নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ স্যার তার কোন এক লেখায় রেডিমেড গার্মেন্ট ওয়ার্কারদের নাম দিয়েছিলেন বস্ত্র বালিকা। অন্যদিকে কন্ঠ শিল্পী মনির খান তার একটি গানে এদের সম্মোধন করেছেন সুই-সুতার কারিগর হিসেবে। আমরা তাদের যে নামেই ডাকি না কেন তারা আমাদের দেশের সম্পদ, খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ।
তাদের শ্রম এবং ঘামের বিনিময়ে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে । এই বস্ত্র বালক-বালিকাদের সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? তারা কোথায় থাকে? কিভাবে জীবন যাপন করে ? তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না এগুলো জানার জন্য কি আমরা কখনও চেষ্টা করেছি?
জীবিকাসূত্রে আমি এই মানুষগুলোকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি। অন্যসব সেক্টরের মত গার্মেন্ট সেক্টরের নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন আছে, আচার-ব্যবহারের রীতি-নীতি আছে, নিজস্ব ভাষা আছে। কোন ব্যক্তি এই জগতে প্রবেশ করলে প্রথম অবস্থায় কিছু বুঝে উঠবেন না। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সে বুঝতে পারবে কে কি বলছেন বা করছেন।
এই সেক্টরে প্রবেশের পূর্বে আমার গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রী সম্পর্কে কোন ধারনা ছিলো না। ছোট বেলায় আমাদের বাসার সামনে একটি বিল্ডিং এ গার্মেন্ট ফ্যাক্টোরী ছিলো। সকাল বেলা দেখতাম লাইন দিয়ে ছেলে-মেয়েরা ফ্যাক্টোরীতে প্রবেশ করছে আবার গভির রাতে কাজ শেষে একই ভাবে ফ্যাক্টোরী ত্যাগ করছে।
এরপর ২০০৬ সালের দিকে যখন কর্মসূত্রে আশুলিয়া অঞ্চলে যতায়াত শুরু হলো তখন গার্মেন্ট বলতে বুঝতাম শুধু বড় বড় বিল্ডিংগুলোকে । আর গার্মেন্ট ওয়ার্করদের সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরি হলো ২০০৬ সালে শ্রমিক বিক্ষোভের সময় তাদের উৎশৃঙ্খল আচরন দেখে।
এরপর যখন চাকুরীসূত্রে এই সেক্টরে পা রাখি তখন থেকে একটু একটু করে আমার ধারনা বদলাতে থাকে। মূলত আমাদের দেশের খেটে খাওয়া এইসব মানুষেরা খুব দুঃখি। খুব সামান্যতেই এরা আনন্দিত হয় আবার, খুব দ্রুত এদের উত্তেজিত করা যায়।
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু
উত্তরা, ঢাকা।
www.facebook.com/snalam.raju
©somewhere in net ltd.