নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনার ছেলেদের হামলা এবং ছাত্রদলের ভূমিকা

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১১

বিএনপি এবং ২০দলীয় জোটের আন্দোলন যখন তুংগে তখনই তাদের অগোচরে ৩সিটিতে ৩জন অযোগ্য প্রার্থী জনগনের উপর চাপিয়ে দেবার মানসিকতা থেকেই সরকারের পা চাটা ইসি, গোপালগঞ্জের "কৃতী" সন্তান পুলিশপ্রধান শহীদুল হকের পরামর্শেই এপ্রিলের মধ্যেই ৩সিটি সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের হাতে তুলে দেবার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে।
কিন্তু বিএনপি যখন নির্বাচনে এল স্বাভাবিক ভাবেই তা বর্তমান সরকারের উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার কারন হয়ে দাড়াল।তাদের নির্বাচন থেকে সরাতে ইসি অনেক অপচেষ্টাই করেছে: মনোয়ন বাতিল,নির্বাচন এবং মনোনয়নের দিন না পেছানো, আগাম জামিন না দেয়া, কমিশনার প্রার্থীদের গ্রেফতার ইত্যাদি।তবু খুব একটা সুবিধা হয় নি।
এরপর যখন দলীয় প্রার্থীদের প্রচারনায় দেশমাতা নিজে নামলেন তখন ভরাডুবি নিশ্চিত দেখে, জনমনে আতংক তৈরির জন্যই বারংবার উনার গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটছে।
অনেকেই প্রশ্ন করে, ম্যাডামের গাড়িতে হামলা হচ্ছে, কিন্তু ছাত্রদল কই??
নিচের ছবিতে ম্যাডামের গাড়িতে,শ'খানেক সোনার ছেলে পুলিশ প্রোটেকশনে যখন হামলা করে তখন তাদের রুখতে পিছনে যে মানুষটি দৌড়ে যাচ্ছে, তাকে কি চেনা যায়??
উনিই ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি।উনিই রাজিব আহসান।
অনেকেই আবার ২ লাইন বেশি বুঝে প্রশ্ন কিরে, এতদিন কোথায় ছিলেন উনি?
তাদের বলতে চাই।চোখ খোলা রাখুন।পর্দার আড়ালে থেকে কিভাবে সুনিপুনভাবে দায়িত্ত পালন করা যায়, তা উনার থেকে ভাল আর কেউ জানে না।তবু চোখ খোলা রাখলে দেখতে পাবেন।দেখার ইচ্ছাটা থাকতে হবে।
এছাড়া, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দায়িত্তপ্রাপ্ত নেতাদের কাজ ছিল, আন্দোলন সম্পন্ন করা।মিডিয়াতে এসে স্টান্ট বাজি নয়।
তারা তাদের দায়িত্ত সুনিপুনভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে বলেই, সমালোচকদের সমালোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ও ছাত্রদল।কারন তারা সমালোচক, লেবাসের আড়ালে আসলে আওয়ামী তোষামোদ কারী, যারা সবচাইতে বেশি ভয় করে ছাত্রদলকে।তাই, সমালোচনা এবং উস্কানির মাধ্যমে, সারা দেশে ছড়ানো ছিটানো ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সাহসিকতায় ফাটল ধরাতে চায়।
আর ২টা কথা-
১)এবারের নির্বাচনী প্রচারনার স্থান, কাল এবং পাত্র গোপন রাখার জন্য ম্যাডাম প্রায় কাউকেই না জানিয়ে শুধুমাত্র তার বহর নিয়েই প্রচারনায় যাচ্ছেন।
কারন ম্যাডামের সাথে সবাই এক জায়গায় প্রচারনা চালালে অন্য জায়গাগুলোতে ঘাটতি থেকে যাবে, যা তিনি চান না।
একারনেই ছাত্রনেতাদের ইচ্ছা থাকা সত্তেও তারা ম্যাডামের নিরাপত্তা দেবার জন্য অধিকাংশ সময়ই তার গাড়ির আশে পাশেও থাকতে পারছেন না।
ম্যাডাম নিজে তার নিরাপত্তার চাইতে এ নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ত দিয়েছেন এবং সবার কাছ থেকে এটাই চাচ্ছেন।
তবে, সরকার বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টের সহায়তায় ম্যাডামের অবস্থান নির্নয় করে হামলার নেতৃত্ত দিচ্ছে।

২)গ্রেফতার হবার চাইতে আন্দোলন পরিচালনা করা কঠিন।তাই ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সংগ্রামী সভাপতির মত, প্রতিনিয়ত যারা ২০০মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা, নির্বাচন পরিচালনা এবং ম্যাডামের সুরক্ষার দায়িত্তগুলো দেখভাল করে যাচ্ছেন তাদের জন্য অন্তরের অন্তাস্থল থেকে শুধুই শুভকামনা।
এগিয়ে যান আপনারা।
আপনাদের পদাংকের এক ভাগ অনুসরন করতে পারলে এ মানবজন্মকে সার্থক মনে করব।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

মৃত্যুর পথযাত্রী বলেছেন: ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.