নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ
রাত থেকেই শেষ আষাড়ের বর্ষণ চলছে। ঢাকা শহরের যে সব নীচু এলাকা আছে তা ইতিমধ্যেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এই নগর ক্রমোশ বিস্তার লাভ করছে, ফলে চারপাশের যেসব নীচু এলাকা রয়েছে তা ভরাট করে নগরায়ন করা হচ্ছে, যার নিকট উদাহরন উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প।
প্রতিদিনের যাতায়াত পথ হওয়ার কারনে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের লেকগুলো নিয়মিত দেখা হয়। আজ সকালে দেখলাম রংধনু ব্রীজের নীচের লেক পানিতে টৈটুম্বুর। সপ্তাহখানিক নিয়মিত বৃষ্টি হলে লেকের পানি রাস্তায় চলে আসবে। এর মানে হচ্ছে নতুন শহরের রাস্তাগুলো জলাবদ্ধতার অভিশাপমুক্ত হচ্ছে না।
স্বাভাবতই বাংলাদেশের মানুষ মাছ বেশি পছন্দ করে। গতকাল পত্রিকায় দেখলাম একটি গবেষনা প্রকিবেদনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে জনপ্রতি মাছ খাওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকার রির্পোট বলছে গত বছর জনপ্রতি মাছ খাওয়ার পরিমান ছিলো বছরে ১৩ কেজি কিন্তু এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে জনপ্রতি বছরে ১৮ কেজি।
দেশের মানুষের আমিষের চাহিদার বড় অংশই পূর্ন হয় মাছের মাধ্যমে। বিগত বছরগুলোতে নদী এবং জলাশয়গুলোতে ব্যাপক দূষনের ফলে মাছের উৎপাদন বহূলাংশে হ্রাস পায়। কিন্তু ইদানিং মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে যে কারনে সমগ্রো মৎস উৎপাদনের ৫৫ ভাগ আসছে বিভিন্ন পুকুর-জলাশয় থেকে, ৩৮ ভাগ মাছের যোগান দিচ্ছে বিভিন্ন নদী এবং উন্মুক্ত জলাভূমি এবং বাকি মাত্র ৭ ভাগ মাছ আহরিত হচ্ছে আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা থেকে।আমােদের এই বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
অনেক বছর পূর্বে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়েছিলাম। গল্পটিতি তিনি এমন একটি সময়ের কথা বলেছেন যখন মানুষ বাস্তব জীবনে খুব একা হয়ে যায়। তার কাছে সবকিছু একঘেয়েমী লাগে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তখন মানুষ তার মস্তিষ্কের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফান্টসী তৈরি করে সময় কাটায়। যেমন, একজন মানুষ কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দোকান থেকে ডিভিডি ভাড়া করে আনার মতো বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি কিনে আনে এবং তা ডিভাইসের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে সংযুক্ত করে উত্তেজিত হয়।
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সেই গল্পের সাথে বর্তমান সময়ের বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুনেরা বিভিন্ন ফিলিংস নেওয়ার জন্য মাদকদ্রব্যের প্রতি আর্কিষ্ট হচ্ছে। মদ, গাজা, হিরোয়িন, ইয়াবা থেকে সিসা পর্যন্ত নাম না জানা বিভিন্ন মাদকদ্রব্য তারা সেবন করছে।
এতসব মাদকদ্রব্য আর এই তরুনদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না যখন তখন তারা ঝুকে পরছে জঙ্গীবাদের দিকে। কারনে এই পথে রয়েছে আকর্ষন, উত্তেজনা আর প্রচার।
যে মানুষ কখনো অস্ত্র হাতে নিয়ে দেখেনি তার হাতে যদি একটি মারনাস্ত্র তুলে দেওয়া হয় তবে প্রথমত সে ভয় পাবে কিন্ত কিছু সময় পর তার মস্তিষ্কের মাঝে একপ্রকার বিজাতীয় অনুভূতির সৃস্টি হবে। তার তখন সেই অস্ত্র ব্যবহার করে দেখতে ইচ্ছা হবে। ঠিক এই জিনিষটাই ওই সব তরুনের মনোজগতে খেলা করছে।
গত ০১ জুলাইয়ের নৃসংস হত্যাযজ্ঞে যে সব তরুন জড়িত ছিলো তাদের সম্পর্কে ইদানিং যেসব রির্পোট পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে তা মনে হয়না যে পূর্বে তারা ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই ছিলেন ধনী পরিবারের সন্তান এবং উন্নত জীবনব্যবস্থায় অভ্যস্ত। পার্টি, হ্য্ংআউট ইত্যাদি ছিল নিয়মিত ব্যাপার। সেধরনের একজন তরুন হটাৎ করে কিভাবে ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের প্রতি এত শ্রদ্ধশীল হলেন যে ইসলাম কায়েমের জন্য অন্য মানুষের প্রান কেড়ে নিলেন।
কাজেই বলা যায় যে, হঠাৎ করে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুনদের জঙ্গী হয়ে ওঠার পিছনে যতটা না ধর্মের প্রভাব তার থেকে বেশি কাজ করছে নিত্য নতুন ফ্যান্টসীর প্রতি আকর্ষন।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: Thank you.
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৭
মহসিন ৩১ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী লেখাটা পরে বুজলাম যে জঙ্গিবাদ মনেহয় শুধুমাত্র তরুণ বা নূতন প্রজন্মের ভিতরেই তৈরি হচ্ছে। কথাটা আংশিক হলেও সত্য।
আমার ধারনা জঙ্গিবাদ হল দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে তৈরি হওয়া সমস্যা।তাই যার কিছুটা অবশ্যই স্থানীও ভাবে সমাধানযোগ্য।
আমি বিশ্বাস করি, যেসব সমস্যাগুলি মানুষের জীবনে অষ্টেপিষ্টে, লাগাতার থাকে সেগুলো এক হল; কর্মসংস্থান এবং অতঃপর পর্যায়ক্রমিক ভাবে নাগরিক সুযোগ সুবিধাগুলো; যেগুলা না হলেই নয়।সেবা খাত ভিন্ন।
কারণ এক অপূর্ণ নাগরিক জীবনের মধ্যে সেসব কেবল আবাসন এবং বিনোদন এর মদ্ধেই যে সুধু সিমাবদ্ধ হবে তা কিন্তু নয়। কারণ; সব মানুষই বিশেষ করে তরুণরা পর্যটন বিষয়ে খুব আগ্রহী হয়ে থাকে। প্রতিবেশী সব দেশেই এর যথাযথ বিকাস ঘটছে; আমাদের দেশে এর ভয়াবহ চিত্রটাই সুধু চোখে পড়ে।