নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনের পর দিন-০৬ : সাপ্তাহিক যায় যায় দিন এবং একজন চিরতরুন শফিক রেহমান

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

সাপ্তাহিক যায় যায় দিন পত্রিকার সাথে পরিচয় ঘটে খুব সম্ভবত ২০০১ সালের দিকে। ঢাকা থেকে রাঙামাটি যাবো বলে ডলফিন পরিবহনের কাউন্টারে বাসের জন‍্য অপেক্ষায় ছিলাম। সময় কটানোর জন‍্য পত্রিকা স্টান্ড থেকে পত্রিকাটি কিনেছিলাম। যতদূর মনে পরে ওটা ছিল একটি বিশেষ সংখ‍্যা। সেই যে শুরু এর পর থেকে হয়ে উঠলাম এর নিয়মিত পাঠক।

যায় যায় দিন পত্রিকা এবং এর সম্পাদক শফিক রেহমান দুজনেই ছিলেন সমান আকর্ষক বিষয়।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালে সাপ্তাহিক যায় যায় দিন দৈনিক পত্রিকায় রূপ নেয়। জনাব শফিক রেহমান দৈনিক যায় যায় দিনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার জগতে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। ১৬ পৃষ্ঠা মূল কাগজের সাথে প্রতিদিন একটি ৩২ পৃষ্ঠার রঙ্গিন ম্যাগাজিন পাঠকদের সরবরাহ করা হতো। প্রতিটি ম্যাগাজিন ছিল যথেষ্ট ইনফরমেটিভ এবং কালারফুল প্রেজেন্টেশন। এ সব পুরনো কথা সবার জনা ।

আমি শুধু জনাব শফিক রেহমান সম্পরকে কিছু ব‍্যক্তিগত অনুভূতির কথা বলার চেষ্টা করব। যদিও ওনার মতের সাথে আনেকের বিরোধ থাকতে পারে সেটা ভিন্ন বিষয়।

আমার পড়া এবং লেখার আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার লেখা পড়ে। যায় যায় দিন এবং পরবর্তীতে মৌচাকে ঢিল দুটোই ছিল আমার কাছে নেশার মত। তখন আমি খুলনায় ছিলাম। ওখানে প্রতিদিন পত্রিকা পৌছত সকাল ১১টার পর। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার অপেক্ষায় থাকতাম কখন যায় যায় দিন হাতে পাবো। পত্রিকাটির মোটো ছিল পাঠকই যার লেখক এবং লেখকই যার পাঠক। বিশেষ সংখ্যাগুলোতে যখন পাঠকদের কাছে লেখা আহ্বান করা হতো তখন বেশ কয়েকবার লেখা পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় একবারও আমার লেখা প্রিয় ম্যাগাজিনটিতে ছাপা হয়নি। যাহোক মনে কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু কখনো যায় যায় দিনের সঙ্গ ছাড়িনি।

বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়াতে যে কয়জন প্রথিতযশা সম্পাদক আছেন তাদের মধ্যে জনাব শফিক রেহমান একজন নক্ষত্রতূল্য। আমার দেখা খুব স্মার্ট এবং রোমান্টিক মনের একজন মানুষ তিনি। ৮১ বছর বয়সেও যে মনের দিক থেকে এতটা তরুন থাকা সম্ভব তা ওনাকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।

রোমান্টিক মনের মানুষেরা সাধারনত সৃষ্টিশীল হন, বিপ্লবী হন, নতুনের প্রতি আকর্ষন বোধ করেন বেশি। জনাব শফিক রেহমানও তার ব্যতিক্রম নন। তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন চাটার্ড একাউনটেন্ট হিসেবে কিন্তু তার প্রধান পরিচয় সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে। তিনি বৃটেনে এফ.এম রেডিও প্রতিষ্ঠা করেন, বাংলাদেশে সাপ্তাহিক এবং পরবর্তীতে দৈনিক যায় যায় দিন এবং সাপ্তাহিক মৌচাকে ঢিল সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। টিভিতে তুমূল জনপ্রিয় টকশো লাল গোলাপ উপস্থাপনা করেন। কোনো একটি বিষয় নিয়ে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি কখনো। সব সময় সৃষ্টির নেশায় মগ্ন।

আজ চার মাস হলো তিনি অন্তরীন অবস্থায় আছেন। আশাকরি তিনি আইনি লড়াই এর মাধ‍্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করবেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ‍্য রাখুন এই কামনা ক‍রছি। তার প্রতি রইল লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।



শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু
উত্তরা, ঢাকা
১৯/০৮/২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.