![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আরাফাত রহমান যদি এতই দুর্নিতি করত, তাহলে চিকিৎসার অভাবে মারা যেত না আর ভাড়া বাসায় থাকতোনা। অথচ বাংলার মেম্বার চেয়ারম্যানেদর ও বিদেশে একটি করে বাড়ি আছে অনেকেরই।"-আজ তৃনমূলের এক কর্মীর উদ্ধৃতি দিয়েই শুরু করলাল। একজন সন্তানহারা মায়ের কষ্ট বর্ননা করার মত ভাষা আমার জানা নেই এবং তা যদি হয় অকাল মৃত্যু তবে তা শুধু যার যায় সেই বুঝে। আসলে আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা আজও এই ঘুনে ধরা সমাজে এমন একজন মানুষকে আমাদের নেত্রী হিসেবে পেয়েছি যে কিনা ছিল নিতান্তই সাধারন একজন গৃহবধু এবং একজন সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্টের বিধবা স্ত্রী। ঐ সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এবং দেশের গনমানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে ৭৫ পরবর্তীতে অস্হিতিশীল বাংলাদেশে জাসদের কর্ণেল তাহের ও ইনু গংদের স্বশস্ত্র আন্দোলন তথা গনযুদ্ধের প্রতেক্ষ্য পরোক্ষ ফলাফল স্বরূপ শেখ মুজিবের স্বপরিবারের হত্যার মাধ্যমে শুরু হওয়া জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন উচ্চপর্যায়ে সেনা কর্মকর্তারা মধ্যে পরস্পরিক বিরোধকে উস্কে দিয়ে সেনাবাহনীকে মেরুদন্ডহীন করার মিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জাতির ক্রন্তিকালে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা তথা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির কলংকিত অপবাদ থেকে বের করে আনেন। ঐ সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশেবহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও এদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্হিতিশীলতার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশে রূপদানের সফল রূপকার ঐ তৎকালীন বাংলাদেশের সার্থক ও সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং যিনি এ যাবৎকালের বাংলাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা হিসাবেই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কুচক্রী মহলের প্ররচনায় কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাৎ বরন করেন।
এই বাংলাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা ঐ প্রেসিডেন্টের বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত বেগম জিয়া একজন সাধারণ গৃহবধু ছিলেন। মূলতঃ দুই পুত্রকে লালন পালন ও ঘরের কাজ করেই সময় কাটাতেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও রাজনীতিতে বেগম জিয়ার উপস্থিতি ছিল না।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে আসেন। স্বামীর সাথে কিছুদিন জয়দেবপুর থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর পোস্টিং হলে তার সঙ্গে সেখানে এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর একালায় বসবাস করেন। মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতার যুদ্ধে সক্রিয় হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়া আত্মগোপন থেকেই পালিয়ে ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন। ২ জুলাই সিদ্ধেশরীতে জনাব এস আব্দুল্লাহর বাসা থেকে পাক সেনারা তাকে দুই ছেলে সহ বন্দী করে। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান।
রাজনীতিতে বেগম জিয়া মূলতঃ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মিদের আহ্ববানে তিনি ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলতঃ বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।
উপরে উল্লেখিত বিবরনটুকু এজন্য বললাম শহীদ জিয়া দেশ ও জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করছে এবং বেগম জিয়া স্বামীর দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ এবং আমাদের আহবানেই সাড়া দিতেই রাজনীতিতে আসা। এর প্রতিদানে আজ এই জিয়া পরিবারের এই অবস্হার জন্য দায়ী বিএনপিরই দূর্নীতিগ্রস্হ ও বেঈমান কতিপয় সিনিয়ার নেতারই যারা দলে থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং যারা শহীদ জিয়ার সন্তানদের সান্নিধ্যের সুযোগে তাঁদের নাম ভাঙ্গিয়ে পিয়ন নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ধরনের তদবীর করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা ঐ নেতারা তো আজ বেশ আছে আর রাজনীতিতে বেগম জিয়া হারিয়েছে শহীদ জিয়াকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় সম্মানস্বরূপ জিয়া পরিবারের একমাত্র মাথা গোজার আবাসটুকু, শাররীক নির্যাতনের শিকার হয়ে হারিয়েছে নির্বাসিত অবস্থায় এক সন্তান এবং আজ বেঁচে থাকা অপর একমাত্র সন্তানও শাররীক নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্বাসিত আর ৭০ বছর বয়সে আজ সংসারহারা এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন ও একা। তবু কত কি আশা করি বা বলি। আপনারাও ভেবে দেখবান এই বয়সে আপনাদের বাবা মা আপনাদের সংসারের জন্য কতটুকু করতে পারে?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আমিন
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
তোতা পাখীও ব্লগিং করছে?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আই লাভ ইউ
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০০
রামন বলেছেন:
খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসা উচিত হয়নি, অবশ্য ক্ষমতা ও অর্থের লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। তার দুই পুত্র দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে এই গরিব দেশটিকে যে ভাবে শুটকি মাছে পরিনত করেছিল সেটা ভুলতে এ দেশের মানুষের দুই পুরুষ লাগবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: দেশের মানুষের না লাগুক, আপনাদের মত দলকানাদের কমপক্ষে কয়েক শতাব্দি লাগবে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনে ছোট ছোট বাক্য লেখেন, তাইলে বুঝতে সুবিধা হয়...পুরা সোর্ড অফ টিপু সুলতানের মত ডায়লগ ডেলিভারি দিসেন...যেমনঃ
"ঐ সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এবং দেশের গনমানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে ৭৫ পরবর্তীতে অস্হিতিশীল বাংলাদেশে জাসদের কর্ণেল তাহের ও ইনু গংদের স্বশস্ত্র আন্দোলন তথা গনযুদ্ধের প্রতেক্ষ্য পরোক্ষ ফলাফল স্বরূপ শেখ মুজিবের স্বপরিবারের হত্যার মাধ্যমে শুরু হওয়া জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন উচ্চপর্যায়ে সেনা কর্মকর্তারা মধ্যে পরস্পরিক বিরোধকে উস্কে দিয়ে সেনাবাহনীকে মেরুদন্ডহীন করার মিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জাতির ক্রন্তিকালে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা তথা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির কলংকিত অপবাদ থেকে বের করে আনেন। ঐ সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশেবহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও এদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্হিতিশীলতার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশে রূপদানের সফল রূপকার ঐ তৎকালীন বাংলাদেশের সার্থক ও সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং যিনি এ যাবৎকালের বাংলাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা হিসাবেই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কুচক্রী মহলের প্ররচনায় কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাৎ বরন করেন।"
একখান মাত্র দাঁড়ি
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আচ্ছা পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
রঙতুলি বলেছেন: আমাদের সৌভাগ্য যে আল্লাহ আমাদের দেশ কে জিয়া পরিবার দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন ।দেশের সব ক্রান্তি লগ্নে এই এক পরিবারই বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকে । বাকি তো সব হয় ভারতীয় দালাল না হয় পাকিস্থানি দালাল ।
আল্লাহ এই পরিবারের হেফাজত করুন ।