসে দুজনের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ঠিকমত পোজ হচ্ছে না।’
ওরা ভয় পেতে শুরু করলেও লোকটা অনেক ক্ষণ এ-পাশ ও-পাশ করতে থাকে এবং এক সময় সবকটা আলো জ্বালিয়ে দিয়ে বলে, ‘এবার ঠিক আছে। রেডি, ওয়ান টু থ্রি।’
ক্যামেরা থেকে আলোর ঝলক এসে ওদের চোথ চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মেয়েটি তো আলোর বন্যায় নিজের চোখ দুটো ঠিকমত খুলতেই পারে না।
ছবি তোলা হয়ে গেলে লোকটা এবার ওদের নাম জানতে চায়।
ছেলেটা বলে, ‘ওর নাম সিনা আর আমি অভিলাষ।’
লোকটা আদর করার ভঙ্গিতে ওদের দুজনের মাথায় আলতো করে থাপ্পড় বলে, ‘সুন্দর নাম।’
মেয়েটি রুমালে বাঁধা টাকা-পয়সা বের করলে লোকটা বলে, ‘বারো টাকা দাও। পরশু দিন এই সময়ে এসে ছবি নিয়ে যেও।’
মেয়েটা বারো নয়, সর্বসাকুল্যে সাড়ে তিন টাকা দিতে পারে।
‘বাকি টাকা! মানে আরো সাড়ে আট টাকা?’ লোকটা রেগেমেগে জানতে চায়।
ওরা দুজনেই ঘাবড়ে গিয়ে একে অন্যের মুখের দিকে তাকাল। লোকটা ওদের আরো ঘাবড়ে দিয়ে বলে, ‘বাহ! ঠগবাজি করতে এসেছ? পুরো টাকা না দিলে তোমাদের ছবি দেব না আমি।’
মেয়েটি তখন ঘামতে শুরু করেছে। মাটির ব্যাংকে তো আর পয়সা নেই। কোত্থেকে বাকি সাড়ে আট টাকা পাব! কাকে বলব টাকার কথা। এ সব ভাবতে ভাবতে হঠাত্ মেয়েটা কান্না করে ফেলল। ছেলেটিরও কাঁদোকাঁদো অবস্থা।
‘আহ। তোমরা কেঁদো না। কান্নার কিছু নেই। তোমাদের ছবি তোমাদের দিয়ে দেব। কিন্তু আমি যা বলব সেটা করতে হবে’, বলে ফটোগ্রাফার।
ওরা দুজনে অর্থাত্ সিনা আর অভিলাষ দুজন দুজনার দিকে তাকাল। আর ওই লোকটা মানে ফটোগ্রাফারটা হো হো করে বোকার মতো হাসতে লাগল। এসো, এদিকে এসো। কথাটা বলে লোকটা আবার আলোগুলো সাজাতে লাগল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে লোকটা ওদের দিকে তাকিয়ে হো হো করে আবার হেসে উঠল। তারপর বলল, ‘আমি তোমাদের কাছ থেকে একটি টাকাও নেব না। কিন্তু একটা শর্ত আছে। তোমরা দুজনেই জামাকাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবে।’
কথাটা শুনে দুজনেই ভয় পেয়ে চুপ মেরে গেল।
‘তোমরা আমাকে ঠকাতে চেষ্টা করেছ। করনি? তোমরা আগে কেন বলনি, তোমাদের পয়সা নেই। তা হলে আমি ফটো তুলতাম না। তোমরা দুজনেই নেংটো হয়ে আমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াও। নইলে আমি তোমাদের পুলিশে দেব। তোমাদের লোক ঠকানো ব্যবসার মজা দেখাচ্ছি।’
দুজনের কেউ কোনো কথা বলল না। ওদের নীরবতা লোকটাকে যেন আরো রাগিয়ে দিল, সে চেঁচিয়ে বলল, ‘এখুনি পুলিশ ডাকব, এখুনি...।’
অভিলাষ চিত্কার করে উঠল, ‘না। পুলিশ ডাকতে হবে না। আমি এখুনি জামাপ্যান্ট খুলছি।’
সিনার দিকে তাকিয়ে লোকটা বলল, ‘তুমি কেন খুলছ না? তুমিই তো সবচেয়ে বড়ো ঠগ, মিথ্যাবাদী।’
সিনা কেঁদে ফেলল, ‘আমি বাড়ি যাব।’
‘চোখ মোছো। কান্নার কিছু নেই।’ বলল লোকটা।
অভিলাষ সিনার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। সড়ার্টটা খুলে ফেল। আমরা তো বড় নই। ছোটদের অত লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।’
সিনা মুখটা কাচুমাচু করে বলল, ‘আমার লজ্জা লাগছে।’
কথাটা শুনে লোকটা হাসতে হাসতে সমস্ত আলোগুলো নিভিয়ে দিল। শুধু কম আলোর একটা ছোট বাল্ব জ্বলতে থাকল, এই আলোতে ওরা কেউ কারো মুখ দেখতে পেল না। অন্ধকারের মধ্যে সিনা স্কার্ট খুলে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
‘হয়নি, এতে হবে না। সব জামাকাপড় খুলতে হবে। নিচেরটাও।’ কথাটা বলে লোকটা হাসতে লাগল।
অভিলাষ জামাকাপড় সবই খুলে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে সিনাও সব খুলল। ওদের শরীরে সামান্যতম কাপড়ের আচ্ছাদনটুকুও রইল না আর।
লোকটা হাসতে হাসতে ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে কী সব করতে লাগল। খুটখাট আওয়াজ হল। বারবার লোকটা হাসছে আর একবার লাইট জ্বালাচ্ছে, একবার নেভাচ্ছে। সিনা আর অভিলাষ বুঝতে পারছে না লোকটা কী করছে।
হঠাত্ই সিনা বলল, ‘আমি বাড়ি যাব।’
লোকটা মুখ খারাপ করে বলল, ‘বাড়ি যাব, বললেই হল।’
সিনা আবার কাঁদতে শুরু করলে অভিলাষ আশ্বস্ত করে বলল, ‘আর একটুখানি অপেক্ষা কর, আমরা দুজন একসঙ্গেই ফিরব।’
‘না। আমি বাড়ি যাব। আমার একদম ভাল লাগছে না।’
লোকটা সিনাকে ধমক দিয়ে ক্যামেরায় অনেক বার ক্লিক ক্লিক আওয়াজ তুলল। তারপর একগাল হেসে ক্যামেরার পেছন থেকে বেরিয়ে এল। স্বল্প আলোতে লোকটাকে ওদের মনে হল একটা বোকা শয়তান।
‘এবার তোমরা যেতে পার’, বলল লোকটা।
সারাটা রাত ওরা ঘুমোতে পারল না। অভিলাষ ভাবল, সিনা আমাকে ক্ষমা করবে না। আর সিনার বারবারই মনে হল, সেই লোকটার কথা। ক্যামেরার সেই ক্লিক ক্লিক শব্দ ওর কানে বাজছে। আধো ঘুমে নানা রকম স্বপ্ন দেখতে লাগল সে। সকাল বেলা জেগে মাত্রই অভিলাষ ছুটল সিনার বাড়ির দিকে। সিনা আগে থাকতেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওর অপেক্ষা করছিল। দুজন একসঙ্গে স্কুলে পথে রওয়ানা হল। অনেকক্ষণ কেউ কোনো কথা বলল না।
হঠাত্ই একটা গাছের নিচে এসে দাঁড়িয়ে গেল সিনা, তারপর বলল, ‘আমি লোকটার মৃত্যু কামনা করছি। ওর গাড়ি চাপা পড়ে মরা উচিত।’
সিনার কথাটা শেষ না হতেই অভিলাষ দেখল একটা ফাঁকা জায়গায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লোকটা। ওদের দুজনকে দেখে হেসে উঠল সে; যেন সরল-নিষ্পাপ হাসি, সে হাসিতে আছে অমায়িক ভদ্রতা। কী সুন্দর অভিনয় ভাবল ওরা।
‘তোমরা ফটোগুলো নেবে না?’ হাসতে হাসতে কথাটা বলে লোকটা তার সার্টের পকেট থেকে একটা ফটো বের করল।
সিনা ঝাঁপিয়ে পড়ে ফটোটা কেড়ে নিল। ফটো দেখে খুশিতে ডগমগ হয়ে সিনা ভাবল এমন সুন্দর ফটো কোনোদিন দেখিনি আমি। অভিলাষ দেখল কী সুন্দর নিষ্পাপ চেহারা সিনার, ওর পাশে নিজের গম্ভীর মুখের ছবি দেখে আরো গম্ভীর বনে গেল সে। ওর চেহারা দেখে সিনার মনে হল অভিলাষ যেন কারো ওপর রেগে আছে।
লোকটা হাসতে হাসতে আরো দুটি ফটো ওদের দিকে এগিয়ে দিলে সিনা বলল, ‘আমাদের মাত্র দুইটা ফটো হলেই চলবে। একটা আমার, আরেকটা অভিলাষের।’
‘কোনো ব্যাপার না, সবগুলো ছবিই তোমরা রাখ।’
ফটোগুলো হাতে নিয়ে ওরা দুজন ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। এবার লোকটা চিত্কার করে বলে, ‘বাহরে, তোমরা চলে যাচ্ছ যে? এ ভাবে তো যেতে পারবে না।’
সাইকেলটা নিয়ে এগিয়ে এসে লোকটা সিনাকে বলে, ‘তোমার সঙ্গে কিছু কথা আছে সিনা। কিন্তু গোপন, একান্ত গোপন।’
সিনা কি বলবে বুঝতে পারে না। অভিলাষও বিব্রত হয়, তবু সে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। এবার লোকটা অভিলাষের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমি কি পুলিশে খবর দেব?’
অভিলাষ কথাটা শুনে চুপ মেরে গিয়ে একটা গাছের আড়ালে লুকাল। এই ফাঁকে লোকটা সিনাকে আরো একটা ছবি দেখাল। সে ছবিটা দেখে সিনা মুষড়ে পড়ল। সে স্কুলের দিকে রওনা দিল। সঙ্গে সঙ্গে লোকটা সিনার হাতটা চেপে ধরে বলল, ‘তা হলে তোমার এই ছবিগুলো স্কুলের দেওয়ালে সেঁটে দেব। সেটা কি ঠিক হবে?’
সিনা কী করবে ভেবে পেল না। লোকটা সেই মুহুর্তে হঠাত্ চিলের মতো ছোঁ মেরে সিনাকে দুহাতে তুলে নিয়ে স্ট্যান্ড করিয়ে রাখা সাইকেলের সামনের রডে বসিয়ে দিয়ে নিজে লাফ দিয়ে বসল সিটে। সাইকেলটা চলতে শুরু করলে সিনা কোনো প্রতিবাদ করল না, মানে প্রতিবাদ করতে পারল না।
সাইকেলটা এগিয়ে চলেছে। সিনা শক্ত করে সাইকেলের হ্যান্ডেল চেপে ধরে আছে। ধীরে ধীরে সাইকেলটা অভিলাষের চোখের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ যেন ফেলে আসা অতীত যেটাকে আর দেখা যাবে না। (নেট থেকে নেয়া)
২৭ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৪
লিখন আহমদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
চিন্তা ভাবনা করে শেয়াল বলেছেন: