নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার মিথ বাস্টার......

২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬



একটা ছোট টেস্ট কেস দিয়ে শুরু করি।
ধরে নিন আপনি একজন জাজ।
একটা মার্ডার কেসের রায় দেয়ার জন্য বিচারকের আসনে বসে আছেন।
আপনার একটা ভুল রায়ে একজন নিরপরাধ মানুষ যেমন ফাঁসিতে ঝুলতে পারে , ঠিক তেমনি একজন ধুর্ত খুনী ছাড়া পেয়ে যেতে পারে।

আসামির বিপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে কারা ?
কিছু সাংবাদিক।
আর আসামির বিপক্ষে উপস্থাপিত তথ্য প্রমান কি ?
কিছু পেপার কাটিং।
দৈনিক রজনীগন্ধা
দৈনিক শাপলা শালুক।

দৈনিক রজনী গন্ধা লিখেছে –
ঐ তারিখে সেই স্থানে আসামি অমুককে খুন করেছে।
দৈনিক শাপলা শালুক লিখেছে –
সেই তারিখে ঐ স্থানে আসামী তমুককে খুন করেছে।

এর ভিত্তিতে অপরাধ প্রমানিত হয়েছে ধরে নিয়ে আপনি মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়ে দেবেন ?
আমার ধারনা স্বাভাবিক যুক্তি বুদ্ধির মানুষ হিসাবে আপনার উত্তরটা হবে – না।

কিন্তু কেন না ?
কারন এটা জাস্ট একটা ছাপানো খবর।
ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শির সাক্ষ্য নয়।

ঠিক একই ভাবে কেউ একজন এসে পত্রিকা অফিসে বলে গেলো – শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে.....

আর পত্রিকায় সেটা শেখ মুজিবের সাথে সরাসরি যোগাযোগ যাচাই না করে ছাপিয়ে দিলেই – শেখ মুজিব দ্বারা স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছে – এই ঘটনাটি সত্য প্রমান হয় ?

হয় না...


হ্যাঁ – পত্রিকার রিপোর্টই একটা সাক্ষ্য হতে পারে যদি সেই রিপোর্ট যেই সাংবাদিক করেছেন – সেই সাংবাদিক নিজেই ঘটনাটির প্রত্যক্ষ্যদর্শী।
কিন্তু যেসব বিদেশী পত্র পত্রিকার পেপার কাটিং দেখানো হয় এগুলোর একটাও শেখ মুজিবের সাথে সরাসরি যোগাযোগ – যাচাই করে ছাপানো নিউজ নয়।
এগুলোর একটা রিপোর্টারও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী নয়।
সবগুলোর ফরম্যাট প্রায় একই রকম –
জাস্ট বিফোর অ্যারেস্ট , হি প্রোক্লেইমড অন দি জিরো আওয়ার।
অথবা – ফ্রম আ ক্ল্যান্ডেনস্টাইন রেডিও স্টেশন ইন চিটাগাং, শেখ প্রোক্লেইমড।

এবং সবগুলোই তৃতীয় ব্যক্তি বা সূত্র থেকে পাওয়া।
মানে শুনে ছাপানো।

এই শুনে ছাপানো রিপোর্টগুলোকে সত্য বানানোর জন্য বিশাল বিশাল ফিরিস্তি হাজির করা হয়।
সবগুলো ফিরিস্তিকে ফ্লো চার্টের মত করে দেখালে সেটা হবে এই রকম –



এত বিশাল ঘোরপ্যাচ না করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার সবচেয়ে সরাসরি এবং শটকার্ট রাউট যেটা হতে পারতো সেটা মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের সহকারী মইদুল হাসান বলে গেছেন...




মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন , পৃষ্ঠা ৩০ , প্রথম প্যারা
মইদুল হাসানের মন্তব্য



গ্রেফতার হওয়ার কিংবা স্বেচ্ছায় আত্নসমর্পনের আগে শেখ মুজিব যদি হোটেল শেরাটনে , সে সময়কার ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করা বিদেশী সাংবাদিকদের ফোন করে জানিয়ে দিতেন যে আমি বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করলাম – তাহলেই হয়ে যেতো।

তখন ব্যাপারটা দাড়াতো ক্যামন ?



মাঝখানের অজানা অচেনা কেউ – টিএনটি অফিসে অলিমুদ্দিন সলিমুদ্দিন – এক টুকরো কাগজ – সাইক্লোস্টাইল কাগজ – বলধা গার্ডেনে ট্রান্সমিটার – ইপিআর সিগন্যালসের ট্রান্সমিটার – এত ভুগিচুগি অমুক তমুক – ত্যানায় ত্যানায় প্যাচাপ্যাচির কোন ঝামেলা নাই।

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দুটো –

[১]
সেদিন শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোন লাইন কাটা গিয়েছিলো ২৬ শে মার্চ ভোররাত ১টার মিনিট ১০ পরে।

[২]
সেই সময় শেখ মুজিবের উচিত ছিলো এবং সবচেয়ে সহজ সাধ্য উপায় ছিলো ধানমন্ডী ৩২ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটা টেলিফোন করা এবং বিদেশী সাংবাদিকদের জানিয়ে দেয়া – আমি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলাম , এটা এখন অল আউট যুদ্ধ , আর অপেক্ষার সময় নাই।

+ অথচ যেই টেলিফোন কলটা করা উচিত ছিলো শেখ মুজিবের নিজের , সেটা করেছিলো বিদেশী সাংবাদিকরা শেখ মুজিবের কাছে – বাংলাদেশ আক্রান্ত এই অবস্থায় শেখ মুজিবের মন্তব্য কি সেটা জানার জন্য এবং টেলিফোন কলটি করা হয়েছিলো গ্রেফতার হওয়ার মিনিট ১৫ আগে , রাত ১ টায়...



ট্যাংক ক্রাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান , সেভেন থাউজেন্ড স্লটার্ড – এই রিপোর্ট টি করেছিলেন সায়মন ড্রিং ১৯৭১ এর ৩০ মার্চ লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফে।

রিপোর্টটি অনেক বড়।
মূল অংশটি দেখুন।




পুলিশ হেডকোয়াটার অ্যাটাকড সাব টাইটেলের নিউজটি পড়তে থাকুন।

As this was going on other units had surrounded the Sheikh’s house. When contacted before 1 a.m. he said he was expecting an attack any minute and that he had sent everyone except his servants and a bodyguard away to safety.

সুবর্ন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এবং পরিস্থিতি যতটা সর্বোচ্চ চূড়ান্ত হলে স্বাধীনতা ঘোষণা করা যায় ততটা চূড়ান্ত হওয়া সত্ত্বেও শেখ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি।

এই টেলিফোন কলটির আরো কয়েকটি ক্রেডেনশিয়াল আছে।



+ শিরোনাম হোয়েন ট্যাংকস টুক ওভার দা টকিংস...
অস্ট্রেলিয়ার দা এজে ২৯ মার্চ ১৯৭১ এ এই রিপোর্টটি করেছিলেন হাওয়ার্ড হুইটেন যিনি সেইরাতে শেখ মুজিবের কাছে রাত ১ টায় করা টেলিফোন কলটার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

রিপোর্টটার একদম ডানদিকের কলামে যান।

At one a.m a phone call to Sheikh Mujib’s home established he was there, but half an hour later the line was dead.

কোথাও কোন স্বাধীনতা ঘোষণার চিহ্নমাত্র নেই।

+ এই টেলিফোন কলটার কথা রবার্ট পেইনি’র বিখ্যাত ম্যাসাকার বইতেও আছে।
পেইজ ২২-২৩



+ এই টেলিফোন কলটার কথা ভারত থেকে প্রকাশিত ১৯৭২’র বাংলাদেশ ডকুমেন্টেও আছে ওয়াশিংটন পোস্টের রেফারেন্সে......

অন্যদিকে শেখ মুজিব নিজে কি দাবী করে গেসে ?



৯ টার বেশি পোস্টে দেয়া যায় না। তাই বাকি ছবি গুলো বাধ্য হয়ে কমেন্ট বক্সে দিচ্ছি।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বেবী মওদুদ এবং শেখ হাসিনা সম্পাদিত।
পেইজ-১৬
১০ ই এপ্রিল ১৯৭২ এ জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে শেখ মুজিব...
(কমেন্ট বক্সে প্রথম ছবি)

এই চিটাগাং এ ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা কখন জানিয়েছেন শেখ মুজিব?
সেটা জানিয়েছেন ১৯৭২’র ১৬ ই জানুয়ারী সিডনী শ্যানবার্গকে যেটা ১৮ ই জানুয়ারী / ১৯৭২ এ নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপানো হয়েছিলো.
(কমেন্টে দ্বিতীয় ছবি)


স্লিপিং ইন হিজ রুম সাব-টাইটেলের এই নিউজে শেখ মুজিব জানিয়েছে –

রাত ১০-৩০ এ চিটাগাং এর কোন এক গোপন আস্তানায় শেখ মুজিব টেলিফোন কল করেছে এবং তার বিশ্বস্ত লোকদেরকে শেষ নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে যেটা পরে রেকর্ডেড হয়েছে এবং সিক্রেট ট্রান্সমিটার থেকে প্রচারিত হয়েছে।

শেখ মুজিব রক্ত মাংসের মানুষ।
ফেরেশতা না।
তার পক্ষে মিথ্যা বলা সম্ভব।
এবং স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে শেখ মুজিব মিথ্যা বলেছে।

পয়েন্টগুলো মিলিয়ে দেখুন।

[১]
শেখ মুজিব নিজের মেয়ে শেখ হাসিনার সম্পাদিত বইয়ের সুত্রানুযায়ী জাতীয় সংসদে বলে গ্যাছে – চিটাগাং এ ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা জানিয়েছে।
সে সময় রেডিও ট্রান্সমিশন কিংবা টেলিভিশন ট্রান্সমিশন ছাড়া আর কোন ওয়্যারলেস মিডিয়া ছিলো না।
এখন যেমন ওয়াইফাই ইন্টারনেট আছে, ওয়্যারলেস সেলফোন আছে - তখন এগুলো ছিলো না।

অন্যদিকে সিডনী শ্যানবার্গকে বলেছে – চিটাগাং এ টেলিফোন কল করেছে।
টেলিফোন ১৯৭১'র সে সময় কেবল (Cable) কানেক্টেড মিডিয়া / ওয়্যার্ড (Wired) মিডিয়া।
এটি কোন ওয়্যারলেস মিডিয়া নয়।


একবার ওয়্যারলেস , আরেকবার টেলিফোন – দুটো দাবি-ই একই ব্যক্তি শেখ মুজিবের।

[২]
রাত ১০-৩০টা।
সময়টা খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছে শেখ মুজিব সিডনী শ্যানবার্গকে।

সেদিন রাত ১০-০০ থেকে ১১-০০ এর মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবের সাথে চিটাগাং এ একটি অসরাসরি যোগাযোগ হয়েছিলো কেবলমাত্র একজন ব্যক্তির মাধ্যমে।
নঈম গওহর।
রাত ১০-০০ থেকে ১০-৩০ এর মধ্যে নঈম গওহর শেখ মুজিবের সাথে ধানমন্ডি ৩২ এ দেখা করতে আসেন এবং শেখ মুজিব নঈম গওহরকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেন যেগুলো নঈম গওহর প্রায় সাথে সাথে চিটাগাং এ টেলিফোন করে এম আর সিদ্দিকীকে জানান।

২০১০ / ২৫ শে মার্চ , দৈনিক সমকাল।
নঈম গওহরের কলাম

নঈম গওহরকে বলা ‘Don’t surrender arms, liberate Chittagong and proceed towards Comilla’ এই কথাগুলোকেই শেখ মুজিব নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা বলে চালিয়ে দিয়েছে।
এই কথাগুলো নঈম গওহর চিটাগাং এ ফোন করে এম আর সিদ্দিকীকে জানিয়েছে।
এই হচ্ছে শেখ মুজিবের সেই রাত ১০-৩০ এ চিটাগাং এর গোপন আস্তানায় ফোন করে জানানো স্বাধীনতার ঘোষনা।

স্পষ্ট মিথ্যাচার।
নঈম গওহরের টেলিফোনকে নিজের টেলিফোন বলে চালিয়ে দেয়া এবং ডোন্ট সারেন্ডার আর্মস, লিবারেট চিটাগাং কথাগুলোকে স্বাধীনতার ঘোষণা বলে চালিয়ে দেয়া।

সবচেয়ে হাস্যকর যেটা – সিডনী শ্যানবার্গের কাছে বলা ১০-৩০ টায় নঈম গওহরের ফোনকে যদি শেখ মুজিব নিজের করা স্বাধীনতার ঘোষণা দাবী করে, তাহলে স্বাধীনতা দিবস দাড়ায় ২৫ শে মার্চ।
২৬ শে মার্চ না।

স্বাধীনতার ঘোষণা কিভাবে হয়েছিলো – এটি একটি ঘটনা।
ঘটনা মানে ইনফরমেশন ক্লাস্টার।
একটার সাথে আরেকটার ক্রস চেক মেলালেই সত্যটা বের হয়ে আসে।

মুজিব পীরের পান্ডাদের কথায় স্বাধীনতার ঘোষণা – ঘোষক নির্ধারিত হবেনা।
চোখ রাঙ্গানি দেখিয়ে , মাস্তানী- ষন্ডামী গুন্ডামী করে বই পুড়িয়ে সত্য দাবিয়ে রাখা যায়না।

নোটেড বাই

দাসত্বের লেখালিখি

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: প্রথম ছবি


দ্বিতীয় ছবি


তৃতীয় ছবি

২| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: চতুর্থ ছবি


পঞ্চম ছবি

৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

ক্লিকবাজ বলেছেন: এইসব কি কন মিয়াভাই? আপ্নেরতো খবর আছে।
জয় বাংলা
খেতা-বালিশ সামলা।

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাম্বারা মিথ্যার বেসাতি ছরায়। তাদের মিথ্যার মায়াজালকে ধ্বংস করা, সবার সামনে প্রকাশ করে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। এজন্য কোন হাম্বা সমর্থক আমাদের আঘাত করলেও আমরা থেমে যাব না।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব শীঘ্রিই আপনার লাল দালানে ঠায় হচ্ছে যদি দেশে থাকেন।

২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হুমকি দিচ্ছেন নাকি?

৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

বাংলার ডাকু বলেছেন: সোনার ছেলেরা দেখলে তো আপনার গুটি লাল করে দেবে ভায়া| হাসিনার রাজ্যে বাস করতে চাইলে সত্য কথা বলাযাবেনা, বেশিকিছু বোঝাও যাবেনা উনি যা বলবেন বা বোঝাবেন তাই চোখবুজে শুনতে ও বুঝতে হবে| আর প্রতিটি কথার শেষে বলতে হবে ““জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু””

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১২

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এই পোস্ট মেধাহীন গালিবাজ সব ছাগু হান্টারদের মাথার উপর দিয়ে গেছে যা মিথ্যা প্রমাণ করার কোন উপায় তাদের নাই তাই তারা ইচ্ছেমতো তাদের গালিগালাজের সুপ্ত প্রতিভা এখানে প্রকাশ করলে কিছু বলার নেই। আমি জানি তাদের বেহায়াপনা, লুচ্চামি, মারামারির স্বভাব। মিডিয়ার বদৌলতে সবাই জানে তাদের নোংরামি, হিংস্রতা। ভাই এজন্য থেমে গেলে চলবে না আমাদের সংগ্রাম চলবে । জাতিকে বারবার ভুল ইতিহাস দিয়ে দেশকে নিজের বাপের সম্পত্তি হতে আমরা কোনদিন কাউকে দিবো না ।

ভালো থাকবেন ।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

নীলাবেশ বলেছেন: ভায়া কি জীবিত এখনো ? নাকি গুম হয়ে গেছেন?

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: জি ভাই জীবিত আছি। আল্লাহ তায়ালা যতদিন হায়াত দিছে তার ১ সেকেন্ড আগে কেউ আমাকে মারতে পারবে না। আপনি জানেন এই ধরনের পোস্ট দেয়া কতটা কষ্টকর ও ভয়ানক বিপদের ।

৭ই মার্চ শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা অগ্রিম দেননি এবং উনি যে কখনও স্বাধীন বাংলাদেশ না চেয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব চেয়েছিলেন সেটা । স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা যদি কাউকে বলতেই হয় তাহলে সেটার একমাত্র প্রাপ্য মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি যিনি ১৯৬৯ সালেই স্লোগান তুলেছিলেন ' স্বাধীন বাংলা জিন্দাবাদ , আজাদ বাংলা জিন্দাবাদ' এবং তিনি ৭০ রে বলেছিলেন ' নির্বাচনে লাথি মারো , পূর্ব বাংলা স্বাধীন করো ' অথচ আজ আওয়ামীলীগ ভাসানিকে এতো ভয় পায় যে তার নাম পাঠ্যবই থেকে সরিয়ে ফেলেছে যেন নতুন প্রজন্ম জানতে না পারে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন ভাসানি ।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: ভাই তুই কি জানস তোর আসল বাপ কে ?????? আমার মনে হয় জানস না , এই জন্য নানা জায়গা থেকে ভুয়া তথ্য আর স্ত্যের আড়ালে মিথ্যা মিশিয়ে দাবি করছিস যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে নাই , তোর মত মূর্খ কে আর কি বলব , তারপর ও যারা তোর এইসব বস্তাপচা থিওরি দেখে দ্বিধান্বিত হবেন তাদের জন্য এই দুত ভিডিওঃ

শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন CBS News (American TV channel ) , Mar 26, 1971

শোন ছাগুর বাচ্চা শেখ মুজিবর রহমান যদি স্বাধীনতা ঘোষণা নাই করতেন তবে এই টিভি চ্যানেল এই নিউজ করল কিভাবে ???? তোর আব্বা গিয়ে ঘুষ দিয়ে এসেছিল?????????????

এবার দেখুন আরেকটি ভিডিওঃ

২৬ শে মার্চ ১৯৭১ এর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রচার করা খবরের ভিডিও সংকলন Evening News on 26th March

বাংলাদেশে অসংখ্য যুদ্ধশিশু আছে , এরা নিজেদের জন্মপরিচয় নিয়ে সন্দিহান তাই " শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি " এই মিথ্যা প্রপগন্ডা চালায় , অথচ ১৯৭১ সালেই আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এই খব্র প্রচারিত হয়েছিল যে শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন । আর যেসব মিডিয়া শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন , এই শাশ্বত সত্য নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছিল তারা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান সরকারের টাকা খেয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়েছিল ।

আর ছাগুর বাচ্চারা ভিডিওর ভাষা ইংরেজি , যদি তরা ইংরেজি বুজতে না পারস তো তোদের জন্য আমি একটু উপকার করলামঃ
انگریزی سے اردو ترجمہ وآرچالڈ، پاکستانی عوام کی طرف سے زمانہء ہیں کرنے والوں کے لئے

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাম্বা ব্লগারদের প্রাথমিক কৌশল হল ব্যক্তি আক্রমণ, অশ্লীল গালি দিয়ে বিপক্ষ দলকে ঘাবড়ে দেয়া। যে মানুষই প্রথম ঘুরে দাড়াতে যাবে, তাকে গালাগালির চোটে পর্যুদস্ত করে তারপরে যুক্তিতে আসা।
এদের কূটকৌশল গুলো জানা হয়ে গেছে।


সুপ্রিয় হাম্বা ব্লগার প্রভাষ প্রদৌত ,
তোর ভিডিওগুলা দেখলাম, ভিডিও গুলাতে সেই জানা ইতিহাস বর্ণনা করছে। স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত কিছু নাই। ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসাবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং ১৯৬৯ নাগাদ দলটি পূর্ব পাকিস্তান তথা বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মাধ্যমে আবার তাঁকে বন্দী করা হয়। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটলেও সামরিক শাসন অব্যাহত থাকে। কারাবন্দীত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে শেখ মুজিব ১৯৭০-এ অনুষ্ঠিত জেনারেল ইয়াহিয়া প্রদত্ব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জ্জন করেন। শেখ মুজিব তার অধিকার চাচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশ সংক্রান্ত কিছু নাই।এ থেকে কি প্রমাণ করলি হাম্বার বাচ্চা?
তোর ভিডিও আজকে তোকেই গেলাব। ভালো করে আবার দ্যাখ। চুম্বক অংশগুলো আবার শুনতে থাক।
sheikh mujib:
nobody can stop it.
no body can stop my order.I want my right.
journalist-------- west pakistan can not do anything about it?

shekh mujib-------- who can do anything where milions of people united here?

journalist ------ u mean independance?
shekh mujib------- i don't mean independence. It can be done many ways.


আবার ভালো করে শোন হাম্বার বাচ্চা। শেষের লাইনটা আবার পড়
শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাচ্ছে না। অধিকার চাচ্ছেন।

i don't mean independence. It can be done many ways.

৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: না গোলাম আযম স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিল.... খুশী রাজাকার রা

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: রাম নাম মুখে না নিলে রামায়ন পাঠ করা যায় না, হাম্বালিগের স্তুতি না গাইলে হাম্বা হওয়া যায় না।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

তপ্ত সীসা বলেছেন: এই পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় আসা উচিত ছিলো। বিতর্ক হোক এটা নিয়ে। অনেক তথ্য প্রমান হাজির হবে। এই বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত। আর কত?

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: সামু মোডারেটর আওয়ামী পন্থী, এত সময় পরেও মোডারেটর আমাকে ব্যান করে নি বা লেখা মুছে দেয় নি, এজন্য মোডারেটরকে ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অন্য এক আমি বলেছেন: শেয়ার দিচ্ছি।

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ, হাম্বাদের মুখোশ উন্মোচন করুন, তাদের স্বরূপ জানিয়ে দিন। তাদের গলাবাজিকে ভয় পাবেন না।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: নির্বাচিত মনোয়নের সুপারিশ করছি পক্ষে বিপক্ষে যে যার কাছে যেটা প্রমান আছে যুক্তি খন্ডন করুন।

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: নির্বাচিত পাতা তো দুরের কথা, ব্যান হয়ে যেতে পারি। সামু কর্তৃপক্ষ অবশ্য বাকস্বাধীনতা বলে একটা জিনিসের নামও উচ্চারন করে মাঝে মধ্যে।

১২| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০৯

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: হা হা, ব্লগের হাম্বাগুলো সেই দুই বছর আগে যেমন দেখে গেছিলাম ঠিক তেমনি আছে, একটুও বদলায়নি। সেই আগের মতোই ঘেউ আর শুয়োরের মতো ঘোঁত ঘোঁত।
যাই হোক, দাসত্বের ৩ পর্বের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে লেখাটার কল্যাণেই এই পোষ্টের বেশীর ভাগই আগে জেনেছি। তাও অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটার জন্য। হাম্বাগুলো না মানুক, সাধারণ ব্লগাররা যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে ফ্যাক্টগুলো বিবেচনা করে দেখবে আশা রাখি। :)

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: যাদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে তারা বুঝজ্ঞানের ঊর্ধ্বে চলে গেছে। হাম্বা ব্লগাররা মুলত আবেগ নিয়ে চলে। এদের বিপক্ষে গেলে রাজাকার স্বাধীনতাবিরোধী ইত্তাদি গৎবাঁধা শব্দই উচ্চারিত হয়।

সিস্টেমগুলো পরিচিত, তাই অযাতিত গালির তোড়ে ঘাবড়ে না যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। সত্যিকার ইতিহাস মানুষের জানা উচিত। এজন্য রক্ত ঝরতে পারে, কিন্তু আমাদের কলম কখনও স্তব্ধ হবে না। লগি বৈঠার আঘাতে মানুষ মারা যেতে পারে, কলমের আঘাতে সমাজ বদলে যায়।

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪০

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ সৃষ্টিতে উনার ভুমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ..কিন্তু কাহিনী তো সেখানে না..কাহিনী তো সব ঘটছে স্বাধীনতার পর.... স্বাধীনতা অর্জন তো হল..রক্ষা টাই কেউ করতে পারলো না..এটাই আসল কথা.....

মানুষ এখন অসহায়....এটাই আসল কথা
মানুষ এখন নিরাপদ না- এটাই আসল কথা.
মানুষ এর বাক স্বাধীনতা নাই- এটাই আসল কথা.
মানুষের ভোটের অধিকার নাই- এটাই আসল কথা.
মানুষের মৌলিক অধিকার নাই- এটাই আসল কথা
[ খাদ্য- দাম হু হু করে বারে, কৃষক এ দাম পাই না...ভেজাল..মান নিয়ন্ত্রন এ কোন যুগউপযােগী পদ্ধতি/আইন/শাস্তি নাই ]
[ বাসস্থান- যারা ভাড়া বাসায় থাকে তাদের কোন জন্য আইন নাই..হু হু করে ইচ্ছামত বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ]
[ শিক্ষা- শিক্ষার মান এটতা নিচে নেমেছে...যে এখন আর পরীক্ষায় পাশ করতে সারা বছর পড়া লাগে না..প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যায়.... আর ইংলিশ মিডিয়াম শুধুমাত্র এলিট শ্রেনীর জন্য....এডুকেশন ফর অল হইলে ও হাইয়ার এডুকেশন নট ফর অল কারণ বহুত টাকা পয়সা লাগে.]
[ চিকিতসা- সরকারী হাসপাতাল এ রােগীদের নেড়ী কুত্তা মনে করা হয়, ডাক্তার নাই, দুর্নীতি, ঔষধের গুনগত মান, দাম বৃদিধ.. আর বেসকারী হাসপাতাল মানে টাকা আর টাকা....কিন্তু সকারেরর পকেট থেকে ঠিকি শত শত কোটি কোটি টাকা মন্ত্রী/সচিব দের পকেট এ যাচ্ছে ]
[ নিরাপত্তা- থানার আশে পাশে গেলে ও টাকা দেওয়া লাগে...সাবাই ঘুষ চাই...পুলিশ ভেরিফিকেশন এ ঘুষ, জিডি করলে ঘুষ.. দোষ করে ও সাধু সাজাতে ঘুষ..আইন/আদালত..যার টাকা আছে তার পক্ষে রায় ]

এতকিছুর পর কে স্বাধীনতা ঘোষক কে যুদ্ধ করছে..এইসব ইতিহাস দিয়া সাধারন মানষু এর কিছু এসে যায় না...সরকার যতই ইতিহাস বলে বর্তমান কে অবজ্ঞা করবে ততই সাধারন মানুষ ইতিহাস কে ঘৃনা করবে...এটাই চরম বাস্তবতা..এটাই চরম সত্য।...


২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: যে গাছের গোঁড়ায় গলদ, তার থেকে সুমিষ্ট ফল আপনি কিভাবে আশা করেন? আপনার উল্লেখিত সমস্যাগুলো তো আছেই, সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে "ছাত্রলীগ" নামের বিষাক্ত ফোঁড়া। নারী ধর্ষণ, বলাৎকার মারামারি কাটাকটি টেন্ডারবাজি কোনটা বাকি রাখছে? এদের সমুলে উৎপাটন করতে হবে। এজন্য এগিয়ে হবে আমাদের।। আলাদিনের প্রদীপের দৈত্য এসে আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবে না।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: @প্রভাষ প্রদৌত, CBS এর তথ্য প্রমানহীন খবরে "চুল" প্রমানিত হয়।একজন anchor বলল আর তাতেই আপনার পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা হয়ে গেল, সত্য আর ইতিহাস , কোনটাই আপনার ৫% সরকার এর মত ঠুনকো না।মিডিয়ার দেয়া সব তথ্য সবসময় সঠিক , এটা আপনি নিজেও বিশ্বাস করেন না, এখন নিজের কাজে লাগতেসে, তাই মিডিয়া সত্যবাদী, অন্যসময় "propaganda"।


আসলে যুদ্ধ অপরাধীর বিচারে উল্টা পাল্টা কথাকে সত্য ধরতে ধরতে অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে আপনার মত লোকদের!

ভিডিওতে "clandestine" শব্দটা ব্যবহার করা হয়, এর মানে kept secret or done secretively, especially because illicit. যদি secret হয় তাইলেCBS anchor জানল ক্যামনে, নিশ্চয়ই anchorএর কোন রিপোর্টার শুনসে, সে কে?? এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি আমাদের দিয়ে বাধিত করবেন।
CBS news টা পুরাই abstract স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে, প্রভাষ প্রদৌত মত গাজা খাইলে অবশ্য clear মনে হইতে পারে!!
আরেকটা ব্যাপার আওয়ামী বলদ্গুলা এড়ায়ে যায়, সেইটা হইল, শেখ সাহেবের মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির ঘোষণার কোন rigorous proof নাই, কিন্তু জিয়ার মত রাজাকার, ফালতু এক মেজর এর ঘোষণার লিখিত , recorded voice দুইটাই আছে!! কেন এবং কিভাবে??
CBS news আমেরিকায় বইসা ঘোষণা শুনল আর দেশে এ. কে .খোন্দকার সাহেবরা শুনতে পারলেন না, এইটার ব্যাখ্যাটা কি??
CBS news এর কেন সুযোগ ছিল না ঘোষণাটা record করা সেটা কি বলবেন দয়া করে??
আর আপনি ডাক্তারকে আপনার পশ্চাৎদেশটা দেখান, যেটা বন্ধ হওয়ার কারনে পুরীষ আপনার মুখ দিয়ে বের হচ্ছে।

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর শেখ মুজিবের ৭ ই মার্চের ভাষনটাকে ক্যাপিটালাইজ করে আওয়ামী লীগ রিভাইভ করসিলো।
হাসিনা মারা যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের এমন কিছুই আর বাকি থাকতেসেনা যেটাকে ক্যাপিটালাইজ করে আওয়ামী লীগ রিভাইভ করবে।
আল্লাহ যা করেন , ভালো'র জন্যই করেন।

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: ফাহাদ ভাইয়ের কমেন্টে ঝাঁ ঝাঁ :)

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৭

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২৬

তপ্ত সীসা বলেছেন: হাম্বাদের ল্যাদাইতে দ্যান ভায়া। যার জন্ম কোন হাম্বার ড্যাস দিয়া, সে তো হাম্বাই হবে। এরা গালি না দিলে কে গালি দিব, এরা ড্যাস দিয়া মারা খায় আর মুখ দিয়া হাগে। মুখ দিয়া তো দুর্গন্ধ বাইর হবেই। হা হা

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাহ হাহ হা

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪১

তপ্ত সীসা বলেছেন: ভায়া, এর জন্ম হইছে টিক্কা খানের কোঠিতে। জন্তাম পরিচয় জানা নাই। কথায় কথায় আব্বা আব্বা করে। আব্বার মইধ্যে জন্ম পরিচয় খুঁজে।

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:০৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: বেশিরভাগ হাম্বাই এই রকম। এদের জেনেটিক গুণাবলি একই ধাঁচের। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৩

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: হাম্বা গুলা কই??? এই পোস্ট আলোচিততে নাই কেন?

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এইখানে মোডারেটরদের বায়াসড নীতি চোখে বাজে। পাঠক সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে মোডারেটরের কোন খবর নাই। অথচ বিপরিতে আওয়ামী পন্থী ব্লগারের লেখা ১৫০-২০০ পাঠক পরলেই টপ করে নির্বাচিত পাতায় দিয়ে দেয়। এটা স্পষ্টতই বায়াসড নীতি।

১৯| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:১৩

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: চোখ রাঙ্গানি দেখিয়ে , মাস্তানী- গুন্ডামী করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, সত্য দাবিয়ে রাখা ও বিরোধী মতকে দমন করে রাখা বাকশালীদের প্রধান কাজ।

২০| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৩০

তপ্ত সীসা বলেছেন: পুঙ্গায়বাশ পুদুউতো মুখ দিয়া হাগতাছে ভায়ারা, আর ড্যাস দিয়া হাম্বা হাম্বা রবে গ্যাস ছাড়তাছে। কুনু হাম্বার খুজ নাই। চুনু খাউজানিতে ব্যস্ত সব।

২১| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: @ফাহাদ ইবনে মুরতাযা , আপনার জ্ঞানের দৌড় দেখেই বুঝলাম বাংলাদেশে জামাত শিবির রাজাকার এত বেশি কেন ......... এবার একটু যুক্তি খন্দন করিঃ

" CBS এর তথ্য প্রমানহীন খবরে "চুল" প্রমানিত হয়" মানলাম আপনি মানতে চাইছেন নাহ , তাহলে এই পোস্টে উল্লেখিত যত পত্রিকার সংবাদ , বই , ইত্যাদি আপনি কোন তথ্য প্রমানের বভিত্তিতে বিশ্বাস করলেন ????????? সাংবাদিকরা যে বঙ্গবন্ধুর সাথে কথা বলেছিল , এটার কোন voice record আছে ????????????? তাহলে সানবাদিকদের কথা আপনি কেন বিশ্বাস করছেন ???????


"ভিডিওতে "clandestine" শব্দটা ব্যবহার করা হয়, এর মানে kept secret or done secretively, especially because illicit." একেইবলা হয় অপ্ল বিদ্যা ভয়ংকরী , ডিকশনারি হুবুহু মুখস্ত করলে আস্ল কাহিনি বঝায় যায় না, একটা শব্দের ব্যবহার অনেক সবকিছু তো আর দিকশনারিতে লেখা থাকে নাহ , কোন শব্দের অর্থ ঘটনার সাথে মিলিয়ে তারপর বুঝতে হয় , এই জনয় শিখতে , গোবর মস্তিস্ক দিয়ে কি আর বজা যাবে ???? ১৯৭১ সালে নিরাপ্তজনিত কারনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম গোপনে চালাতে হয়েছিল , এই জন্য "clandestine" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল । আপনার ব্য্যখা দেখলেই বোঝা যায় পাকিস্তানের ভূত এখনও কেন আছে , এত অশিক্ষিত মানুষ দিয়ে জাতি কি করবে ???????

"যদি secret হয় তাইলেCBS anchor জানল ক্যামনে, নিশ্চয়ই anchorএর কোন রিপোর্টার শুনসে, সে কে?? এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি আমাদের দিয়ে বাধিত করবেন।
CBS news টা পুরাই abstract স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে"


ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় যখন সংবাদ প্রচার করা হয় , তখন সংবাদ ঠিক করেন সম্পাদকমণ্ডলী , anchor এর কাজ হচ্ছে খবরটা পড়ে শোনান । "CBS anchor জানল ক্যামনে, নিশ্চয়ই anchorএর কোন রিপোর্টার শুনসে" এই কথাই প্রমান করে আপনি কত ঙ্গাধা , কত কম জানেন , সংবাদ ঠিক করে সম্পাদকমণ্ডলী , আর আপনি আছেন anchor নিয়ে , হায়রে সেলুকাস ।

"CBS news টা পুরাই abstract স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে" শুধুই সিবিএস না , আমেরিকার এবিসি চ্যানেলও একই সংবাদ প্রচার করে , এটাও কি Abstract ছিল ?????????

কোন সংবাদ সত্যি কিনা তা ননির্ভর করে অকাট্য প্রমাণ এবং যৌক্তিক্তার উপর ,এবার আসি সিবিএস আর এবিসি চ্যানেলের কি কোন স্বার্থ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদ প্রচারে মিথ্যার আশ্রয় নিবে ???????? না ছিল না , সিবিএস আর এবিসি চ্যানেল তাদের দায়বব্ধতা থেকে এবং শতভাগ নিশ্চিত হয়েই , যেহেতু কোন মিথ্যা বলার প্রয়োজন ছিল না সেহেতু এই সংবাদ অকাট্য প্রমাণ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য । আর উভয় চ্যনেলের সাংবাদিকরা বাংলাদেশে উপস্থিত ছিলেন , যদি যোগ্যতা থাকে তবে তাদের কাছে গিয়ে জিগ্যেস করেন ।

"শেখ সাহেবের মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির ঘোষণার কোন rigorous proof নাই, কিন্তু জিয়ার মত রাজাকার, ফালতু এক মেজর এর ঘোষণার লিখিত , recorded voice দুইটাই আছে!! কেন এবং কিভাবে??" ছাগলের বাচ্চা তখন বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ার কে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলনে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের সাথে সাথে ট্রান্সমিটার ধ্বংস করে ফেলতে , আর জিয়ার recorded voice জাপানের এক জাহাজের করা , বাংলাদেশে তখন সবার কাছে রেকর্ডার ছিলন না , সবাই যখন জান বাচাতে ব্যস্ত ২৫শে মার্চের কাল রাতে , তখন কেউই বোধহয় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রেকর্ড করে নি , করলেও হয়ত হারিয়ে গেছে ।

"CBS news আমেরিকায় বইসা ঘোষণা শুনল আর দেশে এ. কে .খোন্দকার সাহেবরা শুনতে পারলেন না, এইটার ব্যাখ্যাটা কি??" প্রথমত সিবিএস আমেরিকায় বসে শোনে নাই , তাদের সাংবাদিক বাংলাদেশে ছিল , আর এ.কে খোন্দকার বিক্রি হওয়া মুক্তিযোদ্ধা , বাংলাদেশের কেউই ( বাংলাদেশের , পাকিস্তান প্রেমি জামাত শিবির নাহ) ৭ই মারচের ভাষণে জয় পাকিস্তান শোনে নাই , এমনকি ৭ই মারচের ভাষণ পুর রেকর্ড করা , সেখানেও জয় পাকিস্তান নাই , কিন্তু এ.কে খোন্দকার তার বইতে লিখছে যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মারচের ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছিলেন এবং এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণও দিতে পারেন নাই , এরকম একটা মানুষের রেফারেন্স দিলেন যে ৭ই মারচের ভাষণ নিয়ে মিথ্যা বলেন ????????????????


"CBS news এর কেন সুযোগ ছিল না ঘোষণাটা record করা সেটা কি বলবেন দয়া করে?? " সিবিএস চ্যানেল অবশ্যি কোন প্রমাণ ছাড়া কথা বলে নাই ,বেশি চুল্কানি থাকলে আমেরিকা গিয়ে সিবিএস এর হেড কোয়ার্টার থেকে জেনে আসেন ( যোগ্যতা থাকলে তো যাবি , ছাগুর বাচ্চা , খালি তো পারস মিথ্যা আর অপব্যখ্যা দিয়ে ল্যাদাইতে )




"আর আপনি ডাক্তারকে আপনার পশ্চাৎদেশটা দেখান, যেটা বন্ধ হওয়ার কারনে পুরীষ আপনার মুখ দিয়ে বের হচ্ছে। " ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড তুই আবার প্রমাণ করলি । জামাত শিবিরের ট্রেডমার্ক হল পাছা ভাড়া দেয়া , আর তুই এই পাছা ভাড়া দেয়ার প্রশ্ন করেই তোর জাত বুঝালি , হাজার হোক , রতনে রতন চেনে , কিন্তু সত্যি হল আমি তোর জাত ভাই না ।



২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাম্বা ব্লগার @প্রভাষ প্রদৌত,
হাম্বাটারে পোন্দনের ওপর রাখা হয়েছে। শালার মাথায় চেতনা গিজগিজ করতেছে, ব্রেইন নাই, দালালের বীর্য হাম্বাটার মাথায় টগবগ করে ফুটতেছে।

যে সিদ্দিক শালিকের দোহাই দেয় তার বই পুরোটা না পড়ে হয়ত কারো লেখার অংশ পড়ছে। আর এখানে ল্যাদালেদি শুরু করে দিছে।

হাম্বা ব্লগার @প্রভাষ প্রদৌত,এর উদ্দেশ্যে বলছি, তোর বাপ সিদ্দিক শালিকের বই থেকেই তোকে আজকে গোবর খাওয়াব।
পড়ে ফেল তোর বাপ সিদ্দিকের বই-------

"আমাকে গ্রেফতার করুন অন্যথায় চরমপন্থিরা স্বাধীনতা ঘোষনা করতে পারে"।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে এ অনুরোধ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালে ঢাকায় সামরিক শাসক টিক্কা খানের গনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার পুস্তকে এ দাবি করেছেন।
২৫ তারিখের ক্রাক ডাউনের খবর শেখ মুজিব আগাম জেনে যান বিভিন্ন মাধ্যমে। মুজিব তার দলীয় নেতা কর্মী ও পরিবারের লোকদের আত্মগোপনে পাঠিয়ে নিজে সস্ত্রীক রয়ে গেলেন বাসভবনে এবং মধ্যরাতে তার গুছিয়ে রাখা হোল্ড-অলটি নিয়ে পাকবাহীনীর কাছে আত্মসমর্থন করেন (বেগম মুজিবের সাহ্মাত্‍কার ১৯৭৩)।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশিষ্ট সাংবাদিক জ্যোতি সেন গুপ্ত লিখেছেন, ২৪ তারিখে গোয়েন্দা সূত্র পাক বাহিনীর আক্রমনের আগাম সংবাদ জানিয়ে দেয় আ'লীগকে। কর্নেল ওসমানী ঐ দিনই মুজিবের সাথে দেখা করে তাকে অবহিত করেন। শেষ রাত পর্যন্ত নেতারা করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, তারা আত্মগোপন করবেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাজউদ্দিন এসে দেখেন মুজিব তার বিছানাপত্র গুছিয়ে তৈরি হয়ে আছেন।
(সূত্র:মাসুদুল হক,দৈনিক ইনকিলাব,২৬ মার্চ ২০০৫)

২২| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২০

তপ্ত সীসা বলেছেন: বল্গার পুংগায়বাশের দৌড় ওই আব্বার পুটকী পর্যন্তই। অগো মনমত না হইলে খন্দকার মিয়াও হইয়া যায় বিক্রিত মুক্তিযদ্ধা। হাসাইলিরে হাউয়ার পো। শিওর তুই রাজাকারেরও না, পাকি বীর্য্যের ফসল। নাইলে মুক্তিযোদ্ধা লইয়া কথা কইতে একটুও বাধলোনা? দেশের লাইগা তোর বাপ যুদ্ধ করেনাই, তোর বাপের মাইয়ার ইজ্জত জায়নাই। ওগোরে তো তিনবেলা মাছ মাংস খাইতে দিছে। দুইচারদিন লঙ্গরখস্নায় থাকলে বুঝতো যুদ্ধ ক্যামনে হইছে। উনি তো পাকিস্তানীগো ঝুলানো মুলা দেইখা মনে করছে, আরে হইয়া গেলাম তো প্রধানমন্ত্রী, আর বাল আচড়াইছে চিরুনী দিয়া। সারাদেশ জিয়ার মত এক বালছাল মেজরের নাম জানলো কিন্তু তুমার বাপের নাম জানলোনা এইডা গায়ে লাগে খুব? লাগবোই তো, পাকি বীর্য্যের জায়গায় নিজের পরিচয় দিছে হাম্বাল্যান্ডের নির্দেশে, কৃতজ্ঞতা বোধ থাইকা এইডা তো করবাই। তুই পাকি বীর্য্যের চরিত্র আর হাম্বা শিক্ষার আজিব এক সংকর। রাজাকার কামারের পুলা সমকামী পাকি জারজ ওয়ামীর জাত ভাই।

২৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৫

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন:

"শেখ মুজিব তার অধিকার চাচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশ সংক্রান্ত কিছু নাই।এ থেকে কি প্রমাণ করলি হাম্বার বাচ্চা?" শেখ মুজিব তখন পাকিস্তনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন , প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ওনাকে প্রথমে মিমাংসা করতে হত , উনি তাই মিমাংসার চেষ্টা করেছেন , আর ৭ই মারচের ভাষণে তো বলেই দিয়েছিলেন "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম " এর চেয়ে সরাসরি কিছু বলা তখনকার বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সম্ভব ছিল না , কিন্তু " এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম " এর চেয়ে আর কি চাস তুই ???????????


৭ই মারচের ভাষণে যেখানে জাতিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিলেন যে এবার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , এরপরও উনি কোন সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি কিছ বলতে পারেন না যতক্ষন না পর্যন্ত সমঝোতা প্রচেষ্টা চলমান , তোর বুজতে হবে উনি জাতীয় নেতা , ওনার পক্ষে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে সরাস্রি কিছু বলা সম্ভব ছিল না

"journalist ------ u mean independance?
shekh mujib------- i don't mean independence. It can be done many ways. " যেখানে ৭ই মারচের ভাষণে জাতিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিলেন যে এবার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সেখানে সব সন্দেহের অবসান তো তখনই হয়ে যায় , তাই তো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাই ওনাকে সরাসরি স্বাধীনতার ব্যপারে জিগ্যেস করলে " i don't mean independence. It can be done many ways." কারণ ঐ মহুরতে স্বাধীনতার ঘোষণা করলে সেটা হত আঞ্চলিক বিদ্রহের সামিল এবং কোন দেশেরই স্বীকৃতি পেত নাহ , তাই উনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছলেন , অবশ্য এইসব বিশ্য তোর ছগু মস্তিস্কে ঢুকবে নাহ ,এটাই স্বাভাবিক , আর ছাগল বঙ্গবন্ধু ""journalist ------ u mean independance?
shekh mujib------- i don't mean independence. It can be done many ways." বলেছিলেন ৭ই মারচের পরে এবং ২৫শে মারচের আগে , তাই এটা দিয়ে তুই কি বুঝাতে চাস হারামজাদা ?????????????????????

অপারেশন সার্চলাইটের ১ মিনিট আগেও স্বাধীনতার ঘোষণা করলে সেতা আঞ্চলিক বিদ্রহ হত , কারন পাকিস্তান বলত দেশ স্বাভাবিক , রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়া কোন সমস্যা নাই , তাই সেটা আঞ্চলিক বিদ্রোহ ,

আর অপারেশন সার্চলাইটের পরে যখন পাকিস্তান আরমি নিরিহ মানুষের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান তার অখণ্ডতার অধিকার হারায় এবং ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন , তো ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু হোটেল ইন্টারকন্তিনেতাল এ গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করবেন , তাই না??????? তুই স্বাধীনতার ঘোষণার সাথে হোটেল ইন্টারকন্তিনেতাল কিভাবে রিলেট করিস ??????????? তোর ব্রেন এতই পচে গেসে ???????????

তোর অনেকগুলো আব্বার এক আব্বা জেনারেল সিদ্দিক সালিক "Witness to Surrender " বইয়ে নিজে স্বীকার করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা , এইবার তোর আব্বার কাছে গিয়ে জিগ্যেস কর তোর পাকিস্তানি আব্বার কোন রেকর্ড রাখসে কিনা ,

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রেকর্ডেড ছিল , এই রেকর্ডেড ভাষণ প্রচার করা হয় গোপন ট্রান্সমিটার দিয়ে কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সেটা হারিয়ে যায় । এসব নিয়ে ত্যনা পেচাস কেন রে ?????????????? জিয়ারটাও তো থাকত না যদি না জাপানি জাহাজ সেটা রেকর্ড করত ।

২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২১

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাম্বার ছ্যার করে করে ল্যাদানি দেখে হাসি আটকাতে পারলাম না, তুই ল্যাদাইতে থাক। যত ল্যাদাবি তত পোস্টের জনপ্রিয়তা বাড়বে।
শুয়োরের মাথায় গু ছাড়া কিছু নাই, এদের মাথায়ও তাই। যুক্তির রকম এই ধরণের--
"গরু আকাশে উড়ে"
হাম্বা যুক্তি --- "গরু আকাশে ওড়ে (বিমানে করে)

হাম্বার বাচ্চা যুক্তি কাকে বলে তোর ১০ টা বাপের কেউ তোকে শেখায় নাই। তুই যেটা পারস সেটার নাম ছ্যার ছ্যার করে ল্যাদানি। ব্লগে না এসে গোয়াল ঘরে যা, ওইটা তোর উপযুক্ত জায়গা।
এবার আসি তোর ল্যাদা মার্কা যুক্তি নিয়া,
তোর মত কুয়োর ব্যাং হয়ে জন্মাইলে এর থেকে আর কি বেশি কিছু আশা করা যায়? ভালো মত পড় হাম্বার বাচ্চা। ভালো করে পড়
১. সিডনী শনবার্গের সাথে [ঢাকা , ১৬ জানুয়ারী , ১৯৭২] সাক্ষাৎকার [রিপোর্ট : ১৮ মার্চ , ১৯৭২ , নিউইয়র্ক টাইমস]:

এই সাক্ষাৎকারটির বিবরন পাওয়া যায় হাসান ফেরদৌসের প্রথম আলোতে ।

মুজিব কেন আত্নসমর্পণ করেছিলেন : হাসান ফেরদৌস , ৩০ মার্চ , ২০০৯ , প্রথম আলো
এখানে তিনি পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন টেলিফোনে (তার যোগাযোগ / ওয়্যার কমিউনিকেশন) চট্রগ্রামের সিক্রেট হেড কোয়াটার এ মেসেজ পাঠিয়েছেন , সেটিই পরে গোপন বেতার থেকে ট্রান্সমিটেড হয়েছে।

২. জাতীয় গণপরিষদে স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ে বিতর্ক :

বাংলাদেশ জাতীয় গনপরিষদে (বর্তমান জাতীয় সংসদ) এ ১০ এপ্রিল , ১৯৭২ এ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং নুরজাহান মুরশিদ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

এর জবাবে শেখ মুজিব বলেন ওয়্যারলেসে চট্টগ্রামে তিনি জানিয়েছেন এই ঘোষনা এবং এই প্রস্তাবটি যেহেতু ২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা ও মুজিব নগর সরকারের ১০ এপ্রিলের ঘোষনার ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিলো সেহেতু শেখ মুজিব ওয়্যারলেসে যে মেসেজ পাঠিয়েছেন দাবী করেছেন সেটা অবশ্যই ২৫ মার্চ রাত ১২ : ০০ পরে ।
সিডনী শনবার্গের সাথে সাক্ষাৎকার:

১.

শেখ মুজিব হরতাল ডাকার কথা বেমালুম চেপে গেছেন যেটা ইনএভিটেবল ট্রুথ।

২.

শেখ হাসিনা নিজেও সেদিন রাত ১১:৩০ পর্যন্ত ধানমন্ডী ৩২ নাম্বারে ছিলেন। আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনার মুখ থেকে মুজিবের চট্টগ্রামে টেলিফোন করা বিষয়ক কোন দাবী আসেনি ! জানিনা এটা জানার পর নতুন করে দাবী করে বসবেন কিনা !

৩.

শেখ হাসিনা , শেখ রেহানা এবং জেলীকে রাত ১১:৩০ এ ভাড়া বাসায় আত্নগোপনে পাঠানোর পর ওয়াজেদ মিয়া নিজেও ধানমন্ডী ৩২ নং ছেড়ে আসেন।
খোদ ওয়াজেদ মিয়া নিজেই "নিউ এজ" এর কলামে লিখেছেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি।
ওয়াজেদ মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী রাত ১১:৩০ পর্যন্ত শেখ মুজিব কোন লিবার্টী মেসেজ পাঠাননি কোথাও।

৪.

বর্তমান জাদরেল আওয়ামী নেতা , সেসময়কার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ১০:৩০ ফোন করেন এবং ১১:০০ স্বশরীরে দেখা করেন।
তাকেও কোন DOI মেসেজ দেননি শেখ মুজিব ।

৫.

সবচেয়ে গুরুতর তথ্য যেটি সিডনীর কাছে মুজিবের দেয়া তথ্যকে পুরোপুরি নকআউট করে সেটি হলো :
রাত ১০: ০০ - ১০:৩০ পর্যন্ত নঈম গহর ধানমন্ডী ৩২ নং এ ছিলেন এবং তার ভূমিকাটা ছিলো চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে শেখ মুজিবের কমিউনিকেশন তৈরী করা।

নঈম গহরের কলামের লিংকটি আবারো দিলাম প্রাসংগিক কারনে

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে DOI মেসেজ পাঠানোর এরকম একটি সূবর্ন সুযোগ পাওয়ার পরও শেখ মুজিব সেটি করেননি। টেলিফোন করার প্রশ্নতো অবান্তর।

বরন্চ্ঞ নঈম গহর কে কিছু রোমান্টিক বিপ্লবী বক্তব্য দিয়েছেন এবং নঈম গহর সেটাই এম.আর.সিদ্দীকিকে টেলিফোনে জানিয়েছেন।

সেখানে কোন প্রকার DOI মেসেজ নেই , থাকলে নঈম গহর ইতিহাসের অনেক বড় অংশ হতেন এবং সেটার দাবী জানাতে দেরী করতেননা।

বরন্চ্ঞ আমার যেটা ব্যক্তিগত অনুমান শেখ মুজিব জানেন যে তার কিছু ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ নঈম গহর ১০ : ৩০ - ১১ : ০০ টার ভেতরে ইমিডিয়েটলী টেলিফোনে চট্টগ্রাম আওয়ামী নেতাদের জানাবেন এবং সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে নঈম গহরের সেই টেলিফোন টিকে মুজিব নিজের করা টেলিফোন বলে চালিয়ে দিয়েছেন । একই সংগে তার ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ গুলোকে DOI মেসেজ দাবী করেছেন।

এই অনুমানের আরেকটি শক্তিশালী ক্লু দেখুন:

সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে মুজিব বলেছেন চট্টগ্রামে তিনি টেলিফোনটি করেছেন ১০:৩০ নাগাদ !
টাইমিং এর এই মিল মোটেই কাকতালীয় মনে হচ্ছেনা যেহেতু মুজিব জানতেন ১০:৩০ এর পর ইমিডিয়েটলী নঈম গহর চট্টগ্রামে তার ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ জানিয়ে ফোন করবেন।

খুব পরিষ্কার ভাবেই শেখ মুজিব সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে DOI মেসেজ বিষয়ক দাবীগুলোতে মোটেই ট্রুথফুল ছিলেননা।

বরন্চ্ঞ হাস্যকর বিষয়টা হলো শেখ মুজিব নিজেই আবার জাতীয় গনপরিষদে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনার প্রস্তাবে নিজের স্বপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন!



২. ন্যাশনাল পার্লামেন্টে শেখ মুজিবের দাবী:

সেখানে শেখ মুজিব মোটাদাগে বলে গেছেন ওয়্যারলেস যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা চট্টগ্রামে পাঠান।
কিন্তু কিভাবে ?

এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত বক্তব্যটি যেটা শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষনার ব্যাপারে সন্দেহ মুক্ত ব্যক্তিসকল দাবী করে থাকে - সেটা হলো রাত ১২:২০ মিনিটে পর মুজিব টেলিফোনে সেন্ট্রাল টিএনটি অফিসের বিশ্বস্ত ১ জন কে DOI মেসেজ পাঠিয়ে দেন । সেখান থেকেই বাকি সব প্রচারের ইনিশিয়েশন হয়।

আতিউর রহমান তার জনকন্ঠে লিখিত কলামে দাবী করেছেন মুজিব DOI মেসেজ পাঠান রাত ১২:২০ মিনিটে।

দৈনিক জনকন্ঠে আতিউর রহমানের কলাম

সিরাজউদ্দীন হোসেনও তার ইত্তেফাকের স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ক কলামে ১২:২০ মিনিটে মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষনার দাবী করেছেন।

দৈনিক ইত্তেফাকে সিরাজউদ্দীন হোসেনের কলাম

এই রাত ১২ : ২০ এর উল্লেখ আরো অনেক গবেষকের কাছে পাওয়া যায় যারা শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন - এটা বিশ্বাস করেন।

অজয় রায় দাবী করেছেন রাত ১২:০০টার পরপরই এই টেলিফোনটি শেখ মুজিব করেন।

এক্ষেত্রে অজয় রায় টাইমিং এর ব্যাপারে একটু পিছলে গিয়ে রবার্ট পেইনের ম্যাসাকার বইটির উদাহরন টানেন যেখানে বলা হয়েছে২৫ মার্চ রাতে ঘোষনাটি জানানো হয় টিএনটি অফিসের এক বিশ্বস্ত ( আজও অজ্ঞাত !) এক স্টাফ কে।

কিন্তু এটি ৭১ পরবর্তী রবার্ট পেইনের ব্যক্তিগত সংগৃহীত তথ্যদিয়ে লেখা বই মাত্র ।

এই তথ্য যে রবার্ট পেইন সেই রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান কালে পাননি এবং অন্যকোন রিপোর্টারের সরাসরি সূত্র থেকে আসেনি , বরং অন্যকোন আওয়ামী সোর্স থেকে থেকে পরবর্তী সময়ে সংগ্রহ করেছেন সেটার যুক্তিটাও দেখবেন এখন।

এরিমধ্যে নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন আতিউর রহমান আর রবার্ট পেইনের ভেতরে টুইস্ট হয়ে গেছে ঘোষনার ভাষায়।

আগেই বলেছি ধানমন্ডী ৩২ এর ২৫ মার্চের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে দুটো সারপ্রাইজিং তথ্য স্কিপ করেছি।

এই তথ্যগুলোই শেখ মুজিবের টেলিফোন বা অন্যযেকোন ভাবে হোক , DOI মেসেজের দাবী কে রীতিমত নকআউট করে।

দেখুন সেগুলো :

১. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদে
২৮ মার্চ , ১৯৭১ ,নিউইয়র্ক টাইমস :
সেখানে পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে রাত ১২:২০ মিনিটে শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোন করা হয় ! এবং ফোনটি রিসিভ করেন আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পরিচয়দানকারী কেউ একজন (হাজী গোলাম মোরশেদ অথবা তবিবুর রহমান)।

ফোন রিসিভারের বক্তব্য অনুযায়ী শেখ মুজিব তখন শোবার ঘরে ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবেই ফোনটি বিজি ছিলো পরবর্তী কিছু সময় এই কথোপকথনে।

যদি ১২:০০ - ১২:২০ এর মধ্যেও DOI মেসেজ শেখ মুজিব পাঠিয়ে থাকেন তাহলে সুবর্ন সুযোগ পেয়েও শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের কাছে তার DOI মেসেজ এর তথ্যটি জানাননি , ঐ আওয়ামী অফিসিয়ালের কাছ থেকেও স্বাধীনতা ঘোষনা বিষয়ে ঐ ফোনে কিছু জানানো হয়নি!

রাত ১২:২০ মিনিটে টেলিফোনে DOI মেসেজের তো প্রশ্নই আসেনা।
২. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিব কে টেলিফোন , সময় রাত ১:০০ টা

দ্য এজ রিপোর্ট , অস্ট্রেলিয়া , ২৯ মার্চ , ১৯৭১:
এই একই তথ্যটি সায়মন ড্রিং এর রিপোর্টেপাওয়া যায়:

৩০ মার্চ , ১৯৭১ , ডেইলী টেলিগ্রাফ :
এখানে যেটা বলা হয়েছে রাত ১:০০ টার সামান্য আগে শেখ মুজিবের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং স্বয়ং শেখ মুজিব ফোন রিসিভ করেন।সেখানে শেখ মুজিব বলেছেন যে তিনি যেকোন মূহুর্তে আক্রমণ আশা করছেন এবং একজন ভৃত্য আর দেহরক্ষী ছাড়া বাকি সবাইকে নিরাপদস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সেই চূড়ান্ত মূহুর্তে যখন শেখ মুজিব জেনে গেছেন কি ঘটতে যাচ্ছে নিশ্চিত ভাবে এবং এর সমাধান একটাই স্বাধীনতা - তখনো শেখ মুজিব DOI মেসেজ টি যারা এর সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম "আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মী " তাদের কে জানাননি।

রাত ১২:২০- রাত ১:০০ টার মত ক্লাইম্যাক্স সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগের চরম সুযোগ পেয়েও তাদের কাছে মুজিবের কোন DOI মেসেজ পৌছায়নি!

এ বিষয়ে সেসময়কার বিবিসি সাংবাদিক মার্ক টালীর একটি বক্তব্য এখানে প্রাসংগিক:
"খবর পাওয়া গেছে যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন"

সোর্সঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিবিসি , বিসিডিজেসি , ২০০১।
আতিউর রহমানের কলাম থেকে সংগৃহীত

যেখানে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের সাথেই শেখ মুজিবের রাত ১:০০ টার চূড়ান্ত সময়টাতে সরাসরি টেলিফোনে কথা হয়েছে সেখানে "খবর পাওয়ার" ভিত্তিতে কেন DOI মেসেজ রিপোর্ট করা হলো ?
প্রসংগক্রমে আরো ১টি তথ্য জানিয়ে দেই।
রাত ১২:৩০ এ সর্বশেষ যেই আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি হলেন মওদুদ আহমেদ।
বিএনপিতে যোগদানের পূর্বে মওদুদ এ ঘটনাটির স্মৃতিচারন করেছিলেন এবং সেখানে তিনি কোন প্রকার DOI মেসেজ পাননি।

সোর্সঃ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ , মওদুদ আহমেদ , ১০ ডিসেম্বর , ১৯৯৫ , ইত্তেফাক , অজয় রায়ের আর্টিকল থেকে সংগৃহীত

১২:০০ - ১২:৩০ এর ভেতরে যদি মুজিব DOI মেসেজটি পাঠিয়েও থাকেন কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে , তাহলে সেই সময়ে তার বিশ্বস্ত দলীয় অনুগত কর্মী মওদুদকে টেলিফোনে পেয়েও সেটা জানাননি - এই নাটক কার্টুন প্রিয় শিশু ব্যতিত স্বাভাবিক চিন্তাশক্তির কারো পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।


রাত ১:০০ - ১:১৫ , ধানমন্ডী ৩২ :

যেন তেন প্রকারেন "DOI মেসেজ" নামক তালগাছটিকে দখল করা এবং তালগাছটির চারপাশে রীতিমত বেড়া দিয়ে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা হলো
জহিরুল আলম খানের "দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ" বই অনুসারে মুজিবকে গ্রেফতারের ঠিক আগ মূহুর্তে (আগে ১:১০- ১:১৫ এর মধ্যে ) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জহির একটি ঘর থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান এবং আওয়ামী গবেষকদের কাছে মনে হয়েছে সেটি ট্রান্সমিটার অপারেট করার শব্দ , তবে সম্ভবত ।

যাইহোক , মুজিব অনেক নাটকীয় সুযোগ পেয়েও DOI মেসেজটি ঘোষনা না করলেও যদি শেষ মূহুর্তে সেই চেষ্টা করে থাকেন তাহলে -

ঠিক সেই সময়েই রাত ১:১০- ১:১৫ এর ভেতরে দৈনিক আজাদী তে টেলেক্স মেসেজটি কে পাঠালো ?
শেখ মুজিবের কাছে তো তখন টেলেক্সের মত ওয়্যার কমিউনিকেশন মেশিন ছিলোনা !

সবচেয়ে বড় কথা শেখ মুজিবের বাসায় তখন অপারেট যোগ্য ট্রান্সমিটারই ছিলোনা!

তৎকালীন বুয়েটের অধ্যাপক নুরুল্লাহ এবং বুয়েট ছাত্রনেতা রাশিদুল হাসান খান মিলে শেখ মুজিবের বাসার ছাদে ১ টি ট্রান্সমিটার বসান ঠিকই , কিন্তু সেটি ডিসফাংশনাল হয়ে যায় সেট করার পরই। শেখ মুজিবও জানতেন ট্রান্সমিটারটি কাজ করবেনা।
তাহলে ট্রান্সমিটার এ ঘোষনার সুযোগটা থাকে কোথায় ?

ঠিক এখানেই তালগাছ দখল করার জন্য সিরাজউদ্দীন হোসেন জোর করে ট্রান্সমিটারটিকে আবার ঠিক করে ফেলেছেন।
তার মতে শেখ মুজিবের অজ্ঞাতে অধ্যাপক নুরুল্লাহ ট্রান্সমিটারটি নিজে এসে আবার ঠিক করে গেছেন!

যদি সেটাই হয় তাহলে শেখ মুজিব জানতেন না যে ট্রান্সমিটারটি সচল করা হয়েছে আবার , তাহলে তার জানামতে অচল ট্রান্সমিটার দিয়ে ঘোষনা দিতে যাবেন কেন ?

সিরাজউদ্দিন হোসেনের বক্তব্য দেখুন ইত্তেফাকের কলামে

সিরাজউদ্দীন হোসেন সেখানেই থামেননি , এই কাল্পনিক ঘোষনাটিকে তিনি সেই রাত ১২ :২০ -১২:৩০ এ নিয়ে গেছেন , সেন্ট্রাল টিএনটি অফিসের কাল্পনিক টেলিফোনের পরিবর্তে যেটার ভিত্তিতে টিক্কা খান মুজিবকে গ্রেফতার করেন এবং সেই ঘোষনা টিক্কা নিজ কানে শুনেছেন!

যদি রাত ১২:২০ - ১২:৩০ না হয়ে যদি এই কাল্পনিক ঘোষনা রাত ১:১০ এ হয় তারমানে ১:১০ - ১:১৫ এর ভেতরে টিক্কা শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা তৈরী করেন - সর্বোচ্চ হাস্যকর !

অথচ ইতিহাসের আসল সত্যিটা হলো :

নুরুল্লাহ নিজেই বলেছেন ট্রান্সমিটার বিকল হওয়ার পর তিনি আর সেটি ঠিক করেননি বা ট্রান্সমিটারটি কাজ করেনি এবং একই বিষয় অজয় রায়ও স্বীকার করেছেন তার আর্টিকলে।



এই কাল্পনিক ঘোষনার বিষয়টিকে শেষবারের মত নকআউট করছে সেই আগের টার্নিং ইনফো।

রাত ১:০০ টায় যখন মুজিব নিজেই টেলিফোনে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি যেকোন মুহুর্তে আক্রমন আশা করছেন , বাসার প্রায় সবাইকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন , তাহলে তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিলেন না কেন একটু পরই তিনি ট্রান্সমিটার দিয়ে DOI মেসেজ পাঠাবেন !

এইসব কাল্পনিক নাটকের স্ক্রিপ্ট কখনোই ইতিহাস হতে পারেনা ।
হাম্বার বাচ্চা যুক্তি কাকে বলে তোর ১০ টা বাপের কেউ তোকে শেখায় নাই। তুই যেটা পারস সেটার নাম ছ্যার ছ্যার করে ল্যাদানি। ব্লগে না এসে গোয়াল ঘরে যা, ওইটা তোর উপযুক্ত জায়গা।
এবার আসি তোর ল্যাদা মার্কা যুক্তি নিয়া,
তোর মত কুয়োর ব্যাং হয়ে জন্মাইলে এর থেকে আর কি বেশি কিছু আশা করা যায়? ভালো মত পড় হাম্বার বাচ্চা। ভালো করে পড়
১. সিডনী শনবার্গের সাথে [ঢাকা , ১৬ জানুয়ারী , ১৯৭২] সাক্ষাৎকার [রিপোর্ট : ১৮ মার্চ , ১৯৭২ , নিউইয়র্ক টাইমস]:

এই সাক্ষাৎকারটির বিবরন পাওয়া যায় হাসান ফেরদৌসের প্রথম আলোতে ।

মুজিব কেন আত্নসমর্পণ করেছিলেন : হাসান ফেরদৌস , ৩০ মার্চ , ২০০৯ , প্রথম আলো
এখানে তিনি পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন টেলিফোনে (তার যোগাযোগ / ওয়্যার কমিউনিকেশন) চট্রগ্রামের সিক্রেট হেড কোয়াটার এ মেসেজ পাঠিয়েছেন , সেটিই পরে গোপন বেতার থেকে ট্রান্সমিটেড হয়েছে।

২. জাতীয় গণপরিষদে স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ে বিতর্ক :

বাংলাদেশ জাতীয় গনপরিষদে (বর্তমান জাতীয় সংসদ) এ ১০ এপ্রিল , ১৯৭২ এ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং নুরজাহান মুরশিদ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

এর জবাবে শেখ মুজিব বলেন ওয়্যারলেসে চট্টগ্রামে তিনি জানিয়েছেন এই ঘোষনা এবং এই প্রস্তাবটি যেহেতু ২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা ও মুজিব নগর সরকারের ১০ এপ্রিলের ঘোষনার ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিলো সেহেতু শেখ মুজিব ওয়্যারলেসে যে মেসেজ পাঠিয়েছেন দাবী করেছেন সেটা অবশ্যই ২৫ মার্চ রাত ১২ : ০০ পরে ।
সিডনী শনবার্গের সাথে সাক্ষাৎকার:

১.

শেখ মুজিব হরতাল ডাকার কথা বেমালুম চেপে গেছেন যেটা ইনএভিটেবল ট্রুথ।

২.

শেখ হাসিনা নিজেও সেদিন রাত ১১:৩০ পর্যন্ত ধানমন্ডী ৩২ নাম্বারে ছিলেন। আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনার মুখ থেকে মুজিবের চট্টগ্রামে টেলিফোন করা বিষয়ক কোন দাবী আসেনি ! জানিনা এটা জানার পর নতুন করে দাবী করে বসবেন কিনা !

৩.

শেখ হাসিনা , শেখ রেহানা এবং জেলীকে রাত ১১:৩০ এ ভাড়া বাসায় আত্নগোপনে পাঠানোর পর ওয়াজেদ মিয়া নিজেও ধানমন্ডী ৩২ নং ছেড়ে আসেন।
খোদ ওয়াজেদ মিয়া নিজেই "নিউ এজ" এর কলামে লিখেছেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি।
ওয়াজেদ মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী রাত ১১:৩০ পর্যন্ত শেখ মুজিব কোন লিবার্টী মেসেজ পাঠাননি কোথাও।

৪.

বর্তমান জাদরেল আওয়ামী নেতা , সেসময়কার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ১০:৩০ ফোন করেন এবং ১১:০০ স্বশরীরে দেখা করেন।
তাকেও কোন DOI মেসেজ দেননি শেখ মুজিব ।

৫.

সবচেয়ে গুরুতর তথ্য যেটি সিডনীর কাছে মুজিবের দেয়া তথ্যকে পুরোপুরি নকআউট করে সেটি হলো :
রাত ১০: ০০ - ১০:৩০ পর্যন্ত নঈম গহর ধানমন্ডী ৩২ নং এ ছিলেন এবং তার ভূমিকাটা ছিলো চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে শেখ মুজিবের কমিউনিকেশন তৈরী করা।

নঈম গহরের কলামের লিংকটি আবারো দিলাম প্রাসংগিক কারনে

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে DOI মেসেজ পাঠানোর এরকম একটি সূবর্ন সুযোগ পাওয়ার পরও শেখ মুজিব সেটি করেননি। টেলিফোন করার প্রশ্নতো অবান্তর।

বরন্চ্ঞ নঈম গহর কে কিছু রোমান্টিক বিপ্লবী বক্তব্য দিয়েছেন এবং নঈম গহর সেটাই এম.আর.সিদ্দীকিকে টেলিফোনে জানিয়েছেন।

সেখানে কোন প্রকার DOI মেসেজ নেই , থাকলে নঈম গহর ইতিহাসের অনেক বড় অংশ হতেন এবং সেটার দাবী জানাতে দেরী করতেননা।

বরন্চ্ঞ আমার যেটা ব্যক্তিগত অনুমান শেখ মুজিব জানেন যে তার কিছু ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ নঈম গহর ১০ : ৩০ - ১১ : ০০ টার ভেতরে ইমিডিয়েটলী টেলিফোনে চট্টগ্রাম আওয়ামী নেতাদের জানাবেন এবং সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে নঈম গহরের সেই টেলিফোন টিকে মুজিব নিজের করা টেলিফোন বলে চালিয়ে দিয়েছেন । একই সংগে তার ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ গুলোকে DOI মেসেজ দাবী করেছেন।

এই অনুমানের আরেকটি শক্তিশালী ক্লু দেখুন:

সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে মুজিব বলেছেন চট্টগ্রামে তিনি টেলিফোনটি করেছেন ১০:৩০ নাগাদ !
টাইমিং এর এই মিল মোটেই কাকতালীয় মনে হচ্ছেনা যেহেতু মুজিব জানতেন ১০:৩০ এর পর ইমিডিয়েটলী নঈম গহর চট্টগ্রামে তার ইন্সট্রাকশনাল মেসেজ জানিয়ে ফোন করবেন।

খুব পরিষ্কার ভাবেই শেখ মুজিব সিডনীর সাথে সাক্ষাৎকারে DOI মেসেজ বিষয়ক দাবীগুলোতে মোটেই ট্রুথফুল ছিলেননা।

বরন্চ্ঞ হাস্যকর বিষয়টা হলো শেখ মুজিব নিজেই আবার জাতীয় গনপরিষদে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনার প্রস্তাবে নিজের স্বপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন!



২. ন্যাশনাল পার্লামেন্টে শেখ মুজিবের দাবী:

সেখানে শেখ মুজিব মোটাদাগে বলে গেছেন ওয়্যারলেস যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা চট্টগ্রামে পাঠান।
কিন্তু কিভাবে ?

এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত বক্তব্যটি যেটা শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষনার ব্যাপারে সন্দেহ মুক্ত ব্যক্তিসকল দাবী করে থাকে - সেটা হলো রাত ১২:২০ মিনিটে পর মুজিব টেলিফোনে সেন্ট্রাল টিএনটি অফিসের বিশ্বস্ত ১ জন কে DOI মেসেজ পাঠিয়ে দেন । সেখান থেকেই বাকি সব প্রচারের ইনিশিয়েশন হয়।

আতিউর রহমান তার জনকন্ঠে লিখিত কলামে দাবী করেছেন মুজিব DOI মেসেজ পাঠান রাত ১২:২০ মিনিটে।

দৈনিক জনকন্ঠে আতিউর রহমানের কলাম

সিরাজউদ্দীন হোসেনও তার ইত্তেফাকের স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ক কলামে ১২:২০ মিনিটে মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষনার দাবী করেছেন।

দৈনিক ইত্তেফাকে সিরাজউদ্দীন হোসেনের কলাম

এই রাত ১২ : ২০ এর উল্লেখ আরো অনেক গবেষকের কাছে পাওয়া যায় যারা শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন - এটা বিশ্বাস করেন।

অজয় রায় দাবী করেছেন রাত ১২:০০টার পরপরই এই টেলিফোনটি শেখ মুজিব করেন।

এক্ষেত্রে অজয় রায় টাইমিং এর ব্যাপারে একটু পিছলে গিয়ে রবার্ট পেইনের ম্যাসাকার বইটির উদাহরন টানেন যেখানে বলা হয়েছে২৫ মার্চ রাতে ঘোষনাটি জানানো হয় টিএনটি অফিসের এক বিশ্বস্ত ( আজও অজ্ঞাত !) এক স্টাফ কে।

কিন্তু এটি ৭১ পরবর্তী রবার্ট পেইনের ব্যক্তিগত সংগৃহীত তথ্যদিয়ে লেখা বই মাত্র ।

এই তথ্য যে রবার্ট পেইন সেই রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান কালে পাননি এবং অন্যকোন রিপোর্টারের সরাসরি সূত্র থেকে আসেনি , বরং অন্যকোন আওয়ামী সোর্স থেকে থেকে পরবর্তী সময়ে সংগ্রহ করেছেন সেটার যুক্তিটাও দেখবেন এখন।

এরিমধ্যে নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন আতিউর রহমান আর রবার্ট পেইনের ভেতরে টুইস্ট হয়ে গেছে ঘোষনার ভাষায়।

আগেই বলেছি ধানমন্ডী ৩২ এর ২৫ মার্চের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে দুটো সারপ্রাইজিং তথ্য স্কিপ করেছি।

এই তথ্যগুলোই শেখ মুজিবের টেলিফোন বা অন্যযেকোন ভাবে হোক , DOI মেসেজের দাবী কে রীতিমত নকআউট করে।

দেখুন সেগুলো :

১. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদে
২৮ মার্চ , ১৯৭১ ,নিউইয়র্ক টাইমস :
সেখানে পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে রাত ১২:২০ মিনিটে শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোন করা হয় ! এবং ফোনটি রিসিভ করেন আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পরিচয়দানকারী কেউ একজন (হাজী গোলাম মোরশেদ অথবা তবিবুর রহমান)।

ফোন রিসিভারের বক্তব্য অনুযায়ী শেখ মুজিব তখন শোবার ঘরে ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবেই ফোনটি বিজি ছিলো পরবর্তী কিছু সময় এই কথোপকথনে।

যদি ১২:০০ - ১২:২০ এর মধ্যেও DOI মেসেজ শেখ মুজিব পাঠিয়ে থাকেন তাহলে সুবর্ন সুযোগ পেয়েও শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের কাছে তার DOI মেসেজ এর তথ্যটি জানাননি , ঐ আওয়ামী অফিসিয়ালের কাছ থেকেও স্বাধীনতা ঘোষনা বিষয়ে ঐ ফোনে কিছু জানানো হয়নি!

রাত ১২:২০ মিনিটে টেলিফোনে DOI মেসেজের তো প্রশ্নই আসেনা।
২. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিব কে টেলিফোন , সময় রাত ১:০০ টা

দ্য এজ রিপোর্ট , অস্ট্রেলিয়া , ২৯ মার্চ , ১৯৭১:
এই একই তথ্যটি সায়মন ড্রিং এর রিপোর্টেপাওয়া যায়:

৩০ মার্চ , ১৯৭১ , ডেইলী টেলিগ্রাফ :
এখানে যেটা বলা হয়েছে রাত ১:০০ টার সামান্য আগে শেখ মুজিবের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং স্বয়ং শেখ মুজিব ফোন রিসিভ করেন।সেখানে শেখ মুজিব বলেছেন যে তিনি যেকোন মূহুর্তে আক্রমণ আশা করছেন এবং একজন ভৃত্য আর দেহরক্ষী ছাড়া বাকি সবাইকে নিরাপদস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সেই চূড়ান্ত মূহুর্তে যখন শেখ মুজিব জেনে গেছেন কি ঘটতে যাচ্ছে নিশ্চিত ভাবে এবং এর সমাধান একটাই স্বাধীনতা - তখনো শেখ মুজিব DOI মেসেজ টি যারা এর সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম "আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মী " তাদের কে জানাননি।

রাত ১২:২০- রাত ১:০০ টার মত ক্লাইম্যাক্স সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগের চরম সুযোগ পেয়েও তাদের কাছে মুজিবের কোন DOI মেসেজ পৌছায়নি!

এ বিষয়ে সেসময়কার বিবিসি সাংবাদিক মার্ক টালীর একটি বক্তব্য এখানে প্রাসংগিক:
"খবর পাওয়া গেছে যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন"

সোর্সঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিবিসি , বিসিডিজেসি , ২০০১।
আতিউর রহমানের কলাম থেকে সংগৃহীত

যেখানে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের সাথেই শেখ মুজিবের রাত ১:০০ টার চূড়ান্ত সময়টাতে সরাসরি টেলিফোনে কথা হয়েছে সেখানে "খবর পাওয়ার" ভিত্তিতে কেন DOI মেসেজ রিপোর্ট করা হলো ?
প্রসংগক্রমে আরো ১টি তথ্য জানিয়ে দেই।
রাত ১২:৩০ এ সর্বশেষ যেই আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি হলেন মওদুদ আহমেদ।
বিএনপিতে যোগদানের পূর্বে মওদুদ এ ঘটনাটির স্মৃতিচারন করেছিলেন এবং সেখানে তিনি কোন প্রকার DOI মেসেজ পাননি।

সোর্সঃ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ , মওদুদ আহমেদ , ১০ ডিসেম্বর , ১৯৯৫ , ইত্তেফাক , অজয় রায়ের আর্টিকল থেকে সংগৃহীত

১২:০০ - ১২:৩০ এর ভেতরে যদি মুজিব DOI মেসেজটি পাঠিয়েও থাকেন কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে , তাহলে সেই সময়ে তার বিশ্বস্ত দলীয় অনুগত কর্মী মওদুদকে টেলিফোনে পেয়েও সেটা জানাননি - এই নাটক কার্টুন প্রিয় শিশু ব্যতিত স্বাভাবিক চিন্তাশক্তির কারো পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।


রাত ১:০০ - ১:১৫ , ধানমন্ডী ৩২ :

যেন তেন প্রকারেন "DOI মেসেজ" নামক তালগাছটিকে দখল করা এবং তালগাছটির চারপাশে রীতিমত বেড়া দিয়ে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা হলো
জহিরুল আলম খানের "দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ" বই অনুসারে মুজিবকে গ্রেফতারের ঠিক আগ মূহুর্তে (আগে ১:১০- ১:১৫ এর মধ্যে ) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জহির একটি ঘর থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান এবং আওয়ামী গবেষকদের কাছে মনে হয়েছে সেটি ট্রান্সমিটার অপারেট করার শব্দ , তবে সম্ভবত ।

যাইহোক , মুজিব অনেক নাটকীয় সুযোগ পেয়েও DOI মেসেজটি ঘোষনা না করলেও যদি শেষ মূহুর্তে সেই চেষ্টা করে থাকেন তাহলে -

ঠিক সেই সময়েই রাত ১:১০- ১:১৫ এর ভেতরে দৈনিক আজাদী তে টেলেক্স মেসেজটি কে পাঠালো ?
শেখ মুজিবের কাছে তো তখন টেলেক্সের মত ওয়্যার কমিউনিকেশন মেশিন ছিলোনা !

সবচেয়ে বড় কথা শেখ মুজিবের বাসায় তখন অপারেট যোগ্য ট্রান্সমিটারই ছিলোনা!

তৎকালীন বুয়েটের অধ্যাপক নুরুল্লাহ এবং বুয়েট ছাত্রনেতা রাশিদুল হাসান খান মিলে শেখ মুজিবের বাসার ছাদে ১ টি ট্রান্সমিটার বসান ঠিকই , কিন্তু সেটি ডিসফাংশনাল হয়ে যায় সেট করার পরই। শেখ মুজিবও জানতেন ট্রান্সমিটারটি কাজ করবেনা।
তাহলে ট্রান্সমিটার এ ঘোষনার সুযোগটা থাকে কোথায় ?

ঠিক এখানেই তালগাছ দখল করার জন্য সিরাজউদ্দীন হোসেন জোর করে ট্রান্সমিটারটিকে আবার ঠিক করে ফেলেছেন।
তার মতে শেখ মুজিবের অজ্ঞাতে অধ্যাপক নুরুল্লাহ ট্রান্সমিটারটি নিজে এসে আবার ঠিক করে গেছেন!

যদি সেটাই হয় তাহলে শেখ মুজিব জানতেন না যে ট্রান্সমিটারটি সচল করা হয়েছে আবার , তাহলে তার জানামতে অচল ট্রান্সমিটার দিয়ে ঘোষনা দিতে যাবেন কেন ?

সিরাজউদ্দিন হোসেনের বক্তব্য দেখুন ইত্তেফাকের কলামে

সিরাজউদ্দীন হোসেন সেখানেই থামেননি , এই কাল্পনিক ঘোষনাটিকে তিনি সেই রাত ১২ :২০ -১২:৩০ এ নিয়ে গেছেন , সেন্ট্রাল টিএনটি অফিসের কাল্পনিক টেলিফোনের পরিবর্তে যেটার ভিত্তিতে টিক্কা খান মুজিবকে গ্রেফতার করেন এবং সেই ঘোষনা টিক্কা নিজ কানে শুনেছেন!

যদি রাত ১২:২০ - ১২:৩০ না হয়ে যদি এই কাল্পনিক ঘোষনা রাত ১:১০ এ হয় তারমানে ১:১০ - ১:১৫ এর ভেতরে টিক্কা শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা তৈরী করেন - সর্বোচ্চ হাস্যকর !

অথচ ইতিহাসের আসল সত্যিটা হলো :

নুরুল্লাহ নিজেই বলেছেন ট্রান্সমিটার বিকল হওয়ার পর তিনি আর সেটি ঠিক করেননি বা ট্রান্সমিটারটি কাজ করেনি এবং একই বিষয় অজয় রায়ও স্বীকার করেছেন তার আর্টিকলে।



এই কাল্পনিক ঘোষনার বিষয়টিকে শেষবারের মত নকআউট করছে সেই আগের টার্নিং ইনফো।

রাত ১:০০ টায় যখন মুজিব নিজেই টেলিফোনে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি যেকোন মুহুর্তে আক্রমন আশা করছেন , বাসার প্রায় সবাইকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন , তাহলে তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিলেন না কেন একটু পরই তিনি ট্রান্সমিটার দিয়ে DOI মেসেজ পাঠাবেন !

এইসব কাল্পনিক নাটকের স্ক্রিপ্ট কখনোই ইতিহাস হতে পারেনা ।

২৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:১৯

তপ্ত সীসা বলেছেন: ওরে আল্লারে, ছাগু কাম হাম্বা সংকর এই পুঙ্গায়ভাস ছাম্বা কয় কি? ওরে পাকিরা প্রধান্মন্ত্রী বানাইছিলো কবে? মন্ত্রী হওনের খায়েশেই তো ইয়াহিয়ার লগে খোশ গল্প করছে। মাথায় ঘিলু থাকলেতো বুঝতো।

সব ঝামেলা খালি হের লগেই হয়, ক্যালকুলেশন খালি হেতিয়েই করছে। ট্রান্সমিটার খালি হেয়ই নস্ট করতে কইলো, টেকনিক্যাল সমস্যা খালি হের বেলাতেই হইলো। কি তত্ব নিয়া আইছোরে ছাম্বা কুনখানকার। হাসাইলি আমারে। তুই একটা সিরাম বিনুদন। তোরে নুবেল দেয়না ক্যান কেউ?

২৫| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:৩৩

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: @প্রভাষ প্রদৌত
ভারত থেকে বোধ হয় টাকা পয়সা কম দিচ্ছে তাই আবল তাবল লিখে যার দালালি করছেন তার দৃষ্টি আকর্ষণের এই চেষ্টা, কিন্তু হচ্ছে কই বলুনতো , পুরীষ তো মুখের বদলে এখন মাথায় যাচ্ছে!
“সাংবাদিকরা যে বঙ্গবন্ধুর সাথে কথা বলেছিল , এটার কোন voice record আছে ????????????? তাহলে সানবাদিকদের কথা আপনি কেন বিশ্বাস করছেন”
পোস্টে একাধিক সুত্র দেয়া হয়েছে, একটা নয় সুতারাং একজনের ওপর দুনিয়ার সকল বিশ্বাস ঢেলে দেয়া হয় নাই, যেমনটি আপনি করেছেন আপনার ক্ষেত্রে দুইটি লিঙ্কে(ABC,CBS)। voice record থাকতেই হবে এমন কিছু আমার মন্তব্যে নাই, কোথাও বলি নাই voice record না থাকলে কোন ঘটনা মিথ্যা হবে, voice record একটা শক্ত প্রমান, যেটা মেজর জিয়াউর রহমান এর ব্যাপারে ছিল।
আপনি লিখলেন,
“একেইবলা হয় অপ্ল বিদ্যা ভয়ংকরী , ডিকশনারি হুবুহু মুখস্ত করলে আস্ল কাহিনি বঝায় যায় না, একটা শব্দের ব্যবহার অনেক সবকিছু তো আর দিকশনারিতে লেখা থাকে নাহ , কোন শব্দের অর্থ ঘটনার সাথে মিলিয়ে তারপর বুঝতে হয় , এই জনয় শিখতে , গোবর মস্তিস্ক দিয়ে কি আর বজা যাবে ????”
মানে “kept secret or done secretively, especially because illicit” ভুল??
কিন্তু নিজেই লিখলেন
“কার্যক্রম গোপনে চালাতে হয়েছিল”
Secret মানে “গোপন” না??? হায়রে জ্ঞানের আধার!!
“CBS anchor জানল ক্যামনে, নিশ্চয়ই anchorএর কোন রিপোর্টার শুনসে" এই কথাই প্রমান করে আপনি কত ঙ্গাধা ,”
আপনার বাচ্চাকালের আয়োডিনের অভাবটা, আপনার কমেন্টে তীব্র ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, anchorএর কোন রিপোর্টার শুনসে বলতে চ্যানেলের রিপোর্টারের কথাই বুঝাইসি, আপনার দুই পিতার জীবনে কোনোদিন শুনসেন anchor এর আলাদা রিপোর্টার থাকে??? তারপরও আপনার মত ক্ষীণ মানসিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাক্তির সমস্যা হওয়ার জন্য আমি যরপনাই দুঃখিত!!
“শুধুই সিবিএস না , আমেরিকার এবিসি চ্যানেলও একই সংবাদ প্রচার করে , এটাও কি Abstract ছিল ?????????”
“উভয় চ্যনেলের সাংবাদিকরা বাংলাদেশে উপস্থিত ছিলেন , তাদের কাছে গিয়ে জিগ্যেস করেন ।”
দুইটা একই দেশের চ্যানেল। যুদ্ধ আক্রান্ত জায়গায় তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নাই, যারা জানে তারাই বলতে পারবে যে কত ভুল খবর এবং গুজব সংগ্রহ হয় যুদ্ধ ক্ষেত্রে । যে দেশ পাকিস্তানেরর পক্ষে ছিল, তাদের মুজিবরে ঘোষক বানাইতে পারলে লাভ কারন তার বিচার করতে পাকিস্তানের সুবিধা হবে যদি তারে স্বাধীনতার ঘোষক বানান যায়, মুজিব কিন্তু নিজে এই বিচারের ভয়ে ঘোষণা দেয় নাই(সুত্র- তাজউদ্দীন) সুতারাং
“এবার আসি সিবিএস আর এবিসি চ্যানেলের কি কোন স্বার্থ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদ প্রচারে মিথ্যার আশ্রয় নিবে ???????? না ছিল না ”
কথাটা ভুল, স্বার্থ থাকতেই পারে।
“কোন সংবাদ সত্যি কিনা তা ননির্ভর করে অকাট্য প্রমাণ এবং যৌক্তিক্তার উপর ,এবার আসি সিবিএস আর এবিসি চ্যানেলের কি কোন স্বার্থ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদ প্রচারে মিথ্যার আশ্রয় নিবে ???????? না ছিল না , সিবিএস আর এবিসি চ্যানেল তাদের দায়বব্ধতা থেকে এবং শতভাগ নিশ্চিত হয়েই , যেহেতু কোন মিথ্যা বলার প্রয়োজন ছিল না সেহেতু এই সংবাদ অকাট্য প্রমাণ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য ।”
কি সুন্দর!! “যেহেতু কোন মিথ্যা বলার প্রয়োজন ছিল না সেহেতু এই সংবাদ অকাট্য প্রমাণ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য” , এইটা যদি যুক্তি দেয়ার ধরন হয়, তাইলে এই দুনিয়া ধ্বংস হইতে বেশি দেরি নাই!! আপনি আর আপনার ১৪ গুষ্ঠি যে কোনোদিন যুক্তি বোঝে নাই, সেইটা বুঝায়া দিলেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
“তখন বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ার কে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলনে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের সাথে সাথে ট্রান্সমিটার ধ্বংস করে ফেলতে...বাংলাদেশে তখন সবার কাছে রেকর্ডার ছিলন না...।”
ট্রান্সমিটার ধ্বংস করে ফেলতে বলসে ভালো, তো record করতে কি সমস্যা ছিল??ট্রান্সমিটার ধ্বংস করার সাথে record করার কি সম্পর্ক??ট্রান্সমিটার দিয়া record করবে?? হায়রে বোকাচো...
সবার রেকর্ডার থাকার দরকার ছিল না, একজনের থাকলেই হইত, মুজিব, যার কথায় পুরা বাংলা চলত,তার স্বাধীনতার ঘোষণার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় record করার ব্যাবস্থা করা যায় নাই?? কারন বললেন
“সবাই যখন জান বাচাতে ব্যস্ত ২৫শে মার্চের কাল রাতে”
ও, তাই??আর জিয়ার সময় সবাই ছুটি কাটাচ্ছিল?? record করার জন্য মানুষ কি রেডি হইয়া বইসা ছিল?? বেকুব আর কারে কয়!! এই উদ্ভট ও হাস্যকর কথা পাগলের কাছেও পাত্তা পাইব না।
“প্রথমত সিবিএস আমেরিকায় বসে শোনে নাই , তাদের সাংবাদিক বাংলাদেশে ছিল”
জী, তাদের নামটা জানান।
“সিবিএস চ্যানেল অবশ্যি কোন প্রমাণ ছাড়া কথা বলে নাই ,বেশি চুল্কানি থাকলে আমেরিকা গিয়ে সিবিএস এর হেড কোয়ার্টার থেকে জেনে আসেন”
কমেন্ট এ আজগুবি মিথ্যা লিখবেন আপনি আর proof আনতে হবে আমারে?? কেন, আপনার বাপের রাজত্ব চলে নাকি??
“বাংলাদেশের কেউই ( বাংলাদেশের , পাকিস্তান প্রেমি জামাত শিবির নাহ) ৭ই মারচের ভাষণে জয় পাকিস্তান শোনে নাই”
ভাই আপনার জন্ম নিয়ে আপনার মাতাকে প্রশ্ন করেন, সম্ভবত আপনার জন্মটাই শুরু হইসে মিথ্যায়, এজন্য এই মিথ্যা নিয়া লাফালাফি করতেসেন ।এ কে খোন্দকার এর আগেও ২ টা বইয়ে এর উল্ল্যেখ আছে, একাধিক ব্যাক্তি(সাবেক মেয়র খোকা, একজন সাবেক বিচারপতি ও অন্যান্য) এ কথা বলছেন, সুতারাং, “বাংলাদেশের কেউই ( বাংলাদেশের , পাকিস্তান প্রেমি জামাত শিবির নাহ) ৭ই মারচের ভাষণে জয় পাকিস্তান শোনে নাই” কথাটা মিথ্যা।

শোনেন, আপনি এই ব্লগে যা ইচ্ছা তাই বলতেসেন, গালি দিতেসেন, আমি সেদিকটায় গেলাম না, virtual ব্লগে নিজেরে সুপারম্যান মনে করতেসেন। আমিও আপনাকে দিতে পারতাম, কিন্তু করলাম না কারন এইখানে গালি দেয়ায় কোন বাহাদুরি নাই। তবে সামনে পাইলে, বুঝতা সোনা, তোমার শুকনা গোলক দুইটা হাতে থাকত!! দেখতাম তোমার গালি দেয়ার বাহদুরি।

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাম্বা ব্লগার @প্রভাষ প্রদৌত,
হাম্বাটারে পোন্দনের ওপর রাখা হয়েছে। শালার মাথায় চেতনা গিজগিজ করতেছে, ব্রেইন নাই, দালালের বীর্য হাম্বাটার মাথায় টগবগ করে ফুটতেছে।

যে সিদ্দিক শালিকের দোহাই দেয় তার বই পুরোটা না পড়ে হয়ত কারো লেখার অংশ পড়ছে। আর এখানে ল্যাদালেদি শুরু করে দিছে।

হাম্বা ব্লগার @প্রভাষ প্রদৌত,এর উদ্দেশ্যে বলছি, তোর বাপ সিদ্দিক শালিকের বই থেকেই তোকে আজকে গোবর খাওয়াব।
পড়ে ফেল তোর বাপ সিদ্দিকের বই-------

"আমাকে গ্রেফতার করুন অন্যথায় চরমপন্থিরা স্বাধীনতা ঘোষনা করতে পারে"।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে এ অনুরোধ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালে ঢাকায় সামরিক শাসক টিক্কা খানের গনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার পুস্তকে এ দাবি করেছেন।
২৫ তারিখের ক্রাক ডাউনের খবর শেখ মুজিব আগাম জেনে যান বিভিন্ন মাধ্যমে। মুজিব তার দলীয় নেতা কর্মী ও পরিবারের লোকদের আত্মগোপনে পাঠিয়ে নিজে সস্ত্রীক রয়ে গেলেন বাসভবনে এবং মধ্যরাতে তার গুছিয়ে রাখা হোল্ড-অলটি নিয়ে পাকবাহীনীর কাছে আত্মসমর্থন করেন (বেগম মুজিবের সাহ্মাত্‍কার ১৯৭৩)।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশিষ্ট সাংবাদিক জ্যোতি সেন গুপ্ত লিখেছেন, ২৪ তারিখে গোয়েন্দা সূত্র পাক বাহিনীর আক্রমনের আগাম সংবাদ জানিয়ে দেয় আ'লীগকে। কর্নেল ওসমানী ঐ দিনই মুজিবের সাথে দেখা করে তাকে অবহিত করেন। শেষ রাত পর্যন্ত নেতারা করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, তারা আত্মগোপন করবেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাজউদ্দিন এসে দেখেন মুজিব তার বিছানাপত্র গুছিয়ে তৈরি হয়ে আছেন।
(সূত্র:মাসুদুল হক,দৈনিক ইনকিলাব,২৬ মার্চ ২০০৫)

২৬| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:০০

তপ্ত সীসা বলেছেন: পুঙ্গায়ভাসের পুঙ্গায় ব্যথা শুরু হইছে। ওর মাথা কেউ ওর সত ভাই ওয়ামীর গুয়ায় হান্দাইয়া দ্যাও।

২৭| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:১৯

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: “শেখ মুজিব তখন পাকিস্তনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন , প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ওনাকে প্রথমে মিমাংসা করতে হত , উনি তাই মিমাংসার চেষ্টা করেছেন”
গাঁজা আর কত খাবেন, ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল, ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই ফাকিস্তান। তবে এই ফাকে , মুজিব যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল ছিলেন এই সত্যটা বলে ফেলসেন, ধনবাদ আপনাকে।


“৭ই মারচের ভাষণে তো বলেই দিয়েছিলেন "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম " এর চেয়ে সরাসরি কিছু বলা তখনকার বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সম্ভব ছিল না”
অবশ্যই, কারন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হইতে চাইলে ক্যামনে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়!!
“" এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম " এর চেয়ে আর কি চাস তুই ???????????”
এই সংগ্রাম ১৮৫৭ সাল থেকেই চালু আসে, তাইলে তো ১৯৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষণা ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময়েই হয়া গ্যাসে!
একবার বলে
“৭ই মারচের ভাষণে যেখানে জাতিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিলেন যে এবার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
আবার বলে-
“ওনার পক্ষে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে সরাস্রি কিছু বলা সম্ভব ছিল না”
সরাসরি না বললে ক্যামনে “জাতিকে পরিষ্কার নির্দেশনা” দেয়?? গাঁজা খাইলে সবই সম্ভব।

“যেখানে ৭ই মারচের ভাষণে জাতিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিলেন যে এবার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সেখানে সব সন্দেহের অবসান তো তখনই হয়ে যায়”
একবার জাতিকে “পরিষ্কার নির্দেশনা” দেয় আবার ভুট্টর লগে মিটিং এও বসে, বাহ কি চমৎকার!



“i don't mean independence. It can be done many ways." বলেছিলেন ৭ই মারচের পরে এবং ২৫শে মারচের আগে”
২৫ তারিখের আগে, বাঙালি সাবেক ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তারা একাধিকবার সৈন্য সমাগমের বিষয় মুজিবকে জানায়, তারপরও ৭ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কিশের আশায় আপনার পিতা ভুট্টর লগে মিটিং এ বইল কারন তখন উনি i don't mean independence. It can be done many ways ধরে বসে আছেন!! প্রধানমন্ত্রী হইতে হবে না, তাই ভানুর কৌতুকের বেকুবের মত “দেখি না কি হয়” নীতিতে চলতেসিলেন।
“আর অপারেশন সার্চলাইটের পরে যখন পাকিস্তান আরমি নিরিহ মানুষের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান তার অখণ্ডতার অধিকার হারায়”
এরকম বহুত দেশে এইরকম গনহত্যা চলসে তাতে সেই দেশের অখণ্ডতা চলে যায় নাই, সেভেন সিসটার্স রাজ্য গুলাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রাজ্যগুলা আলাদা হয় নাই, চায়না তিব্বত ও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সামরিক অভিযান চালানোয় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, তাতে কেউ বলে নাই যে চায়না ঐ রাজ্য গুলার অখণ্ডতার অধিকার হারিয়েছে, এইসব বলদ মার্কা কথাগুলা কই থেকে মুখস্ত করে এরা??
“ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন......
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রেকর্ডেড ছিল”
স্বপ্নে!!
“২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু হোটেল ইন্টারকন্তিনেতাল এ গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করবেন , তাই না??????? তুই স্বাধীনতার ঘোষণার সাথে হোটেল ইন্টারকন্তিনেতাল কিভাবে রিলেট করিস ??????????? তোর ব্রেন এতই পচে গেসে ???????????”
ইন্টারকন্টিনেনটাল এ বিদেশী সাংবাদিক ছিল, তাদেরকে ফোন দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া যেত, তাইলে ট্রান্সমিটার আর টেকনিক্যাল সমস্যার আজগুবি গল্প ফাঁদতে হইত না!! মানুষের ব্রেন ঠিক আসে, আপনারটা গাঁজা খাওয়ার কারনে malfunction করতেসে।
“জেনারেল সিদ্দিক সালিক "Witness to Surrender " বইয়ে নিজে স্বীকার করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা”
উরে বাপরে, জেনারেল সিদ্দিক সালিক এর উপর এত ভরসা!!!! কোন কথা থেইকা যে কই যায় হুশ নাই!!

২৮| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:২৪

তপ্ত সীসা বলেছেন: ব্লগে এক ছুপা ছাগু কাম হাম্বার উদয় হইছে। যার নাম ছাম্বা পুঙ্গায়ভাস (প্রভাষ নহে)। ওর মুখ কেউ ওর পাকি জারজ সত ভাই ওয়ামীর পশ্চাদদেশে ঢুকাইয়া দ্যাও।

২৯| ২৮ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: দোষ প্রভাসের না, দোষ যেই শালা ওর কাছে গাঁজা বিক্রি করছে তার। ওর কথা শুনে তো মনে হল নেশার চরম শিখরে আছে। মুজিব ঘোষণা দিছে, ট্রান্সমিটার ইঞ্জিনিয়ার ধ্বংস কইরা ফেলছে, হয়তো কেউ শুনছে, হয়তো কেউ রেকর্ড করছে, হয়তো রেকর্ড হারাইয়া গেছে; প্রথম শ্রেণীর গাঁজা ছাড়া কারও পক্ষে এইসব বলা সম্ভব না।

৩০| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

তপ্ত সীসা বলেছেন: সব মানুষ তো গাঞ্জা খায়নাই যে যা হয়নাই তাও শুনবো। এর বাপেও মনে হয় ওইদিন ওভারডোজ গাঞ্জা টানছিলো, তাই কি যে কইছে হুশ নাই। একবার ফুন আরেকবার ওয়ারলেস! পুঙ্গায়ভাসের কি জানে এর আরেক অবৈধ বাপ সিদ্দিক মিয়া হের বইয়ে এইডাও লিখছে যে এরেস্ট করার সময় হের সার্বজনীন বাপেরে এক পাকী ঠাডাইয়া থাপ্পর মারছিলো? বিশ্বাস করলে সব কথাই কইরো, অর্ধেক অর্ধেক কইরোনা। বুঝছো ছাম্বা?

২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হাহ হাহ হা
ব্রো আপনার কমেন্টগুলো সেই ছিল। অস্থির

৩১| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন "শেখ মুজিব তার অধিকার চাচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশ সংক্রান্ত কিছু নাই।এ থেকে কি প্রমাণ করলি হাম্বার বাচ্চা?" শেখ মুজিব তখন পাকিস্তনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন , প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ওনাকে প্রথমে মিমাংসা করতে হত , উনি তাই মিমাংসার চেষ্টা করেছেন , আর ৭ই মারচের ভাষণে তো বলেই দিয়েছিলেন "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম " এর চেয়ে সরাসরি কিছু বলা তখনকার বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সম্ভব ছিল না , কিন্তু " এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম " এর চেয়ে আর কি চাস তুই ???????????

অাচ্ছা বঙ্গবন্ধু বলেছেন স্বাধীনতার সংগ্রাম বা যাই হোক কিন্তু আওয়ামীলিগ তাহলে শেখ মুজিবকে নিয়া স্বাধীনতা ঘোষক এটা প্রমান করতে নামলো কেন!!!

২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
হাস্যকর যুক্তি নিয়া হাম্বা মাঠে নামে, লুঙ্গিতে টান পরলে খিচ্চা দৌর মারে।

৩২| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

অন্য এক আমি বলেছেন: হাম্বার দেখি লেজে গোবরে অবস্থা। =p~ =p~

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪০

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: মিথ্যার আশ্রয় নিলে পরিণতি এমনই হয়।

৩৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: যদি মাথায় পর্যাপ্ত ঘিলু থাকে বোঝার মত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাঃ প্রেক্ষাপট ও পটভূমি ( সংগ্রহীত )

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ওরকম দলীয় নিউজ পোর্টাল আছে ভুরি ভুরি। চাইলে এমন লিঙ্ক ১০-১২ টা আমিও দিতে পারি।
ভাই বাদ দেন না প্লিজ। আপনার প্রোফাইলটা দেখেছি, আপনার একটা পোস্টে একটা মন্তব্যও করছি। দেখে নিয়েন।
ইসলামিক মাইন্ডেড মানুষকে গালি দিতে আমারও ইচ্ছা করে না। সব আওয়ামী লীগ সমর্থক যদি আপনার মত হইত তাইলে তো আওয়ামী বিদ্বেষী হতাম না কোনদিন।
বুঝলাম শেখ মুজিব আপনার প্রিয় নেতা, ব্যাপারটা এই পর্যন্তই থাক।

৩৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫২

তপ্ত সীসা বলেছেন: তুই এইডা রোল কইরা তোর ড্যাসের ফুটা দিয়া ঢুকা। এইসব তৈরী করা বাকশালী অপপ্রচার আর কত? শালা ছাগু কাম হাম্বায় আইছে মুত্র ত্যাগ করতে। তাও আবার এইটাও মুখ দিয়া =p~

৩৫| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০০

রঙতুলি বলেছেন: মুজিব পীরের পান্ডাদের কথায় স্বাধীনতার ঘোষণা – ঘোষক নির্ধারিত হবেনা।
চোখ রাঙ্গানি দেখিয়ে , মাস্তানী- ষন্ডামী গুন্ডামী করে বই পুড়িয়ে সত্য দাবিয়ে রাখা যায়না।

এদের কাজই হচ্ছে সত্য কে আড়াল করে , নিজেদের ঢোল বাজানো এবং মজার কথা হচ্ছে , সেই ঢোলে বারি দেয়ার হাম্বা চামচার অভাব নাই , পেমেন্ট পাক আর না পাক এরে দালালী করেই যাবে জয় দালালী ।

২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ আপু অনেক দিন পরে আপনার মন্তব্য পেলাম।

৩৬| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: শেখ মুজিব স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশের ও জাতির অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন , এ বিষয়ে কোন রকম তর্ক বিতর্কের অবকাশ নেই । তবে ওনার " স্বাধীনতার ঘোষণা" দেবার কোন নির্ভর যোগ্য দলীল প্রমাণ পাই নি । এই পোষ্টে - যে সব যুক্তি প্রমাণ দেখানো হয়েছে , তা " শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি " এটা প্রমাণের উদ্দেশ্যে । যারা বিশ্বাস করেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন - তারা এর পক্ষে ডলীল-প্রমাণ দিতে পারতেন । আমরা একটি উপোভোগয টর্ক - বিতর্ক দেখতে পেতাম । যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশী - এই পোষ্টে আবার তা দেখতে পেলাম ।

তবে শহীদ জিয়া - যে রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন সেটা অনেক অনেক লোক শুনেছে । এর মাঝে একটা ঘোষণায় এ কথাও ছিল " অন বি হাফ অব শেখ মুজিবুর রহমান" । এটাকে অনেকে শেখমুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বলে মনে করেন । তবে এই " অন বি হাফ অব শেখ মুজিবুর রহমান" - জিয়াউরর রহমানের নিজের পক্ষ থেকেও হতে পারে । যেহেতু মুজিব -ই সে সময়ের বাংগালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন - তাই আন্দোলনের কোন কিছু বা ঘোষণা তার পক্ষ থেকেই হওয়া স্বাভাবিক । কিন্তু আবারও একথা প্রমাণিত হচ্ছে না শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ।

৩৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

প্রবালরক বলেছেন: আমি প্রসঙ্গ থেকে একটু সরে যাচ্ছি। তবুও ব্যাপারটি বোধহয় একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয়।
জিয়া প্রদত্ত প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা যুদ্ধের প্রপাগান্ডা কৌশলের অংশ বৈ অন্য কিছু ছিলনা। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা প্রথমে তাঁর মাথায় আসেনি বলেই প্রথমবার নিজের নামে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। মানে নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষনা দেন। তিনি আসলে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের আগাম অনুমান দ্বারা চালিত হন। তিনি মনে-প্রানে একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি জানতেন তিনি রাজনীতিক নন। এবং মুজিবকে তো তিনি নিজের নেতা হিসাবে ভাবতেন। ভাবতেন বলে ৭ই মার্চের ভাষনকে দিক-নির্দেশক হিসাবে নিয়েছিলেন। চট্রগ্রামের রাজনীতিকেরা জিয়ার সে ঘোষনা শুনে তার ঐতিহাসিক তাতপর্য ধরতে পেরেছিলেন। তারা বুঝতে পারেন যে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে প্রদত্ত ঘোষনাটার সংশোধন প্রয়োজন। একারনে "মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা" যোগ করে ঘোষনাটি পুন:প্রচারিত হতে থাকে। ততক্ষনে ঘোষনাটির ঐতিহাসিক তাতপর্য জিয়া নিজেও বুঝতে পারেন বলে সহজেই ঘোষনাটি সংশোধন করতে সম্মত হন।
আর একটা কথা - কেউ কেউ দাবী করেন জিয়ার আগে একই বেতার কেন্দ্র থেকে কোন এক রাজনৈতিক নেতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। এরকমের একটা ঘোষনা একবার প্রচারিত হবার পরে একই বেতার কেন্দ্র থেকে পরে জিয়া কোনভাবেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে পারেননা। দিলে তা পাগলের প্রলাপ হিসাবেই গৃহীত হত। বলা হয়ে থাকে সে ঘোষনাটি বেশী মানুষ শুনতে পায়নি। অন্য কেউ শুনুক বা না শুনুক বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা তো সে কথা নিশ্চিতভাবে জানত। তখনকার পরিস্থিতিতে তাদের মাধ্যমে জিয়াও খবরটা পেয়ে যেতেন। ঘটনা পরম্পরা প্রমান করে জিয়ার আগে অন্য কারো দ্বারা স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদানের কথা সম্পুর্ন উদ্ভট।

৩৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৮

প্রবালরক বলেছেন: তাজউদ্দীন দু:খ করতেন - লিডার কোনদিন জানতে চাননি স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস তিনি কেমন করে সব সামলেছিলেন।
৯ মাসের রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম সন্বন্ধে বঙ্গবন্ধুর অনাগ্রহের কারন অনুধাবন করা কি খুব কঠিন?
কাজটা তাঁর পছন্দ হয়নি। তিনি এভাবে এরকম চাননি। যে হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে তিনি ধরা দিয়ে জেলে গেলেন সেটা এটা নয় যা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে অর্জিত হয়। তবুও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রানপুরুষ বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা সংগ্রামের নয় মাস অনুপস্থিত থাকলেও বাঙ্গালী জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একতাবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালায় । জনগন তাঁকেই নেতা হিসাবে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় মাথায় তুলে রাখে। প্রানপ্রিয় নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতি বরন করে নেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.