নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওসি জানায়, মদের বোতলে ছাত্রলীগ পানি খেত। ছুরি দিয়ে সবজি কাটত , ইয়াবার পাইপে কি করত তা জানি না

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আটক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রাজনীতি ও নৈরাজ্য করবে না বলে মুচলেকা দেয়ায় বুধবার গভীর রাতে অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালামের নেতৃত্বে বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অভিযান চালানো হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ সময় শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪১৫ নম্বর কক্ষ থেকে ইয়াবা সেবনের পাইপ, মদের বোতল, গাঁজা সেবনের কল্কি, ছুরি ও অব্যবহৃত পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করা হয়। কক্ষটিতে অবস্থান করতেন ছাত্রলীগ যবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি ও চলমান আন্দোলনের প্রধান নেতা শেখ শাকিল আহমেদ এবং রিফাত আল নাসের নামে আরেক ছাত্র।
ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানকালে ওই দু’জনকে আটক করা হয়। তারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র।
ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালাম অভিযান শেষে জানিয়েছিলেন, কক্ষটিতে লেখাপড়ার কোনো সরঞ্জাম দেখা যায়নি। বরং সেখানে নিয়মিত নেশার আসর বসতো বলে অনুমান করা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটকের পর ওই দুই ছাত্রকে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাছ আলীর কক্ষে রাখা হয়। গভীর রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে না- অভিভাবকরা এমন মুচলেকা দিয়ে ওই দুই ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। এর আগে অভিভাবকরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সঙ্গেও কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, নেশা করা অবস্থায় তাদের ধরা হয়নি। নেশাদ্রব্যও পাওয়া যায়নি। তাই থানা থেকে ছেড়ে দিতে আইনগত বাধা নেই।
ওসি ওই দুই ছাত্রের অভিভাবকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মদের বোতলে ওরা পানি খেত। ছুরি দিয়ে সবজি কাটত। অবশ্য ইয়াবা সেবনের পাইপ দিয়ে কী করা হতো সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে টেলিফোনের পর টেলিফোনে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশ প্রশাসন ওই দুজনকে ছেড়ে দেয়।
বুধবারের অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অপরাধী মনে করেছি, তাই ওই দুজনকে ধরে দিয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও আদালতের। থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এদিকে, অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, এই পুলিশ কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে, বুঝতে পারছি না। থানা থেকে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, কক্ষটিতে পরীক্ষার অব্যবহৃত খাতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আই এ্যাম ভেরি মাচ সিরিয়াস। যারা অপরাধী তাদের ক্ষমা করা হবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.