নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কোনো লেখক নই। শুধুমাত্র মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি একজন সাধারন মানুষ

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনের পর দিন-০৩

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বাংলাদেশের প্রকৃতি এখন খেয়ালী আচরন করছে। এই হয়ত সকালে অফিসে বের হওয়ার সময় সূর্যের হাসি দেখা গেল তো সন্ধায় বাসায় ফেরার পথে প্রচন্ড শ্রাবন ঢল। প্রকৃতির মন বোঝা দায়।

এই ধরাবাহিকের মাধ্যমে চেষ্টা করবো গার্মেন্ট শিল্পের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের জীবনের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না সবার সামনে তুলে ধরার। আমার সামান্য অভিজ্ঞতা পাঠকদের সাথে ভাগ করে নিতে।

গার্মেন্ট শিল্পের বাইরে যারা কাজ করেন তাদের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, এখানে শিক্ষার থেকেও কর্মদক্ষতাকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু এর মানে এই না যে, গার্মেন্টে যারা কাজ করেন তারা সবাই অশিক্ষিত। প্রচুর এমবিএ, পিজিডি করা ছেলে-মেয়ে তৈরি পোষাক শিল্পের বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন। যত দিন যাচ্ছে এই শিল্পের চহিদা এবং কর্মপরিবেশ তত উন্নত হচ্ছে। কিন্তু এখানে আমি যাদের বুঝাতে চাচ্ছি তারা হলেন খেটে খাওয়া মানুষ অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেনী।

যারা গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চল অর্থাৎ আশুলিয়া, গাজিপুর, নারায়নগঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় যাতায়াত করেন তারা দেখবেন, প্রতি মাসের শুরুতে বিভিন্ন ফ্যক্টোরীর গেটে প্রচুর মানুষের ভিড়। এদের আধকাংশই চাকুরী প্রার্থী। বেশিরভাগই গ্রাম থেকে আসা অল্পশিক্ষিত ছেলে-মেয়ে। বিজিএমইএ এর হিসাব মতে বাংলাদেশে গার্মেন্ট ফ্যাক্টোরীগুলোতে চাহিদার তুলনায় ২৫% শ্রমিক সংকট রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এই শিল্পের যোগান উৎস পুরোটাই অদক্ষ শ্রমিক নির্ভর।

প্রধানত গার্মেন্ট ফ্যাক্টোরীগুলোতে যে সকল শ্রমিক কাজ করেন তারাই তাদের পরিচিত বা আত্নীয়স্বজনকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসে চাকুরীর উদ্দেশ্যে। ফ্লোরের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ও মেশিন লআউটের উপর নির্ভর করে একটি ফ্যাক্টোরীর শ্রমিক চাহিদা নির্ধারন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে যারা ফ্যাক্টোরী গেটে উপস্থিত হন তাদের মধ্য থেকে বয়স, জাতিয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা ইত্যাদি যাচাই করে একজন শ্রমিককে প্রথমিক ভাবে চির্বাচন করা হয়। এক্ষেত্রে যারা অদক্ষ তাদের হেলপার হিসাবে নিয়োগ কার হয়।

নূন্যতম আঠের বছর বয়স্ক একজন ব্যক্তি যে সদ্য গ্রাম থেকে শহরে এসেছে এবং সামান্য লেখাপড়া জানে সে এখানে অনায়াসে ৫৩০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করতে পারে । মাসশেষে স্যালারী ও ওভারটাইমসহ প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করা এ ধরনের যোগ্যতাসম্পন্য মানুষের পক্ষে অন্য কোথাও সম্ভব কিনা জানা নেই।



শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু
উত্তরা, ঢাকা।
www.facebook.com/snalam.raju

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

আহম কামাল বলেছেন: প্রকৃতির মতোই এ দেশের মালিক শ্রেণি ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনিতিকগণ খেয়ালী আচরণ করেন।




তাদের খেয়ালী আচরণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতোই এ দেশের মানুষগুলো দুর্যোগ কবলিত।
:) গেলো অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ (প্রায় দুই লক্ষ হাজার কোটি টাকা) এসেছে- গারমেন্ট শিল্প থেকে।
এতো বিশাল আয় কি করে সম্ভব?
কারণ, ওই যে বলেছেন অদক্ষ শ্রমিক- যাদের অনায়াসে ৫৩০০ টাকা দেয়া হয়! তাদের দিয়ে যতটুকু কাজ করালে ওই ৫৩০০ টাকা উসুল হবে- বরং তার চেয়েও বেশী কাজ করানো হয়।
ঘোষিত এই টাকা শ্রমিকরা ঠিক মতো পায় তো? এ পর্যন্ত যতটুকু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- টাতে দেখা গেছে, শ্রমিকরা ঘোষিত বেতন-ভাতা কখনই পায় না।

তাছাড়া, ৫৩০০ টাকা দেয়ার বিনিময়ে এই শ্রমিকরা কতো ঘণ্টা শ্রম দেয়? ৫৩০০ টাকা দেখা যায়। কিন্তু, যা দেখা যায় না তাহলো-
বায়ারদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত বেতন-ভাতা দেয়া হয় না। তাদের ঠকানো হয় চরমভাবে।
আর, এই শ্রমিক ঠকানোর উদ্বৃত্ত আয়ই হলো- সরবচ্চ রপ্তানি আয়।

। ধন্যবাদ ।। ভালো থাকুন ।। নিরাপদে থাকুন ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: গার্মেন্ট ফ্যাক্টোরীতে ৫৩০০ টাকা হচ্ছে সর্বনিম্ন মজুরী। যা কিনা ৮ ঘন্টা কাজের জন্য প্রযোজ্য। অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত মজুরী প্রদান করা হয়।
বর্তমানে গার্মেন্ট সেক্টরে কমপ্লায়েন্স হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বায়ারে কাজ পেতে হলে অবশ্যই ফ্যাক্টোরীকে কমপ্লায়েন্স হতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিক ঠকানোর কোন অবকাশ নেই। ধণ্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.