নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আমি আমার কেন পাখি মত মন..

জ.এ. লিপু

জসিম এনায়েত

জসিম এনায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পর্যালোচনাঃ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে কার লাভ কার ক্ষতি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাম্য। কিন্তু রাজনীতিবিদরা কখনো জনগণের কাম্য কর্ম গুলো করতে প্রস্তুত নন যদি সেখানে নিজেদের লাভ না থাকে। এক দিন সংসদে এক এম/পি যখন টিভি কার্টুন ডোরেমন বন্ধের দাবী জানিয়ে স্পিকারের নিকট সময় চেয়েছিল, গণ-গুরত্বপূর্ণ নয় বলে সে বিষয়ে কথা বলার সময় বরাদ্ধ ষ্পিকার দেন নি। সাধারণ মানুষের দাবী গুলো খুব ছোট ছোট। আমার মত অনেকেই হিন্দী সিরিয়ালের হাত থেকে বাঁচতে চায় কিন্তু এগুলো বন্ধ করার জন্য কোথায় আমরা দাবী জানাব সেটি আমার জানা নাই। কারণ এত ছোট খাট কাজ নিয়ে আমাদের সরকার চিন্তা করেন না। আর এগুলো করারতাদের কোন লাভ নেই কারণ এসব কাজের জন্য বাজেটে কোন বরাদ্দ নাই। এগুলো অর্থ সম্পর্কিত বিষয় নয়। অর্থ-হীন। এ রকম অর্থ-হীন জনগণের হাজার দাবী আছে সেগুলো নিয়ে লিখতে বসিনি কারণ সেগুলো লিখাও অর্থহীন।



জণগনের একটি প্রাণের দাবী ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার। এই বিচার নিয়ে সরকার আর বিরোধী পক্ষের মধ্যে একদল দিনের পর দিন কম্পিউটারের কী বোর্ডে আঙ্গুল ক্ষয় করেছে, সীসা, কার্বন, কালি, প্রেসের শব্দে শব্দ ঝরিয়েছে। আর আরেক দল রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে টক শো গুলোতে তে টক ঝাল কথা বলে বেড়িয়েছে। এত কিছু কর্মযজ্ঞের মাঝে রাজনীতিবিদরা নিশ্চিন্তে নিরবে বসে বসে দিন রাত রাজনীতিতে ও নগদ অর্থে অর্থপূর্ণ লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষেছে। পিপার পর পিপা মদ আর মাম ঝেড়ে দিয়েছে। আর জনগণ টান টান উত্তেজনার মধ্যে বুঝার আগেই প্রায় ৫ বছর সময় কাটিয়ে ফেলেছে।



অনেক অঘটন ঘটনের পর পটিয়সিদের বুদ্ধি পরারমর্শে অবশেষে রাজাকার কাদের মোল্লার যাবতজ্জীবনের রায় এসেছে এবং এর পরের গুলোও খুব অল্প সময়ে এসে যাবে সেটা অনুমান করছি। । এই রায় কি সাধারণ জনগন কত টুকু খুশী অখুশী সেই ভাবনা না হয় তাদের কাছেই থাকুক। এই রায়ে রাজনৈতিক দল গুলোর কার কতটুকু লাভ হল সে বিষয়টি একটু আলোকপাত করি।



বিএনপির লাভঃ গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আজহারুল ইসলাম, কামারুজ্জামান জামাতের এসব নেতার যদি কাদের মোল্লার মতই যাবজ্জীবন হয় তবে বিএনপির লাভের কোন অন্ত নেই। কারণ আগামী ইলেকশনে আগে ও পরে জামাতকে কন্ট্রোলে রাখার জন্য বিএনপি তখন জেলখানায় বন্ধি তাদের প্রিয় নেতাদের নিয়ে দরকষাকষি করতে পারবে। জামাত পিছুটান বা পিঠটান দিলে বিএনপি লাগাম টেনে ধরবে। আর যদি তাদের ফাঁসি হয় যায় তবে বিএনপির তাদের মুখের খাবার ছুটে যাবে। এমনকি হাতের পাঁচ জামাতও হাতছাড়া হতে পারে।



আওয়ামী লীগের লাভঃ আওয়ামীলীগ যদি আগামী বার সরকারী দলে থাকে তবে তারা এক মুরগী দুবার জবাই করবে। আবার জনমত তৈরী করে ওদের ফাঁসিতে ঝুলাবার আশা দিয়ে আরো পাঁচটি বছর কাটিয়ে দিতে পারবে। বিরোধীদলে থাকলে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখে হরতাল দেওয়ার মত বিভিন্ন ইস্যু তৈরী করবে। স্বাধীনতার পক্ষের (সুশিল নয় এমন) ব্লগিয় শক্তি দের দিয়ে সুন্দর সুন্দর ব্লগ, কবিতা, ফিচার লেখিয়ে ব্যাস্ত রাখতে পারবে। ১ বছর আগে ঘটে যাওয়া শাহবাগের আন্দোলনকে আইকন বানিয়ে কিছু মোম গলাতে পারবে।



যাবজ্জীবন হলে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির অনেক অনেক লাভ হলেও রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসি তে জামাতের লাভ বেশী।



ফাঁসি হলে জামাতের লাভঃ আশ্চর্য্য জনক হলেও সত্যি যে যুদ্ধাপরাধীদের যাবজ্জীবনে লাভ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লাভ হয় ফাঁসিতে লাভ জামাতের।



ধর্মের কারণে জামাতের মহান নেতানের অন্যায় ভাবে সহিদ করা হয়েছে এই কথা প্রচার করে করে কোমল মনা ও সরল ছেলে-পেলেদের কে দলে ভিড়াতে উদ্ধুদ্ধ করতে পারবে। হটাৎ করে সর্বোচ্চ পদে নতুন পদ সৃষ্টি হবার কারণে কিছু ত্যাগী আর সাহসী নেতার আগমন ঘটবে। তারা হয়ত জামাত কে নতুন ধ্যান ধারণায় নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে জনগনের কাছে গ্রহণ যোগ্য একটি দলে পরিনত করে ফেলবে। বড়ভাই বিএনপির অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয়তাবাদীর খোলসে কিছুটা মধ্যপন্থী ও মডারেট ইসলামী দল হিসাবে নতুন ভাবে উদ্ভব হবে। রাজাকারদের ফাঁসি হয়ে যাবার কারণে রাজাকারের দল হিসাবে নিজেদের পরিচয় মুছে ফেলতে পারবে।



যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলে জনগণের লাভঃ এটি জনগণের প্রাণের দাবী। তবে সাধারণ জনগন রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের দ্বারা অত্যাচারিত হতে পছন্দ করে না। তারা চায় একটি পরিপূর্ণ ও স্বচ্ছ আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার। আর এখুনি তাদের কে এই নামমাত্র বিচারে ফাঁসি তে ঝুলানো হলেও জনগণ যেভাবেই হোক একটি নোংরা, কালো, বিরক্তিকর অধ্যায় থেকে মুক্তি পাবে। তারা খুশিই হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তারা ক্রস ফায়ার কে যেভাবে সহ্য করে মেনে নিয়েছে এটিকে সেভাবেই মেনে নিবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: পর্যালোচনা ভালা হইছে । শিবিরদের পর্যালোচনার জন্য একখান মন্তব্য করলাম ।

শিবিরদের বিশ্বাস হয় না, ধৃত ব্যাক্তিরা অরিজিনাল আলবদর- রাজাকার ।আরে শিবির ভাই- ধৃত ব্যাক্তিরা তো শুধু রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারন সদস্যই না বরং রাজাকার-আলবদর-দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।
যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । অথচ এরা তো ছিল, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।কেননা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। লাখ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এই লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ X(( X(( X(( +
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ






২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

জসিম এনায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.