সাঈদ খোকন,ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হবার স্বপ্ন তোমার কোনদিন পূর্ন হবে না।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৩

সাঈদ খোকন,ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হবার স্বপ্ন তোমার কোনদিন পূর্ন হবে না।
তুমি ভুলে গেলেও আমরা তো ভুলে যাইনি।
হোটেল শেরাটনের সামনে গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে ১১জন জ্যন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলে।
দেশের ইতিহাসে রাজনীতির নামে এমন নোরাং কাজ আগে বাংলাদেশের কোন মানুষ করা তো দূরে থাক স্বপ্নেও ভাবেনি।
ঐ অপকর্মে সাঈদ খোকনের সহযোগী ছিল জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আযম

"এই মুহুর্তে সিটি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না ।
হাসিনা ভাবছিল, আন্দোলন ছেড়ে সিটি নির্বাচনে আসবে না বিএনপি।
ফাঁক দিয়ে নিশ্চিন্তে ঢাকা আর চট্রগ্রামের সিট গুলা রেখে দিবে লীগ।
আর তাই লীগের কোন নেতার পরামর্শ না নিয়ে কেবল একক সিদ্ধান্তেই সিটি নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দেয় শেখ হাসিনা।"
তড়িঘড়ি করে হাসিনা এমন একক সিদ্ধান্ত নেয়াতে অনেক লীগ নেতা ক্ষুব্ধ হলেও, দেখেছেন কাউকে হাসিনার উপরে একটা টু শব্দ করতে?
****
"বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করার ঘোর বিরোধী ছিল লীগের 'সৈয়দ আশরাফ'।
যে জন্য ক্ষুব্ধ হওয়ার কারনে ৫ তারিখের পরের অনেক কর্মকান্ডে সৈয়দ আশরাফকে রাজতিনির মাঠে দেখা যায়নি।
খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্তটা লীগের জন্য খুবই বাজে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বুঝতে পারার পরেও দেখেছেন কি, এই নিয়ে সৈয়দ আশরাফকে কোন টূ শব্দ করতে?"
করে নাই।
সিদ্ধান্ত ভালো হোক মন্দ হোক, নেত্রী অলওয়েজ রাইট ভেবে চুপ হয়ে গেছে।
****
"হাজী সেলিম।
এমপি নির্বাচনে ভাত পায় নাই।
অনেক আশা নিয়ে মেয়র নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
কিন্তু তাদের নেত্রী তাকে বসাইয়া আরেকজনকে দার করায়া দিছে।
হাজী সেলিম কষ্ট পাইছে অনেক।
সেই কষ্ট থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিছিল দলে ।
দল থেকে সেই পত্র ছিঁড়েও ফেলা হয়েছে নাকি শুনলাম।
কই, এতো কষ্ট পাওয়া সেই হাজী সেলিমকে দেখেছেন,
হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত নিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে গন মাধ্যমের সামনে কোন কথা বলতে?"
দেখেন নাই । মনে হয়, দেখবেনও না ।
আর এদিকে...
আমাদের ছোট বড় নেতাদের দেখলে মনে হয়, বেগম জিয়া,
তারেক রহমান ভোগাস। রাজনীতির 'র'টাও বুঝেন না ।
নেতারা নিজেরাই একেকজন বিএনপি প্রধান, অন্তত তাদের হাবভাব, কথা-বার্তা শুনলে এমনি মনে হয়।
বেগম জিয়ার কার্যালয়ের হাসিনাকে ঢুকতে না দেয়াতে সাহসি বাঘের মতো সাহস দেখাইয়া মিডিয়ার সামনেই ওইদিনের ঘটনায় বিএনপির সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু কইরা দিলেন আমাদের মউদুদ আর মির্জা আব্বাস সাহেব ।
খারাপ ভালো যা হয়েছে তাই রাইট না ভেবে সেই সুরেই তারা সেদিন কথা বলেছিলেন, যে সুরে তখন লীগেরা কথা বলছিল।
আন্দোলন থেকে সরে সিটি নির্বাচনে আসা ।
এখন প্রার্থিতা দেয়া নিয়ে দ্বিধাদন্দ । মাহি বি চৌধুরী নাকি মিন্টু!
মাহি বি প্রসঙ্গ আসা মাত্রই অনেক ছোটো খাটো নেতাদের দেখা যায়, পারেনা সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুয়ে ফেলেন হাই কমান্ডকে, মাহি কে নিয়ে হাইকমান্ড ভাববে কেন সে জন্য।
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে দেখি এমন নেতারা দলের ১৪ গুস্টি উদ্ধার করা শুরু করে দিছে। যেন, উনারা একেকজন বিএনপি প্রধান। আর ম্যাডাম, তারেক জিয়া মাঠ কর্মি, কিছুই বুঝে না!!
আফসুস লাগে...
যখন প্রিয় দলের নেতাদের এমন দেখি। বাধ্য হয়ে তখন ভাবতে হয়, সত্যিই লীগের রাজনীতি থেকে বিএনপির এখনো শেখার অনেক কিছু রয়েছে। এতো এতো বাধা থাকা স্বত্বেও লীগ সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র কারন, হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর তারা কখনো একটা টু শব্দ করে না।
কিন্তু আমাদের নেতারা...?
একেকটা দীর্ঘশ্বাস...!!

৯ টি +১/-০