নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরেও যারা জয়ী , বিজয়ী হয়েও যারা পরাজিত

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

কথায় আছে, ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে। বিএনপির কাছে তেমন একটি মার খেয়ে হাসিনার দলবল এখন মহা দুঃচিন্তায় পড়েছে। ৩ মাসব্যাপী আন্দোলন থামাতে বিএনপিকে নির্বাচনের ফাঁদে ফেলে খুব মোচ তাওয়াচ্ছিলো অবৈধ সরকার। বিএনপি খুব ঠান্ডা মাথায় নির্বাচনে যোগ দেয় অবরোধ মূলতবী রেখে। ঢাকা উত্তরে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও নবীন প্রার্থী, আর দক্ষিনে অনুগত প্রবীন প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনের মাজেজা অনেকই বুঝতে পারেনি তখন। তবে নির্বাচনী ফাইটটা বিএনপি এত শক্ত দিয়েছে যে, সরকার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় ৩ সিটিতেই ধরা খেতে যাচ্ছে তারা। তাই বেছে নেয় ভোট ডাকাতির সনাতনী কূটকৗশল। সকল প্রতিকূলতার মধ্যে বিএনপি খুব মাথা ঠান্ডা করে নির্বাচনে থাকে। নির্বাচন শুরু হওয়ার প্রথম তিন ঘন্টায় যখন সারা শহর জুড়ে সরকারী দল ভোট ডাকাতির উন্মক্ততায় মেতে ওঠে, যা দৃশ্যমান হতে থাকে বিভিণ্ন মিডিয়ায়, বিএনপি বুঝে ফেলে বড়শি গিলে ফেলেছে। এবার টান দেয়া যায়। ব্যস আর যায় কোথায়। নির্বাচনের অর্ধেক পথে বিএনপি বয়কট করে নির্বাচন। ভোট দিতে না পেরে ভোটাররা বাড়ি ফিরে যায়। সারা দেশে হৈ হৈ পড়ে যায়। সরকারের ডাকাতির তথ্য প্রমান চলে আসে মিডিয়ায় এবং কূটনীতিকদের কাছে। নির্বাচন হয়ে ওঠে একতরফা একটি প্রহসন। ফলে নিজেরা সিল পিটিয়ে সরকার নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্র বলে দেয়, যে কোনো ভাবে জয়, আসলে কোনো জয় না। তাহলে কি? নিশ্চয় পরাজয়।
এই ডাকাতির নির্বাচনের দ্বারা বিএনপি হাতে নাতে প্রমান করে দিলো, কোনো তারা ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বয়কট করেছিল। কেনো তারা বলছে, হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তিন সিটিতে সুষ্ঠূ নির্বাচন হয়ে গেলে অবৈধ সরকারের এ নোংরা রূপটি দেখানো সম্ভব হতো না। অধিকন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন পেয়ে যেতো বৈধতা। বিএনপির দরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া, মেয়র নয়। আর ক্ষমতায় যেতে হলে, মাইনাস-হাসিনা একটা নির্বাচন দরকার। আর সেটা করানোর জন্য সিটি নির্বাচনে হাসিনাকে পচানোর দরকার ছিল। বেগম খালেদা জিয়া ঠান্ডা মাথায় খেলে সেটা করতে পেরেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। এই সাবজেক্টে ১০০ তে ১০০।

হাসিনা নির্বাচনে জিতেও হেরেছে, আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেও জিতেছে। শীঘ্রই শুরু হরবে ভোটের অধিকার অর্জনের লড়াই, যাতে আর বাগড়া বসাতে পারবে না কূটনৈতিক পাড়া। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান জানিয়েছে, ভোট ডাকাতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমান তাদের হাতে রয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, তদন্ত হবে। মোটকথা হাসিনার বিরুদ্ধে কেস তৈরী, এখন শুধু বেঁধে ফেলা বাকী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

মোহামমদ অাবুল বাশার বলেছেন:
আমিতো মনে করি দুই লাইন বেশী বুঝে বিএনপি জামাত হেফাজতের আম ছালা সবই গেল লীগ সফল

০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:২১

বিলোয় বলেছেন: না ব্রো, এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার হাম্বাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

২| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

এরশাদ বাদশা বলেছেন: খুবই ''গো-বেশনা'' লব্ধ একটি ''থত্য'' ও ''ওপাত্ত'' সমৃদ্ধ একটি প্রতিবেদন। যেটি ''লেকোক" পড়ে পড়ে নিজেই হস্তমৈথূনের আনন্দ গ্রহন করিবেন।

০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:২০

বিলোয় বলেছেন: যার যেমন স্বভাব, কেউ পোস্ট পড়ে জ্ঞান অর্জন করে, কেউ হস্তমৈথুন করে। কুকুরের লেজ সোজা হয় না, হাম্বাদের চরিত্র কখনও ভালো হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.