নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ
সচরাচার পুরান ঢাকার দিকে যাওয়া হয় না। যতদূর মনে পরে তখন ১৯৯২-১৯৯৩ সালের দিকে প্রতি মাসে একবার সোয়ারী ঘাট যেতাম মাছ কেনার জন্য। তখন ছোট ছিলাম, রাস্তাঘাট কিছু চিনতাম না। আব্বুর সাথে মোটরসাইকেলের পিছনে বসে খুব সকালে সোয়ারীঘাট যেতাম। মাছ কিনে আবার বাসায় ফিরতাম। এছাড়া দুই একবার টিপু সুলতান রোড, দোলাই খাল এবং বাহাদুর শা পার্কে গিয়েছি। তাও ১৮ থেকে ২০ বছর আগের কথা। তখন পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো মনে হতো সরু সরু। রিক্সা আর জ্যামে পূর্ন।
ইদানিং পেশাগত কাজে নিয়মিত মাসে একবার পুরান ঢাকায় যওয়া হয়। আগের দেখা সেই সব রাস্তার সাথে এখন আর কোনো মিল খুজে পাই না। এখন দেখি রাস্তাগুলো বেশ চওড়া হয়েছে, রিক্সার জ্যাম অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। দোকানপাটে বেশ আধুনিকতার ছোঁয় লেগেছে। যারা নিয়মিত পুরান ঢাকায় যান তারা বিষয়টি আরো ভালো বলতে পারবেন।
পুরান ঢাকা ঐতিহ্যের একটি অংশ হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। গতকাল সদরঘাট থেকে গুলিস্তান যাওয়ার পথে দুটি ঘোড়ায় টানা গাড়ি চোখে পরলো। আধুনিক মোটরযানের ভিরে এখনও ঘোড়ায় টানা গাড়ি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
একটি প্রচলিত প্রোবাদ আছে যদি কারো ক্ষতি করতে চাও তবে তাকে দিয়ে মামলা করাও অথবা তাকে দ্বিতীয় বিবাহ করাও নয়তো তাকে নির্বাচনে দাড় কারয়ে দাও। সত্যিকার অর্থে মামলায় জড়ালে যে কোনো লোকের ক্ষতি হতে বাধ্য। বাংলাদেশে সাধারন জনগনের জন্য আইনগত সহায়তা পাওয়াটা খুবই ব্যয়বহূল হয়ে পরেছে।
কিছুদিন আগে আমার একজন বন্ধু তিনি পেশায় একজন আইনজীবি তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন। তখন তিনি উঠতি আইনজীবি। একদিন তার চেম্বারে দুইজন লোক আসলো একটি কেসের ব্যাপারে তার আইনী সাহায়তা নেওয়ার জন্য। তিনি কাগজপত্র দেখে বললেন কাজ করানো সম্ভব তবে ৫০০০ টাকা লাগবে। যে লোকটির কেস তার সঙ্গিটি উকিল সাহেবকে বললেন আপনি কাগজপত্র ভালো করে দেখে তারপর বলেন কত টাকা লাগবে। উকিল সাহেব আবার কাগজ দেখলেন এবং বললেন , কাগজ ঠিক আছে, ৫০০০ টাকা হলেই চলবে।
লোকটি উকিল সাহেবকে একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে বললেন, পার্টি বড় একটি কোম্পানীর মালিক, আপনি ৫০০০০/- টাকা চান, আমাকে ৫০০০/- হাজার দিয়েন বাকিটা আপনার। উকিল সাহেব চালু লোক ছিলেন তিনি আধা ঘন্টা পর ঘুরে এসে ক্লায়েন্টকে বললেন আপনার কাগজপত্রে সমস্যা আছে, ১ লক্ষ টাকা লাগবে। ক্লায়েন্ট উকিল সাহেবকে কথামত ১ লক্ষ টাকা দিলেন। উকিল সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, যে কাজ ৫০০০/- টাকায় করা সম্ভব ছিল তার জন্য আপনি ১ লক্ষ টাকা কেন নিলেন। তিনি উত্তরে বললেন, যদি আমি ৫০০০/- নিতাম তাহলে আমার ক্লায়েন্ট মনে করতো আমি ছোট উকিল, আমাকে দিয়ে কাজ হবে না। তাই বেশি টাকা নিলাম, এতে আমারো লাভ হলো আর ক্লায়েন্টও বুঝল যে বড় উকিল ধরে তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান পেলেন।
সবাই যে এমন কাজ করেন আমি তা বলছি না তবে প্রকৃত পক্ষে আইনগত যে কোন কাজ করতে গেলে প্রচুর টাকা খরচ হয়। সবার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বহু বছর আগের স্মৃতির সাথে এখনকার বাস্তবতার কতটা মিল আছে তাই খুজে দেখার চেষ্টা করলাম। যেহেতু ওখানে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আইনগত তাই বিষয়টির উল্লেখ করলাম। আমি কোনো লেখক নই। যার কারনে টপিকের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। সময় করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
অশ্রুকারিগর বলেছেন: মিল যদিও নাই তবে এটা তো দিনলিপি। মিল না খুঁজে ঘটমান বর্তমানটাই দেখলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫২
মাদিহা মৌ বলেছেন: পুরান ঢাকার টপিকের সাথে আইনি সমস্যার টপিকের মিল পেলাম না খুঁজে …