নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তর থেকে দু’হাজার পনেরো

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও ’৭১-এর রণাঙ্গনের দুঃসাহসী এক অধিনায়ক বীর উত্তমের হাত ধরে। যুদ্ধ শুরুর আগে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যখন পাকিস্তানি হায়েনারা তাদের উন্মত্ত পৈশাচিকতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিল দিশেহারা ও দিগভ্রান্ত। নেতৃত্বহীন এ জাতির কাণ্ডারি হয়ে সৈনিক-জনতার মধ্য থেকে উঠে আসেন এক বিপ্লবী নেতৃত্ব, আলোর দিশারী, মেজর জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন পলায়নপর তখন সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও দেশপ্রেমের টানে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে তিনি সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের ঘোষণা দেন। তার মধ্যে ছিল জাতীয়তাবাদের তীব্র আকাক্সক্ষা এবং স্বদেশ প্রেম। স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সেই মহান আত্মত্যাগ এবং অবদানই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রেরণা।
বিএনপি নীতিগতভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্র পরিচালনায় জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে, উদারনীতি অনুসরণে, সবার পরামর্শ ও মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বিলম্বের কারণ ঘটতে দেখা যায়। তবে রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদারনীতি অনুসরণ করায় জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা পায়। রাষ্ট্রীয় কর্মপরিকল্পনায় বিএনপি সরকারের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং জনগণের কল্যাণার্থে হওয়ায় দলের বাইরে বিরাট একটি সমর্থক গোষ্ঠী বিএনপির প্রতি নৈতিকভাবে সহানুভূতিশীল হয়ে আছে। তাদের প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক আন্দোনে রাজপথে দেখা না গেলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাঠে তাদের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। বিএনপির শক্তি নেতাকর্মীদের বাইরে তৃণমূলপর্যায়ে জনগণের মধ্যে মিশে রয়েছে। সে কারণে বিএনপি সম্পর্কে মূল্যায়নে প্রতিপক্ষরা প্রায়ই মারাত্মক ভুল করে আসছে। বিএনপিকে ভাঙা ও দুর্বল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অতীতে একাধিকবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে চাপে ও লোভে ফেলে ভাগিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে বিএনপি সাময়িক অসুবিধায় পড়লেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। লোভে চাপে পড়া নেতারা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বভাবগতভাবে শান্তিপ্রিয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে দুর্বলতার কারণে চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেউ কেউ তাল মেলাতে কিছুটা অসুবিধায় পড়েছে। ভয়াবহ এই অবস্থায় গুম, খুন, ত্রাস, হামলা-মামলা চাপে পড়লেও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কাউকে আওয়ামী লীগের ফাঁদে পড়তে দেখা যায়নি।
অন্য দিকে, আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি ও বলপ্রয়োগের নীতি-কৌশলের ওপর নির্ভরশীল একটি রাজনৈতিক দল। সময়ের পরিবর্তন হলেও আওয়ামী লীগ ঔপনিবেশিক আমলের নীতি-কৌশল নিয়ে পথ চলায় তাদের চিন্তাচেতনা ও আচার-আচরণে গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকট অভাব দেখা যায়। আন্দোলন ও প্রতিপক্ষ দমনে আওয়ামী লীগ যত পারদর্শী, রাষ্ট্রপরিচালনা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণে ততোধিক ব্যর্থ। আওয়ামী লীগ সমঝোতা, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণের চেয়ে বলপ্রয়োগের মাধ্যমকেই অনুসরণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ক্ষমতার বাইরে থাকলে তাদের যেকোনো দাবি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আদায় এবং ক্ষমতায় থাকলে যেকোনো দাবি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দিতে চায়। নিজেদের মহিমান্বিত করতে প্রায় দেবতার আসনে যেমন তারা বসে পড়ে, তেমনি প্রতিপক্ষকে নির্দয়ভাবে, যুক্তিহীনভাবে এবং মিথ্যার ওপর নির্ভর করে গলার জোরে শতবার শতকণ্ঠে একই কথা বলে হেয় প্রতিপন্ন করতে তৎপর।
পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছিল। তাদের প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে পাকিস্তানিদের ‘না’ জানায়। পাকিস্তানিরা নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় সৈনিক জনগণ সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা ও বিজয় ছিনিয়ে আনেন এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বাপর কিছু ঘটনার ওপর আলোকপাত করা যায়। পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তির জন্য জনগণকে দেয়া প্রায় সব প্রতিশ্রুতি একে একে বরখেলাপ হতে দেখেছে দেশবাসী। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মনভোলানো প্রতিশ্রুতি আর ক্ষমতায় বসে সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করা হয় জনগণের সাথে।
আওয়ামী লীগের প্রথম শাসনামল যারা দেখেছেন, তারা সবাই জানেন ৭২-৭৫ সময়ে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের কথা। অপশাসনের ফলে অর্ধাহার, অনাহার, লুটতরাজ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, রক্ষীবাহিনী ও মুজিববাহিনীর হাতে প্রায় ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী খুন, সাধারণ মানুষের সম্ভ্রম ও জানমালের নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের ঘরে ঘরে উৎসব; অন্য দিকে দুর্ভিক্ষে প্রায় ছয় লাখ আদম সন্তানের অকালমৃত্যুর কথা আজো কেউ ভুলতে পারেনি।
দেশবাসীর স্মরণ থাকার কথা, ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীত ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে দেশ শাসনের সুযোগ চেয়ে দেশবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছিল। ১৯৯৬-২০০১-এ নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হওয়ায় ২০০১-এর নির্বাচনে ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়। স্বাভাবিক পথে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ হওয়ায় দলটি লগি-বৈঠার তাণ্ডবের ওপর ভর করে মইন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ ক্ষমতার সহায়তায় সাজানো নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ২০০৯ থেকে অতীত ভয়াবহতার সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ এখন এক আতঙ্কের জনপদ। বহু মানুষ জীবনের নিরাপত্তার জন্য মাতৃভূমি ছেড়ে চলে গেছেন। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ভোটের অধিকার আজ নির্বাসিত। সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার মর্যাদা হরণের জন্য সঙ্ঘবদ্ধ প্রচারণায় লিপ্ত। শহীদ জিয়ার নাম নিশানা ও অবদান, এমনকি তার মাজার পর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। প্রতিদিন শতকণ্ঠে শহীদ জিয়ার নিন্দা করা তাদের রুটিন কর্মসূচির অংশে পরিণত করেছে। জিয়া পরিবারকেও নিঃশেষ করার এক অশুভ ও ভয়াবহ চক্রান্ত দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। শহীদ জিয়ার দুই সন্তান তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। কোকো নির্বাসিত অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় বিদেশের মাটিতে স্বজনহীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার লাশ ঢাকায় আনা হলে নামাজে জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ জিয়া পরিবারের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দিলেও ওদের সম্বিত ফেরেনি। উপরন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশোভন ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন থেকে তাকে এক কাপড়ে উচ্ছেদ করা হয়। মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার জন্য প্রতিদিন সমস্বরে হুঙ্কার দেয়া হচ্ছে। এমনকি দেশত্যাগ, অন্যথায় জীবন নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যত বেশি কুৎসা রটনা ও নির্যাতন করা হচ্ছে, দেশের মানুষ তত বেশি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েছে। কুৎসিত কোরাস, শুনতে শুনতে দেশবাসী আজ বিরক্ত। ইতিহাসের আলোকে আমরা শিখেছি, হিংসার পথ অনুসরণকারীদের ধ্বংস অনিবার্য।
বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সপক্ষের শক্তি। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই বাংলাদেশের ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাইকে এক প্লাটফর্মে আনতে পেরেছিল। দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিভেদের পথ পরিহার এবং বিভেদপন্থীদের পরাস্ত করতেই হবে। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে সমৃদ্ধ এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বারবার গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও কার্যকর করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। জাতীয় জীবনের বিভিন্ন সময় চরম অরাজকতা ও অচলাবস্থার নিরসন করে উৎপাদন ও উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। অন্য দিকে, আওয়ামী লীগ তাদের ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ষড়যন্ত্রের পথে তাদের চলতে দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এর প্রমাণ বহন করে।
পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে নগ্নভাবে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে প্রকারান্তরে তারা জনগণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের আদর্শ, বিশ্বাস ও অনুভূতিকে ধারণ করে আছে। তাই এ আদর্শ ও বিশ্বাসকে রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে দমন করা যায় না। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছাকে দমন করা সম্ভব হয়েছে, এমন উদাহরণ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এমনকি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও দেখা যায় না।
২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই রাষ্ট্র পরিচালনায় আমি বা আপনি কত দূর নিরাপদ? আমরা কি আমাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত? বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা কি আমাদের স্বার্থরক্ষা করেন? জনগণ চাইলে কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তনের কোনো পথ খোলা আছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলে কি আমরা ১৯৭১-এর স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলাম?
আওয়ামী লীগ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। তারা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য জনগণকে বাদ দিয়ে বহিঃশক্তির দোসর হিসেবে কাজ করছে, প্রতারিত হচ্ছে দেশের মানুষ। শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে আজ সবাইকে সরব হতে হবে।
প্রাসঙ্গিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি ঘটনা বলা যায়। নাৎসি শাসন আমলে জার্মান কবি মার্টিন নিমোলা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে একটা কবিতা লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন। কবিতাটির মূল অংশ এ রকম :
‘তারা যখন কমিউনিস্টদের ধরে নিয়ে যেতে এলো
আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারা যখন শ্রমিক ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল
আমি কথা বলিনি
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর তারা ফিরে এলো ইহুদিদের ধরে নিয়ে যেতে
আমি চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
এবার তারা ফিরে এলো ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার তারা ফিরে এলো
আমাকে ধরে নিয়ে যেতে।
কেউ আমার পক্ষে কথা বলল না,
কারণ তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।’
নাৎসি শাসনামলের এই প্রেক্ষাপটের সাথে আমাদের দেশের আজকের প্রেক্ষাপটের বেশ মিল পাওয়া যায়। তা হলে করণীয় কী? আমাদের কি সমস্বরে বলা উচিত, আমরা কী চাই। আমরা কি গণতন্ত্র চাই না? দেরি হওয়ার আগেই আমাদের বলতে হবেÑ ‘আমি গণতন্ত্র চাই।’
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া জীবিত থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যেতে পারত। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার জন্যই জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের ধারা থেকে দেশকে বিভক্তির ধারায় পর্যবসিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার অঙ্গীকার, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য যে আত্মত্যাগ দেশবাসী করছে, তা বৃথা যেতে পারে না।
সবশেষে একটি কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কারচুপি ও সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসে এখন বলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের পর্যায়ে পৌঁছে দেবে। স্বাধীনতার ৪২ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ + Not unhappy এরশাদ + আন্দোলনের ফসল মইন-ফখরুদ্দিন মিলে পারস্পরিকভাবে ২৮ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করে বিনা ভোটে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার বাসনা দেখিয়ে বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়


লেখক : বিআইডব্লিউটিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও
বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিশেষ সহকারী

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: Click This Link

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

মামুন্‌ বলেছেন: আরে গরধব এই সকল পোষ্ট বাঁশেরকেল্লাই যেয়ে দিলে ভাল হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ওরে খাসী, একটা মন্তব্য দিতে যেয়ে কয়টা বানান ভুল করছ আগে সেইটা দেখো।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

রঙতুলি বলেছেন: তারা যখন কমিউনিস্টদের ধরে নিয়ে যেতে এলো
আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারা যখন শ্রমিক ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল
আমি কথা বলিনি
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর তারা ফিরে এলো ইহুদিদের ধরে নিয়ে যেতে
আমি চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
এবার তারা ফিরে এলো ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার তারা ফিরে এলো
আমাকে ধরে নিয়ে যেতে।
কেউ আমার পক্ষে কথা বলল না,
কারণ তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।’

সহমত

আর ভাইয়া উপরের এইসব হাম্বা বলদের ইগনোর করেন বেচারারা জন্ম বলদ
এদের জন্য বলা যায় " গরুগুলি রে জ্ঞ্যান দাও প্রভু কিন্তু ক্ষমা কর না ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ভাই হাম্বাদের ইগনোর করব না, কারণ এরা এসে আমার পোস্টের কমেন্টে যত ল্যাদাবে ততই পোস্টের হিট বাড়বে, আখেরে লাভটা আমারই হবে। বুঝলেন তো?

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রঙতুলি বলেছেন: হাহাহা জা কৈছেন , কিন্তু আমি আপা ভাই না :(

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ও সরি জানতাম না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.