নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
নিউ স্টার কাবাব থেকে ডিনার সেরে বের হয়েছি তখন রাত সাড়ে দশটা। বৌকে বললাম চল কিছুটা হাটি। ছুটির দিন থাকায় রাস্তায় খুব একটা ভির ছিলনা। নিরজন রাস্তায় দুজনে কথা বলতে বলতে প্রয় ফারমগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে চলে এলাম।
হটাৎ বৌ আমাকে রাস্তায় দাড়ানো দুইজন মেয়ের দিকে দৃষ্টি আকরষন করল। প্রথম দৃষ্টিতে তাদের আলাদা কিছু মনে হবে না। কিন্তু একটু ভাল করে লক্ষ করলে বুঝা যায় এরা নিশিকন্যা।
আমি আমার মিসেস্ কে ব্যাপারটা বললাম আর দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করলাম। আটোসাটো বোরকা পরা মেয়ে দুটোকে দেখে অনেক বছর আগের একটা স্মৃতি মনে পরে গেল।
২০০৮ সালের দিকে তখন কাওরান বাজার এলাকায় কাজ করতাম। ঐ এলাকায় বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ছিল। বিভিন্ন জনের কাছে হোটেলগুলো সম্পরকে আজেবাজে কথা শুনেছি। কিন্তু সত্যতা জনতাম না।
একদিন বিকালে কাজ শেষে অফিস থেকে বের হয়েছি। রাস্তায় দেখি বিভিন্ন বয়সি অনেক নারীর ভির। এলোমেলো বেসভূসা। খুব তারাহূরা করে সবাই যাওয়ার চেষ্টা করছে। আশেপাশের দোকানদাররা খুব মজা করে দৃশ্য উপভোগ করছে। এক মেয়েকে দেখলাম রাস্তায় দাড়িয়ে বোরখা পরলো এর পর ভিরের মধ্যে মিশে গেল। বেশ কয়েকজন পাশের একটি প্রাইভেট ইউনিভারসিটির বিল্ডং এ ঢুকে গেল। আমি এক দোকানীর কাছে জানতে চাইলাম ব্যাপারটা কি?
দোকানী যা বললো তার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে, পুলিশ আবাসিক হোটেলগুলোতে রেড দিবে। এই খবর পাওয়ার কারনে হোটেল কতৃপক্ষ মেয়েগুলোকে বের করে দিয়েছে। এখন মেয়েরা যে যেদিকে পারছে সরে পরছে।
ঐদিন খুব কাছে দাড়িয়ে নিশিকন্যাদের দেখেছিলাম। আনেক ময়েকে দেখেছি যাদের চেহারা, পোষাক দেখে মনে হয় না যে আদিম এই পেশায় জড়িত।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে তখনো এই ব্যবসা যেমন চলেছে, আজো তেমন চলছে।
একটা সময় ছিল যখন নগর এর নিদৃষ্ট স্থানে এই নিশিকন্যারা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন মনে হয় পুরো নগর জুড়ে চলছে তাদের নিশিকাব্য।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮
কানিজ রিনা বলেছেন: নীশি কন্যারা এখন দিবা কন্যা হয়ে ঘুরে কক্সবাজার
রাঙামাটি আরও কত জায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: পুলিশের সাহায্যেই এসব ব্যাবসা চলছে বলে জানা যায়! সামান্য নিয়ন্ত্রিত ভাবে এটা একেবারে খারাপ না, সমাজে এটারও প্রয়োজন ছিল আছে, ইভিল নেসেসিটি। ধন্যবাদ।